সুনশান গ্রামে তেমাথায় দোকান নিয়ে বসেছেন মা-মেয়ে। ১৬ এপ্রিল গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সীশা মন্ডলপাড়া গ্রামে।
সুনশান গ্রামে তেমাথায় দোকান নিয়ে বসেছেন মা-মেয়ে। ১৬ এপ্রিল গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সীশা মন্ডলপাড়া গ্রামে।

দেখা থেকে লেখা

তেমাথায় বসা মা-মেয়ে, চড়া সুদে ঋণ ও কর্মজীবী নারীর আক্ষেপ

নামের মতো সুন্দর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ। দিগন্তজুড়ে ধানখেত। কোনো খেতে শিষ এসেছে, কোনোটি কলাপাকা। ধানখেতের মাঝ দিয়ে আঁকাবাঁকা সড়কের চারপাশের গ্রামগুলোকে অনিন্দ্যসুন্দর মনে হয়।

সুন্দরগঞ্জের স্থানীয় এক সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়ে আমাদের উদ্দেশ্য গ্রামগুলো ঘুরে দেখা। মানুষের সঙ্গে কথা বলা। বিশেষ করে ঈদ, বাংলা নববর্ষ গেল। গ্রামীণ জনপদের মানুষের উৎসব কেমন হলো, তার খোঁজ নেওয়া।

সুন্দরগঞ্জ শহরের ১২ কিলোমিটার পূর্ব–উত্তরে চণ্ডীপুর ইউনিয়নের সিচা মণ্ডলপাড়া গ্রাম। এই গ্রামের পাকার মাথা তেমাথায় একটি বন্ধ দোকানের বারান্দার সামনে কিছু খেলনাসামগ্রী নিয়ে বসে ছিলেন আজেদা বেগম। সঙ্গে তাঁর মেয়ে আদুরি বেগম। তখন মধ্যদুপুর।

১৬ এপ্রিল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমীর স্নান উৎসব ছিল। দেশের অন্য এলাকাগুলোর মতো গাইবান্ধার কাপাসিয়া ইউনিয়নের লালচামার গ্রামে ব্রহ্মপুত্রের তীরে মেলা বসেছিল।

মা-মেয়ের আশা, মেলাফিরতি মানুষ তাঁদের থেকেও শিশুদের খেলনা নিয়ে বাড়ি ফিরবেন।

সুনসান গ্রামে তেমাথায় দোকান নিয়ে বসা মা-মেয়ের কথা জানতে চাই। আজেদা বলেন, দোকান তাঁর নয়। তাঁর নাতজামাই গত দুর্গাপূজায় গ্রামে খেলনার দোকান দিয়েছিল।

কিন্তু বেচাকেনা হয়নি। সেসব মালামাল বাড়িতে পড়ে ছিল। সেগুলো এনে তাঁরা বাড়ির সামনে দোকান দিয়েছেন, যদি কিছু বিক্রি হয়।

বেচাবিক্রির কেমন হলো? ‘সাত-আট শ টাকা হবে’ উত্তর দিয়ে আজেদা বলেন, ‘বেটি (আদুরি) বেকার। পাশের বাড়িতে বিয়া দিছনু। হামার বেটিকোনা ছোট যে। তাকে থুয়া জায়া জামাই বিয়া করছে ঢাকাত। নেয়ও না, ছাড়েও না। খোরাকিও দেয় না।’

অর্থাৎ আজেদা বলছেন, তাঁর মেয়ে আদুরি উচ্চতায় কম। এ কারণে তাঁর স্বামী তাঁর সঙ্গে সংসার করছেন না।

আজেদা বেগম গল্পে গল্পে বলতে থাকলেন তাঁদের যাপিত জীবনের কথা। তাঁর স্বামী আবদুস সোবহান কটকটির ব্যবসা করেন। আজেদার ভাষায়, ‘স্বামীকোনা বুড়া মানুষ। এক দিন গ্রামে ফেরি করতে যান, দুই দিন যান না।’

‘ঈদ কেমন করলেন’ জিজ্ঞাসা করলে আজেদা বলেন, ‘ঈদের দিন হামরা কিছু খাই নাই (মাছ, মাংস খাওয়া অর্থে)। পরদিন নাতিজামাই আসছে। একনা মাছ আসিল। কক মুরগি (সোনালি মুরগি) আনছি। ওগুলো পাকশাক করে খাওয়াইছি।’

লাল চামার মেলায় মাটির তৈজসপত্রের পসরা সাজিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।

আজেদা দুঃখ করলেন তাঁদের নাতজামাইকে এবার ঈদে নতুন কাপড় দিতে পারেননি, এ জন্য। জানান, তাঁরাও নতুন কাপড় কেনেননি।

তবে গতবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করা এলাকার এক পরাজিত প্রার্থী তাঁদের শাড়ি ও লুঙ্গি দিয়েছেন। তা দিয়ে ঈদ করেছেন।

আজেদার সাংসারিক কথাবার্তা থেকে দেশের সামাজিক ও অর্থনীতিক চিত্র উঠে এল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপের তথ্য অনুযায়ী, আজেদার মতো দেশে বর্তমানে মোট পরিবার বা খানার সংখ্যা ৪ কোটি ১০ লাখ।

এর মধ্যে প্রায় ২৬ শতাংশ পরিবার মৌলিক চাহিদা পূরণে ঋণ করছে। বিবিএসের হিসাবে, মৌলিক চাহিদা পূরণে ঋণগ্রস্ত পরিবারের প্রায় ২৮ শতাংশই গ্রামের। শহর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় এ হার যথাক্রমে ২৪ ও ১৫ (প্রথম আলো, ১৯ মার্চ)।

‘খাদ্যনিরাপত্তা পরিসংখ্যান-২০২৩’-এর ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী বিবিএস বলছে, দেশের এক-চতুর্থাংশ পরিবার খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদা মেটাতে ঋণ করে।

শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষই এ জন্য বেশি ঋণ করছে। শহর ও গ্রামের মানুষ এ ঋণের বড় অংশই নিচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে চড়া সুদে।

আজেদাদের অবশ্য চড়া সুদে খাদ্যপণ্য কিনতে হয়নি। তাঁর স্বামী চাচাতো ভাইয়ের দোকান থেকে চাল, ডাল, তেল, মসলা, লবণ বাকি নেন। পরে টাকা হলে পরিশোধ করেন।

আজেদা বলেন, এবার ঈদেও নাতজামাইয়ের আপ্যায়নে তেল, মসলা বাকি এনেছিলেন। স্বামী কর্মসৃজন কর্মসূচিরও কাজ করছেন। সেই টাকা পেলে বাকি শোধ করবেন।

ইজিপিপি কর্মসূচির কাজ শেষে বাড়ি ফিরছেন কয়েকজন নারী।

গ্রামীণ মেলা ও প্রতিবন্ধী নারী

সিচা মণ্ডলপাড়া থেকে লালচামারের মেলা যাওয়ার পথে দেখা আঞ্জুয়ারা বেগমের সঙ্গে। তখন তিনি মেলা থেকে গ্রামের পথ ধরে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন।

আঞ্জুয়ারার হাতে একটি মাটির রং করা ডগা। তাতে মলা, বুন্দিয়া ও সাজ-বাতাসা রাখা। আঞ্জুয়ারা সঙ্গে কথা বলছি, এমন সময় পাশে দাঁড়িয়ে এক নারী বললেন, ‘টসাগো’। বোঝা গেল, আঞ্জুয়ারা শ্রবণপ্রতিবন্ধী।

ফাতেমা বেগম নামের ওই নারীর সাহায্য নিয়ে জানা গেল, আঞ্জুয়ারা মাটির রং করা ডগা কিনেছেন ৬০ টাকা দিয়ে। আঞ্জুয়ারার অস্পষ্ট কণ্ঠে শোনা গেল, ‘মলা আছে না, তাক নিছে ৪০ টাকা। বুন্দিয়া ১০ টাকা, বাতাসা ৪০ টাকা।’ ‘কেটা খাইবো’—ফাতেমার প্রশ্নের উত্তরে আঞ্জুয়ারা বলেন, ‘আব্বা আছে।’

বাবার প্রতি শ্রবণপ্রতিবন্ধী আঞ্জুয়ারার ভালোবাসা হৃদয় ছুঁয়ে গেল। টাকার কথা জিজ্ঞাসা করলে ঈদে ফিতরা তোলার কথা বললেন।

প্রতিবেশী ফাতেমা বেগম জানান, আঞ্জুয়ারার ছোটবেলায় বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু তাঁর স্বামী সংসার করেননি আঞ্জুয়ারা শ্রবণপ্রতিবন্ধী বলে। আঞ্জুয়ারা বাবার বাড়িতে থাকেন, তাঁর বাবা ছক্কু মিয়া থাকেন অন্যের জায়গায়, হাশেম চেয়ারম্যানের জমিতে।
আঞ্জুয়ারা অবশ্য বলেন, ‘ওই কলাগাছটা আছে না, তার দক্ষিণ পাশে বাড়ি।’

‘বাপ বুড়া মানুষ, অসুস্থ। হামরা বাড়িত থাকি। কাম করতে পারি না। শরীর দুর্বল। মাও (মা) ছোটতে মরছে, ’ বলতে বলতে আঞ্জুয়ারা চলে গেলেন।

তখন বেলা তিনটার কাছাকাছি, লালচামার গ্রামে পৌঁছে দেখি মেলা থেকে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড়। হাতে হাতে মাছ, সাজ-বাতাসা, শিশুদের খেলনা ইত্যাদি। ভিড় ঠেলে মেলাবাড়িতে পৌঁছে কিছু দোকান দেখা গেল।

রংপুরের মিঠাপুকুরের রহমতপুর গ্রামের লাল মিয়া খেজুরের রস ও খেজুর নিয়ে এসেছিলেন মেলায় বিক্রি করতে। হতাশা নিয়ে বললেন, বেচাবিক্রি কম। ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা হবে। একটু পর এখান থেকে শোভাগঞ্জের মেলায় যাবেন।

সুদারুর খপ্পরে পড়ে এলাকাছাড়া নরেন চন্দ্রের বাড়ি। ১৮ এপ্রিল গাইবান্ধার দাঁড়িয়াপুরের উত্তর আনালের নারী গ্রামে।

কর্মসৃজন কর্মসূচি ও আক্ষেপের গল্প

কর্মহীন মৌসুমে অস্থায়ী কর্মসংস্থান ও স্বল্পমেয়াদি কর্মসংস্থানের মাধ্যমে কর্মক্ষম সুস্থ পরিবারগুলোর সুরক্ষায় অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে সরকার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ‘ইজিপিপি প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে সুন্দরগঞ্জে ১৫ এপ্রিল থেকে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, সুন্দরগঞ্জের ১৫টি ইউনিয়নের ৪ হাজার ৩৪২ শ্রমিক কাজ করছেন। পুরো জেলায় শ্রমিকের এ সংখ্যা ২০ হাজার ৩৮৫ জন। প্রত্যেক শ্রমিক ৪০০ টাকা করে দৈনিক মজুরি পাবেন।

১৮ এপ্রিল দুপুরে সুন্দরগঞ্জের শান্তিরাম ইউনিয়নের কালিয়ার দিঘিরপাড়ে কর্মসৃজন কর্মসূচির নারী-পুরুষেরা কাজ করছিলেন। উপস্থিত ১৯ জনের সঙ্গে কথা হয়।
এক নারী বলেন, ‘মানুষের ভিটাবাড়িতে থাকি। কিন্তু কর্মসূচির টাকা দেয় তিন থেকে চার মাস পর। দেনা করি খাওয়া লাগে।’

এসব কর্মজীবী নারী-পুরুষ বলেন, কাজের টাকা দেরিতে দিলে সুদের ওপর টাকা নিয়ে চলতে হয়। সরদার আফসার আলী বলেন, নভেম্বরের কাজের টাকা রোজা শুরুর দুই দিন আগে দিছে। টাকা দেরিতে দিলে গরিব মানুষ আরও ঋণে পড়ে।

গাছতলায় বসে দুপুরে কাজের বিরতির ফাঁকে কর্মজীবী নারীরা আক্ষেপ ঝাড়লেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে। মারুফা নামের এক নারী বলেন, জিনিসপত্রের যে দাম, বাজারে গেলে টাকা থাকে না। প্রত্যেকে জানান, উচ্চ খাদ্যমূল্যে তাঁরা চলতে পারছেন না।

মারুফা জানান, গত মাসে তিনি একজনের কাছে ১২ হাজার ও আরেকজনের কাছে ৮ হাজার টাকা সুদের ওপর নিয়েছেন ঘরবাড়ি মেরামত করার জন্য। প্রতি মাসে তাঁকে ২ হাজার টাকা করে সুদ গুনতে হবে।

সুদের জমজমাট ব্যবসা

মূলত গাইবান্ধাজুড়ে সুদের জমজমাট ব্যবসা। গাইবান্ধা শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামগুলো ঘুরলে সুদ ব্যবসায়ীদের নানা কাহিনি জানা যায়। রংপুর-গাইবান্ধায় সুদ ব্যবসায়ীদের বলে সুদারু।

গাইবান্ধায় সুদের খপ্পরে পড়ে কয়েকজনের আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটে কয়েক বছর আগে। তবু সুদারুদের তৎপরতা বন্ধে জোরালো উদ্যোগ নেই।

গাইবান্ধা শহর প্রায় আট কিলোমিটার উত্তরে প্রত্যন্ত অঞ্চল দারিয়াপুর বাজার। বাজার থেকে পূর্ব-দক্ষিণে উত্তর আনালেরতারী গ্রামে হেঁটে যেতে ১০ মিনিট সময় লাগে। সবুজ প্রকৃতির নিবিড় ছায়ায় সাজানো গ্রামটা খানিকটা নির্জন। ১৮ এপ্রিল এই নির্জনতার গভীর ছাপ পাওয়া যায় এখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে।

উত্তর আনালেরতারীর এই পাড়া বৈশ্যপাড়া নামেও পরিচিত। রাস্তার এপার-ওপার মিলে বৈশ্য সম্প্রদায়ের ৫০ পরিবারের বসবাস। সনাতনধর্ম মতে, তাঁদের পদবি রায়।

এক সময় কৃষিকাজ করতেন। এখন বেশির ভাগ গার্মেন্টসে কাজ করেন। কেউ কেউ মাছ (কুঁচিয়া) ধরেন।

বৈশ্যপাড়ায় অবশ্য আগেও গিয়েছি, ২০২১ সালে আগস্টে। তখন গাইবান্ধার কৃষক ও কৃষিজীবীদের নিয়ে ‘চড়া সুদে ঋণের জালে কৃষকেরা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম আলোয়।

বাইন বা ইল প্রজাতির এ মাছ ধরা ও কৃষিকাজ করে রায় বৈশ্যদের সংসার চলে। তবে এলাকায় কাজের সংকট প্রকট। বন্যাপ্রবণ অঞ্চল হওয়ায় বছরে ছয় মাস কাজ চলে। তাই সংসারে সব সময় অভাব লেগে থাকে। অভাবের কারণে অনেকে সুদের টাকার ওপর নির্ভরশীল।

২০২১ সালে সুদারুদের চাপে বাড়িছাড়া ছিলেন এই পাড়ার বাবলু রায়। তখন তাঁকে আটকিয়ে বাড়িভিটার ২ শতক জমি লিখে নেওয়ারও চেষ্টা করেন সুদারুরা। তবে এখন তিনি বাড়িতে আসছেন।

তাঁর মা সত্তরোর্ধ্ব শান্তিবালা বলেন, তাঁর ছেলে আশুলিয়ায় থাকেন। সেখানে মাছ (কুঁচিয়া) ধরেন। ছেলের জামাই এনজিও থেকে আড়াই লাখ টাকা তুলে দিয়েছেন। সেই টাকা দিয়ে ঋণ শোধ করে বাড়িতে ঢুকতে পেরেছেন।

এই পাড়ার নরেন চন্দ্র ও গোলাপীর ঘরে তালা ঝুলছে। প্রতিবেশীরা বলেন, তাঁরা দুই বছর আগে সুদারুদের খপ্পরে পড়ে বাড়ি ছাড়েন। আর আসেননি। নরেশের বৃদ্ধ মা হিমবালা একা বাড়িতে থাকেন।

নরেশের ভাই পরেশ চন্দ্রও এলাকাছাড়া ছিলেন। তবে মেয়ের বিয়ের পর মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসছেন। পরেশের ধানের ওপর ১ লাখ, মাসিক সুদে ৪০ হাজার টাকা ও হাটরা ‍সুদে ২৫ হাজার টাকা ঋণ আছে।

দারিয়াপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ১ লাখ টাকার ধান বাবদ সুদ মৌসুমে ২০ মণ ধান, ৪০ হাজার টাকা বাবদ মাসিক ৪ হাজার টাকা ও ২৫ হাজার টাকা বাবদ সপ্তাহের প্রতি হাটে ৫০০ টাকা ‘হাটরা’ সুদ নিতে হয়।

পরেশের স্ত্রী প্রেমবালা বললেন, ‘সুদের জের টানতে টানতে ফতুর হয়ে গেছি।’

  • জহির রায়হান প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক