বর্তমান উন্নয়ন যোগাযোগব্যবস্থাকে মুক্তি দেবে না

অধ্যাপক সামছুল হক
অধ্যাপক সামছুল হক
>

পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামছুল হক প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন দেশের বর্তমান সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থা ও এর ব্যবস্থাপনাগত নানা সমস্যা এবং এর সমাধানের সম্ভাব্য পথ নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিজানুর রহমান খান।

প্রথম আলো: সড়কে হতাহতের পুলিশি ও পত্রিকার হিসাবে গরমিল কতটা?

সামছুল হক: আকাশ–পাতাল। কারণ, প্রতিদিন নিহতের হার পুলিশ বলে ১০ জন, পত্রিকা বলে ২০ জন। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও বলে ৩০ জন। আমি মনে করি ডব্লিউএইচও সঠিক। সংবাদমাধ্যমও অনেক পিছিয়ে আছে। থানা শুধু মহাসড়কের পাশের এলাকার মৃতের হিসাব রাখে। তাদের হিসাব রাখা গলদপূর্ণ। সড়কে হতাহতের আর্থিক ক্ষতি বছরে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এটাই মন্দ সড়ক ব্যবস্থাপনার সূচক।

প্রথম আলো: সড়কব্যবস্থা ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের ক্ষেত্রে মূল বাধাটা কোথায়?

সামছুল হক: বিজ্ঞানভিত্তিক সড়ক ব্যবস্থাপনার প্রতি বিমুখ থাকা। মহাসড়ক লাগবে, যা আমাদের সামান্য আছে বা নেই বললেই চলে। এরপর নিরাপদ ও ফিট গাড়ি লাগবে। তারও বিরাট ঘাটতি। এরপর চালকের মানসিক দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর কারণ, আমি যখন মহাসড়কে যাব, তখন কিন্তু মানসিক দৃঢ়তা দেখাতে হবে। সেটার ঘাটতি প্রকট। এ কারণে দ্রুতগতির গাড়ি চলাচল স্থানীয় মানুষ পছন্দ করে না। নিজেরাই স্পিডব্রেকার দেয়। সে জন্য আমাদের সিস্টেম শোধরাতে হবে। তার লক্ষণ নেই। এখন সড়কে ধুমধাম অবকাঠামোগত উন্নয়নের মানসিকতা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু অবকাঠামো তৈরি করা আর সিস্টেম সংশোধন করা দুটো আলাদা বিষয়। খুব উন্নয়ন পাচ্ছি। কিন্তু সংশোধনের কোনো তোড়জোড় নেই। তাই যোগাযোগ ক্ষেত্রের এই উন্নয়ন আমাদের মুক্তি দেবে না।

প্রথম আলো: শাজাহান খানকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে সড়ক পরিবহন উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক করার পর কোনো পরিবর্তন দেখেছেন কি না?

সামছুল হক: আমি কোনো পরিবর্তন দেখি না। তবে এটা জানি, সরকারের কাছে সুপারিশের কোনো ঘাটতি নেই। আমরা নিজেরা কমিটি করি। আবার বিদেশিদের এনে অনেক সময় বলি যে আমাদের কী করণীয় বলে দিন, তাঁরাও সুপারিশ দেন। কিন্তু তার নিট ফল হলো নতুন নতুন প্রকল্প বানানো। ফ্লাইওভার করা। এক লেনকে দুই লেন, দুই লেনকে চার লেনে উন্নীত করার মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা। কিন্তু মহাসড়কে অযথা যে মোড়গুলো রয়েছে, তা ঠায় স্থির থাকে। দুই লেন চার লেন হয়, কিন্তু একটি মোড়ও ঘোচে না। প্রতিটি মোড়কে ঘিরে গড়ে উঠেছে হরেক রকম দালানকোঠা। বাণিজ্যবিপণি। এগুলোর কোনো নড়চড় নেই। সুতরাং সিস্টেমের গলদ থেকেই যাচ্ছে।

প্রথম আলো: কীভাবে, নির্দিষ্ট কিছু উদাহরণ—

সামছুল হক: ঢাকা শহরে আমরা যদি একটা নিরাপদ সড়ক নির্মাণ করতে যাই, তাহলে গণপরিবহন ও পথচারীকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, আমাদের যত দুর্ঘটনা ঘটে, তাতে হতাহতদের ৫৪ ভাগই হলো পথচারী। তাই পথচারীবান্ধব ফুটপাত দিতে হবে। ছোট ছোট গাড়ির আধিক্য রাস্তায় কমাতে হবে। বেশি যাত্রী ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বড় গাড়ি যাতে রাস্তায় চলে, তার পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে। অথচ আমরা দেখি, ছোট ছোট গাড়িগুলো ঢাকা শহরকে গিলে ফেলছে। সাতটি ফ্লাইওভার অর্ধেক কাজ করছে। অর্ধেক গলার কাঁটা হয়ে পড়েছে। কারণ, এর সব কটিই ঢাকায় ছোট গাড়ি বাড়িয়েছে। আমাদের বিশেষজ্ঞরা সারা বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশ তাঁদের কদর করছে না। আমরা বরং বিদেশি ধরে এনে প্রেজেন্টেশনভিত্তিক সেমিনার করে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করে ফেলেছি। রাস্তায় যানজট, রাস্তার বাইরে প্রকল্পজট।

প্রথম আলো: ঢাকায় সাতটি ফ্লাইওভার তৈরির আগের যানজট ও পরের যানজটে কী ফারাক?

সামছুল হক: গোটা বিশ্বের নগরবিদেরা জানেন ফ্লাইওভার করে যানজট কমানো যায় না। আমরা প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করে সাতটি ফ্লাইওভার বানালাম। ২০০৪ সালে যখন মার্কিন কোম্পানি লুইস বার্গারের সুপারিশে এই প্রকল্প নেওয়া হয়, তখন ঢাকা শহরে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ২৫ কিলোমিটার ছিল যানবাহনের গতিবেগ। ২০১৫ সালে জাইকা বলল, প্রতি ঘণ্টায় গতি কমে ৬ দশমিক ৪ কিলোমিটারে নেমেছে। অনুমান করি, গত চার বছরে এটা আরও কমেছে। প্রতিটি ফ্লাইওভারের র‌্যাম্প যেখানেই যতগুলো নেমেছে, প্রতিটিতে রাস্তা খেয়ে ফেলেছে। ফুটপাতকে করেছে আরও সংকুচিত।

প্রথম আলো: তাহলে জনগণের যে পয়সা খরচ হচ্ছে, তা জনগণের গলার ফাঁস হিসেবেই হাজির হচ্ছে? গাঁটের পয়সা দিয়ে নিজের চলার পথেই কাঁটা বিছিয়েছে?

সামছুল হক: অবশ্যই। আমরা উল্টো পথে হাঁটছি। যেকোনো একটা প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পর বিদেশিরা একটা মূল্যায়ন করেন। তাঁরা দেখেন, যে উদ্দেশ্যে আমরা কাজটা করেছিলাম, তা কতটা সফল হয়েছে। সফল না হলে ভুল থেকে শেখেন। বাংলাদেশে কখনো কোনো প্রকল্পের কোনো মূল্যায়ন করা হয় না। আমরা কখনো শিক্ষা নিতে চাইনি। শুধু তা–ই নয়, গতি বাড়ানোর কোনো পদক্ষেপ তো নেওয়াই হয়নি, বরং ভবিষ্যতে যাতে তা আর না বাড়ানো যায়, তার ব্যবস্থা আমরা করে ফেলেছি। এখন যদি আমরা বুঝতেও পারি যে আমরা সঠিক পরিকল্পনায় কাজ করিনি, তাহলেও আমরা আর কিছু করতে পারব না। কারণ মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়ক ও সংযোগ সড়ক তৈরির ক্ষেত্রে যে সুচিন্তিত পরিকল্পনা অন্তত ২০ বছর আগে করা উচিত ছিল, তা আমরা করিনি। যার পরিণামে ঢাকাসহ প্রতিটি প্রধান নগরীতে যানজটের জাল বিস্তৃত হচ্ছে। অবৈধ কিংবা ভুল পরিকল্পনার কারণে যোগাযোগের লাইফলাইনের ওপর এত বেশি অবকাঠামো হয়েছে যে সেগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা এখন অনেকটাই অবাস্তব।

প্রথম আলো: আপনার মন্তব্য হতাশাব্যঞ্জক। আচ্ছা, মেট্রোরেল কি মুক্তি দেবে? অন্তত চালু হওয়ামাত্র ৬ কিলোমিটারের গতি ২৫ কিলোমিটারে পৌঁছে দেবে তো? আপনাদের সমীক্ষা কী বলছে?

সামছুল হক: এটা স্থানভেদে মানুষকে ভিন্ন ভিন্ন স্বস্তি দেবে। শেওড়াপাড়া সেনপাড়া পর্বতায় যাঁরা থাকেন, তাঁরা হয়তো ৩৭ মিনিটে বাংলাদেশ ব্যাংকে যাবেন। তিনি রাস্তায় চাপ দেবেন না। একবার যে যাত্রী এমআরটিতে উঠবেন, তাঁরা জানতেই পারবেন না ঢাকায় কোথায় বৃষ্টি হচ্ছে কিংবা জলাবদ্ধ হলো কি না। যানজট তাঁদের স্পর্শ করবে না। এমআরটি একটা নির্ভরযোগ্যতা দেবে। ফ্লাইওভারের র‍্যাম্পের মতো সে রাস্তা বা ফুটপাতখেকো হবে না। এসকেলেটর, লিফট বা সিঁড়ি ব্যবহার করবে মানুষ। এর বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এমআরটি ঢাকার বিদ্যমান যোগাযোগব্যবস্থায় কোনো চাপ বা নির্ভরতা তৈরি করবে না।

প্রথম আলো: তাহলে কি আমরা আশাবাদী হব যে ঢাকা শেষ পর্যন্ত যানজট নগরীর দুর্নাম ঘোচাতে চলেছে?

সামছুল হক: এর উত্তর বড় গলায় হঁ্যা বলতে পারলে খুশি হতাম। কিন্তু তার কোনো উপায় নেই। এমআরটি চালু মানেই যানজট উধাও, বিষয়টি মোটেই ও রকম নয়। কারণ, এমআরটি ছিল আরও ৭১ রকমের দাওয়াইয়ের অন্যতম। কিন্তু বাকি ৭০ রকমের তো দাওয়াই পড়ে থাকল। নারায়ণগঞ্জের মানুষ এমআরটিতে মতিঝিলে নেমে পড়বে। তাকে দিতে হবে বাসের মতো গণপরিবহন। তার ছোট গাড়ির ব্যবহার দরকার পড়বে না। আর সে জন্যই দরকার সমন্বিত পরিকল্পনা। কিন্তু তারই তীব্র অভাব। বর্তমানে যেভাবে চালকদের লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে, তাতে কোনো দিন সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে না। ধরুন, উপযুক্ত চালক গড়তে আউটসোর্সিং করতে হবে। কিন্তু সরকারের মানসিকতায় তা নেই। বিআরটি এবং এমআরটি করতে ৩০ বিলিয়ন ডলার খরচ পড়বে। জাইকা বলেছে, তাতে মাত্র ঢাকা শহরের ১৭ ভাগ সমস্যার সুরাহা দেবে। ৪০ ভাগের সমাধান নিচের সড়কে চলাচলকারী বাসের মতো গণপরিবহনকেই নিতে হবে। না নিলে দৃশ্যটা এ রকম হবে যে ওপরে শৃঙ্খলাপূর্ণ এমআরটি, নিচে লক্কড়ঝক্কড় মার্কা বাসে ঠাসাঠাসি করে চলা বিশৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবহনের চিত্র থেকে যাবে অপরিবর্তিত। ২০৩৫ সালের অবস্থা প্রাক্কলন করেই জাইকা এটা বলেছে। কিন্তু সরকার বদলাতে পারছে না, পারবে না। তারা তিন মেয়াদে জেনে গেছে, দৈত্যগুলো কারা। কারা সংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দেবে। তাই মন্ত্রীদের বলেছিলাম, তৃতীয় মেয়াদের প্রথম রাতেই বিড়াল মারবেন। পরিপক্ব সরকারের কাছে প্রত্যাশাও ছিল বেশি।

প্রথম আলো: আশার কথা বলুন। কী করে আমরা পরিত্রাণ পাব?

সামছুল হক: প্রধানমন্ত্রী এখন এমন একটি অবস্থানে আছেন, তিনি চাইলে অসাধ্য সাধন করতে পারেন। তাঁকে অনেকে কর্তৃত্ববাদীবলতে পারেন। কিন্তু তিনি চাইলে পারেন।

প্রথম আলো: তাহলে অগ্রাধিকার চিহ্নিত করুন, যা এই সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তাঁর নজরে পৌঁছাতে পারে।

সামছুল হক: বিশৃঙ্খলাপূর্ণ এই খাতে শৃঙ্খলা আনতে হলে কারিগরি উপদেষ্টাদের নিয়ে গঠিত একটি বিশেষ টিম প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও সৌদিতে বাংলাদেশি যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা উঁচু পদে আছেন। প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানালে তাঁরা ছুটে আসবেন। সুষ্ঠু গবেষণা, পরিকল্পনামাফিক প্রকল্প বাস্তবায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণনির্ভর সিস্টেম গড়তে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ৫ লাখ চালকের ঘাটতি থাকা দেশে বিআরটিএকে নতুন গাড়ির ছাড়পত্র ও চালক নিয়ন্ত্রণে বাধ্য করতে হবে। শুধু পাঁচটি কোম্পানিকে বাস চালাতে দেব। আমাদের দরকার ৫ হাজার চালক শাসনের পরিবর্তে পাঁচজন মালিক শাসন। শিক্ষা ও যোগাযোগে বিনিয়োগের রিটার্ন নিয়ে বিশ্বে কোথাও ভাবে না। এখন ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে যে পণ্য তৈরি হবে, তা তো রাস্তায় আটকে থাকবে। ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন দিতে হবে বলে এখনই প্রধানমন্ত্রীকে উদ্যোগ নিতে হবে। তার সামনে সুবর্ণ সুযোগ।

এখন প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে বহু কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু সিস্টেম সংশোধন বাদে। বর্তমান কাঠামোতে বিশ্বের অন্যত্র যেভাবে এমআরটি চলে, সেভাবে ঢাকায় চলবে না। এত ঘন ঘন বাঁক নেবে যে গতি নিয়ে চলতেও পারবে না। অনেক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা থাকলেও এখানে অনুপস্থিত। অথচ দেশকে ১০ শতাংশের জিডিপি ও উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে আপনি জ্বালানির মতো বিষয় আমদানি করতে পারবেন। কিন্তু যোগাযোগ খাত বেহাল রাখলে সবকিছুই শ্লথ হতে বাধ্য। প্রধানমন্ত্রীকে হক কথা বলার লোক নেই, তাঁকে ঘিরে আছে অকারিগরি লোকজন। এটাই একটা বিরাট বাধা। প্রতিটি প্রকল্পতে দাবি করা হয়, প্রধানমন্ত্রী এটা চেয়েছেন। ক্ষমতার কার্যকর কেন্দ্রীকরণ আশীর্বাদ, কিন্তু বিপথে পরিচালিত হতে দিলে তার ফল ভয়ানক হতে পারে। মৌচাক ফ্লাইওভারের একটি র‍্যাম্প প্রধানমন্ত্রীকে রাজি করিয়ে কারওয়ান বাজারে দিতে বলেছিল। ঘটনাচক্রে, আমি পরীক্ষা করে বলেছিলাম, এই সিদ্ধান্তে ঘণ্টায় ১ হাজার ৯০০ গাড়ির চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে। প্রধানমন্ত্রী কারিগরি রিপোর্ট মেনে নেন।

প্রথম আলো: আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন?

সামছুল হক: প্রধানমন্ত্রীর ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব মুগ্ধ করার মতো। অনেক অভূতপূর্ব উন্নয়ন এসেছে। তাঁর উপস্থিতিতে পাঁচবার প্রেজেন্টেশন দিয়েছি। সড়কে চাপ কমাতে ঢাকায় রিং রোড করে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ উন্নয়ন দরকার। তখন ঢাকায় প্রধানত ডাবল ডেকার চালালে দ্বিগুণ মানুষ সড়ক সুবিধা পাবে। বিস্ময়ের বিষয় হলো, সারা বিশ্বের যোগাযোগ রিং রোডনির্ভর। অথচ বাংলাদেশ রিং রোডমুক্ত।

প্রথম আলো: এই রাজধানী রেখে টেকসই উন্নয়ন?

সামছুল হক: প্রশ্নই আসে না। নয়াদিল্লি, ইসলামাবাদ, পুত্রজায়া, নেপিডোর পথে আমাদেরও যেতে হবে। পূর্বাচলে ৭ হাজার একর দিয়ে রাজধানী না করে কিছু মানুষকে কোটিপতি করা হলো। অথচ পুত্রজায়া ৭ হাজার একরেই হয়েছে।ভূমিস্বল্পতার দেশে নতুন রাজধানীর বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত দরকার।

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।

সামছুল হক: ধন্যবাদ।