ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ৪ জুন ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তার আগে বিভিন্ন সমীক্ষা-সংস্থা এক্সিট পোল বা বুথফেরত জনমত প্রকাশ করেছে। এই বুথফেরত ফলাফলে কে এগিয়ে আছে এবং এটা কতটা বিশ্বাসযোগ্য তা নিয়ে লিখেছেন শুভজিৎ বাগচী
ভারতের দীর্ঘ সাত দফা নির্বাচনের শেষে এক্সিট পোল বা বুথফেরত জনমত সমীক্ষার ফলাফলও সামনে এসেছে। অধিকাংশ সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সকে (এনডিএ) ৫৪৩-এর মধ্যে ৩৫০-এর (৬৫ শতাংশ) বেশি আসন পেয়েছে। কিছু কিছু সমীক্ষা-সংস্থা এনডিএকে ৪০০ ওপরে আসন দিয়েছে, যেমনটা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তবে এই জরিপের ভিত্তি নেই বলে মনে করছেন বিরোধীরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো খোলাখুলিই বলেছেন, ‘আমাদের রাজ্য নিয়ে যেটা দেখাচ্ছে, তা আমি বিশ্বাস করি না, বিশ্বাস করি না, বিশ্বাস করি না। এটা একেবারে ভেগ (অস্পষ্ট), একেবারে ফেক (ভুয়ো)।’
কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘বিদায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (অমিত শাহ) ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট এবং কালেক্টরদের মধ্যে অন্তত ১৫০ জনকে এখনো পর্যন্ত (শনিবার রাত) ফোন করেছেন। নির্লজ্জভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে, এটাই বলছে বিজেপি কতটা মরিয়া।’ শনিবার ইন্ডিয়া জোট দাবি করেছে যে তারা অন্তত ২৯৫ আসন পাবে।
ভারতে অতীতে অনেকবারই দেখা গিয়েছে বুথফেরত সমীক্ষা মেলেনি। ২০০৪ সালে যখন অটলবিহারি বাজপেয়ীর বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার হেরে যায়, তখন মেলেনি বুথফেরত।
জরিপে বলা হয়েছিল নিশ্চিতভাবেই ফিরবে বাজপেয়ী নেতৃত্বাধীন বিজেপি এবং এনডিএ। এর পরের ১০ বছর, অর্থাৎ ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ (ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স)। এরপরে আবার বুথফেরত জনমত জরিপে ভুল হয় ২০১৪ সালে।
সেবারে বলা হয়েছিল এনডিএ জিতবে, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হবে। কিন্তু ফল প্রকাশের পরে দেখা যায়, এককভাবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি পেয়েছে ২৮২ আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ২৭২। আর এনডিএ জোট পেয়েছে ৩৩৬ আসন। এ ছাড়া রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন ধরলে তো কথাই নেই, অসংখ্যবার মেলেনি বুথফেরত জরিপ।
ফলে বুথফেরতের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কিন্তু আবার এই বুথফেরত সমীক্ষার যে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই, তা-ও নয়। কীভাবে এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন তত্ত্বগত স্তরে এবং মাঠপর্যায় ভারতের অন্যতম খ্যাতনামা নির্বাচনী ফল বিশ্লেষক অধ্যাপক আফরোজ আলম।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আফরোজ আলম ২০ বছর ধরে নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করছেন এবং এবারেও ১০০০-এর বেশি সদস্যের দল নিয়ে তিনি তা করেছেন এবং তাৎপর্যপূর্ণভাবে তার বিশ্লেষণেও দেখা যাচ্ছে যে এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে। তবে ব্যবসায়িক সমীক্ষা-সংস্থা বা টেলিভিশন চ্যানেলের মতো অত আসন তিনি এনডিএকে দেননি।
বুথফেরত জরিপের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে আফরোজ আলম বললেন, যত দিন যাচ্ছে, জরিপের প্রক্রিয়া আরও জটিল হচ্ছে। তবে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অবশ্যই রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে নানাভাবে সমীক্ষা চালানো হয়, যদিও আমরা কখনো এক্সিট পোল করি না। আমরা নির্বাচন-পরবর্তী পর্যায়ে একটা সমীক্ষা করি। কিন্তু সেটা বুথফেরত সমীক্ষা নয়। তবে এর এখন নানা প্রক্রিয়া রয়েছে, যেমন সামনাসামনি সাক্ষাৎকার, টেলিফোনে নেওয়া সাক্ষাৎকার ইত্যাদি।’
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পরে ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল এবং মার্কিন কংগ্রেসে ফেসবুকের মালিককে জেরাও করা হয়েছিল ব্যক্তিগত তথ্য কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা বলে একটি সংস্থাকে বিক্রি করার অভিযোগে। নির্বাচন এবং সমাজবিজ্ঞানীদের বক্তব্য যে এই ধরনের ঘটনা যে ভারতে ঘটছে না, তা জোর দিয়ে বলা যায় না। কারণ, বিষয়টি নিয়ে আমেরিকার মতো তদন্ত ভারতে হয়নি।
আফরোজ আলম আরও বলছিলেন যে শুধু তথ্য সংগ্রহ নয়, সেটাকে কীভাবে ভাগ করা হবে এবং বিশ্লেষণ করা হবে, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। তাঁর মতে, ‘তথ্য সংগ্রহ কীভাবে হচ্ছে, কোথা থেকে হচ্ছে, কোন সামাজিক গ্রুপ থেকে হচ্ছে—যেমন কোন ধর্মের মানুষ, কোন জাতের মানুষ, কোন লিঙ্গের মানুষ বা কোন অঞ্চলের বাসিন্দা সমীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন—এর সবকিছুই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
একটা কেন্দ্রে হয়তো ২৫ লাখ ভোটার রয়েছেন, অথচ মাত্র ১ হাজার ৫০০ জনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। আমরা এর ভিত্তিতে কীভাবে এক প্রতিনিধিত্বমূলক সংখ্যা বলতে পারি? আমরা কতগুলো গ্রুপের কাছে গেছি, তারা কতটা বৈচিত্র্যপূর্ণ, কী ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছে — এমন আরও অসংখ্য ফ্যাক্টরের ওপর বিষয়টি নির্ভর করছে।’
আফরোজ আলম আরও বলেন, ‘এটাও মনে রাখা প্রয়োজন যে আজকের দিনে একজন প্রার্থী, যিনি ভোটে জেতার জন্য ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা খরচ করছেন, তিনি ৫ থেকে ১০ কোটি টাকা ডেটা কেনার জন্য খরচ করতেই পারেন। ফলে এই ভোটারের মনমর্জি নিয়ে গবেষণা একটা অত্যন্ত বড় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। আর যেহেতু ব্যবসার উদ্দেশ্য গবেষণা নয়, লাভ করা, তাই ডেটা সংগ্রহ এবং তার বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভোটারের মন বোঝার “ইন্ডাস্ট্রি”র নানা নেতিবাচক দিক থাকবে। সেটা ধরে নিয়েই আমাদের এগোতে হবে।’ তবে এই ডেটা সংগ্রহ ও তার বিশ্লেষণের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি অবশ্যই রয়েছে, যা অত্যন্ত জটিল এবং স্বল্প পরিসরে বোঝানো সম্ভব নয়, বললেন আফরোজ আলম।
আজ থেকে ছয় মাস আগে যে অবস্থায় কংগ্রেসসহ অন্যান্য বিরোধী দল ছিল তার থেকে তারা অনেক বেশি সংগঠিত বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। যেমন ইতিমধ্যে কংগ্রেস পাশে পেয়েছে উত্তর ভারতের অন্যতম শক্তিশালী বিরোধী দল উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টিকে।
কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির এই কাছাকাছি আসা অনেকটাই উজ্জীবিত করেছে ভারতের বিরোধীদের, বলছিলেন রশিদ কিদোয়াই। কিদোয়াই ভারতের একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক-সম্পাদক, যাঁকে প্রথম সারির একজন কংগ্রেস পর্যবেক্ষক বলে মনে করা হয়। কিদোয়াই কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর স্বীকৃত জীবনীও লিখেছেন।
কিদোয়াই বলছিলেন, ভারতে কোয়ালিশন বা জোট রাজনীতি তখনই কাজ করে, যখন অনেকগুলো সমশক্তির দলের জোটের মধ্যে একটি দল নিশ্চিতভাবে শক্তিশালী হয়, যেমন ২০০৪ সালে ইউপিএতে কংগ্রেস বা একসময়ে পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের মধ্যে সিপিআইএম অথবা বর্তমানে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে বিজেপি স্বয়ং। কিন্তু নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কোনো নিশ্চিতভাবে শক্তিশালী দল না থাকলে সমশক্তির দলগুলোর মধ্যে সমস্যা হওয়ার স্বাভাবিক। সেটাই এবারের ইন্ডিয়া জোটে হয়েছে।
রশিদ কিদোয়াই বলেন, ‘সমশক্তির অনেক দলের মধ্যে একতা থাকা মুশকিল; কারণ, তাদের কোনো নির্দিষ্ট এবং একক আদর্শ নেই। এই সমস্যা আজ থেকে ছয় মাস আগে অবশ্যই বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের ছিল। এখনো যে নেই, তা নয়। কিন্তু এর মধ্যে কতগুলো জিনিস আমরা দেখতে পেয়েছি। যেমন দীর্ঘ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় দ্বিতীয় দফা থেকে সম্ভবত বিরোধীদের একাংশ বুঝতে পারল যে তাদের একটা সুযোগ, একটা সম্ভাবনা কোথাও তৈরি হচ্ছে। কিন্তু যখন তারা এটা বুঝতে পারল যে তারা এই লড়াইয়ে মাঠে আছে, তখন তাদের মধ্যে বেশ খানিকটা মসৃণভাবেই একটা সমঝোতা, একটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্র তৈরি হলো।’
এই আদান-প্রদানের জায়গাগুলো ব্যাখ্যা করে কিদোয়াই বলছিলেন, মাস ছয়েক আগে যখন বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী দলের পরাজয় হয়েছিল, তখন ভারতের রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি আসনের (৮০) রাজ্য উত্তর প্রদেশের প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জাতীয় স্তরে সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কংগ্রেসের সম্পর্ক ভেঙে পড়েছিল।
‘অথচ নির্বাচন চলাকালে আমরা দেখতে পেলাম সমাজবাদীর প্রধান অখিলেশ যাদব ও কংগ্রেসের প্রধান রাহুল গান্ধী একই মঞ্চে হাত মেলাচ্ছেন, বক্তৃতা করছেন এবং হাজার হাজার মানুষ তাঁদের জনসভায় আসছেন। এটা কী করে সম্ভব হলো? আমার মতে, এটা সম্ভব হলো; কারণ, রাজনীতিবিদেরা “সুযোগ” বিষয়টা নির্বাচন বা রাজনীতি বিশ্লেষকদের থেকে অনেক দ্রুত ধরতে পারেন এবং তার ভিত্তিতে কাজ করতে পারেন।
যখন নির্বাচনটা শুরু হলো, তখন অখিলেশ এবং রাহুল গান্ধী দুজনেই একটা “অপারচুনিটি” (সুযোগ) হয়তো কোথাও দেখতে পেলেন এবং কাছাকাছি আসতে শুরু করলেন। এমনকি, যে কংগ্রেসের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ দেখাদেখি বন্ধ, সেই তৃণমূলের প্রার্থীকে উত্তর প্রদেশের ভাদোই লোকসভা আসনে সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস দুজনেই সমর্থন দিয়ে দিল। এই মুহূর্তে এটাই বিরোধীদের সবচেয়ে বড় জোরের জায়গা বলে মনে করছি,’ বললেন রশিদ কিদোয়াই।
বুথফেরত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে পশ্চিমবঙ্গেও প্রায় সর্বসম্মতভাবে সব সমীক্ষা-সংস্থাই মোট ৪২ আসনের মধ্যে অধিকাংশ আসন দিয়েছে বিজেপিকে। এই সমীক্ষা আপাতত মেনে নিলে বলতে হয়, এ ক্ষেত্রেও নির্বাচন কৌশলী প্রশান্ত কিশোর সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী আগেই করেছিলেন।
আপাতদৃষ্টিতে অবশ্য এই সমীক্ষার কোনো ব্যাখ্যা বেরিয়ে আসছে না পর্যবেক্ষকদের কথা থেকে। তবে একটা জিনিস নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির দুজন সিরিয়াস পর্যবেক্ষক অমর্ত্য সেনের প্রতীচী ইনস্টিটিউটের মুখ্য জাতীয় গবেষক সাবির আহমেদ এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল মতিন দুজনেই প্রথম আলোকে বলেন যে নির্বাচন চলাকালে মুর্শিদাবাদে হিন্দু সংগঠন ভারত সেবাশ্রম সংঘের এক ধর্মীয় নেতা সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের কী ব্যাখ্যা হতে পারে, তা এখনো তাঁদের কাছে স্পষ্ট নয়।
‘তবে সমীক্ষা যা-ই বলুক, বিজেপি চাপে আছে বলেই এখনো পর্যন্ত আমি মনে করি; কারণ, এবারে নির্বাচনে অন্তত একটা আখ্যান বা ন্যারিটিভ তৈরি হয়েছে, যেটা অতীতে ছিল না। সেটা অনেকটাই বিজেপিবিরোধী এবং সার্বিকভাবে বিজেপির বিপক্ষে গেছে বলে আমি মনে করি,’ বক্তব্য সাবিরের।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া জাতির ভোটও অনেকাংশে মুসলমান-সমাজের দিকে যেতে পারে বলে মনে করেন সাবির। পশ্চিমবঙ্গের মুসলমান-সমাজ অনগ্রসর জাতির অন্তর্ভুক্ত ফলে আদার ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেসের (ওবিসি) সুবিধা তারা পায়। নির্বাচনের সময় কলকাতা হাইকোর্ট এই ওবিসি সংরক্ষণ বাতিল করে দেওয়ার কারণে মুসলমান-সমাজ বলে মনে করছেন গবেষক সাবির আহমেদ।
অধ্যাপক মতিনের বক্তব্য, মুসলমানপ্রধান অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেস কিছু বাড়তি সুবিধা পেয়ে যাবে; কারণ, মুসলমানপ্রধান দল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট এবং বামফ্রন্ট-কংগ্রেসের জোট এবার হয়নি। এই জোট ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হওয়ার ফলে তৃণমূল থেকে বেশ খানিকটা মুসলমান ভোট বেরিয়ে গিয়েছিল।
‘এই জোট কেন হলো না, তার যদি ব্যাখ্যা দিতে হয়, তবে আমি বলব যে শেষ পর্যন্ত যে সাত আসন সেক্যুলার ফ্রন্ট চেয়েছিল, তা বাম-কংগ্রেস জোট দিতে রাজি হয়নি। তবে আপনি যে প্রশ্ন করেছেন, এই জোট ভাঙার পেছনে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো ভূমিকা আছে কি না, সে সম্পর্কে আমি অবগত নই,’ বলেন আবদুল মতিন।
এরপরও পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে তৃণমূল সমর্থক এবং বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত উদ্বেগে থাকবেন আরও ২৪ ঘণ্টা। এর কারণ সব সমীক্ষাই দেখিয়েছে এই নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনের মধ্যে অধিকাংশই পেতে চলেছে বিজেপি, যা অতীতের কোনো সমীক্ষায় দেখানো হয়নি।
শুভজিৎ বাগচী প্রথম আলোর কলকাতা সংবাদদাতা