বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

মতামত

বঙ্গবন্ধু: কালের কপোলতলে শুভ্র সমুজ্জ্বল

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি—এ বাক্যে যতটুকু প্রকাশ পেল, শেখ মুজিবুর রহমান আদতে তার চেয়েও বেশি কিছু। বাঙালি যে সময়ে পৃথক রাষ্ট্রের জন্য আন্দোলন শুরু করে, তখন সারা পৃথিবী স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সেক্যুলারিজম, সমাজতন্ত্রের আন্দোলনের তোড়ে ভেসে যাচ্ছিল। একের পর এক সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্ম হচ্ছিল। ১৯৫৩ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়, যাঁর প্রস্তাবক ছিলেন মাওলানা ভাসানী। কিন্তু ৫৩-পরবর্তীকালে শেখ মুজিবুর রহমান যখন ধীরে ধীরে বাঙালির প্রধান নেতা হয়ে ওঠেন, তখন সমস্ত আন্দোলন-সংগ্রামকে ধর্মনিরপেক্ষ চারিত্র্য দান করার প্রধান কৃতিত্ব তাঁরই। নতুন রাষ্ট্র সৃষ্টির চেয়েও এই কৃতিত্ব আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।  উপমহাদেশে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তা গড়ার প্রধান কারিগর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

ভাসানী ন্যাপের শ্রী রণেশ মৈত্র, যিনি শেখ মুজিবের সঙ্গে দীর্ঘদিন জেলে খেটেছেন, জেলের মধ্যে বিকেলবেলা একসঙ্গে পায়চারি করেছেন, তিনি আমার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী ছিলেন মুজিবের মস্তিষ্ক আর মাওলানা ভাসানী ছিলেন তাঁর হৃদয়।’ সংস্কৃত ভাষায় একটি শ্লোক আছে, ‘সর্বত্র জয়মন্বিষেৎ পুত্রাৎ শিষ্যাৎ পরাজয়ম্’, যার বাংলা তর্জমা হলো, সবাই সর্বদা জয় কামনা করে, কিন্তু একমাত্র পুত্র ও শিষ্যের কাছে মানুষ পরাজিত হতে চায়। এ শ্লোকের অবতারণা করার উদ্দেশ্য এটা ঘোষণা করা যে বঙ্গবন্ধু তাঁর গুরুদের অতিক্রম করে অনেক দূরে চলে এসেছিলেন এবং চলে এসেছিলেন সব অর্থেই।

সোহরাওয়ার্দীর বিশ্বাস ছিল ওয়েস্টমিনস্টার স্টাইলের সংসদীয় গণতন্ত্রে। বিশ্বাস ছিল পুঁজিবাদে। এগুলো স্থায়ীভাবে শিকড় গেড়েছিল সোহরাওয়ার্দীর ভাবশিষ্য শেখ মুজিবের মধ্যে কৈশোর থেকেই। তা সত্ত্বেও অনেক মৌলিক প্রশ্নেই সোহরাওয়ার্দীকে অতিক্রম করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। সোহরাওয়ার্দী সেক্যুলার তথা ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন কি না, তা বলা মুশকিল। কারণ, এ বিষয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে ঐকমত্য নেই। তবে জিন্নাহর ডাকে ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে’-তে দাঙ্গা ঠেকাতে বাংলার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ভূমিকা বিতর্কিত। থানায় বসে এক পক্ষকে রোখার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ।

ঐতিহাসিক শুভ বসু তাঁর ‘ডাজ ক্লাস ম্যাটার?: কলোনিয়াল ক্যাপিটাল অ্যান্ড ওয়ার্কারজ রেজিস্ট্যান্স ইন বেঙ্গল, ১৮৯০-১৯৩৭’ (২০০৪, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস) বইয়ের একটি রেফারেন্স সোহরাওয়ার্দীকে বুঝতে এখানে সাহায্য করবে। ১৯৩৭ সালে চটকলশ্রমিক ধর্মঘটের সময় কমিউনিস্ট নেতা মোহাম্মদ জামানকে ঠেকাতে চটকলের অন্যতম প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেনথলকে সোহরাওয়ার্দী বলেছিলেন, ‘কমিউনিস্টদের প্রভাব কমাতে শ্রমিকদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়ে দিতে হবে।’

একটা জাতির অস্তিত্ব ও বিকাশের জন্য, অধিকার আদায়ের জন্য শেখ মুজিবের আত্মত্যাগ ইতিহাসে বিরল। স্ত্রী-সন্তানের সান্নিধ্যের মায়া ত্যাগ করে একটা জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য যৌবনের একটা বিরাট অংশ তিনি জেলে কাটিয়েছেন। যে জাতির জন্য এ কাজ তিনি করেছিলেন, তার নাম বাঙালি জাতি। বিনিময়ে সেই বাঙালি জাতিই এর প্রতিদান দিল তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। নায়কের মৃত্যু ছাড়া ট্র্যাজেডি হয় না। শেখ মুজিব সারা জীবন ধরে যে মহাকাব্য রচনা করেছিলেন, তিনি নিজেই এর ট্র্যাজিক হিরো।

শুভ বসু কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ লাইব্রেরি ও আর্কাইভে রক্ষিত ‘বেনথল পেপারজ’ নামে খ্যাত নথি থেকে এই উদ্ধৃতি পরিবেশন করেন। অন্যদিকে, শেখ মুজিব জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাঙ্গা ঠেকানোর আপ্রাণ করছিলেন।
বাঙালিদের স্বার্থ রক্ষায়ও সোহরাওয়ার্দী কিছুই করেননি। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হওয়ার পর অনেক আশা নিয়ে যুক্তফ্রন্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী করা হলো তাঁকে, কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে বাঙালিদের জন্য তিনি কিছুই করলেন না। যাতে ক্ষুব্ধ হন ভাসানী। অসন্তুষ্ট হন শেখ মুজিবও। পক্ষান্তরে, মুজিব ছিলেন বাংলা-অন্তঃপ্রাণ।

কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলির অধিবেশনে বাংলাদেশের নাম পূর্ব পাকিস্তান করার বিরোধিতা করেন, রেডিওতে রবীন্দ্রসংগীত প্রচার বন্ধের বিরুদ্ধে হুংকার ছাড়েন।

সোহরাওয়ার্দী, নাজিমুদ্দিন প্রমুখ বড় বড় বাঙালি নেতা শহুরে উচ্চবিত্ত ঘর থেকে আসা এবং বাঙালি হয়েও বাড়িতে উর্দুতে কথা বলতেন। পক্ষান্তরে, শেখ মুজিব ছিলেন গ্রামীণ মধ্যবিত্ত, খাঁটি বাঙালি, কৃষক-শ্রমিকের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। জেলে যাওয়ার আগে স্ত্রীকে বলতেন ব্যাগের মধ্যে রবি ঠাকুরের ‘সঞ্চয়িতা’টা দিয়ে দেওয়ার জন্য। তাঁর ব্যবহৃত সেই বইয়ে দেখা গেছে বিশেষ কিছু কবিতা দাগ দেওয়া। মুসলিমপ্রধান দেশ, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে তিনি পছন্দ করলেন একটি রবীন্দ্রসংগীত। এসবই প্রমাণ করে, কীভাবে তিনি বাংলা ও বাঙালিত্বকে ধারণ করেছিলেন, কীভাবে বাংলার কৃষক-শ্রমিক খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।

সোহরাওয়ার্দী তদানীন্তন এইজিএন-আরএসএন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। ১৯৩৫ সালের ১৯ আগস্ট খিদিরপুর ডকইয়ার্ডে শ্রমিকেরা একবার বিনা নোটিশে ধর্মঘটে যান। এতে ক্ষুব্ধ মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে। সোহরাওয়ার্দীকে দেখা গেল মালিকপক্ষের উকিল হতে। শ্রমিকেরা যখন বললেন, ‘স্যার, আপনি আমাদের নেতা, আর আপনি কিনা মালিকপক্ষের ওকালতি করছেন!’ সোহরাওয়ার্দী বললেন, ‘আমি উকিল মানুষ। যে আমাকে টাকা দেবে, আমি তারই উকিল হব। তোমরা টাকা দিলে আমি তোমাদের উকিল হতাম।’ এতে বোঝা যায়, কৃষক-শ্রমিকের সঙ্গে তাঁর আত্মার যোগ ছিল না। তাঁদের নেতা সাজা নিছকই লোকদেখানো। অন্যদিকে, শেখ মুজিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে ছাত্রত্ব হারান। এভাবে বিভিন্ন দিক থেকেই তিনি সোহরাওয়ার্দীকে অতিক্রম করেন। অতিক্রম করেন মাওলানা ভাসানীকেও।

ভাসানী আইয়ুব খানের বেসিক ডেমোক্রেসি তত্ত্বে কিছুদিন বিভ্রান্ত ছিলেন। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য আইয়ুবের প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। কিন্তু শেখ মুজিব পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই বুঝে গিয়েছিলেন পশ্চিমাদের সঙ্গে থাকা যাবে না, যা তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন। তিনি পশ্চিম পাকিস্তানিদের সম্বন্ধে কথা বলার সময় মাঝে মাঝে ‘হারামি’ শব্দটি ব্যবহার করতেন। পাকিস্তানিদের সম্পর্কে তাঁর বিখ্যাত উক্তিটি এ রকম: ‘তুমি যখন ভদ্দরলোকদের সঙ্গে খেলবে তুমিও ভদ্দরলোকের মতো আচরণ করবে; কিন্তু হারামিদের সঙ্গে খেলার সময় তুমিও যদি হারামি না হও, তুমি নিশ্চিতভাবে হারবে।’ যার ফলে, পাকিস্তানিদের কোনো কাজই শেখ মুজিবকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি, সন্তুষ্টও করতে পারেনি কখনো।

প্রত্যুত্পন্নমতি মুজিব ঠিকই বুঝেছিলেন, জনগণের ম্যান্ডেট না পেলে আন্দোলন-সংগ্রামকে বৈধতা দেওয়া যাবে না, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন লাভ করা যাবে না। তাই তিনি ১৯৭০ সালের নির্বাচন অপরিহার্য গণ্য করেছিলেন।

স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের সঙ্গে যুক্ত হলো সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এটা ছিল একটি যুগান্তকারী ঘটনা কারণ ভারতের সংবিধানেও সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল না। তাঁদের সংবিধানের মূলনীতি ছিল শুধুই গণতন্ত্র। ভারত যখন দেখল, বাংলাদেশ একটি নতুন দেশে হয়েও সংবিধানে শুরু থেকেই সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা সন্নিবদ্ধ করল অথচ ভারতে তা হলো না, তখন তাঁরা ‘লজ্জা’ পেলেন এবং ১৯৭৬ সালে মিসেস গান্ধীর নেতৃত্বে তাঁরা তাঁদের সংবিধানে সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা যুক্ত করেন, যা ১৯০২ সালের গোপাল কৃষ্ণ গোখেলের বিখ্যাত উক্তি ‘হোয়াট বেঙ্গল থিংকজ টুডে, ইন্ডিয়া থিংকজ টুমোরো’ স্মরণ করিয়ে দেয়।

মনোজ বসু তাঁর ‘চীন দেখে এলাম’ গ্রন্থে ১৯৫২ সালে চীনে অবস্থানরত শেখ মুজিবের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের স্মৃতিচারণা করেন। শেখ মুজিব তাঁকে বলেছিলেন: শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানে বিহারিদের এনে বাঙালিদের চেয়ে সংখ্যায় বেশি করার চেষ্টায় আছে। কিন্তু তা হতে দেওয়া যাবে না। ১৯৭১ সালে যেসব হিন্দু ওপারে চলে গিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধু একান্তভাবে চেয়েছিলেন, তাঁরা ফিরে আসুন। কোটালীপাড়ার বামপন্থী নেতা সাংবাদিক নির্মল সেনকে বলেছিলেন মা, বাবা ও কাকাদের কলকাতা থেকে নিয়ে আসতে। যেসব হিন্দু জমিদার ভারতে চলে যাওয়ার ফলে জমিদারি প্রথা বিলোপের কারণের সম্পত্তি হারিয়েছিলেন (এনিমি প্রপার্টি অ্যাক্ট, পরে ভেস্টেট প্রপার্টি অ্যাক্টের অধীন), বাংলাদেশের নয়া সরকার তাঁদের বিপুল পরিমাণ অর্থ ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল যখন বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থা খুবই সঙিন ছিল। যাঁরা ক্ষতি পূরণ পেয়েছিলেন, তাঁদের কয়েকজনকে ঐতিহাসিক শুভ বসু ব্যক্তিগতভাবে চেনেন।

সোহরাওয়ার্দীর ভাবশিষ্য শেখ মুজিব গুরুকে অতিক্রম করে এতটা ধর্মনিরপেক্ষ কীভাবে হলেন, দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের দুঃখ-বেদনার প্রতি এ রকম একাত্ম কীভাবে হলেন? শ্রী রণেশ মৈত্রের ব্যাখ্যাটা এ রকম: কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে প্রগতিশীল লেখক-সাহিত্যিকদের লেখা বই পড়ে পড়ে ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে যায় শেখ মুজিবের মনভূমি। আমিও শ্রী মৈত্রের সঙ্গে একমত। পশ্চিম বঙ্গের সাহিত্যিক সাংবাদিক নিমাই ভট্টাচার্য ১৯৭৩ সালে বঙ্গভবনে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা হলে তাঁর ‘মেমসাহেব’ বইটি উপহার দিতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, ওটা তিনি ইতিমধ্যেই পড়ে ফেলেছেন। তার মানে হলো, বই পড়ার অভ্যাসটা গড়ে উঠেছিল জেলে বসেই। একবার দেখা গেল তিনি আলবিরুনির ‘ভারততত্ত্ব’ পড়ছেন। এ রকম সিরিয়াস বিষয়ের পাশাপাশি ‘মেমসাহেব’–এর মতো হালকা উপন্যাসও তিনি পড়তে পছন্দ করতেন।

একটা জাতির অস্তিত্ব ও বিকাশের জন্য, অধিকার আদায়ের জন্য শেখ মুজিবের আত্মত্যাগ ইতিহাসে বিরল। স্ত্রী-সন্তানের সান্নিধ্যের মায়া ত্যাগ করে একটা জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য যৌবনের একটা বিরাট অংশ তিনি জেলে কাটিয়েছেন। যে জাতির জন্য এ কাজ তিনি করেছিলেন, তার নাম বাঙালি জাতি। বিনিময়ে সেই বাঙালি জাতিই এর প্রতিদান দিল তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। নায়কের মৃত্যু ছাড়া ট্র্যাজেডি হয় না। শেখ মুজিব সারা জীবন ধরে যে মহাকাব্য রচনা করেছিলেন, তিনি নিজেই এর ট্র্যাজিক হিরো। কবি টোকন ঠাকুর তাঁর এক কবিতায় লিখেছেন, ‘মহাকাব্যের ট্র্যাজেডির শর্ত পূরণের জন্যই কি তবে তিনি নিজেই নিজের রক্ত ঢেলে দিলেন?’ কারণ একটি জাতি, কিছু মানুষ এত কৃতঘ্ন কীভাবে হয়? এ প্রশ্ন মহাকালের অনন্ত আকাশে ভেসে বেড়াবে প্রলয় অবধি।

কত যে গান আর কবিতা লেখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে, ইয়ত্তা নেই। তার মধ্যে অন্নদাশঙ্কর রায়ের কবিতাটাই সম্ভবত সেরা:
যতকাল রবে পদ্মা যমুনা
গৌরী মেঘনা বহমান
ততকাল রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান

ড. এন এন তরুণ রাশিয়ার সাইবেরিয়ান ফেডারেল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির ভিজিটিং প্রফেসর ও সাউথ এশিয়া জার্নালের এডিটর অ্যাট লার্জ। nntarun@gmail.com