বিশেষ সাক্ষাৎকার

বাজেট বিভিন্ন স্বার্থগোষ্ঠীর সঙ্গে আপস করার দলিল

লেখক ও চিন্তক আকবর আলি খান ৯টি বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৪ বছরের গবেষণার পর বাজেট নিয়ে বইও লিখেছেন। মূলত নতুন অর্থবছরের বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে তিনি প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন শওকত হোসেন।

আকবর আলি খান
আকবর আলি খান
প্রশ্ন

এবারের বাজেট কেমন হলো?

আকবর আলি খান: বাজেট কখনো সম্পূর্ণরূপে ভালো হয় না, খারাপও হয় না। বাজেট হলো এমন একটা দলিল, যেখানে বিভিন্ন স্বার্থগোষ্ঠীর সঙ্গে আপস করা হয়। বাজেটে সব সময় সবাইকে সন্তুষ্ট করা যায় না। এবারের বাজেটের সমস্যা হলো, কেবল যে বিভিন্ন স্বার্থগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করতে হবে তা নয়, এবার পুরো দেশই একটা বিরাট সমস্যার সম্মুখীন। আর সেটা হলো করোনার সংকট। সুতরাং এই সংকট থেকে উত্তরণই এখন প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্যের পরই অন্য লক্ষ্যগুলোর দিকে নজর থাকবে। মূলত এ বাজেটে যেভাবেই হোক জনজীবন যাতে বিপর্যস্ত না হয়, যাতে সংকট কাটানো যায়, সেই চেষ্টাই করা হয়েছে। সেদিক থেকে এই বাজেটের লক্ষ্য সঠিক বলেই আমি মনে করি।

প্রশ্ন

বাজেট ঘাটতি সমসময়েই একটি আলোচনার বিষয়। বাজেট নিয়ে আপনি আপনার বইতেও লিখেছেন, ঘাটতি ৮ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত হলে সমস্যা নেই। এবারের বাজেটে অর্থমন্ত্রী ঘাটতি রেখেছেন ৬ দশমিক ১ শতাংশ। ঘাটতি কি আরও বাড়ানো যেত?

আকবর আলি খান: ঘাটতি বিষয়ে সাধারণত যে অর্থনৈতিক মতবাদ তা হচ্ছে, ঘাটতি বেশি হতে পারে যদি সেই ঘাটতি উন্নয়নকাজে ব্যয় হয়। অর্থাৎ অবকাঠামোর কাজে যে বিনিয়োগ, তাকে ঠিক ঘাটতি বলা চলে না। দ্বিতীয়ত, বৈদেশিক সাহায্যের দিক থেকে যে ঘাটতির হিসাব করা হয়, সেটা আইএমএফের একটি বিশেষ ব্যবস্থা। আইএমএফ মনে করে, বৈদেশিক সাহায্য নিয়ে কোনো দেশ যদি অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তাহলে এই সাহায্য বন্ধ হলে তাদের অসুবিধা হবে। সে কারণে তারা বৈদেশিক সাহায্যকে ঘাটতি হিসেবে বিবেচনা করে। এই বিবেচনায় বাংলাদেশে ৬ শতাংশ বা এর চেয়েও অনেক বেশি ঘাটতি বাজেট করা সম্ভব। তবে আমাদের বর্তমান অর্থবছরের যে বাজেট ঘাটতি, তা কেবল বিনিয়োগের জন্যই করা হচ্ছে না, এই ঘাটতি চলতি ব্যয়ের জন্যও হবে। এ কারণেই বাজেট ঘাটতি সম্বন্ধে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

  • অর্থ ব্যয়ের সময়ে সরকারের সতর্কতা দেখতে পারছি না।

  • অপচয়ের ফলে ভবিষ্যতে অর্থনীতিকে সঠিক পথে নিতে সমস্যা হবে।

  • সংস্কারবিরোধী স্বার্থগোষ্ঠী স্বার্থরক্ষার জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছে।

  • কেন্দ্রীভূত প্রশাসন আরও অনেক বেশি কেন্দ্রীভূত হয়ে যাচ্ছে।

  • ভবিষ্যতে ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেবে।

প্রশ্ন

অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এবারের বাজেট ব্যবসাবান্ধব। কিন্তু অনেকে বলছেন, করোনার কারণে যাঁরা নতুন দরিদ্র হয়েছেন, শহর থেকে গ্রামে ফিরে গেছেন, এ জাতীয় মানুষের জন্য বাজেটে তেমন কিছু নেই। আপনার কী মূল্যায়ন?

আকবর আলি খান: দুই পক্ষের বক্তব্যই সঠিক। অর্থমন্ত্রী বড় ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক সুযোগ দিয়েছেন। কিন্তু যাঁরা নতুন গরিব হয়েছেন, গরিব হয়ে গ্রামে চলে গেছেন এবং যারা মধ্যবিত্ত সমাজ, তাদের জন্য এই বাজেটে প্রণোদনা যথেষ্ট নেই। আর যা প্রণোদনা আছে, তা তাঁদের কাছে কীভাবে পৌঁছানো হবে, সে সম্বন্ধেও সুস্পষ্ট কোনো চিন্তাভাবনা দেখা যাচ্ছে না।


প্রশ্ন

বাজেট নিয়ে আপনার গবেষণা গ্রন্থটির নাম বাংলাদেশে বাজেট: অর্থনীতি ও রাজনীতি। আপনার দৃষ্টিতে নতুন বাজেটের রাজনীতি ও অর্থনীতিটা কী?

আকবর আলি খান: এই বাজেটের রাজনীতি প্রধানত হচ্ছে, এখনকার সংকট থেকে দেশকে উত্তরণের চেষ্টা করা। কিন্তু চেষ্টা করার জন্য শুধু রাজনীতির ওপরই জোর দেওয়া হয়েছে, অর্থনীতির দিকগুলো ভালোভাবে দেখা হয়নি। কেবল অর্থ ব্যয় করলেই চলবে না, অর্থ ব্যয়ের সময়ে সরকারের যথেষ্ট সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে। সেই ধরনের সতর্কতা আমরা দেখতে পারছি না। বর্তমান বাজেটে অনেকগুলো মেগা প্রকল্পের কথা রয়েছে। এই প্রকল্পগুলো কোভিড-পূর্ববর্তী অবস্থায় যেভাবে বাস্তবায়ন করতে পারতাম, এখন সেভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রকল্পগুলোর ব্যয়ও অনেক বেড়ে গেছে। পরিবেশগত দিক থেকেও এসব প্রকল্পের বিভিন্ন সমস্যা রয়ে গেছে। সুতরাং এ প্রকল্পের সবগুলো একসঙ্গে বাস্তবায়ন না করে, কোনগুলোর বাস্তবায়ন আগে করতে হবে, পরে কোনগুলো করতে হবে, সে সম্পর্কে বিবেচনা করার দরকার ছিল। কিন্তু এ জাতীয় কিছু এই বাজেটে দেখতে পাই না।

আরেকটা বড় সমস্যা হলো এর বাস্তবায়ন। আমরা বাজেটের পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারি না। বাজেট বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। এই ঢেলে সাজানোর কাজটা এক দিনে করা সম্ভব নয়। এটা অনেক আগেই করা উচিত ছিল, কিন্তু শুরু করা হয়নি, এমনকি এখনো শুরু করা হচ্ছে না। এ জন্যই বাজেটে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, তা সর্বত্র সঠিকভাবে ব্যবহার হবে না এবং সম্পদের অপচয় ঘটবে। এই অপচয়ের ফলে ভবিষ্যতে আমাদের অর্থনীতিকে সঠিক পথে নিতে সমস্যা দেখা দেবে।

৩ নম্বর সমস্যা হচ্ছে ব্যাংক খাতের ওপর অনেক কিছু চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাংক খাত ইতিমধ্যেই অনেক সমস্যার সম্মুখীন। ব্যাংক খাতকে শক্তিশালী করার প্রয়োজন ছিল। বর্তমানে যে বাজেট করা হয়েছে, সেখানে ব্যাংক খাত আরও দুর্বল হয়ে পড়বে এবং ভবিষ্যতে এই ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেবে।

প্রশ্ন

আপনি সংস্কারের কথা বললেন। কোন কোন খাতে সংস্কার করা দরকার বলে মনে করছেন?

আকবর আলি খান: আসলে সব খাতেই সংস্কার দরকার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জনপ্রশাসনসহ সব খাতেই সংস্কার দরকার। আমাদের এখানে সংস্কারের ক্ষেত্রে যা করা হয়েছে, তা ডিজিটালাইজেশন, অর্থাৎ কম্পিউটারের প্রয়োগ করা হয়েছে। এটা আমাদের প্রশাসনের দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়। ডিজিটালাইজেশনের জন্য সরকারের ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। আমাদের দেশে প্রশাসন কেন্দ্রীভূত প্রশাসন। কেন্দ্রীভূত প্রশাসনে সিদ্ধান্ত নিতে অনেক দেরি হয়। এই কেন্দ্রীভূত প্রশাসন তো এখন আরও অনেক বেশি কেন্দ্রীভূত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এ ব্যাপারে সরকারের কোনো দৃষ্টি নেই। দ্বিতীয়ত, সরকারি কর্মকর্তাদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে, তাঁদের সঠিকভাবে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রেও আমরা কোনো সংস্কার শুরু করতে পারিনি। কাজেই ডিজিটালাইজেশন আমাদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না, এ জন্য আরও অনেক ব্যবস্থা গ্রহণের দরকার আছে। এ ছাড়া, সামগ্রিকভাবে আমাদের কাঠামোগত সংস্কারেরও প্রয়োজন। সরকারের কাঠামো এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে গড়ে তোলা দরকার আছে। সেটা এখনো হয়নি। আবার সরকারের মালিকানাধীন যেসব সংস্থা রয়েছে, বেশির ভাগই বিপুল পরিমাণ লোকসান করে যাচ্ছে। এ বছর কত লোকসান, সেই হিসাব এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এসব লোকসান বন্ধ করতে হবে। কারণ এসব লোকসানি সংস্থা বেসরকারি খাতকে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করছে এবং জনগণের অর্থ নিয়ে নয়ছয় করছে।

প্রশ্ন

আপনি সংস্কারের অর্থনীতি নিয়ে অনেক লেখালেখি করেছেন। আপনি নিজেও একসময় একটি সংস্কার কমিটির প্রধান ছিলেন। সংস্কারের বাধাটা কোথায় আসলে?

আকবর আলি খান: সংস্কারের প্রথম বাধাটা হলো, যেখানে সরকারের দুর্নীতি রয়েছে, যেখানে সরকারের অপচয় রয়েছে, সেখানে স্বার্থভোগীরা লাভবান হচ্ছে। এই গোষ্ঠী তাদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছে। বিপরীতে সংস্কার হলে উপকার হবে সাধারণ মানুষের। সাধারণ মানুষ তো আর একত্র হয়ে সংস্কারের জন্য আন্দোলন করে না বা করতে পারে না। এ কারণে সংস্কারবিরোধী যে স্বার্থগোষ্ঠী, এরাই প্রাধান্য পেয়ে থাকে। এই সংস্কারবিরোধী স্বার্থগোষ্ঠীই আবার রাজনৈতিক দলকে পৃষ্ঠপোষকতা করে, সরকারকে সমর্থন করে। এর ফলে তারা সরকারের ভালো নজরে থাকে। এ কারণেই সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কারের জন্য কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না।

প্রশ্ন

বাজেট-পরবর্তী আলোচনা নিয়ে আপনার দীর্ঘ গবেষণা আছে। এবার তো বাজেট দেওয়া হয়ে গেছে। সংকটের এই সময়ে বাজেট আলোচনা কীভাবে অর্থবহ করা যাবে?

আকবর আলি খান: আসলে সংসদে এবার বাজেট অনেক কাটছাঁট করে পেশ করা হয়েছে। ফলে সব কাগজপত্র বা দলিল এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। বাজেট পেশের সময় যে ধরনের কাগজ তৈরি করা হয়, এবার তার এক-পঞ্চমাংশ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে এবারের বাজেট আলোচনাও অত্যন্ত সীমিত হবে। আর আমাদের দেশে তো সংসদে বিরোধী দল প্রকৃত অর্থে কার্যকর নেই। এ অবস্থায় সরকারকে শুধু সাংসদদের বক্তব্য শুনলেই চলবে না, বাইরের আলোচনা, খবরের কাগজের আলোচনা, সিভিল সোসাইটি যেসব বক্তব্য দিচ্ছে, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের দেওয়া বক্তব্য—এগুলোকে বিবেচনায় নেওয়া উচিত। সরকারকে কোনো কঠোর মনোভাব না নিয়ে, খোলা মনে কাজ
করতে হবে। কোভিড পরিস্থিতিতে বাজেট বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করে তবেই সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রশ্ন

আপনার অভিযোগ বাংলাদেশের বাজেট বক্তৃতা পাঠকবান্ধব নয়। এবারের বাজেট কতটা পাঠকবান্ধব?

আকবর আলি খান: বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে, এটা তো আমরা সবাই জানি। সে জন্য পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রপতি কী বলেছেন, তার ওপর ১০ পৃষ্ঠার বিবৃতি দেওয়ার কোনো দরকার ছিল না। যদি প্রকৃত বাজেট বক্তৃতা হতো, তাহলে এখন যা আছে, তার এক-তৃতীয়াংশ শব্দ ব্যবহার করেই মূল বক্তব্যগুলো আনা যেত। আমাদের দেশে এটা একটা ধরন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব অর্থমন্ত্রীই বিরাট বিরাট বাজেট বক্তৃতা দেন। এর কারণ হলো কথার অন্তরালে তাঁদের কার্যকলাপ লুকিয়ে রাখতে চান। সেটা না করলেই ভালো হতো।

প্রশ্ন

আপনি আপনার বইয়ে বলেছেন, বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতের ব্যয় বা বরাদ্দ নিয়ে কোনো কথা থাকে না, অথচ এ নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। এবারের বাজেটেও কিন্তু তা নেই।

আকবর আলি খান: প্রতিরক্ষা খাতের যে বাজেট, তার কেবল কতগুলো সংখ্যা দেওয়া হয়। বিস্তারিত কিছু বলা হয় না। যুক্তি দেওয়া হয় যে আমরা কী ধরনের সমরাস্ত্র কিনব, তা যদি সবাই জেনে যায়, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। এ বক্তব্যের কিছুটা যৌক্তিকতা আছে। কিন্তু সম্পূর্ণ গোপনীয়তা থাকলে অনেক বেশি অপচয় হয়। যে দামে পণ্য কেনা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে তার চেয়ে কম দামে সেসব জিনিস পাওয়ার সম্ভব। এ নিয়ে সংসদ অধিবেশনে আলোচনা যদি সম্ভব না-ও হয়, গোপনীয়ভাবেও সংসদে আলোচনা তারা করতে পারে। তাহলেও কিছু ভালো ফল পাওয়া যাবে। এখন তো এ নিয়ে কোনো আলোচনাই হচ্ছে না। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের একটি হচ্ছে স্বাস্থ্য খাত। যেভাবে এ খাতে অর্থের অপচয় হচ্ছে, এ নিয়ে সংসদে আরও আলোচনা হওয়া উচিত।

প্রশ্ন

কালোটাকা সাদা করা নিয়ে আপনার কী অভিমত?

আকবর আলি খান: কালোটাকা কোনো অবস্থাতেই সাদা করতে দেওয়া উচিত নয়। আমরা কালোটাকা সাদা করার যে সংস্কৃতিতে পড়েছি, বছরের পর বছর আমরা এ সুযোগ বাড়িয়েই চলেছি। তাতে কালোটাকার অবসানের কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। কালোটাকা অবসানের জন্য সরকারের সুদৃঢ় সিদ্ধান্ত থাকা দরকার।

প্রশ্ন

বাজেট তো দেওয়া হয়ে গেছে। বাজেট পাসের আগে কোন কোন বিষয়ে মনোযোগ বা নজর দেওয়া প্রয়োজন?

আকবর আলি খান: আমাদের মনে রাখতে হবে, এটা একটি প্রভিশনাল বা অস্থায়ী বাজেট। এই বাজেটের সংখ্যাগুলো প্রকৃত পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। কাজেই আগামী অর্থবছরের জন্য এখনই এমন বাজেট করা সম্ভব না, যেটি হবে চূড়ান্ত বাজেট। এ কারণেই আমি বলতে চাই, খোলা মন নিয়ে পরিস্থিতি দেখে এবং বাজেট বাস্তবায়ন পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।