ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প

মতামত

সাবধান, ট্রাম্প কি আবার আসছেন

যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল ও শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী মানুষদের প্রতিনিধি হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দাঙ্গা ও সরকারি গোপন নথি বেহাত করা, এমনকি ধর্ষণের মতো মারাত্মক অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন। এরপরও যুক্তরাষ্ট্রের বহু মানুষ ট্রাম্পকে আরও একবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা ও এর সম্ভাব্য বিপদ নিয়ে এই লেখা।

যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ মানুষ, অর্থাৎ প্রতি দশজনের সাতজন চান না বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প—এই দুজনের কেউই দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হোন। একজন সাতাত্তুরে বুড়ো, অন্যজন আশি ছাড়িয়ে গেছেন।

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নিকি হ্যালির কথায়, তাঁরা দুজনই ‘গ্রাম্পি ওল্ড মেন’, অর্থাৎ ‘দুই হাঁদা বুড়ো’। তাঁদের বাদ দিয়ে এখন সময় এসেছে নতুন প্রজন্মের কাউকে নির্বাচিত করা। হ্যালির কথায়, সেই নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি তিনি ছাড়া আর কেউ নন!

শুধু হ্যালি নন, ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল বিল বার পর্যন্ত মনে করেন, মার্কিনরা এই দুজনের ব্যাপারেই ‘অ্যালার্জি’তে ভুগছেন। গত বছর জিমি কিমেলের ‘লেট নাইট শো’-তে এসেছিলেন বিল বার। তিনি ঠাট্টা করে সেখানে বলেন, ‘আমার আশা, এই দুই বুড়োই নির্বাচনের আগে পটল তুলবেন। তখন বছর ৪০ বয়সের কাউকে আমরা নির্বাচিত করতে পারব।’

বিল বার সম্ভবত অধিকাংশ মার্কিনের মনের কথাটাই বলেছেন। ট্রাম্পের বদলে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে যদি নিকি হ্যালি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাহলে তিনি অনায়াসে বাইডেনকে পরাস্ত করতে সক্ষম। এ মুহূর্তের জনমত জরিপে তেমন আভাসই মিলছে। অন্যদিকে সেই প্রার্থী যদি ট্রাম্প হন, তাহলে সামান্য ব্যবধানে তিনি জিতবেন, অথবা সামান্য ব্যবধানে জিতবেন বাইডেন। অন্য কথায় বলা যায়, তাঁদের জেতার সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি।

ভাবতে অবাক লাগে, যে পরিমাণ দুর্নাম কামিয়েছিলেন ট্রাম্প, তারপরও তিনি এখনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার শুধু যোগ্য নন, রীতিমতো জয়লাভেও সক্ষম। দাঙ্গা এবং সরকারি গোপন নথি বেহাত করা, এমনকি ধর্ষণের মতো মারাত্মক অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রের বহু মানুষ ট্রাম্পকে আরও একবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান। সেলুকাস বেঁচে থাকলে এই দেশকে বিচিত্র বলতেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

কেন আবার ট্রাম্প

এটা একটা ধাঁধা, যার একটা উত্তর আমরা খোঁজার চেষ্টা করতে পারি। দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি লাল ও নীল, অর্থাৎ রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক—এ দুই ভাগে বিভক্ত। এ বিভক্তির মূলে ক্রমেই যা কেন্দ্রীয় হয়ে উঠেছে, তা হলো যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণগত বিভক্তি। রিপাবলিকান পার্টি খোলামেলাভাবেই শ্বেতকায় নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব করে। একই সঙ্গে তারা রক্ষণশীল ও খ্রিষ্টীয় মূল্যবোধ দ্বারা প্রভাবিত। যাঁরা এই ভাগে পড়ছেন, তাঁদের অনেকে সেসব অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা, যাঁরা একসময় দাসব্যবস্থা জিইয়ে রেখেছিলেন। ট্রাম্পের স্লোগান—মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন—সে সময়কে ফিরিয়ে আনার কথাই বলে। তাঁরা প্রধানত গ্রামীণ অর্থনীতিভিত্তিক সমাজে বাস করেন, রক্ষণশীল মূল্যবোধ লালন করেন এবং কম শিক্ষিত।

অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক পার্টি মুখ্যত দেশের মধ্যপন্থী ও উদারনৈতিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি। তাঁদের সিংহ ভাগ বাস করেন শহুরে এলাকায়, মুখ্যত দেশের পূর্বাঞ্চলীয় (আটলান্টিক-তীরবর্তী) ও পশ্চিমাঞ্চলীয় (প্রশান্ত মহাসাগর-তীরবর্তী) অঙ্গরাজ্যগুলোয়।

অব্যাহত অভিবাসনের কারণে মোটাদাগের এ দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ ও বিদ্বেষ ক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন থেকে ২০-২৫ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র মূলত একটি অশ্বেতকায়প্রধান দেশে পরিণত হবে। ফলে গত ৪০০ বছর যাঁরা এ দেশে ছড়ি ঘুরিয়েছেন, সেই সাদা মানুষেরা এ-ই ভেবে শঙ্কিত যে তাঁদের হাত থেকে ক্ষমতার চাবুক খসে পড়বে। ২০০৮ সালে বারাক ওবামা দেশের প্রথম কৃষ্ণকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় শ্বেতকায়দের এ উদ্বেগ প্রকাশ্য হয়ে পড়ে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প এই শ্বেতকায়, রক্ষণশীল ও খ্রিষ্টবাদী মার্কিনদের প্রতিনিধি। তিনি তাঁদের এ কথা বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে একমাত্র তাঁর পক্ষেই সম্ভব দেশের এই জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করা। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ‘লম্পট’। অথচ দেশের ইভানজেকিক্যাল শ্বেতাঙ্গদের চোখে তিনি সাক্ষাৎ ‘যিশু’। ট্রাম্পের সময়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টে তিনজন রক্ষণশীল বিচারপতিকে নিয়োগ দিয়েছেন। অনেকের চোখে এটা তাঁর সাফল্যের এক বড় প্রমাণ। এমন লোকের অভাব নেই, যাঁরা মনে করেন, স্বয়ং ঈশ্বর তাঁকে ত্রাতা হিসেবে পাঠিয়েছেন।

ট্রাম্প নিজে দাবি করেছেন, ফিফথ অ্যাভিনিউর ওপর দাঁড়িয়ে তিনি যদি কাউকে গুলি করে হত্যা করেন, তাহলেও তাঁর সমর্থকদের একজনও তাঁকে ছেড়ে যাবে না। এই নাগরিকদের একটি বড় অংশ মনে করেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প হারেননি, কারচুপি করে তাঁকে হারানো হয়েছে। তাঁরা এ কথাও বিশ্বাস করেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে যে দাঙ্গা, তার পুরোটাই বানানো। ট্রাম্প নন, পুলিশ ও এফবিআই এজেন্টরা ভেতর থেকে কলকাঠি নেড়ে দাঙ্গা বাধিয়েছেন। অবাক করার মতো বিষয় হলো, অনেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একজন ‘কাল্ট’-প্রধান বা ধর্মীয় আন্দোলনের নেতা হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।

ট্রাম্পের শক্তি, ট্রাম্পের দুর্বলতা

সঠিক সংখ্যা বলা কঠিন, তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ট্রাম্পের অতি অনুগত সমর্থকদের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের মোট ভোটদাতার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ। রিপাবলিকান পার্টির ৭০ শতাংশই এই কাল্টের সদস্য বা অনুসারী। রিপাবলিকান পার্টির ওপর ট্রাম্পের যে সাঁড়াশি-নিয়ন্ত্রণ, এটিই তার প্রধান কারণ। এই দলে বুদ্ধিমান ও সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের অভাব নেই। কিন্তু তৃণমূল পর্যায়ে ট্রাম্পের এমন প্রবল দাপটের মুখে তাঁরা অসহায়। ৬ জানুয়ারির ঘটনার পর কেউ কেউ ট্রাম্পের সমালোচনা করেছিলেন, তাঁর অভিশংসনের পক্ষে ভোটও দিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের রোষের কারণে একে একে তাঁরা প্রায় সবাই ঝরে পড়েছেন।

এটি ট্রাম্পের শক্তি; এটি তাঁর দুর্বলতাও বটে। ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ সমর্থন নিয়ে তাঁর পক্ষে নির্বাচনে জেতা অসম্ভব। অবশিষ্ট ভোটারের সিংহভাগ তাঁকে শুধু অপছন্দই নয়, সম্ভবত ঘৃণাও করেন। তাঁরা মনে করেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, সারা বিশ্বের জন্যই ট্রাম্প একটি প্রবল হুমকি। তিনি খোলামেলাভাবেই কর্তৃত্ববাদী। ট্রাম্প নিজেই বলেছেন, দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হলে এক দিনের জন্য হলেও তিনি ‘একনায়ক’ হতে চান। যে জনতুষ্টিবাদী রাজনীতির তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তা এখন বিশ্বের অনেক দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে।

যে আইনের শাসনভিত্তিক নাগরিক ব্যবস্থাপনার সাফল্যের জন্য এত দিন পশ্চিমা বিশ্ব ঢাকঢোল পিটিয়ে এসেছে, দ্বিতীয়বার ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে তা ভেঙে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। দেশের আইন ও বিচারব্যবস্থা হয়ে পড়বে রাজনৈতিক প্রতিশোধ গ্রহণের হাতিয়ার। ঠিক এ কারণেই সাবেক রক্ষণশীল বিচারপতি মাইকেল লুট্টিক ট্রাম্প ও তাঁর অনুসারীদের ‘ক্লিয়ার অ্যান্ড প্রেজেন্ট ডেঞ্জার’ বা ‘গণতন্ত্রের জন্য ভয়ানক হুমকি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। বিখ্যাত মার্কিন সাময়িকী দ্য আটলান্টিক তাদের সাম্প্রতিক একটি সংখ্যা (ডিসেম্বর-জানুয়ারি) ব্যয় করেছে কেন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক, সে কথার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে। এখানে দেখুন

ট্রাম্প বনাম বাইডেন

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিরে আসার সম্ভাবনা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দুঃসংবাদ হলেও জো বাইডেনের জন্য তা একটি ‘সুসংবাদ’। দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট প্রচারণায় বাইডেনের প্রধান পুঁজিই হলো মার্কিন জনগণকে এ কথা বোঝানো, ট্রাম্প পুনর্নির্বাচিত হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। তিনি নিজে হয়তো ত্রুটিমুক্ত নন, তাঁরও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু তাঁকে যিশু বা কোনো দেবদূতের সঙ্গে তুলনা না করে যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের উচিত তাঁদের সামনে যে ‘চয়েজ’ বা বিকল্প রয়েছে, সেটি বিবেচনা করা।

বাইডেনের তুলনায় ট্রাম্পের বেশ কিছু তুলনামূলক সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, ট্রাম্পের একটি বিশ্বস্ত সমর্থক গ্রুপ রয়েছে। বাইডেনেরও এ রকম সমর্থক ছিল। কিন্তু ২০২০ সালে যে কোয়ালিশনের সাহায্যে তিনি জয়লাভ করেছিলেন, তাদের অনেকেই ছিটকে পড়েছে। তরুণ ও নব্য ভোটারদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তাঁর ব্যাপারে হতাশ হয়েছেন। এমনকি কৃষ্ণকায় ও হিস্পানিক ভোটাররাও চলতি অর্থনীতির দুর্বল অবস্থার জন্য বাইডেনকেই দায়ী করছেন।

গত নির্বাচনে আরব ও মুসলিম ভোটারদের বিপুল সমর্থন পেয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের জাতিহত্যায় তিনি খোলামেলা সমর্থন দিয়েছেন—তাঁদের অনেকই এ রকম অভিযোগ করেছেন। এই ভোটারদের দুই-তৃতীয়াংশ এখন তাঁর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। মিশিগানের আরব-মুসলমানরা ‘অ্যাবানডন বাইডেন’ বা ‘বাইডেনকে বাতিল করো’—এ স্লোগান নিয়ে এক প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন।

বাইডেনের আরেক সমস্যা, অধিকাংশ ভোটারই মনে করেন, বাইডেন অতি বৃদ্ধ। ট্রাম্পও কোনো ‘কচি খোকা’ নন। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে বাইডেনের তুলনায় তাঁকে অনেক সক্রিয়, অনেক চটপটে মনে হয়।

বাইডেনের জন্য আরেক ‘বিষফোড়া’ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ভেঙে পড়া অভিবাসনব্যবস্থা। দেশের দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে স্রোতের মতো অভিবাসীরা ঢুকে পড়ছে। এর ফলে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, ট্রাম্প একে নিজের নির্বাচনী লড়াইয়ে তুরুপের তাস মনে করছেন।

অধিকাংশ মার্কিন, এমনকি অধিকাংশ ডেমোক্র্যাটও মনে করেন, চলতি অভিবাসনব্যবস্থা চলতে দেওয়া যেতে পারে না। বাইডেনও অভিবাসনব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে আগ্রহী। কিন্তু রিপাবলিকান ও তাঁর দলের প্রগতিশীল অংশের প্রতিবাদের মুখে তিনি সমাধানের পথে এগোতে পারছেন না। জনমত জরিপ থেকে স্পষ্ট, অধিকাংশ মার্কিন মনে করেন, বাইডেন নন, ট্রাম্পের পক্ষেই সম্ভব হবে এ সমস্যার মোকাবিলা করা।

প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প একসময় প্রস্তাব করেছিলেন, অবৈধ অভিবাসন ও অবৈধ মাদক পাচার বন্ধ করতে তিনি মেক্সিকোর বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহার করবেন। তাঁর প্রশাসনে যে দু-চারজন প্রাপ্তবয়স্ক কর্মকর্তা ছিলেন, তাঁদের আপত্তির কারণে ট্রাম্প সে পথে যেতে পারেননি। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এলে তাঁকে ঠেকানোর কোনো উপায় থাকবে না।

এত হিসাব-নিকাশ বা সমীকরণ থেকে কী বোঝা গেল? যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন কি অবধারিত? বাইডেন ও ডেমোক্র্যাটরা যদি যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের জন্য ট্রাম্প কেন হুমকি, তা বোঝাতে ব্যর্থ হন, তাহলে ধর্ষক হিসেবে আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত ও ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার জন্য অভিযুক্ত এই লোককে ঠেকিয়ে রাখা কঠিন হবে।

  • হাসান ফেরদৌস প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক