কিছু বিষয় প্রধানমন্ত্রীকেই বলতে চাই: আরিফুল হক চৌধুরী

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। ছবি: প্রথম আলো
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। ছবি: প্রথম আলো
>

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাসভবনে সিলেট নগরীর উন্নয়ন ও নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলেন প্রথম আলোর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিজানুর রহমান খান

প্রথম আলো: টাকা থাকলেও উন্নয়ন হয় না, ফেরত যায়। আপনি কেন ও কীভাবে সফল?

আরিফুল হক চৌধুরী: আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। এর প্রধান কৃতিত্ব নগরবাসীর। আমার কতগুলো চ্যালেঞ্জ ছিল। জলাবদ্ধতা বড় সমস্যা ছিল।

প্রথম আলো: আপনি ছিল বলছেন, তাহলে সামনের বর্ষায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম যথারীতি ডুববে, সিলেট ডুববে না?

আরিফুল হক: দৈব–দুর্বিপাক ছাড়া আশা করছি, ডুববে না। সিলেট নগরীতে পাহাড়ি ছড়া ও খালের বিরাট প্রভাব। তাই প্রথমেই এর একটা ম্যাপিং করি। জার্মান উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেড-এর সহায়তা নিই। তিনটি বড় সমস্যা চিহ্নিত করি। এক. ছড়াগুলোর গতি পরিবর্তিত হয়েছিল, দুই. ৪০ থেকে ৫০ ফুট প্রশস্ত ছড়া কোথাও এক থেকে দেড় ফুটে সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তিন. যেসব ছড়া ব্যক্তিমালিকানাধীন কোনো জলাশয়ে মিশেছে, সেখানে দেয়াল তোলায় ছড়ার গতিপথ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আবার কোথাও হয়তো কোনো সংবেদনশীল স্থাপনা পড়েছে। সেসব আমরা এলাকা ভিত্তিতে কথা বলে সমাধান বের করেছি। তাই সরকারি প্রশাসনিক বা আদালতের আশ্রয় নিতে হয়নি। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এগিয়ে আসেন। একপর্যায়ে আমাকে দুই বছর সরকারি হেফাজতে (কারাগারে) থাকতে হয়। তখন কাজ থেমে ছিল, বের হয়ে তা প্রায় শেষ করতে পেরেছি। দুই মেয়াদে বিভিন্ন ধরনের নর্দমা তৈরি ২৬২ কিলোমিটার। রোড ডিভাইডার ৫০ কিলোমিটার এবং পিচ ঢালাই রাস্তা ২০০ কিলোমিটার। ১০টি নলকূপ ও ১৯৫ কিলোমিটার পানির পাইপলাইন। এসব পদক্ষেপের ফলে শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ জলাবদ্ধতার সমস্যা দূর হয়েছে বলা যায়।

প্রথম আলো: কিন্তু আপনি অসফল ফুটপাতমুক্ত বা হকার উচ্ছেদে?

আরিফুল হক: সফল অ–সফল কতটা জানি না। এখানে একটা লুকোচুরি খেলার মতো চলছে। আনুষঙ্গিক বিষয় যা থাকা দরকার, সেখানে ঘাটতি আছে। এর পেছনে একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। তবে জলাবদ্ধতার পরে এখন সড়ক সম্প্রসারণে হাত দিয়েছি। এরপর বণিক সমিতিকে সঙ্গে নিয়ে এটায় পুরো নজর দেব। তবে ইতিমধ্যে যে পরিবর্তন দৃশ্যমান, সেটা হলো বেলা দুইটার আগে আপনি সিলেটের সড়কগুলো হকারমুক্ত পাবেন।

প্রথম আলো: হকারদের পুনর্বাসন?

আরিফুল হক: লালদীঘিতে তাদের পুনর্বাসন করা হয়েছিল কিন্তু তারা বিক্রি করে দিয়ে চলে এসেছে।  আমি আসলে সিলেট শহরে সড়কে ফ্রাইডে এবং স্যাটারডে মার্কেট শুরু করতে চাই। প্রতি সপ্তাহান্তে সড়ক বদলাবে। শর্ত একটাই, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আছে বা কোনো জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে বসা যাবে না। ব্র্যাকের সহায়তায় বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার বিশেষ প্রকল্প (৩ ওয়ার্ড) সফল হচ্ছে। গত দেড় মাসেই ৩ টন বর্জ্য বেচে পেয়েছি ৭০ হাজার টাকা। প্রাথমিক বিনিয়োগ ছিল মাত্র সোয়া লাখ টাকা। ইউএনডিপি, ইউনিসেফও আগ্রহ দেখাচ্ছে।

প্রথম আলো: দেশের অন্যত্র যখন মুখ দেখাদেখি বন্ধ তখন আপনার নেতৃত্বের প্রতি ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারা কী মনোভাব দেখাচ্ছেন?

আরিফুল হক: এটা একটা সুখবর যে, শ্রমিক লীগ ও শ্রমিক দলসহ যত দল আছে, এসব বিষয়ে সবাই একত্র হয়েছে। আমার বাসায় তারা সবাই বৈঠকে বসেছে।

প্রথম আলো: এত বৈরিতার মধ্যে আপনি তো তাহলে একটা সর্বদলীয় বৈঠকের নজির স্থাপন করেছেন?

আরিফুল হক: কিন্তু এতে শুধু শ্রমিকেরাই জড়িত। মেয়র হিসেবে আমি তো সবার মেয়র। সুতরাং আমার কাছে তো এই বিবেচনা নেই যে এখানে শ্রমিক দলের হকাররা বসবেন, শ্রমিক লীগের বসবেন না। তাঁরা শ্রমজীবী। আমি তাঁদের এটুকু বোঝাতে পেরেছি, পুলিশ কেন তাঁদের তাড়া করবে। চাঁদাবাজদের কেন তাঁরা টাকা দেবেন।

প্রথম আলো: অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনে কিছু প্রকল্প বন্ধ আছে।

আরিফুল হক: কোনো প্রকল্প বন্ধ হতে দিইনি। কিছু মতপার্থক্য দেখা দেয়। ঠিকাদার যেভাবে কাজ করেন, সেটা হয়তো কাউন্সিলরদের মনঃপূত হয় না। আবার অনেক সময় ঠিকাদার কাজ নিয়ে তা বিক্রি করে দেন। আমি পুনর্নির্বাচিত হয়ে বলেছি কোনো ঠিকাদার কোনো কাজ বিক্রি করতে পারবেন না।

প্রথম আলো: জেলার সরকারি প্রশাসন থেকে কী রকম সহযোগিতা পাচ্ছেন?

আরিফুল হক: আমি সব রকম সহযোগিতা পাচ্ছি। সাবেক অর্থমন্ত্রীও তাঁর সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সাহেবের কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি। সবেমাত্রই আমরা সাড়ে ১২০০ কোটি টাকার উন্নয়ন বরাদ্দ পেয়েছি। সিলেটের ইতিহাসে এটাই বৃহত্তম উন্নয়ন প্রকল্প। ৮০ ভাগ বাংলাদেশ সরকার এবং বাকি ২০ ভাগের জোগান দেবে সিলেট সিটি করপোরেশন।

প্রথম আলো: আপনি এই ২০ ভাগের টাকা কোথায় পাবেন? ট্যাক্স বাড়িয়েছেন কতটা?

আরিফুল হক: এর উৎস হচ্ছে রাজস্ব আয়, হোল্ডিং ট্যাক্স। দুই মেয়াদে আমি কোনো ট্যাক্স বাড়াইনি। না বাড়িয়ে বকেয়া ট্যাক্স তোলার ব্যবস্থা করেছি। মানুষ কর দিতে চায়। কিন্তু নানা জটিলতা ও বাধা আছে। যেমন ধরুন প্রবাসীরা টাকা পাঠান, অথচ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কেয়ারটেকাররা তা জমা দেন না। অনলাইনে জমা করার বিধান করায় এসব বাধা থাকছে না। ২০০৬-০৭ সালে আদায় ছিল ২২ কোটি ১২ লাখ টাকা। আম নির্বাচিত হই ২০১৩ সালে। সেই থেকে এ পর্যন্ত আদায় ৫৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

প্রথম আলো: বিদ্যুৎ বিতরণের লাইন মাটির নিচে পাঠানোর ফলাফল কী?

আরিফুল হক: বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের এই প্রকল্প প্রথম সিলেট শহরে হচ্ছে। তারা দেশের কোন শহরে পাইলট স্কিম করবে, যাচাই করছিল। হঠাৎ জানতে পেরে সাবেক অর্থমন্ত্রীকে বললাম আপনি যদি হস্তক্ষেপ করেন তাহলে আমরা এটা পেতে পারি। তাই হলো। উচ্চপর্যায়ের বোর্ড মিটিং বসল। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে পিডব্লিউডি শহরে এল। তারা রাজি হচ্ছিল না। বলল, বিদ্যুতের লাইন মাটির গর্ভে পাঠালে ট্রান্সফরমারগুলো কার জমির ওপরে বসবে। আমি ঝুঁকি নিলাম। বললাম, আমি যেভাবে পারি জনগণকে বুঝিয়ে তাদের বাড়িঘরের ভেতরে আমি বসাব। এরপর আমি সরকারি হেফাজতে যাই। শুনতে পেলাম, সিলেটের জন্য এটা বাতিল হয়ে গেছে। ২০১৭ সালে আমি হেফাজত থেকে বেরোই। খোঁজ নিয়ে জানি, এটা বাতিল হয়নি, স্থগিত রয়েছে। আবার সাবেক অর্থমন্ত্রীর কাছে ছুটলাম। তিনি দ্রুত একটা ডিও লিখলেন। নথি নড়ল। কিন্তু পড়ল আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়। কারণ, এই প্রকল্পের ডিপিপি হলো অসম্পূর্ণ। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির খরচটা তাতে ধরা হলো না। ৬৩ কোটি টাকার দরকার। আমি অনেকটা বাজি ধরি। বলি, আমি (সিটি করপোরেশন) দেব। এনওসি দিলাম। এভাবে কাজ শুরু হলো।

প্রথম আলো: আর কী অভিজ্ঞতা, যা দেশের একই কাজে নামলে অন্য মেয়রদের জন্য কৌতূহলোদ্দীপক?

আরিফুল হক: এই কাজে নেমে দুটি বিষয় দেখলাম। যারা ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে, তারা আমাকে কোনো কর দেয় না। তারা বিনা টাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ব্যবহার করে আসছে। আরেকটি গ্রুপ হলো ডিশ ব্যবসায়ী। তাদের সেবা মাটির নিচে পাঠালাম। আমার অগ্রাধিকার নগরবাসীর নিরাপত্তা সুরক্ষায়। যখন নাইট ভিশনের মতো ক্যামেরা আমাকে ফিট করতে হবে, তখন কেব্‌ল লাগবে। সুতরাং এখন যদি এসব সেবা জুতসইভাবে যুক্ত হয়, তাহলে আমরা পরে বেনিফিট নেব। এ জন্য তাদের সঙ্গে আমি একটি সমঝোতা স্মারক সই করি। এ পর্যন্ত নগরীতে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইন টানার কাজ মাত্র আড়াই কিলোমিটারে হয়েছে। পাঁচ কিলোমিটার লাগবে মূল শহরে। আমি এখন প্রস্তাব দিয়েছি ২৫ কিলোমিটারের। মোটামুটি এটা অনুমোদন পেয়েছে। ৫ কিলোমিটারে খরচ পড়েছে ৫৫ কোটি টাকা।

মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো টাওয়ার বসিয়ে ব্যবসা করছে। তাদের বললাম, আপনারা ফ্রি ব্যবসা করতে পারেন না। তারা পাল্টা যুক্তি দিল, কেন্দ্রীয় সরকারকে দিই। আপনাদের দেওয়ার দরকার নেই। এরপর আমি হাউজিং স্টেটকে চিঠি দিই। তাদের বলি, তোমরা বহুতল ভবনে টাওয়ার বসানোর সময় অনুমতি নেওনি। চার–পাঁচ মাস আগের কথা। দুই ফোন কোম্পানির লাইন কাটার প্রস্তুতি নিই। তবে কাটতে হয়নি। শুধু ব্লেড লাগিয়েছিলাম। এতেই কাজ হয়েছে। দুই ফোন কোম্পানি ৭৮ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে।

প্রথম আলো: মাটির নিচে গেলে আর কী সুবিধা হবে?

আরিফুল হক: বিদ্যুৎ বিভাগ সিস্টেম লস থেকে একটা বড় বাঁচা বাঁচবে। বিল না দিয়ে অবৈধ লাইন টেনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা, মিটার টেম্পারিংয়ের মতো গচ্চা বন্ধ হবে। ট্রান্সফরমার চুরি হওয়া এবং তার কেটে নেওয়ার মতো সমস্যা থাকবে না। বরং বিদ্যুতের ব্যবহার আরও নিরাপদ হবে। ডিজিটাল মিটার চুরি, লস ইত্যাদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমিয়ে দেবে। সিটি প্রশাসন চালানোর একটি বিরাট শিরপীড়া হলো বকেয়া বিদ্যুৎ বিল। আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় ২৬ কোটি টাকা পড়েছিল। এখন প্রায় ১৩ কোটি টাকা। পিডব্লিউডির সঙ্গে এটা কমাতে আলোচনা চলছে।

প্রথম আলো: স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় কার্যকর ও গুণগত পরিবর্তন আনার মূলমন্ত্র কী?

আরিফুল হক: সেবা যদি সত্যিকার অর্থে মানুষের দোরগোড়ায় দিতে হয়, তাহলে বিভাজন করলে হবে না। এটা অনুমেয় বা প্রতীয়মান হয় যে, এখানে আমি যেহেতু বিরোধী দলের মেয়র। তাই ডেপুটি কমিশনার বা পুলিশ সুপার দ্বিধায় ভোগেন। মেয়র ছাড়া আমার কোনো স্ট্যাটাস নেই। মন্ত্রী বা দায়িত্বশীল কেউ এলে আমি যত দূর সম্ভব আমন্ত্রণের অপেক্ষায় থাকি না। নিজেই দরকারি বৈঠকগুলোতে হাজির থাকি। কিন্তু কখনো বুঝতে পারি, আমি তো জনস্বার্থে, এলাকার উন্নয়নে যাই, কিন্তু যাঁদের কাছে যাই, তাঁরা যেন বিব্রত হন। এই অদৃশ্যমান বাধাসমূহের অপনোদন একটি স্বাভাবিক প্রত্যাশা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন উন্নয়ন শতভাগ হতে হবে। আমি মনে করি, শতভাগ উন্নয়নের ধারণাকে সম্পূর্ণতা দিতে প্রত্যেককে সমানতালে একযোগে কাজ করতে হবে।

প্রথম আলো: আপনার এই কথাগুলো প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি বলার সুযোগ পেয়েছেন বা তেমন চেষ্টা করেছেন?

আরিফুল হক: এ বিষয়ে আমার আন্তরিক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাঁর সাক্ষাৎ চেয়ে দু–তিনবার দরখাস্ত দিয়েছি। কিন্তু তা তাঁর দপ্তরে বা তাঁর নজরে পৌঁছেছে বলে মনে হয় না। মেয়র হওয়ার পরে গণভবনে শপথ অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎ ঘটেছিল। তিনি আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে স্বপ্রণোদিতভাবে কুশল বিনিময় করেছিলেন। এমনকি তাঁর আগ্রহেই গণভবনের লনে, ওই যে দেখেন (তাঁর বাসভবনে টানানো), সিলেটের কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে ফটোসেশন করেছিলেন। আমাকে বলেছিলেন, কাজ করুন। আমার সহযোগিতা পাবেন। আমি চাই জনগণের জন্য কাজ হোক। সেটা আমি নিশ্চয় পাচ্ছি। তবে কিছু বিষয় থাকে, যা শুধু তাঁকেই বলা যায়। আমি এসব বিষয় লিখে জানাতে পারি না। কারণ, বিষয়ের সংবেদনশীলতা থাকতে পারে। এর সঙ্গে আমার নিরাপত্তার বিষয়ও থাকতে পারে।

প্রথম আলো: বিএনপির কাউন্সিলর কত? মুজিব বর্ষে কী কর্মসূচি? আওয়ামী লীগের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচাতে স্থানীয় বিএনপি আপনাকে সহযোগিতা দিচ্ছে কতটা?

আরিফুল হক: আমরা যথেষ্ট মাইনরিটি, পাঁচ থেকে ছয়জন মাত্র। ভোটের পরে ৫ থেকে ৭ বার আমাদের ক্যাবিনেটের সভা হয়েছে। ৩৪ জনের মধ্যে দু-একজন বাদে বাকিরা সব সময় হাজির থেকেছেন। আমি মনে করি অন্যান্য সিটি করপোরেশন থেকে আমাদের মুজিব বর্ষ উদ্‌যাপন প্রস্তুতিতে এগিয়ে আছি। এক কোটি টাকার নিজস্ব বাজেট। আমার পরিধি সীমিত। তদুপরি আমি এ প্রসঙ্গে বলতে চাই শেখ মুজিবুর রহমানকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত না করাই ভালো। তাঁকে যদি ফাদার অব দ্য নেশন হিসেবে দাবি করেন, তাহলে এখানে কোনো বিভাজন না করাই উচিত। তাঁকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা উচিত।

প্রথম আলো: আপনার শেষ মন্তব্য?

আরিফুল হক: আমি আপনার মাধ্যমে এটা বলতে চাই, কেউ যখন আমার মেসেজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাচ্ছে না, তখন আমি চাইছি যে আমার এলাকার জনগণের জন্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড যেটা চলমান রয়েছে, তার কোথায় সুবিধা, কোথায় অসুবিধা, এটা আমি তাঁর কাছেই বলতে চাই। এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা তাঁকে ছাড়া অন্যদের কাছে বলতে পারব না।

প্রথম আলো: ধন্যবাদ।

আরিফুল হক: ধন্যবাদ।