নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় বিজেপির ঘরে–বাইরে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ জুটি। সামনে জম্মু–কাশ্মীর ও হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর দুটি অঞ্চলেই বিজেপির মধ্যে ক্ষোভ ও বিদ্রোহ প্রকাশ পেয়েছে। আম আদমির সঙ্গে দর–কষাকষি নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যেও জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই দুই বিধানসভার নির্বাচন ঘিরে ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে লিখেছেন সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়
সরকারে তো বটেই, বিজেপির সংগঠনেও মুঠো আলগা হচ্ছে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহর। একের পর এক গৃহীত সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসা যেমন মোদি সরকারের কমজোরি হওয়ার লক্ষণ হিসেবে জ্বলজ্বল করছে, তেমনই সংগঠনের ক্ষেত্রেও তাঁদের সিদ্ধান্ত কেউ আর আগের মতো বিনা বাক্যে মেনে নিতে চাইছেন না। জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানা বিধানসভার ভোটের প্রার্থী বাছাই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
১০ বছর ধরে মোদি-শাহ জুটির এই হাল কিন্তু দেশবাসী দেখেনি। প্রথম দুই দফায় নিজের ইচ্ছেমতো সরকার ও দল পরিচালনা করেছেন মোদি, যা খুশি তা-ই করে গেছেন। দাপটের সঙ্গে এগোতে পেরেছিলেন কারও সমর্থন ছাড়াই সরকার গড়েছিলেন বলে। সেই বজ্রমুষ্টি আলগা হতে শুরু করে তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটের পর। অশান্তি ও ক্ষোভের ফুলকি প্রথম দেখা দেয় উত্তর প্রদেশে, ক্রমেই তা ছড়িয়ে পড়ছে অন্যত্র। জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানার ভোটে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিজেপির দলীয় কোন্দল এটাই বোঝাচ্ছে, মোদি-শাহ জুটির ইচ্ছাই এখন শেষ কথা নয়।
হরিয়ানায় ৯০–এর মধ্যে ৬৭ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরদিনই (বৃহস্পতিবার) বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ ৬ নেতা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী রণজিৎ সিং চৌতালা ও সামাজিক ন্যায়মন্ত্রী বিশ্বম্ভর সিং বাল্মীকি পদত্যাগ করেন। বিজেপির অনগ্রসর মোর্চার সভাপতি করণ দেব কম্বোজ দল থেকে পদত্যাগ করেন। আরও এক নেতা ও বিধায়ক লক্ষ্মণ নাপা পদত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দেন।
সাবেক মন্ত্রী কবিতা জৈন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দুই দিন সময় দিয়ে বলেছেন, তাঁকে সোনিপত থেকে প্রার্থী করা না হলে দলত্যাগ করবেন। একই হুমকি দিয়েছেন কুরুক্ষেত্র থেকে এবার লোকসভা ভোটে জয়ী বিজেপির নবীন জিন্দলের মা সাবিত্রী। বলেছেন, হিসার থেকে তাঁকে প্রার্থী করা না হলে দলীয় প্রার্থী কমল গুপ্তের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র হয়ে লড়বেন। মোদি-শাহ তাঁদের ক্ষোভ প্রশমনে ব্যর্থ।
একই ছবি জম্মু-কাশ্মীরেও। একসময়ের রাজ্য এখন কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলকে হিন্দু মুখ্যমন্ত্রী উপহার দিতে ব্যগ্র বিজেপি তাদের প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। পরবর্তী তালিকাও বিক্ষোভে পানি ঢালতে ব্যর্থ। পাঁচ দশক বিজেপি করা চন্দ্রমোহন শর্মা দল ছেড়েছেন।
সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী নির্মল সিং ও কোবিন্দ্র গুপ্ত এবং কাটরার বিধায়ক রোহিত দুবেসহ সাত নেতা বিদ্রোহ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিনের সঙ্গীদের চেয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সরকার গড়তে বেশি ভরসা রাখছেন অন্য দল (কংগ্রেস ও এনসি) থেকে আসা নেতাদের ওপর। কাশ্মীর উপত্যকার এক কেন্দ্রের সভাপতিসহ মোট ৪০ জন পদাধিকারী গত বুধবার একসঙ্গে দল ত্যাগ করেন। তাঁদের ক্ষোভ, ১৫ বছর ধরে যাঁরা দল করছেন, তাঁদের উপেক্ষা করে শীর্ষ নেতারা প্রার্থী করছেন দলছুট ও একসময়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে পরিচিতদের। দেশের পক্ষে তা মারাত্মক হতে পারে।
জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার পর গত পাঁচ বছরে বিজেপি ভেবে এসেছে, কী করে এই এলাকাকে তাদের দখলে আনা যায়। সেই লক্ষ্যে ৩৭০ অনুচ্ছেদ খারিজ ও রাজ্য দ্বিখণ্ডীকরণের পর তারা বিধানসভা ও লোকসভা কেন্দ্রগুলোর সীমানা পুনর্নির্ধারণের (ডিলিমিটেশন) কাজে হাত দেয়। ডিলিমিটেশন কমিশন গঠন করে কেন্দ্রগুলোর বিভাজন এমনভাবে করানো হয়, যাতে হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুর আসন মুসলমান অধ্যুষিত কাশ্মীর উপত্যকার তুলনায় বেশি বাড়ে। কমিশন জম্মুর আসন ৩৭ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ করে, উপত্যকার আসন ৪৬ থেকে বাড়িয়ে ৪৭। ফলে হলো কী, জম্মুর ১০ জেলার তুলনায় উপত্যকার ১০ জেলার আসনের ব্যবধান আগে যেখানে ছিল ৯, এখন তা কমে হলো ৪।
দ্বিতীয়ত, এটুকু করে ক্ষান্ত না থেকে কেন্দ্রগুলোর সীমানা এমনভাবে তৈরি করা হলো, যাতে জম্মুর হিন্দু অধ্যুষিত অঞ্চলে উপত্যকার মুসলমান অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলোর কিছুটা ঢুকে যায়। উদ্দেশ্য, হিন্দুপ্রধান কেন্দ্রগুলোয় জেতা-হারার ক্ষেত্রে মুসলমান ভোটারের প্রভাব কমানো। এটা করার ফলে বিজেপি মনে করছে, জম্মুতে এনসি ও কংগ্রেসের যে প্রভাব এতকাল ছিল, যার জন্য ওই দুই দল আসনও পেত, তা খর্ব করা যাবে।
এই অঙ্কের পাশাপাশি বিজেপি নজর দেয় উপত্যকায় মুসলমানদের মধ্যে এনসি, কংগ্রেস ও পিডিপির প্রভাব কমাতে। সেই লক্ষ্যে তারা গড়ে তোলে ওই দলগুলোর বিক্ষুব্ধদের মদদ দিয়ে আলাদা দল গড়তে। সেইভাবে গড়ে ওঠে পিডিপির সাবেক নেতা ও মন্ত্রী আলতাফ বুখারির ‘আপনি পার্টি’ও কংগ্রেসের দলত্যাগী নেতা গুলাম নবী আজাদের ‘আজাদ পার্টি’। কিন্তু লোকসভা ভোটে তাঁরা হতাশ করেন। ফলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নজর দেন একসময়ের দেশদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে চিহ্নিত জামায়াতে ইসলামির (জেআই) ওপর।
শাহ চেয়েছিলেন, নিষিদ্ধ ওই সংগঠন ভোটে দাঁড়িয়ে ভারতীয় সংবিধানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে। জামায়াত নেতারা রাজিও ছিলেন। দিল্লিতে চারবার বৈঠকও হয়। কিন্তু আরএসএসের তীব্র আপত্তিতে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারকে পিছিয়ে আসতে হয়।
জামায়াতে ইসলামি এবং তাদের মতো আরও কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা এবারের ভোটে স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন। বিজেপি তাঁদের পরোক্ষে মদদও দিচ্ছে। এতেও পুরোনো বিজেপি নেতারা ক্ষুব্ধ। তাঁরা মনে করছেন, এই নীতি দেশের ভবিষ্যতের পক্ষে ক্ষতিকর।
বিজেপির অঙ্ক পরিষ্কার। তারা চাইছে, জম্মুর আসনগুলোর অধিকাংশ জিততে। তারপর উপত্যকা থেকে কিছু স্বতন্ত্রের সমর্থন আদায় করা, যাতে সরকার গড়া যায়। প্রথমবারের মতো কোনো হিন্দু মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। বিজেপির দ্বিতীয় লক্ষ্য একক গরিষ্ঠ দল হিসেবে মাথা তোলা। সে ক্ষেত্রে সরকার গড়ার দাবি তারাই প্রথম জানাবে। আমন্ত্রণও পাবে। তখন চেষ্টা করবে অন্য দল ভাঙিয়ে সরকার গড়ার। তৃতীয় লক্ষ্য, একক দল হতে না পারলে এমন একটা ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হোক, যেখানে কোনো দলই সরকার গঠনের মতো অবস্থায় না থাকে। সে ক্ষেত্রে দুটো জিনিস হতে পারে। পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদার দাবি উপেক্ষা করে জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রাখা যাবে এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে রাষ্ট্রপতির শাসন আরও অনেক দিন অব্যাহত রাখা যাবে।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই চাহিদার মাঝে শূল হয়ে বিঁধছে হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরের দলীয় বিক্ষোভ। এই ক্ষোভ ভোটের ফলকে প্রভাবিত করলে আরও প্রশ্নবিদ্ধ হবে মোদি-শাহ জুটির কার্যকারিতা। আরও দুর্বল হবে বিজেপি। রাজ্যে রাজ্যে আরও মাথাচাড়া দেবে ক্ষোভ। বিরোধীদের চাপে কেন্দ্রীয় সরকার আরও মাথা নোয়াবে।
তৃতীয় দফায় ক্ষমতাসীন হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই সবাই বুঝে গেছে সরকার পরিচালনায় মোদি-শাহর মুঠো দিন দিন আলগা হচ্ছে। গত ১০ বছরে প্রবল রাজনৈতিক পরাজয় যাদের মাত্র একবার হয়েছিল, কৃষি আইন প্রত্যাহার, সেই সরকার তৃতীয় দফার রাজত্বের প্রথম তিন মাসে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েও পিছিয়ে আসছে।
সরকারের আয় বাড়াতে বাড়ি কেনাবেচার মূলধনি লাভের ওপর ঘুরিয়ে কর বাড়ানোর প্রস্তাব গত বাজেটে দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। প্রবল চাপে তা থেকে সরে এসেছেন তিনি। পুরোনো পেনশন–ব্যবস্থার বদলে নতুন পেনশন প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। চাপে পড়ে এখন চালু করেছে নতুন ন্যূনতম পেনশন–ব্যবস্থা। তাও পুরোনো ব্যবস্থা চালু নিয়ে ক্ষোভ–বিক্ষোভ চলছে দেশজুড়ে। সম্প্রচার বিলের খসড়া সরকার পেশ করেছিল। বিরোধীদের আপত্তিতে তা ফিরিয়ে নিয়েছে।
ওয়াক্ফ বিলের সংশোধনী যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠাতে বাধ্য হয়েছে বিরোধীদের সঙ্গে শরিকেরাও গলা মেলানোয়। কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব ও অধিকর্তা পদে বিশেষজ্ঞদের সরাসরি চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত রূপায়ণ (ল্যাটারাল এন্ট্রি) থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে। জীবন ও চিকিৎসাবিমার ওপর উঁচু হারে জিএসটি চাপানোর সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল। বিরোধীরা চাপাচাপি শুরু করেছে। শরিকেরাও প্রশ্ন তুলেছে। যেকোনো মুহূর্তে সেটাও প্রত্যাহার হতে পারে।
বিরোধীদের চাপে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পে ‘অগ্নিবীর’দের চুক্তির চাকরিতে পরিবর্তন আনার কথা খোদ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের মুখেই শোনা গেছে। এটা হরিয়ানায় কংগ্রেসের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। মনে করা হচ্ছে, যেকোনো সময় ওই প্রকল্প সংশোধন করা হতে পারে।
দুই রাজ্যের ভোটের মুখে ক্ষোভ যে কংগ্রেসেও নেই, তা নয়। কিন্তু তা মোটেই বিজেপির মতো লাগামছাড়া হয়ে ওঠেনি। ক্ষোভ প্রধানত হরিয়ানায়, যদিও তা প্রার্থী বাছাই নিয়ে নয়। ক্ষোভের কারণ ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক আম আদমি পার্টিকে (আপ) কয়েকটা আসন ছাড়তে রাহুল গান্ধীর ইচ্ছা প্রকাশ।
হরিয়ানায় বিজেপি ক্ষমতায় আছে গত ১০ বছর। এবার তাদের বিদায়ের দেয়াললিখন দেখতে পাচ্ছে কংগ্রেস। লোকসভা ভোটেই তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। ১০ আসনের ৫টি জিতেছিল কংগ্রেস। যদিও ১০ আসনই ছিল বিজেপির দখলে। সেই ভোটে কুরুক্ষেত্র আসনটি কংগ্রেস ছেড়েছিল আপকে। বিনিময়ে তারা আদায় করেছিল চণ্ডীগড় লোকসভা কেন্দ্রে আপের সমর্থন। চণ্ডীগড়ে কংগ্রেস জিতলেও কুরুক্ষেত্রে আপ হেরে যায়। দিল্লির ৭ আসনেও পরাজিত হয় কংগ্রেস-আপ।
রাহুল এখন চাইছেন হরিয়ানায় কয়েকটি আসন আপকে ছাড়া হোক। এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন হরিয়ানা কংগ্রেসের নেতা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা। হুডার যুক্তি, আপের সমর্থন ছাড়াই কংগ্রেস যেখানে ৬০ আসনে জিতবে, সেখানে তাদের তিন-চারটি আসন ছাড়া অর্থহীন। এ নিয়ে দলীয় বৈঠকে ক্ষোভ দেখিয়ে হুডা বেরিয়েও গেছেন। কিন্তু বিদ্রোহ করেননি। কারণ, তিনি জানেন, হরিয়ানায় বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত। আরও একবার তিনিই হবেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাহুল দেখছেন বৃহত্তর রাজনীতি। তিনি চাইছেন ইন্ডিয়া জোটকে জোটবদ্ধ রাখতে। বস্তুত, গত ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর রাহুলের রাজনীতিতে আরও একটা পরিবর্তন ঘটেছে। মোদি-শাহ জুটি যত বেশি বিপর্যস্ত হচ্ছে, রাহুল তত বেশি আঁকড়ে ধরতে চাইছেন ইন্ডিয়া জোটকে। এই বার্তা তিনি দিতে চাইছেন, জোটবদ্ধ ভারতই দেশের ভবিষ্যৎ। বহুত্ববাদ প্রতিফলিত জোটের মধ্যেও।
জম্মু-কাশ্মীরেও রাহুল চেয়েছিলেন এনসি-সিপিএম-কংগ্রেসের জোটে পিডিপিও যোগ দিক। পিডিপিও ইন্ডিয়া জোটের শরিক। কিন্তু আবদুল্লাহদের প্রবল আপত্তিতে সফল হননি। দিনকয়েক আগে ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে বৈঠকেও তিনি জোটবদ্ধ থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। বারবার এই বার্তা দিচ্ছেন মহারাষ্ট্রেও। বারবার দলীয় নেতাদের মনে করিয়ে দিচ্ছেন, বিরোধীরা জোটবদ্ধ হতে পারে না কিংবা তারা শুধু ভোটের মুখেই জোট বাঁধে, এই প্রচার ভুল প্রমাণ করতে হবে। মানুষের আস্থা ফেরাতে ইন্ডিয়া জোট অটুট রাখতে হবে। সে জন্য কংগ্রেসকে কিছুটা ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।
জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানা ভোটের ফলে বোঝা যাবে মোদি-শাহর মুঠো আরও আলগা হয় কি না।
সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম আলোর নয়াদিল্লি প্রতিনিধি