ফেব্রুয়ারি মাসে আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা এখন প্রায় দোরের কাছে। দুই বছর ধরে এ মেলার নন্দিত ভৌত নকশা ও বিন্যাসের পরিকল্পনা করছেন স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝর। অতিমারি নিয়ে নতুন শঙ্কার পটভূমিতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে বইমেলার নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন তিনি প্রথম আলোর সঙ্গে। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি আশীষ-উর-রহমান।
দুই বছর ধরে অমর একুশে গ্রন্থমেলার নকশা করছেন। এতে যুক্ত হলেন কীভাবে?
এনামুল করিম নির্ঝর: ২০১৯ সালে মেলা পরিচালনা পরিষদের সদস্য হওয়ার জন্য বাংলা একাডেমি আমাকে আমন্ত্রণ জানায়। এরপর আমাকে মেলার অবকাঠামোর নকশা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এমন একটি জাতীয় পর্যায়ের আয়োজন স্বাস্থ্যকর ও নান্দনিক হওয়ার প্রয়োজন। স্থপতি ও গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে এ ধরনের কাজে আমার অভিজ্ঞতা ছিল। তাই সামাজিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক দায়িত্ববোধ থেকে কাজটিতে যুক্ত হতে আগ্রহী হয়েছিলাম। এখানে বলে রাখা ভালো, কাজটি থেকে আমি বা আমার প্রতিষ্ঠান কোনো আর্থিক সুবিধা নিইনি।
মেলার নকশা করতে গিয়ে আপনার মূল ভাবনা কী ছিল?
এনামুল করিম নির্ঝর: সময়, ঐতিহ্য ও মানুষের আচরণের ধরন বুঝে মেলার উদ্যাপন যেন সফল হয়, সেটাই ছিল আমার প্রথম ভাবনা। প্রথম লক্ষ্য তো অবশ্যই ছিল স্থাপনাটি নান্দনিক আর স্বাস্থ্যকর করে তোলার। সে কারণে স্বাধীনতাস্তম্ভটিকে মেলার সঙ্গে যুক্ত করেছি। এত চমৎকার একটি স্থাপনা, আর তার পাশেই বইমেলা। দর্শকদের কাছে সেটি তুলে ধরার চিন্তাটা প্রথম থেকেই আমার মধ্যে ছিল। আরও তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছি। প্রথমত, বইমেলা প্রকাশক, পাঠক, বিক্রেতাসহ সবার কাছেই একটা বিরাট উৎসাহের বিষয়। সেটিকে ধারণ করা। দ্বিতীয়ত, এতে লেখক, প্রকাশক, শিল্পী ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, অগ্নিনির্বাপণকারী দল, স্বাস্থ্যকর্মী, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ যুক্ত হন এবং এর পরিধি দিন দিন বাড়ছে। সবাই মিলে একটি এককেন্দ্রিক সমন্বিত পরিচালনা চর্চার ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে চেয়েছি। তৃতীয়ত, বইমেলার প্রতি আগ্রহী একটি দল সৃষ্টি এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দায়বদ্ধতার চর্চার একটি ক্ষেত্র তৈরি করতে চেয়েছি। চেয়েছি, ভবিষ্যতে যাতে জাতীয় পর্যায়ে এমন আয়োজনের একটি অনুপ্রেরণার উদাহরণ তৈরি করা যায়, বিভিন্ন সৃজনশীল পেশাজীবীরা এতে যুক্ত হতে পারেন।
সে কাজ কত দূর করা গেল?
এনামুল করিম নির্ঝর: এটি চর্চার বিষয়, সময়েরও প্রয়োজন। তবে সবাই ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। এটাই উৎসাহিত হওয়ার মতো ব্যাপার। প্রথম মেলা থেকে আমি শিখেছি। তার প্রয়োগ ছিল দ্বিতীয় মেলায়। দ্বিতীয় মেলাটি ছিল আমার অবলোকন পর্যায়। অনেকে অনেক মতামত দিয়েছেন। এই শিক্ষা ও অবলোকন থেকে তৃতীয় মেলাটি করতে চাই। এটি হবে আমার আবিষ্কার। গত দুই মেলায় যা পেলাম, তার প্রয়োগ থাকবে এবার।
স্বাস্থ্যবিধি এবার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে। সে জন্য নানা পক্ষের মতামত নিয়েছি। জনস্বাস্থ্যবিদদের পরামর্শ নেব।
মেলার মাঠের একটা ভালো নির্দেশিকা থাকতে হবে। সেটা অনলাইনেও দিতে হবে। তথ্যকেন্দ্রের সামনে যেভাবে একটা নকশা টাঙিয়ে রাখা হয়, সেটা তেমন কাজের নয়।
আমরা শুনি, মেলার জন্য আলাদা বরাদ্দ নেই। স্পন্সর জোগাড় করে আর স্টল বরাদ্দের টাকা দিয়ে মেলা করতে হয়। সরকার কত জায়গায় কত টাকা খরচ করে, অথচ বইমেলার জন্য বরাদ্দ নেই—এটা ভাবাই যায় না।
এবারের মেলার দুটি প্রেক্ষাপট। একদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান করোনা। মেলায় এ ব্যাপারে কী ভাবছেন?
এনামুল করিম নির্ঝর: স্বাস্থ্যবিধি এবার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে। সে জন্য নানা পক্ষের মতামত নিয়েছি। জনস্বাস্থ্যবিদদের পরামর্শ নেব। এবারের মূল ভাবনা হবে—সম্প্রীতির শক্তির প্রকাশ। আমরা একটা দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে চাই। একটা দুর্যোগ এসেছে, এটা ঠেকানো যাবে না। ভবিষ্যতেও নানা প্রতিবন্ধকতা আসবে, তা পেরিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তা ছাড়া এ বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদ্যাপিত হচ্ছে। আগামী বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এসব উপলক্ষ আমাদের জাতিগত উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার উৎস। এসব দিন উদ্যাপনের সুযোগ বারবার আসবে না। তাই এ ধরনের উপলক্ষকে যথাযথভাবে উদ্যাপন করতে হবে। নীরবে নিষ্ক্রিয়তায় এই উপলক্ষগুলো পেরিয়ে যেতে দেওয়া উচিত হবে না।
আমার পরিকল্পনা হচ্ছে গুচ্ছ আকারে অবকাঠামোর বিন্যাস করা। স্বাধীনতার পাঁচ দশকের নির্দেশক হিসেবে পাঁচটি এলাকা বা গুচ্ছ থাকবে। প্রতিটি দশকের জাতীয় পর্যায়ের উল্লেখযোগ্য ঘটনা এবং অর্জনের দিকগুলো এসব গুচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। নতুন প্রজন্মের অনেকে মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি। বইমেলার মতো বড় আয়োজনে দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, সাফল্য ও গৌরব তুলে ধরার সুযোগ আছে। তরুণেরা বিষয়গুলো জানবে, গৌরব বোধ করবে এবং উৎসাহিত হবে।
মেলায় আর কী করা যেতে পারে?
এনামুল করিম নির্ঝর: মেলায় দুটি পর্ব থাকতে পারে। একটি ‘পরাবাস্তব পর্ব’, অর্থাৎ একটি ভার্চ্যুয়াল মেলা। ঢাকার বা দেশের বাইরে থেকে আগ্রহীরা মেলার এ পর্বে যুক্ত হতে পারবেন। মানুষ এখন এতে দিনে দিনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। এ জন্য বাংলা একাডেমিকে উন্নত মানের একটি ওয়েবসাইট বানাতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা থাকতে হবে। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করার এই তো একটা বড় সুযোগ। প্রয়োজনে আন্তমন্ত্রণালয় ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল মাধ্যমকে বুদ্ধিদীপ্তভাবে কাজে লাগাতে হবে। দ্বিতীয়টি ‘বাস্তব পর্ব’। অর্থাৎ মাঠে থাকবে বস্তুগত অবকাঠামো। মানুষ আসবে স্বাস্থ্যবিধি আর শৃঙ্খলা মেনে। অনলাইনে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা যায়। এটা অবাস্তব কিছু নয়। অসংখ্য মানুষ অনলাইনে নিবন্ধন করে উচ্চাঙ্গসংগীত বা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসব দেখতে গেছেন। এতে অযথা ভিড় এড়ানো সম্ভব হবে, একটা ডেটাবেইসও তৈরি হবে। মেলাকে আরও উন্নত করতে হলে আরও অনেক পদক্ষেপ নিতে হবে।
মেলায় ঢোকার ও বেরোনোর পথ নিয়েও অনেকে উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রান্তেও একসারি পথ রাখার জন্য মত দিয়েছিলেন। আপনার কী মনে হয়?
এনামুল করিম নির্ঝর: ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের অংশে একসারি পথ তৈরি করার প্রস্তাব আমারও ছিল। কিন্তু সে ব্যবস্থা করলে শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত সড়কে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হবে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভাগ অনুমতি দেয়নি। অন্য কিছু করা যায় কি না, তা নিয়ে এবার আলোচনা করব।
অনেক প্রকাশক বলেছেন, গতবারের মেলার পরিসর এত বড় ছিল যে অনেকেই পুরো মেলা ঘুরতে পারেননি। প্রান্তিক এলাকায় পড়া স্টলগুলোতে পাঠক যেতে পারেনি।
এনামুল করিম নির্ঝর: মেলার মাঠের একটা ভালো নির্দেশিকা থাকতে হবে। সেটা অনলাইনেও দিতে হবে। তথ্যকেন্দ্রের সামনে যেভাবে একটা নকশা টাঙিয়ে রাখা হয়, সেটা তেমন কাজের নয়। ভালো নির্দেশিকা থাকলে সেটি দেখে পাঠক সহজেই আকাঙ্ক্ষিত স্টলে যেতে পারবেন। কিন্তু দূরত্ব রাখতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্টলগুলোর মাঝখানে দূরত্ব বরং বাড়াতে হবে। আরেকটা কথা হলো, আগের মতো মাঠজুড়ে শ চারেক ধরনের স্থাপনা তৈরি করতে দেওয়া ঠিক হবে না। তাতে নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা যাবে না। মেলার পরিসর না কমিয়ে গুচ্ছ আকারে নির্দিষ্ট জায়গায় স্টল রাখতে হবে। বিষয় বা প্রকাশনার সংখ্যা, কোনো একটা মানদণ্ডের ভিত্তিতে এসব গুচ্ছে নির্দিষ্টসংখ্যক প্রকাশককে একত্রে আনা হবে। গুচ্ছের ভেতরে ঢোকার সময় দর্শকদের তাপমাত্রা পরিমাপ করা, হাত স্যানিটাইজ করা বা স্বাস্থ্যবিদেরা যেমন পরামর্শ দেবেন, সে রকম ব্যবস্থা থাকবে। গুচ্ছের ভেতরে লোকসংখ্যাও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এমন না করলে শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মানা বা শৃঙ্খলা রক্ষা করার বড় রকম ঝুঁকি থেকে যাবে। তবে একাডেমি আশঙ্কা করছে, এভাবে গুচ্ছ করে স্টল বরাদ্দ দিলে তাদের আয় কমে যাবে। খরচ উঠবে না।
একাডেমির পক্ষ থেকে সব সময়ই মেলার জন্য খরচের বরাদ্দস্বল্পতার কথা বলা হয়। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি করার জন্য কেমন বরাদ্দ থাকা দরকার বলে মনে করেন?
এনামুল করিম নির্ঝর: এ বিষয়টা আসলে আমার কাছে স্পষ্ট নয়। বাংলা একাডেমি মেলা করে, কিন্তু মূল কর্তৃপক্ষ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। আমরা শুনি, মেলার জন্য আলাদা বরাদ্দ নেই। স্পন্সর জোগাড় করে আর স্টল বরাদ্দের টাকা দিয়ে মেলা করতে হয়। সরকার কত জায়গায় কত টাকা খরচ করে, অথচ বইমেলার জন্য বরাদ্দ নেই—এটা ভাবাই যায় না। জাতীয় পর্যায়ের এমন একটি মেলা আয়োজন করার জন্য সরকারি বরাদ্দ থাকাই উচিত। স্পন্সর বা স্টল বরাদ্দের টাকা একাডেমি অন্যভাবে খরচ করতে পারে। নির্দিষ্ট বরাদ্দ থাকলে যাঁরা মেলা নিয়ে কাজ করবেন, তাঁরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কী রকমের বাধা বা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আপনাকে?
এনামুল করিম নির্ঝর: স্বাধীনভাবে তো আর সবকিছু করা যায় না। তবে এ কথাটা সব সময় শুনতে হয় যে বাজেট নেই। তারপরেও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, মেলার সদস্যসচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তা–কর্মচারী তাঁদের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সর্বোচ্চ সহায়তা করেন। সে কারণে বহু টানাটানির ভেতরেও কাজটা করা যাচ্ছে। তবে এই অবস্থাটা তো বদলাতে হবে। ধরুন, শৌচাগার, বিশেষ করে নারীদের জন্য শৌচাগারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। মানও উন্নত করতে হবে। নামাজ পড়ার জায়গাও বাড়ানো দরকার। বয়স্কদের বিশ্রাম নেওয়ার জায়গাও। আরও নতুন কিছু ধারণা যুক্ত করতে চাই, কিন্তু বাজেট? মেলা নিয়ে অনেক ভাবনা রয়েছে, পরিকল্পনা রয়েছে। সেসব তো কাউকে শুনতে হবে। সমস্যা হলো, কার কাছে কথাগুলো বলব? একাডেমির নিজের কিছু করার নেই। মন্ত্রণালয় আমাদের কোনো দিন ডাকেইনি। এই মেলার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ প্রযত্ন রয়েছে। মেলা নিয়ে আমাদের ভাবনা কীভাবে আমরা তাঁকে জানাতে পারি? আমরা তো নিজেদের স্বার্থে কিছু করছি না। কোনো আর্থিক লাভও নেই। মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের ডেকে যদি জানতে চাওয়া হয় কী পরিকল্পনা, কী করা যায়—তাহলেই আনন্দিত হব, নিজেদের সম্মানিত বোধ করব।
মেলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কতটা সময় দরকার, কবে থেকে প্রস্তুতি নিলে ভালো হয়?
এনামুল করিম নির্ঝর: ট্রাক ভরে বাঁশ নিয়ে এসে প্যান্ডেল বেঁধে দিলাম, বিষয়টা তো এমন নয়। এখন তো আবার একটা বিশেষ পরিস্থিতি। গত জুন মাস থেকে আমি বাংলা একাডেমির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, তাগাদা দিচ্ছি। আমাকে তারা মেলার পরিকল্পনা করার জন্য চিঠি দিয়েছে, ব্যস, এ পর্যন্তই। এখনো দুই মাস সময় আছে। এখন থেকেই কাজে নেমে যাওয়া দরকার। মেলা আয়োজন করার জন্য পরিকল্পনা সারা বছর ধরেই চলতে থাকে। তবে বাস্তবায়নের জন্য অন্তত তিনটা মাস সময় থাকলে ভালো হয়। সে ক্ষেত্রে নভেম্বর থেকেই কাজ শুরু করা প্রয়োজন।
বইমেলা নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ চিন্তাটা কী?
এনামুল করিম নির্ঝর: আমিই সব সময় মেলার স্থাপনার পরিকল্পনা করব, এমন তো নয়। আমি চাই, মেলার আয়োজনের সঙ্গে আরও বেশি সংস্থা ও অংশীজন যুক্ত হোক। একটা দলগত প্রক্রিয়ার চর্চা চলতে থাকুক। এই বইমেলা তো কেবল বই বিক্রির মেলা নয়, এখানে বাঙালি সংস্কৃতির নানা উপাদান ও ঐতিহ্যের যোগ তৈরি করা সম্ভব। প্রকাশনাশিল্প নিয়ে সেমিনার ও কর্মশালা হতে পারে। জীবনে নতুন নতুন বিষয় যুক্ত হচ্ছে। মানুষ অডিও বুক শুনছে। যে উন্মুক্ত মঞ্চটি আছে, সেখানে নিয়মিত গ্রন্থপাঠের আয়োজন থাকতে পারে। মেলাকে কেন্দ্র করে স্থাপত্য, আলোকচিত্র, প্রামাণ্যচিত্রবিষয়ক প্রতিযোগিতা যুক্ত হতে পারে। অনেক অনেক আগ্রহী দল সৃষ্টি হোক। চর্চা শুরু হোক। সব মিলিয়ে আমার চাওয়া, অমর একুশে গ্রন্থমেলা আমাদের জাতীয় উৎসাহ ও চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে উঠুক।
প্রথম আলো: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এনামুল করিম নির্ঝর: প্রথম আলোকে এবং এর পাঠকদেরও আন্তরিক ধন্যবাদ।