নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হয়েছে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক। বিভাগ বিভাজন উঠে যাওয়ার পর নবম শ্রেণির জন্য নতুন বিজ্ঞান বইটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অনুসন্ধানী পাঠ’। জাতীয় শিক্ষাক্রমের এই পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বইয়ের অনেক বিষয় আংশিক বা হুবহু নেওয়া হয়েছে অনলাইন ব্লগ, ভারতীয় কোচিং সেন্টারের ওয়েবসাইটসহ অন্যান্য উৎস থেকে। বইটির নানা অসংগতি নিয়ে দুই পর্বের লেখার আজ প্রকাশিত হলো প্রথম পর্ব।
গত বছর নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন বই প্রণীত হয়। ওই বছরই ‘সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বই: হুবহু চুরি আর গুগলের অনুবাদে শিক্ষার্থীরা কী শিখবে?’ শিরোনামে প্রথম আলোর অনলাইনে একটি মতামত লিখেছিলাম। সেটি নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়।
চলতি শিক্ষাবর্ষের মুদ্রণে বইটির সংশোধন আনা হয়েছে। আমি যেসব বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম, সেই অধ্যায়টি আবার লেখা হয়েছে। যে শিশুর ছবি নিয়ে কথা বলেছিলাম, সেটি তুলে নেওয়া হয়েছে। ইংরেজি ভার্সনে গুগলের অনুবাদ ব্যবহারের যে অভিযোগ উঠেছিল, তা সংশোধিত হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে পাঠ্যপুস্তকটির রচয়িতারা বইটির নতুন সংস্করণে এসব পরিবর্তন এনেছেন। এ জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।
কিন্তু যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে নিয়ে গত বছর প্রথম আলোয় লেখাটি লিখেছিলাম, তা কিন্তু সফল হয়নি। কারণ, ‘পুরোনো রোগ’টি ধরা পড়ছে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হওয়া নবম শ্রেণির ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়ে। এবারও অনলাইন থেকে ‘কপি-পেস্ট’ করা হয়েছে, ইন্টারনেট থেকে ছবি নামানো হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভুল ব্যাখ্যা। কোথাও হুবহু, আবার কোথাও দু-একটি শব্দ পরিবর্তন করে পাঠ্যপুস্তকটির ইংরেজি ভার্সন তৈরিতে গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করা হয়েছে।
পুরোনো শিক্ষাক্রমে নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নবিজ্ঞান ও জীববিদ্যা বিষয়ে আলাদা পাঠ্যপুস্তক ছিল। এবার সেগুলো একত্র করে ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ নামে বইটি লেখা হয়েছে। এখানে ১৪টি অধ্যায় রয়েছে। এর মধ্যে চারটি পদার্থ, তিনটি রসায়ন ও সাতটি অধ্যায় জীববিদ্যার। তবে পাঠ্যপুস্তকে বিষয়ভিত্তিক বিভাজনের কোনো উল্লেখ নেই।
বইটির প্রথম অধ্যায়ের (বল, চাপ ও শক্তি) তৃতীয় পৃষ্ঠায় ১.১.১ অনুচ্ছেদে লেখকেরা শিক্ষার্থীদের স্থিতি ও গতি জড়তা বোঝানোর জন্য কয়েকটি উদাহরণ দিয়েছেন। এটা দেওয়া হয়েছে মিসরভিত্তিক একটি সফটওয়্যার কোম্পানির ব্লগ থেকে।
পাঠ্যপুস্তকটির ৩ নম্বর পৃষ্ঠায় বলা হচ্ছে, ‘তোমরা যদি বাসে কিংবা ট্রেনে দাঁড়িয়ে থাক, এবং হঠাৎ বাস কিংবা ট্রেনটি চলতে শুরু করে তখন তোমরা লক্ষ করে থাকবে যে তোমরা পেছন দিকে পড়ে যেতে চাও। বাস কিংবা ট্রেনের মেঝেতে স্পর্শ করে থাকা তোমার শরীরের নিচের অংশ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করলেও শরীরের ওপরের অংশ তার আগের অবস্থানেই স্থির থাকতে চায়, সে জন্য তোমার শরীরের ওপরের অংশ পেছন দিকে হেলে পড়ে, এবং তুমি পড়ে যেতে উদ্যত হও।...’
এই উদাহরণ দেওয়া হয়েছে মিসরের ওয়েবসাইটটি থেকে। ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল আপডেট হওয়া প্রাক্সিল্যাবস ডটকমে প্রাত্যহিক জীবনে জড়তার ২০টি উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। এর একটিতে লেখা হয়েছে, ‘When a bus or a train starts suddenly, the passenger standing inside it falls backward: It happens because the feet of the passenger being in contact with the floor of the bus come in motion along with the bus but the upper part of the body remains at rest due to inertia of rest. Hence the passenger falls backward.’। এ লেখার ভাবানুবাদ নবম শ্রেণির বইয়ে উল্লিখিত অংশটুকুর সঙ্গে মিলে যায়।
একই বিষয়ে দ্বিতীয় উদাহরণে বলা হয়েছে, ‘...একটি গ্লাসের ওপরে এক টুকরো শক্ত কাগজ বা কার্ডবোর্ডের ওপর একটি মুদ্রা রেখে তুমি যদি টান দিয়ে কাগজটি সরিয়ে নাও, দেখবে মুদ্রাটি কাগজের সঙ্গে চলে না এসে গ্লাসের ভেতরেই পড়ছে (চিত্র ১.১)। অর্থাৎ কাগজটি সরে গেলেও মুদ্রাটি তার আগের অবস্থানেই থাকার চেষ্টা করেছে। এই যে স্থির থাকা একটি বস্তু স্থির হয়েই থাকতে চায়, এই ঘটনাকে স্থিতি জড়তা (Static Inertia) বলে।’
এটি একটি বহুল ব্যবহৃত ও সাধারণ উদাহরণ হলেও প্রাক্সিল্যাবস ডটকমে দেওয়া উদাহরণের বক্তব্যের সঙ্গে মিলে যায়। ওই ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘If an index card is placed on top of a glass with a penny on top of it, the index card can be quickly removed while the penny falls straight into the glass, as The cardboard moves away due to the force applied by the finger but the coin remains at its position due to inertia of rest and hence falls into the glass.’।
একই বিষয়ে পরবর্তী যে দুটি উদাহরণ রয়েছে, সেগুলোও একই ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া হয়েছে বলে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়। এসব উদাহরণ বহুল ব্যবহৃত। কিন্তু বাক্যের গঠনশৈলী পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যায়, পাঠ্যপুস্তকটির রচয়িতারা ওয়েবসাইট ব্যবহার করেছেন।
এই বইয়ের দশম অধ্যায় ‘সালোকসংশ্লেষণ’। এখানে আগের শিক্ষাক্রমের নবম-দশম শ্রেণির জীববিদ্যা পাঠ্যপুস্তকের সালোকসংশ্লেষণ-বিষয়ক চিত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ছবি একই থাকলেও মূল লেখার পরিবর্তন আনা হয়েছে। এটা করতে গিয়েই ‘নকল’ করা হয়েছে। ‘সালোকসংশ্লেষণ’ অধ্যায়ের ১৫০ পৃষ্ঠায় ক্লোরোপ্লাস্টের গঠন সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘...এটি মোটামুটি 1-2 (মাইক্রোমিটার) পুরু এবং এর ব্যাস 5-7 (মাইক্রোমিটার)। ক্লোরোপ্লাস্ট আকার ডিম্বাকৃতির এবং এটিতে দুটি ঝিল্লি আছে: একটি বাইরের ঝিল্লি এবং একটি অভ্যন্তরীণ ঝিল্লি। বাইরের এবং অভ্যন্তরীণ ঝিল্লির মধ্যে প্রায় 10-20 (ন্যানোমিটার) চওড়া আন্তঃঝিল্লি স্থান। অভ্যন্তরীণ ঝিল্লির মধ্যবর্তী স্থানটিই হলো স্ট্রোমা: ক্লোরোপ্লাস্টে গ্রানা (grana) নামের অঞ্চলে সালোকসংশ্লেষণের আলো শোষণ করে রাসায়নিক শক্তি উৎপাদন হয় এবং স্ট্রোমা অঞ্চলে সেই রাসায়নিক শক্তি ব্যবহার করে কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে শর্করা গঠনের বিক্রিয়াটি ঘটে। সালোকসংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় ক্লোরোপ্লাস্টের ভেতরে কয়েকটি অঙ্গাণু হচ্ছে: ...’
দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন ঠিক রেখে হুবহু এই অংশ তুলে আনা হয়েছে, ওয়েবসাইট থেকে। ২০১৯ সালের ২৫ অক্টোবর আপলোডকৃত CD Genomics ব্লগে ক্লোরোপ্লাস্টের গঠনে যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তা হুবহু পাঠ্যপুস্তকে লেখা হয়েছে। ওয়েবসাইটটিতে ক্লোরোপ্লাস্টের গঠন সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘Chloroplasts are commonly found in guard cells located in plant leaves, roughly 1-2 micro meter thick and 5-7μmicrometer in diameter. Chloroplasts are oval-shaped and have two membranes: an outer membrane and an inner membrane. Between the outer and inner membrane is the intermembrane space approximately 10-20 nanometer wide. The space within the inner membrane is the stroma, the dense fluid within the chloroplast. This is the site at where the conversion from carbon dioxide to carbohydrates takes place.’
শুধু এই অংশটুকু নয়, এ বইয়ে ক্লোরোফিল, থাইলাকয়েড ও গ্র্যানামের যে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হুবহু ওই ওয়েবসাইটে থেকে নেওয়া হয়েছে।
বইটি লেখার ক্ষেত্রে কোচিং সেন্টারের ওয়েবসাইট থেকেও ‘কপি-পেস্ট’ করা হয়েছে । প্রতিবেশী দেশ ভারতের বাইজুস (Byju’s) কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তুতকৃত ‘শিক্ষা সহায়িকা’ (ম্যাটেরিয়ালস) থেকে এসব ‘কপি-পেস্ট’ করা হয়েছে।
অনুসন্ধানী পাঠ বইয়ের ১২ নম্বর অধ্যায় বাস্তুতন্ত্র। এ অধ্যায়ের ১২.৭ অনুচ্ছেদের নাইট্রোজেন চক্র অংশটুকু (২০২-২০৩ পাতা) বাইজুস ডটকম থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে নাইট্রোজেন চক্রের বর্ণনায় বলা হচ্ছে, ‘...নাইট্রোজেন জীবের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি, কিন্তু বায়ুমণ্ডলে এটি বিপুল পরিমাণে থাকলেও প্রাণী বা উদ্ভিদ এটি সরাসরি ব্যবহার করতে পারে না। নাইট্রোজেন চক্র এমন একটি জৈবভূরাসায়নিক প্রক্রিয়া যেটি প্রায় নিষ্ক্রিয় নাইট্রোজেন গ্যাসকে জীবের ব্যবহারের উপযোগী করে রূপান্তরিত করে তুলে। এই চক্রের মাধ্যমে নাইট্রোজেন গ্যাস বায়ুমণ্ডল থেকে মাটিতে আসে এবং চক্র শেষে আবার বায়ুমণ্ডলে ফিরে যায়।...’
এই অংশটুকু হুবহু নেওয়া হয়েছে ওয়েবসাইট থেকে। ভারতের বহুজাতিক শিক্ষা প্রযুক্তি কোম্পানি বাইজুসের ওয়েবসাইটে নাইট্রোজেন চক্রের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘Nitrogen is a key nutrient element for plants. However, the abundant nitrogen in the atmosphere cannot be used directly by plants or animals. ...Nitrogen Cycle is a biogeochemical process through which nitrogen is converted into many forms, consecutively passing from the atmosphere to the soil to organism and back into the atmosphere.’
নাইট্রোজেন চক্রের ধাপগুলো বর্ণনার পর সেই চক্রের গুরুত্বের যে চারটি পয়েন্ট ২০৩ পাতায় লেখা হয়েছে। এটিও বাইজুস থেকে হুবহু বাংলা অনুবাদ করা হয়েছে।
পাঠ্যপুস্তকটির সিংহভাগ চিত্রের কনসেপ্ট ইন্টারনেট থেকে হুবহু নিয়ে পুনঃ চিত্রায়ণ করে বইটিতে ছাপানো হয়েছে। বইয়ের শুরুতে নিউটনের যে চিত্র এসেছে, তা এবং চিত্র ১.১ নেওয়া হয়েছে মিডিয়াম ডটকম থেকে। চিত্র ১.২ প্রাক্সিল্যাবস ডটকমে আদলেই চিত্রাঙ্কন করা হয়েছে। চিত্র ১.৯ নিউটনের মহাকর্ষ বলের ব্যাখ্যা বোঝানোর জন্য আপেলগাছের নিচে বসে থাকা কথিত নিউটনের চিত্রটি নেওয়া হয়েছে জন এম জেনিংস ডটকম থেকে।
দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৪২ নম্বর পাতায় তাপ বিনিময় করে কঠিন, তরল ও গ্যাসের তিনটি অবস্থার রূপান্তরের চিত্র ২.৭ অঙ্কন করা হয়েছে, তা মূলত প্রিন্টারেস্ট ডটকম থেকে নিয়ে পুনরায় অঙ্কন করা হয়েছে মাত্র। তৃতীয় অধ্যায়ের আলোর তরঙ্গ ধর্ম বোঝানোর জন্য চিত্র ৩.২ অঙ্কন করা হয়েছে, তা ভারতের কোচিং সেন্টার বাইজুস থেকে নামানো। ৬৬ নম্বর পাতার চিত্রটি (৩.১১) সায়েন্স ফটোগ্যালারি ডটকম থেকে নিয়েছে।
চতুর্থ অধ্যায়ের চিত্র ৪.৪ এসেছে ফাইনআর্ট আমেরিকা ডটকম থেকে, ৪.৮ এসেছে আইস্টকফটো ডটকম থেকে। পদার্থের গঠন অধ্যায়ের অরবিটালের শক্তিক্রমের ৫.৫ চিত্র বাইজুস থেকে। জিনতত্ত্ব ও বংশগতিবিদ্যার বেশ কিছু চিত্র ও বর্ণনা এসেছে রবার্ট বেয়ারের প্রিন্সিপালস অব বায়োলেজি থেকে। জৈব অণু অধ্যায়ের ৯.২ নম্বর চিত্রটি নেওয়া হয়েছে গিকসফরগিকস ডট ওআরজি থেকে।
পাঠ্যপুস্তকের চিত্র ১২.১৬ ছাপানো হয়েছে, সেটিও বাইজুসেরই করা, যেটি আমাদের বইয়ের চিত্রকরেরা পুনঃ পুনঃ ইলাস্ট্রেশন করেছেন মাত্র। শুধু অধ্যায়ের চিত্রটিই নয়, নবম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের অনেক চিত্রের উৎসই বাইজুস। অথচ এসব ছবি হুবহু না করে নিজস্ব কনসেপ্টে আঁকা যেত।
পাঠ্যপুস্তক লেখা একটি একাডেমিক (বিদ্যায়তনিক) চর্চার অংশ। একটি রিসার্চ পেপার (গবেষণাপত্র) লিখতে যেসব নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়, পাঠ্যপুস্তক লিখতেও একই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। উৎসের উল্লেখ বা ‘কৃতজ্ঞতা স্বীকার’ না করে কোনো লেখা হুবহু বা আংশিক ব্যবহার করা হলো প্লাজিয়ারিজম (Plagiarism)। অন্যভাবে এটাকে বলা হয় ‘কুম্ভিলকবৃত্তি’। অন্য কোনো লেখার ‘মূলভাব’ ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও এটা একইভাবে প্রযোজ্য।
নতুন শিক্ষাক্রম বিষয়ে বড় ‘স্লোগান’হচ্ছে, এটা কোচিং ব্যবসা বন্ধ ও গাইড বই বাতিল করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তাহলে সেই শিক্ষাক্রমের পাঠ্যপুস্তকে কীভাবে একটি কোচিং সেন্টারের ম্যাটেরিয়ালস থাকে?
পাঠ্যপুস্তক রচনা নিয়ে যা করা হয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের অনিয়ম নিয়ে আমাদের দেশে আগে তেমন আলোচনা হয়নি। কিন্তু এখন গ্রহণযোগ্য প্রমাণ পাওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় কী করে সেটাই দেখার বিষয়। লাখ লাখ শিক্ষার্থীর বিজ্ঞান শিক্ষার দায়িত্ব যাঁদের হাতে, তাঁরা ‘পরীক্ষামূলক সংস্করণ’ কিংবা ‘পরিমার্জনের সুযোগ রয়েছে’—এসব অজুহাত দিয়েই কি সবকিছু এড়িয়ে যাবেন?
নাদিম মাহমুদ গবেষক, নিউরোসায়েন্স বিভাগ, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ই-মেইল: nadim.ru@gmail.com