প্রতিবছর যে বাজেট প্রণীত হয় এবং বাজেট নিয়ে যে আলোচনা হয়, তা এক অর্থে গতানুগতিক ও অনাকর্ষণীয়। কারণ, একদিক থেকে বাজেট সরকারের আয় ও ব্যয়ের হিসাব-নিকাশমাত্র, এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক কাঠামোর কোনো মৌলিক পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা থাকে না। বছর বছর তাই একই ধরনের বাজেট আগের বছরের চেয়ে কিছুটা বর্ধিত আকৃতি নিয়ে হাজির হয়, কোনো খাতে কিছুটা কম, কোনো খাতে কিছুটা বাড়তি বরাদ্দ দিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে কম-বেশি খুশি করার টানাপোড়েনের মধ্যেই নিহিত বাজেটের যাবতীয় ‘সৃষ্টিশীলতা’।
বাজেট নিয়ে শাসকগোষ্ঠীর নিজস্ব একটা পরিকল্পনা তো থাকেই, সেই সঙ্গে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি গোষ্ঠী, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি, সংগঠনের নানা ধরনের চাপ, লবিং, দাবি ইত্যাদিও নির্ধারক ভূমিকা পালন করে বাজেট তৈরিতে।
অন্যদিকে বিদ্যমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় জনগণের কাছ থেকে রাষ্ট্রের সম্পদ সংগ্রহ ও বণ্টনে বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে যে তীব্র বৈষম্য বিরাজ করে, তা বাজেটের বিভিন্ন খাতে সম্পদের প্রবাহের পরিমাণ ও ধরন থেকে নানাভাবে জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে। ঠিক এ কারণেই আবার বাজেট নিয়ে আলোচনা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণও বটে। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন হলো—বাজেটের আকার, প্রবৃদ্ধি, ঘাটতি ইত্যাদি বিষয়কে বাজেট আলোচনার মুখ্য বিষয়ে পরিণত করার বদলে বাজেটের মাধ্যমে সরকার সমাজের কোন শ্রেণির কাছ থেকে কীভাবে কত অর্থ সংগ্রহ করছে এবং সেই সংগৃহীত অর্থ কোন শ্রেণির কল্যাণে কীভাবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে, কোন শ্রেণির অর্থ/সম্পদ কোন শ্রেণির কল্যাণে কাজে লাগছে, সেই বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া।
অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ তাঁর এক লেখায় (‘বাজেট এবং প্রতারণার ধারাবাহিকতা’) করব্যবস্থার মাধ্যমে সম্পদ আহরণ ও ব্যয় করার ঘটনাকে বৃষ্টি প্রক্রিয়ার সঙ্গে তুলনা করে বলেছিলেন, এক জায়গা থেকে পানি শুকিয়ে জলীয় বাষ্প হয়ে বৃষ্টি যদি আরেক জায়গায় হয়, তাহলে একটি জায়গা লাভবান হয়, ফুলে-ফলে ভরে উঠে; কিন্তু অন্য জায়গা ক্রমাগত শুকিয়ে কাঠ হতে থাকে। করের মাধ্যমে সম্পদ স্থানান্তরের এই প্রক্রিয়া প্রধানত দুই ভাবে হতে পারে—আঞ্চলিক ও শ্রেণিগত। সম্পদ এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে স্থানান্তর যতটা সহজে বোঝা যায়, এক শ্রেণি থেকে আরেক শ্রেণিতে সম্পদ স্থানান্তর ততটা বোধগম্য হয় না। যখন সরকারের আয়ের বেশির ভাগটা প্রত্যক্ষ করের বদলে পরোক্ষ কর, অর্থাৎ আমদানি শুল্ক, ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক, সারচার্জ ইত্যাদির মাধ্যমে সর্বজনের কাছ থেকে আদায় করা হয়, তখন এই শ্রেণিভিত্তিক সম্পদ স্থানান্তরের ঘটনাটি ঘটে।
প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের রাজস্ব আয়ের পরিকল্পনা থেকে দেখা যাচ্ছে, কর রাজস্ব আয় বাড়াতে সরকার বরাবরের মতো ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটেও পরোক্ষ করের ওপরই নির্ভর করবে। এর ফলে ইতিমধ্যেই উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে ভুগতে থাকা জনগণের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। যেখানে উন্নত দেশগুলোতে মোট রাজস্বের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতে ৫০ শতাংশের বেশি প্রত্যক্ষ কর থেকে সংগ্রহ করা হয়, সেখানে বাংলাদেশে এনবিআরের মাধ্যমে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা করের ৬৪ শতাংশই আদায় করা হবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক ও ভ্যাট ইত্যাদি পরোক্ষ করের মাধ্যমে।
শুধু তা-ই নয়, প্রত্যক্ষ করের চাপও তুলনামূলক নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর বাড়ানো হচ্ছে। একদিকে ধনীদের জন্য সারচার্জমুক্ত সম্পদসীমা তিন কোটি থেকে বাড়িয়ে চার কোটি টাকা করা হয়েছে এবং বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে, অন্যদিকে যাঁদের কর দেওয়ার মতো আয় নেই, আয়কর রিটার্ন বাবদ তাঁদের কাছ থেকেও ন্যূনতম দুই হাজার টাকা আদায় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে জনগণের একটা বড় অংশ যাঁদের করযোগ্য আয় নেই, কিন্তু সরকারের বিভিন্ন ধরনের সেবা পেতে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়, তাঁদের কর দিতে হবে।
সাধারণ মানুষের ওপর পরোক্ষ করের বোঝা বাড়িয়ে এবং বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা খাতের অংশীদারত্ব কমিয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ কীভাবে অর্জিত হবে, তা বোঝা না গেলেও একটা বিষয় বেশ পরিষ্কার যে বরাবরের মতো এবারের বাজেটেও বেশ স্মার্ট পদ্ধতিতে জনগণের কাছ থেকে বেশি নিয়ে কম ফেরত দেওয়ার ছক কষা হয়েছে।
তা ছাড়া কর রাজস্ব আয়ের বাইরে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশি-বিদেশি ঋণ থেকে সংগৃহীত হবে এবং যার বেশির ভাগই বিভিন্ন গোষ্ঠী স্বার্থে ব্যয়িত হবে, তার দায় শেষ পর্যন্ত সাধারণ জনগণকেই বহন করতে হয়। বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য বৈদেশিক ঋণ করা হবে ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। এ প্রসঙ্গে কার্ল মার্ক্সের সেই কথাটি স্মরণীয়: ‘তথাকথিত জাতীয় সম্পদের একমাত্র যে অংশটা জনগণের ভাগে জোটে, তা হলো জাতীয় ঋণ।’
আর ব্যয়ের বেলায় এমন সব খাতে বেশির ভাগ অর্থ এমনভাবে ব্যবহার করা হবে, যার মধ্যে দিয়ে জনগণের স্বার্থ কতটা রক্ষিত হয়, তা প্রশ্নবিদ্ধ। যেমন বাজেটের ২২ শতাংশ জনপ্রশাসন খাতে, ১২ দশমিক ৪ শতাংশ সুদ পরিশোধে, ৫ দশমিক ৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা, ৪ দশমিক ২ শতাংশ জনশৃঙ্খলা রক্ষা, ১১ দশমিক ৫ শতাংশ পরিবহন ও যোগাযোগ, ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ইত্যাদি খাতে এমনভাবে ব্যবহৃত হবে, যেন কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীই উপকৃত হয়। তারপর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, সামাজিক নিরাপত্তা ইত্যাদি খাতে বরাদ্দ করার মতো বেশি অর্থ থাকে না এবং যা-ও থাকে, তা-ও আবার যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয় না।
সংখ্যাগরিষ্ঠের ওপর পরোক্ষ কর বাড়লেও বাজেট ও জিডিপির অনুপাতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, সামাজিক নিরাপত্তা ইত্যাদি খাতে তাদের জন্য বরাদ্দ ক্রমে কমছে। কৃষি খাতে বাজেট বরাদ্দ আগামী অর্থবছরে টাকার অঙ্কে বাড়লেও খাতওয়ারি বরাদ্দের নিরিখে এবার এই খাতে বরাদ্দ শতকরা দশমিক ৩৩ ভাগ কমেছে। আগামী অর্থবছরে কৃষি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৫ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের শতকরা ৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এই বরাদ্দ ছিল ৩৩ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। অবশ্য কৃষি খাতের এই ভর্তুকি ও বরাদ্দটুকু সংখ্যাগরিষ্ঠ ক্ষুদ্র কৃষকের ভাগ্যে জোটে না, সার-সেচ-কৃষি উপকরণ-কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদির ওপর দেওয়া ভর্তুকির বেশির ভাগই বড় কৃষক ও মধ্যস্বত্বভোগীর ভাগে জোটে।
টাকার অঙ্কে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ১ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা বাড়লেও মোট বাজেটের নিরিখে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, এবার তা কমে হয়েছে ৫ শতাংশ, যা জিডিপির দশমিক ৭৬ শতাংশ। অথচ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুসারে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ৪ থেকে ৫ শতাংশ বরাদ্দ করা উচিত।
শিক্ষা খাতে টাকার অঙ্কে বরাদ্দ বাড়লেও মোট বাজেটের অনুপাতে স্বাস্থ্য খাতের মতোই বরাদ্দ ক্রমে কমছে। আগামী অর্থবছরে মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ৮৮ হাজার ১৬২ কোটি টাকা শিক্ষা খাতে বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে, যা জিডিপির ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে তা ছিল বাজেটের ১২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বা ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। অথচ ইউনেসকোর পরামর্শ অনুসারে, একটি দেশের মোট জিডিপির ৪ থেকে ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করা উচিত।
বাজেটের মোট বরাদ্দের অনুপাতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে বরাদ্দ কমলেও বেড়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বরাদ্দ, যা চলতি অর্থবছরের ২৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা (বাজেটের ৩ দশমিক ৮ শতাংশ) থেকে ৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা (বাজেটের ৪ দশমিক ৬ শতাংশ)। লক্ষণীয় বিষয় হলো, বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ বাড়লেও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বরাদ্দ চলতি বাজেটের ১ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ৯১১ কোটি টাকা করা হয়েছে, যা বর্তমান জ্বালানি সংকট সমাধানে যথেষ্ট নয়। বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং জ্বালানি খাতে সক্ষমতা অর্জনে জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ হ্রাসের মধ্য দিয়ে জ্বালানি খাতে চলমান আমদানিনির্ভরতা বহাল থাকবে এবং বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের বসিয়ে বসিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জ প্রদান করার চক্র অব্যাহত থাকবে।
অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল, সেখানে বাজেট ও জিডিপির অনুপাতে বরাদ্দ কমেছে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ চলতি বাজেটের ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ (জিডিপির ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ) এবং সংশোধিত বাজেটের ১৭ দশমিক ৮১ শতাংশ (জিডিপির ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ) থেকে কমে হয়েছে বাজেটের ১৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ (জিডিপির ২ দশমিক ৫২ শতাংশ)। এই বরাদ্দকৃত অর্থের কত শতাংশ আসলে দরিদ্রের ভাগ্যে জোটে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সরকারি জরিপেই দেখা গেছে তালিকাভুক্ত ভাতাভোগীদের ৪৬ শতাংশের বেশি ভাতা পাওয়ার যোগ্য নয়। এ ছাড়া মোট বরাদ্দ বেশি দেখানোর কৌশল হিসেবে এই খাতে এমন কিছু কর্মসূচি দেখানো হয়, যা বাস্তবে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিই নয়। যেমন সরাসরি আর্থিক সহায়তা হিসেবে যে ৪৩ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তার ৬৩ শতাংশ, অর্থাৎ ২৭ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা, অর্থাৎ যাবে ১০ থেকে ২০তম গ্রেডের ৮ লাখ সরকারি কর্মচারীদের পেনশন বাবদ।
এ ছাড়া কৃষি খাতে ভর্তুকি বাবদ ২১ হাজার ৭০০ কোটি, সঞ্চয়পত্রের সুদ বাবদ ১১ হাজার ২১৭ কোটি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের দেওয়া প্রণোদনার ৫ হাজার কোটি টাকাকেও সামাজিক নিরাপত্তা বরাদ্দ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় খুব কমসংখ্যক দরিদ্রই সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা পায়, আর যা-ও বা পায়, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য। সাত বছর পর দেশের গরিব বয়স্ক নারী-পুরুষ, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা এবং প্রতিবন্ধীদের মাসিক ভাতা ৫০ থেকে ১০০ টাকা বাড়ানো হলেও চলতি সংশোধিত বাজেটের তুলনায় আগামী বাজেটে ভিজিএফ এবং ওএমএসের আওতায় চাল বিক্রি বাবদ বরাদ্দ যথাক্রমে ২৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ কমানো হয়েছে।
বাজেটে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের কথা বলা হলেও ঋণনির্ভর প্রবৃদ্ধিকেন্দ্রিক অসম বণ্টনের এই বাজেটে কী করে চলমান অর্থনৈতিক সংকট, বৈদেশিক লেনদেনে বিপুল ঘাটতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্ষয়, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ইত্যাদি কাঠামোগত সমস্যা মোকাবিলা করা হবে, তার কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। সাধারণ মানুষের ওপর পরোক্ষ করের বোঝা বাড়িয়ে এবং বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা খাতের অংশীদারত্ব কমিয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ কীভাবে অর্জিত হবে, তা বোঝা না গেলেও একটা বিষয় বেশ পরিষ্কার যে বরাবরের মতো এবারের বাজেটেও বেশ স্মার্ট পদ্ধতিতে জনগণের কাছ থেকে বেশি নিয়ে কম ফেরত দেওয়ার ছক কষা হয়েছে।
কল্লোল মোস্তফা বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবেশ ও উন্নয়ন অর্থনীতিবিষয়ক লেখক। প্রকাশিত গ্রন্থ: ‘বাংলাদেশে উন্নয়নের রাজনৈতিক অর্থনীতি’, ‘ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদ, নজরদারি পুঁজিবাদ ও মানুষের স্বাধীন ইচ্ছার ভবিষ্যৎ’। ই-মেইল: kallol_mustafa@yahoo.com