নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার যেসব পরিবর্তন প্রয়োজন

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বজনীন ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী ও স্বাধীনভাবে সংস্থাটির দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে সংবিধান ও নির্বাচনী আইনের বেশ কিছু সংযোজন– বিয়োজনের প্রয়োজন রয়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার যেসব পরিবর্তন প্রয়োজন তা নিয়ে লিখেছেন এম সাখাওয়াত হোসেন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে বিষয়গুলো সংস্কারের জন্য কমিশন গঠন করেছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনী আইন এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার সংস্কার। এ কমিশনগুলোয় যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, কমিশনের প্রধানসহ বেশির ভাগ সদস্য সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য যোগ্যতম ব্যক্তি—এতে কোনো সন্দেহ নেই।

আমার জানামতে, এরই মধ্যে কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সেমিনার বা আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ রকম সেমিনার বা আলোচনা সভার দু-একটিতে আমি উপস্থিত ছিলাম এবং এ বিষয়ে আমার কিছু মতামত তুলে ধরেছিলাম। সেসব বিষয় পত্রিকার পাঠকদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টায় আমার আজকের এই সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনী আইন এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার সংস্কার নিয়ে প্রথম যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো, নির্বাচন কমিশন গঠনপ্রক্রিয়া। আমাদের অনেকেরই মনে থাকার কথা, ২০২২ সালের আগে কোনো ধরনের আইন ছাড়াই নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। মূলত ক্ষমতাসীন সরকারের পছন্দ-অপছন্দের তালিকা অনুসারে তখন নির্বাচন কমিশন গঠিত হতো। এমনকি ২০২২ সালের আগে রাষ্ট্রপতির নির্দেশ একটি ‘সার্চ কমিটি’ গঠিত হলেও তার ফলাফল ছিল ‘রাতের ভোটের’ নির্বাচন কমিশন।

পরবর্তী সময়ে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে যে কমিশন গঠিত হয়, তারাও একটি প্রহসনের নির্বাচন উপহার দেয়। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন ছিল প্রায় ভোটারবিহীন। অবস্থাদৃষ্টে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়, সেই নির্বাচন কমিশন ভোটের হার বাড়িয়ে দেখিয়েছিল। তারা দেশবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করেছিল, যা নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়।

২০১৪ সাল থেকে ক্রমাগত অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনগুলোর মাধ্যমে দেশে চরম স্বৈরাচারী-ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম হয়। এর পরিণতিতেই জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটল। দেড় দশক ধরে আওয়ামী লীগ সরকার কঠোর হাতে দেশ শাসন করেছে। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের মুখে তাঁরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। বর্তমানে তাঁদের অনেককেই আইনের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং তাঁদের বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে আমার আগের লেখাগুলোতে স্পষ্ট করেই বলেছি, অগ্রহণযোগ্য ও ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হয়, সেই সরকারকে আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় ‘হাইব্রিড’ গণতন্ত্র বা কথিত নির্বাচনের মাধ্যমে ‘স্বৈরতন্ত্র’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এই তত্ত্ব প্রমাণে বেশি দূর যেতে হয়নি; শেখ হাসিনার গত এক যুগের শাসন এবং গণ-অভ্যুত্থানে তাঁর পতনের ঘটনাই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই তত্ত্বের প্রমাণ। লাখ লাখ মানুষের রাস্তায় নেমে আসা এবং হাজার হাজার মানুষের আত্মদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরতন্ত্রের পতন একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।

কাজেই সর্বজনীন ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। গ্রহণযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য এবং স্বেচ্ছায় ভোটার উপস্থিতির দ্বারা নির্বাচনের মাধ্যমেই জবাবদিহিমূলক সরকার গঠিত হতে হবে। এ জন্য গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিবর্গ দ্বারা গঠিত নির্বাচন কমিশনের বিকল্প নেই।

সময়ের স্বল্পতার কারণে এবারও সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে কমিশন গঠনে একটি আইনের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। যেহেতু এখন নির্বাচনবিষয়ক একটি সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছে, সেহেতু আমি মনে করি এ-সংক্রান্ত আইনটি প্রথমে অধ্যাদেশ আকারে জারি করে আগামী কমিশন গঠন করা যেত।

এই আইন প্রণয়নের বিষয়টি বহুবার বহুভাবে অনেকই লিখেছেন। আইনের দ্বারা যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে সেটা স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হওয়ার কথা। এ প্রক্রিয়ায় সংসদের ভেতরের রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি অন্যান্য দলের অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা উচিত।

কমিশন গঠনপ্রক্রিয়ার বাইরেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ সংক্ষেপে আলোচনা করা দরকার। ইদানীং নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় আমূল পরিবর্তন আনার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সন্দেহ নেই, বাংলাদেশ অলিখিতভাবে দ্বিদলীয় রাজনীতিতে বিভক্ত। বিগত নির্বাচনগুলোর ফলাফল ও সরকার গঠনের ক্ষেত্রে এমনটাই দেখা গেছে। বিশেষ করে, ১৯৯০-এর পর থেকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের পর এই প্রবণতা লক্ষণীয়।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন সংসদে আরও বেশি দলের উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তার কথা চিন্তা করতে হবে, যাতে সংসদ প্রাণবন্ত এবং অধিকতর অংশগ্রহণমূলক হয়। সে কারণে আমার সুপারিশ হলো, ন্যূনতম ১৫০টি আসনে আনুপাতিক হারে নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন।

অবশ্যই আগে থেকেই ন্যূনতম ভোটের হার নির্ণয় করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমার সুপারিশ, বর্তমানে সংসদে সংরক্ষিত নারী কোটার অবসান ঘটিয়ে ৩৩ শতাংশ নারীর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হোক। সে ক্ষেত্রে ‘ফাস্ট পাস্ট দি পোস্ট’ (এ পদ্ধতিতে প্রত্যেক আসনে যিনি সর্বোচ্চ ভোট পাবেন, তিনি জয়ী হবেন) পর্যাপ্ত না হলে আনুপাতিক হারের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে পারে। ওপরের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর, বিশেষ করে প্রধান দলগুলোর মতৈক্যের প্রয়োজন রয়েছে।

তবে এর বিপরীত সুপারিশ হলো, বর্তমানের সংসদীয় আসন ৩০০ থেকে ৪০০-তে উন্নীত করা। অতিরিক্ত ১০০ আসনে নারীদের নির্বাচনের জন্য আনুপাতিক হারে সরাসরি ভোটের বিধান করা। সে ক্ষেত্রে নারী সংসদ সদস্যরা সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন। এটা রাজনৈতিক দল দ্বারা নির্ধারিত হবে না।

বিগত সংসদগুলোতে সরাসরি কোটার কারণে নারী প্রতিনিধিরা বহুলাংশে বিতর্কিত হয়েছেন। আমি মনে করি, ৩০০ আসনে না হলেও অন্তত এই ১০০ আসনে ‘ক্লোজড পার্টি লিস্টের’ (প্রতিটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে সেই দলের জন্য বরাদ্দকৃত আসন কারা পাবে তা পূর্ব-নির্ধারণ করে থাকে) প্রক্রিয়ার নারী সদস্য নির্বাচিত হোক। এই দুই ক্ষেত্রেই সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হবে। তবে বর্তমান বিধান অনুযায়ী, নারী সদস্যদের পরোক্ষ নির্বাচনে মনোনয়ন আধুনিক ও শিক্ষিত নারী সমাজের সঙ্গে মানানসই নয়।

নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী ও স্বাধীনভাবে তার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র প্রস্তুতে সংবিধান ও নির্বাচনী আইনের বেশ কিছু সংযোজন ও বিয়োজনের প্রয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি উল্লেখ করা যেতে পারে। সংবিধানের ১২৬-এর ধারায় বিগত দিনে যে সংশোধনী আনার প্রয়োজন ছিল, সেটা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে। যা হওয়া প্রয়োজনীয় বলে অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায় তা হলো, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর হতে গেজেট প্রজ্ঞাপিত না হওয়া পর্যন্ত আদালত নির্বাচনী বিষয়ে কোনো ধরনের মামলা গ্রহণ করিবে না।’

নির্বাচনপ্রক্রিয়া সমাপ্তির পর আদালত নির্বাচনকালীন যেকোনো অভিযোগের শুনানি করতে নির্দেশনা দিতে পারবেন। অতীত অভিজ্ঞতায় অনেক ক্ষেত্রে কমিশনকে বিব্রত ও প্রশাসনিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। বিশেষ করে মনোনয়নপত্র (নমিনেশন পেপার) বাছাই ও বাতিলের ক্ষেত্রে। এসব ক্ষেত্রে নির্বাচনপ্রক্রিয়া চলাকালে বহু মামলায় অন্তর্বর্তী রায়েও বাতিলকৃত নমিনেশন গ্রহণ করতে হয়েছে এবং এ ধরনের
রায়ে নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় প্রশাসনিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে।

নির্বাচনী আইনেও প্রচুর সংশোধনীর প্রয়োজন রয়েছে। বেশ কিছু অসামঞ্জস্য রয়েছে, যা দূর করা প্রয়োজন। এসব বিষয়ে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে, তবে বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্র উল্লেখ করা হলো।

প্রায় সব জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপ্রতুলতার কারণে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। কিন্তু ২০০৮ সালের পর থেকে এই বাহিনীকে অন্যান্য বাহিনীর মতো সরাসরি নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে দেওয়া হয়নি। কারণ, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সামরিক বাহিনীকে ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী’র সংজ্ঞা হতে বাদ দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে সামরিক বাহিনীকে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য মোতায়েন করা হয়, যার পরিচালনা ও নির্দেশনা আইনত ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসকের আওতায় থাকে। এটা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতায় ব্যাঘাত ঘটায়। অবশ্যই এখানে পরিবর্তন প্রয়োজন।

আরপিওর ধারা ৩৭ এবং ৩৮-এ ভোট পুনর্গণনায় ৩৭(৫)(এ) ছাড়া নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই। এর কারণে নির্বাচন কমিশনকে রিটার্নিং অফিসারের সনদকেই সঠিক ধরে গেজেট করতে হয়। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কিছু ভূমিকার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়েছে।

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও গবেষণালব্ধ জ্ঞান থেকে আমার মনে হয়েছে, নির্বাচনপ্রক্রিয়ার পুরো সময়ে নির্বাচন কমিশনকে সরকারের প্রশাসনিক কার্যক্রমের ওপর নজরদারির ক্ষমতা দেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। এ বিষয়ে বহু সুপারিশ এবং বহু লেখালেখি হয়েছে।

নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় নিয়োজিত সব সরকারি ও আধা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ন্যূনতম ৩০ দিন নির্বাচন কমিশনের আওতায় রাখা বাঞ্ছনীয়। এটা বর্তমানে মাত্র ১৫ দিনের জন্য উল্লেখিত রয়েছে। নির্বাচনপ্রক্রিয়া চলাকালে অথবা পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে যদি কারও বিরুদ্ধে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচনে অনিয়ম বা জালিয়াতির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে, সরকারকে তা মেনে নিতে বাধ্য থাকতে হবে।

বিদ্যমান ধারায় অস্পষ্টতা থাকার কারণে বিগত সরকারগুলো কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। নির্বাচনভিত্তিক কোনো অসদাচরণের কারণে অতীতে কোনো সরকারি অথবা আধা সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

সর্বশেষ জোরালো সুপারিশ থাকবে যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ধারা ৯১ (ক) আগের রুপে পূর্ণাঙ্গভাবে বহাল করা। সেখানে উল্লেখিত ছিল, নির্বাচন কমিশনকে যেকোনো সংসদীয় আসনের নির্বাচনপ্রক্রিয়া চলাকালে আংশিক অথবা সম্পূর্ণ আসনের নির্বাচন স্থগিত বা বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।

বিগত সময়ে বিশেষ করে আউয়াল কমিশনের সময়ে এই ধারায় যে পরিবর্তন করা হয়েছিল, তা আগের ধারার ঠিক বিপরীত। এখানে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতাকে খর্ব করা হয়েছিল। এমন বহু ধারার পরিবর্তন করা হয়েছিল, যেগুলোর সংস্কার এবং পুনর্বহালের প্রয়োজন রয়েছে।

ওপরে বর্ণিত কিছু কিছু জায়গায় সংস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে, তা পূর্ণাঙ্গ নয়। তাই আরপিও এবং সংবিধানের কিছু ধারার পরিবর্তন না করলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সুস্থ, গ্রহণযোগ্য ও সঠিক নির্বাচন করা বেশ কঠিন হবে।

সর্বশেষ আমি মনে করি, ভবিষ্যৎ প্রশাসন এবং নির্বাচনের তত্ত্বাবধানের জন্য নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন রয়েছে এবং এ প্রয়োজনের স্থায়ী সমাধানকল্পে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হতে পারে। উচ্চকক্ষের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

ওপরের আলোচনায় যে সুপারিশগুলো উল্লেখ করা হয়েছে, তা আমার নিজস্ব মতামত মাত্র।

  • ড. এম সাখাওয়াত হোসেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং নৌ পরিবহন উপদেষ্টা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার