বিশেষ সাক্ষাৎকার : আইনুন নিশাত

পানি সমস্যার সমাধান রাজনৈতিকভাবেই হতে হবে

>ড. আইনুন নিশাত বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ–এর প্রফেসর ইমেরিটাস। এর আগে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। এ ছাড়া তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশবিষয়ক বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পের সঙ্গেও যুক্ত আছেন। বাংলাদেশে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার পুরোধা ব্যক্তিত্ব ড. নিশাত এর আগে বুয়েটের অধ্যাপক ও আইইউসিএন-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন : সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক ওয়াসিফ
ড. আইনুন নিশাত
ড. আইনুন নিশাত

প্রথম আলো : নদীসংযোগ প্রকল্প নিয়ে ভারতের দিক থেকে এক দিকে বাংলাদেশের ক্ষতি না হওয়ার আশ্বাস, অন্য দিকে নিজস্বভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ মনে করে, নদীসংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ফারাক্কা বাঁধের থেকেও বহুগুণ বেশি ক্ষতি হবে।
আইনুন নিশাত : ভারতের প্রস্তাবিত নদীসংযোগ প্রকল্প নিয়ে ভারতের ব্যাখ্যা হচ্ছে, দক্ষিণ ভারতে প্রচুর চাষযোগ্য জমি আছে কিন্তু পানির অভাব। অন্য দিকে উত্তর–পূর্ব ভারতের উদ্বৃত্ত পানি তারা দক্ষিণ ভারতে নিয়ে যেতে চায়। এটার পেছনে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক শক্তিগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা গঙ্গার পানি জলাধার তৈরির মাধ্যমে পশ্চিম দিকে খালের মাধ্যমে হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান এমনকি গুজরাট পর্যন্ত নিয়ে যাবে। এর অনেকগুলো অংশ আছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ অংশ বা কমপোনেন্টগুলোর কাজ শুরু হয়েছে; কেন ও বেতওয়ানা নদীসংযোগ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। কিন্তু বড় অবকাঠামোগুলোর কাজ হবে নেপালে জলাধার তৈরির সময়। যেখান থেকে তারা ব্রহ্মপুত্রের পানিপ্রবাহের গতিপথ বদলাতে চাইছিল, সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গে পানি নিতে গেলে আজকের প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ক্যানাল তৈরি করা ছাড়া নেওয়া সম্ভব নয়। অন্যথায় পানিকে অনেক ওপরে পাম্প করে তুলতে হবে। খবরে পড়লাম, মানস ও সংকোস নদী থেকে পানি নিয়ে যাবে। এগুলো হলো ব্রহ্মপুত্রের ওপরের নদী। মানস-সংকোসের অবস্থান ভুটানে। অর্থাৎ ভুটান থেকে পানি নিয়ে যাবে। এসব নদীতে স্বাভাবিক অবস্থায় শুকনা মৌসুমে পানি সামান্য, কিন্তু বর্ষায় প্রচুর। তাহলে ধরে নিতে পারি, তারা জলাধার নির্মাণের কথা চিন্তা করছে। আর সেটা করতে হবে হিমালয়ের উঁচুতে। কারিগরিভাবে তাহলে পাহাড়গুলোর মধ্যে দিয়ে টানেল বানিয়ে পশ্চিমবঙ্গে পানি এনে ফেলা সম্ভব।

প্রথম আলো : ব্রহ্মপুত্র এখন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে একমাত্র বাঁধমুক্ত নদী। বাংলাদেশের জলদেহের সজীবতা, পলির প্রবাহ, জলবায়ু ও কৃষির জন্য এই নদী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নদীর পানি বণ্টনে আমাদের প্রস্তাব কী হতে পারে?
আইনুন নিশাত : এখানে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয় হলো, একটা অববাহিকা থেকে অন্য অববাহিকায় পানি যখন নিয়ে যাবে, তখন যতক্ষণ পর্যন্ত মূল অববাহিকায় পানির চাহিদা পরিপূরণ করা না হয়, ততক্ষণ আন্তর্জাতিক রীতিনীতিতে তা করা ঠিক হবে না। ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় দুটি স্বাধীন দেশ আছে; ভুটান ও বাংলাদেশ। অর্থাৎ রীতিনীতি অনুযায়ী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এবং ভুটান ও ভারতের মধ্যে সমঝোতা হলেই এ ধরনের কর্মকাণ্ড তারা হাতে নিতে পারে। তাহলে অববাহিকার দেশগুলো স্বাভাবিকভাবেই দেখতে চাইবে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের উপকার হচ্ছে। তখনই ভারত ভারতের ভাগ নিতে পারে যখন কোনোভাবেই বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না।
প্রথম আলো : তিস্তা নদীর পানিবণ্টন সমস্যাটাও ঝুলে আছে, এদিকে ভুক্তভোগী বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষিনির্ভর কোটি মানুষ। এ বিষয়ে বাংলাদেশের কী করার আছে?
আইনুন নিশাত : এখন তিস্তা অববাহিকার অবস্থা খারাপ। কদিন আগে বন্যা হয়েছে, আবারও বন্যা হতে পারে। বর্ষার সময় তিস্তার অতিরিক্ত পানি ধরে রেখে শুকনা মৌসুমে ছাড়তে পারি, তাহলে বর্ষার বন্যা ও নদীভাঙনের সমস্যা আর শুষ্ক মৌসুমের পানিসংকটেরও সমাধান হতে পারে। এসব পরিপূরণ করতে হলে তিস্তার ওপরে জলাধার নির্মাণ করা ছাড়া উপায় নেই। এটাই বাংলাদেশের প্রস্তাব ছিল। বর্তমানে যতটা পানি আসে, সেটা একটা ফর্মুলায় ভাগ করে নিই। তারপর উজানে জলাধার নির্মাণ করে সারা বছরের সমস্যা মেটাতে পারি। যদি ভারত জলাধার নির্মাণ করে পুরো পানি নিয়ে যায়, তাহলে ভাটির দেশের প্রতি অন্যায় করা হবে। মানস ও সংকোস থেকেও যদি কিছু পানি তিস্তায় নিয়ে আসা হয়, তাহলেও সেই চাহিদা মিটতে পারে।
প্রথম আলো : ২০১১ সালে মনমোহন সিংহের বাংলাদেশ সফরে স্বাক্ষরিত সমঝোতায় অববাহিকাভিত্তিক পানিব্যবস্থাপনার কথা বলা হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদির আমলে কি তার ধারাবাহিকতা রক্ষিত হবে?
আইনুন নিশাত : বাংলাদেশ সব সময় অববাহিকাভিত্তিক পানিব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার কথা বলে আসছে। ভারত নিজের দেশে তাদের আন্তপ্রাদেশিক নদী নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে বিবাদের সমাধান পেতে অববাহিকার রাজ্যগুলোকে একত্র করে সমাধানের লক্ষ্যে পৌঁছাচ্ছে। আন্তর্জাতিক নদীগুলোর ক্ষেত্রে পৃথিবী এই পদ্ধতিই অবলম্বন করে। কাজেই বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গার উজানে জলাধার নির্মাণ করতেই হবে। অন্যথায় শীতকালের স্বল্পপ্রবাহের সমাধান করা সম্ভব নয়। ভারতের দিক থেকে এত দিন যুক্তি ছিল, গঙ্গার ক্ষেত্রে নেপালে জলাধার নির্মাণ করতে হবে। নেপাল তৃতীয় দেশ, কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য ছিল দ্বিপক্ষীয় ব্যবস্থাপনা। এই রাজনৈতিক যুক্তিতে তারা এত দিন বাংলাদেশের ব্যাপারে নেপালের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি। আমরা বলেছি, ব্রহ্মপুত্রকে ব্রহ্মপুত্রের মতো দেখতে হবে, গঙ্গার সঙ্গে মেলানো যাবে না। কিন্তু ২০১১ সালে এটার বিরাট পরিবর্তন হয়। সে সময় দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্বের যে চুক্তি হয়, তার ২ নম্বর ধারায় বলা হয়, নদীর ক্ষেত্রে দুই দেশ এখন থেকে নদীভিত্তিক এবং অববাহিকাভিত্তিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলবে। লক্ষ করুন, ভারত সব সময় তিস্তাকে গঙ্গার উপনদী বলত। কিন্তু তিস্তার ব্যবস্থাপনাটা আলাদাভাবে গড়ে তুলতে হবে। কারণ, এ দুটোকে একাকার করলে পানির সমস্যাটা মেটানো যাবে না। কাজেই ২০১১ সালে যে চুক্তি হয়েছে, তাতে বলা যায় ভারত তার দ্বিপক্ষীয় অবস্থান থেকে পুরোপুরি সরে গেছে। ভারত এখন বিমসটেক, বিসিআইয়ের কথা বলছে। আমার জানামতে, ভারত ইতিমধ্যে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার যৌথ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ভুটান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বৈঠক করেছে। ভারত সরাসরি প্রস্তাব করেছে, ‘আসো আমরা উজানে জলাধার নির্মাণ করি। তাতে বিপুল পরিমাণ পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।’ ভারতের অরুণাচলে যদি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়, তা যদি মধ্য ভারতে তারা নিয়ে যেতে চায়, তার জন্য বাংলাদেশের সহযোগিতা বিপুলভাবে প্রয়োজন। একই চিন্তা থেকে তারা বাংলাদেশকে ট্রানজিট করে মালামাল নিয়ে যেতে চাইছে। নেপাল থেকে বাংলাদেশকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, এখানে জলাধার অর্থাৎ ড্যাম নির্মাণ করে পানিবিদ্যুতের অংশীদার হও, শুকনা মৌসুমে পানিপ্রবাহ বাড়বে। তার মানে কেবল তিন চার বছর ধরে এই কথা বলা হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় এবং যৌথ ঘোষণাতেও এই লক্ষ্যে কথা বলা হয়েছে। দেখতে পাচ্ছি ভারত থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য অনেক চাপও আছে।
প্রথম আলো : এই পরিপ্রেক্ষিতে উভয় দেশের মধ্যে আস্থার ঘাটতি কীভাবে কমতে পারে?
আইনুন নিশাত : আমাদের সমস্যা হলো, আমরা ভারতকে বিশ্বাস করতে পারছি না। দ্বিতীয়ত, আমাদেরও প্রস্তুতির অভাব আছে, সমীক্ষার অভাব আছে। কারণ, আমাদের দেশের ভেতরে ভারতবিরোধী গোষ্ঠী আছে। তৃতীয় পয়েন্ট হলো, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগত সমস্যা। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে যে কথা বলা হয়, তাদের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে সেই কথা ঠিকমতো বলা হয় না। আর কারিগরি মন্ত্রণালয় তথা পানি মন্ত্রণালয় এখনো পুরোনো পন্থায় রয়ে গেছে। আমাদের বেলায়ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যতটা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় কি ততটা প্রস্তুত? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ততটা কারিগরি জ্ঞান আছে কি? এখানে বিদ্যুতের প্রশ্নও জড়িত; তারাও কি সেই লক্ষ্যে কাজ করছে? নদী অববাহিকাভিত্তিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেওয়া উচিত পানি মন্ত্রণালয়ের। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেটা এগিয়ে দেবে, বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় তার উপকার পাবে। উত্তর-পূর্ব ভারতের বিদ্যুৎ মধ্য ভারতে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ-সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় হয়তো মনে করছে ওই লাইন থেকে বাংলাদেশও উপকার পাবে। কিন্তু বিদ্যুৎ হলো বাইপ্রোডাক্ট, পানি ব্যবস্থাপনা হলো আসল ব্যাপার। ভারত কী করছে, তার কতটা আমরা জানি? আমি যতটা জানি, ভারত থেকে বাংলাদেশকে বলা হয়েছে, আসো যৌথ প্রকল্প তৈরি করি। ভারতের দাবি, তাদের প্রণীত প্রকল্পের সব তথ্য তারা বাংলাদেশকে দিয়েছে। তারা এ-ও দাবি করছে, আমরা তো একতরফা প্রকল্প তৈরি করেছিলাম, তোমরা বলো তোমরা কী কী অদলবদল করতে চাও। আমাদের এখন প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামোর দিকে নজর দেওয়া উচিত। মূল সিদ্ধান্ত আসতে হবে, রাজনীতিকদের কাছ থেকে। কারিগরি বিষয়ে যাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাঁদের পক্ষে দেওয়া-নেওয়া করা সম্ভব নয়। কিন্তু তাঁরা তাঁদের অবস্থানে অনড় থাকছেন। আমরা এখনো সব আলোচনা কারিগরি বিশেষজ্ঞ তথা কূটনীতিকদের হাতে ছেড়ে দিয়েছি। আমি মনে করি, নির্দেশনা আসবে রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে। কারিগরি বিশেষজ্ঞরা প্রতিটি বিকল্প চিন্তা করে তার ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো রাজনীতিকদের সামনে তুলে ধরবেন। রাজনীতিবিদেরাই শেষ সিদ্ধান্তটা নেবেন।
প্রথম আলো : কিন্তু টিপাইমুখের ব্যাপারে বাংলাদেশের সমীক্ষা শেষ হলেও, ভারতের সঙ্গে যৌথ সমীক্ষা হয়নি। তিস্তা নিয়েও ভারতীয় পানিব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ কল্যাণ রুদ্রের নেতৃত্বে সমীক্ষা হলেও সেই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। বাংলাদেশের তরফে সিজিএস ও আইডব্লিউএম যে সমীক্ষা করেছে, তাতেও ভারতের সাড়া পাওয়ার কথা জানা যায়নি।
আইনুন নিশাত : আমি যত দূর জানি, টিপাইমুখের ব্যাপারে ভারত তাদের তথ্য দিয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশ থেকে তার উত্তর তৈরি করা হয়নি। ভারতের পানি মন্ত্রণালয় নদীসংযোগ প্রকল্পকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছে। মূল ব্রহ্মপুত্রের বদলে উপনদীর ওপর অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। তারপরও ভারত যদি একতরফাভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে কথা না বলে মানস ও সংকোসের উজানে ড্যাম তৈরি করে পানি প্রত্যাহার করে, তাহলে সেটা সম্পূর্ণ অন্যায় হবে। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অবকাঠামো তৈরি করা হলে বাংলাদেশে ওই নদীর অববাহিকায় বর্ষার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব, শুকনা সময়ের পানি জোগান দেওয়া সম্ভব। এবং দুই মৌসুমের মাঝখানে আমন মৌসুমের পানির চাহিদাও মেটানো সম্ভব। পাশাপাশি অববাহিকা উন্নয়নও করা সম্ভব। কাজেই তিস্তার ক্ষেত্রে যে চুক্তির কথা আছে, সেটা সব মৌসুমের সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যেই করতে হবে। তার জন্য উজানে জলাধার নির্মাণ করতে হবে। এখানে দুই দেশের রাজনীতিকেরা দিকনির্দেশনা দেবেন। সেই অনুসারে কারিগরি পরিকল্পনা করা হবে।
প্রথম আলো : আপনাকে ধন্যবাদ।
আইনুন নিশাত : ধন্যবাদ।