আগুন লাগার খবর পেয়েই আমাদের কেয়ারটেকার মিজান ধানমন্ডির এক প্রান্ত থেকে দৌড়ে ৩২ নম্বর রোডে পৌঁছে গেল। মিজান জানত আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ইতিহাসের আর্কাইভ নিয়ে। এ কারণে সে দ্রুত ওই বাড়ির ভেতরে ঢুকে কয়েক টুকরা কাগজ উদ্ধার করল।
কিছুটা উত্তেজিত হয়ে ফোন করে বলল, বঙ্গবন্ধুর হাতে লেখা কিছু চিঠি সে রক্ষা করেছে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপে অনেকগুলো ছবি চলে এল। খানিকক্ষণ দেখার পর আমি তাকে ফোন করে জানালাম, সে মরীচিকার খোঁজে নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়েছে।
সুন্দর হস্তাক্ষরে পাঁচটি চিঠি, কিন্তু সইয়ের নিচের তারিখ লেখা ১৯৯২ সালের। তাণ্ডবের দৃশ্যপটে মিজান আসলে প্রশাসনিক অফিসে ঢুকে পড়েছিল। বাড়িটির ভেতরের আসল জাদুঘরটি ইতিমধ্যেই পুড়ে ছাই। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক একটি সময়ের প্রতিটি চিহ্ন ধ্বংস হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের অতি দ্রুত পতনের পর সরকারি ভবনে হামলাকে নিপীড়ক রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বোঝা যায়। আন্দোলনে অসংখ্য ছাত্রের মৃত্যুর ব্যাপারে হাসিনা সরকারের উদাসীনতা এবং একই সঙ্গে অবকাঠামোর জন্য আনুষ্ঠানিক কান্না আন্দোলনে আরও পেট্রল ঢেলে দিয়েছিল।
সরকারের হাতে অসংখ্য তরুণের মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশের প্রয়োজনই বোধ করেনি কেউ। এত সব ঘটনার মধ্যে ধানমন্ডির এই বাড়ির জন্য আফসোস প্রকাশ করার জায়গা হয়তো এখন কেউ দেবে না। কিন্তু একদিন বুঝতে পারবে যে তারা নিজেদের ইতিহাসের ভান্ডারে আগুন দিয়েছে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যখন বাংলাদেশের ইতিহাসের নানামুখী বয়ান বুঝতে চাইবে, তখন কীভাবে ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশককে পাঠ করবে? কীভাবে জানতে পারবে বেশ কিছু ঘটনা এই বাড়িকে কেন্দ্র করে ঘটেছিল? আর এই বয়ানের ওপর এই দেশের সব নাগরিকের অধিকার, কোনো একটি রাজনৈতিক দলের নয়।
সমসাময়িক ইতিহাসবিদেরা প্রস্তাব করছেন যে স্থাপত্য ও স্মারক ইতিহাসের দ্বিতীয় খসড়া। আমরা একটি বেখেয়ালি দেশ। এখানকার সংরক্ষণযোগ্য উপাদান ক্রমাগত নষ্ট হচ্ছে নানা পক্ষের অবজ্ঞা অথবা খারিজের মধ্য দিয়ে। ব্যক্তিগতভাবে আমি আলোকচিত্র বিষয়ের শিক্ষকতা করি। সে দিকটির কথাই আগে ভাবছি।
বেগআর্ট ইনস্টিটিউট অব ফটোগ্রাফির সংকলনে শেখ মুজিবের একটি আইকনিক ছবি আছে, মনজুর আলম বেগের তোলা। তারিখ ২৫ মার্চ ১৯৭১। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আলোচনা তখন ব্যর্থ। জেনারেল ইয়াহিয়া খান ফিরে যাচ্ছেন পশ্চিম পাকিস্তানে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে বাঙালির শক্তি দেখাতে এবং সম্ভবত ছাত্রনেতাদের উৎসাহী চাপে শেখ মুজিব তুলছেন বাংলাদেশের পতাকা।
ছবিটি নিবিড়ভাবে দেখলে বোঝা যায়, প্রথম খসড়ায় লাল বৃত্তের ভেতর বাংলাদেশের একটি মানচিত্র ছিল। ১৯৭২ সালে পতাকা থেকে মানচিত্র বাদ পড়ে যায়।
স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন দিয়ে শুরু, স্বাধীনতা দিয়ে শেষ। ছবিতে গেটের উচ্চতা চোখে পড়ে। শেখ মুজিবের মাথা আর কাঁধ বেরিয়ে আছে। চার বছর পর এই নিচু উচ্চতার গেট তাঁর জন্য শেষ বিপদ ডেকে আনে। গেটের বাইরে মাইক ধরা লোকটিও কৌতূহল জাগায়, তিনি কি উৎসাহী কোনো কর্মী, নাকি শব্দযন্ত্রের কারিগর? ধরা যাক, এই ছবির ফরেনসিক পর্যবেক্ষণও ইতিহাস পুনর্গঠনের নানা সম্ভাবনা রাখে। কিন্তু ইতিহাসের ঘটনার এক জীবন্ত পটভূমি এখন ধ্বংসস্তূপ।
সঠিক ইতিহাসের বন্দী (২০১৪) বইয়ে লিখেছিলাম, এ দেশে প্রতিটি সরকারের আমলে জোর করে ইতিহাসের একক বয়ান চাপিয়ে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসচর্চা বিনষ্ট হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকাশনা সংস্থা ও প্রচারমাধ্যমগুলো কার্যত রাষ্ট্রপ্রবর্তিত আজ্ঞাবহ ও চাটুকারী ইতিহাস প্রকাশ করেছে। এ ইতিহাস জোর গলায় বলার চেষ্টা করে যে ১৯৪৭ সালের পর থেকে আমাদের ঐতিহাসিক যাত্রাপথের প্রতিটি বাঁকে কেবল একটি আখ্যানই রয়েছে।
আমরা যারা নিজেদের ‘বাংলাদেশি ইতিহাস গবেষকদের দ্বিতীয় প্রজন্ম’-এর প্রতিনিধি (গবেষক আফসান চৌধুরীর কথা ধার করে), তারা মনে করি, বেশ কিছুদিন ধরে একটি জটিল ও বহুমুখী ইতিহাস এরা নিচু স্বরে লিখে চলেছে। এই ধারার মধ্যপ্রান্ত হলো মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের জটিল ও অমীমাংসিত ইতিহাসের একাধিক দাবিদার আছে।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনার প্রধান বাধা হলো যতবার সরকারের পরিবর্তন হয়, ততবারই আমাদের সামষ্টিক সংরক্ষণাগারের একটি অংশ মুছে ফেলা হয় এবং একটি খণ্ডাংশের ওপর জোরালো আলো ফেলা হয়। এ কারণেই জেন-জির প্রিয় একটি পরিভাষা হয়ে উঠেছে ‘পল্টিবদল’ (খেলার টিমের জার্সি বদলের মতো)।
বাংলাদেশের বয়ান জয় ও ব্যর্থতার যুগলবন্দী, এই বাইনারি ও ডায়ালেকটিক আমাদের প্রত্যেক জাতীয় নেতা ও তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের গভীরভাবে স্পর্শ করেছে। শেখ মুজিব সেই ঐতিহাসিক দোটানার অংশ; যেমন ছিলেন মাওলানা ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমদ, জিয়াউর রহমান, কর্নেল তাহের প্রমুখ। প্রথম জাতীয় নেতা হিসেবে শেখ মুজিবের জীবনে শেক্সপিয়ারের ট্র্যাজেডি ফর্মের অনেক উপাদান সম্মিলিত হয়েছিল। তিনি অর্জনের উচ্চতায় পৌঁছেছিলেন এবং নাটকীয় ব্যর্থতা রোধ করতে পারেননি।
২০১৬ সালে ডেইলি স্টার-এর এক উপসম্পাদকীয়তে আমি সরকার প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ (অস্বীকার, বিকৃতি, বিরোধিতা) অপরাধ আইন’ সম্পর্কে লিখতে গিয়ে আহমদ ছফার উদ্ধৃতি দিয়ে শেষ করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল ‘মহাসিন্ধুর কল্লোল’।
এই আইনের প্রস্তাবিত ৪(২) ধারা পড়লে যেকোনো ইতিহাসবিদের রক্ত হিম হয়ে যাবে। সেখানে লেখা ছিল, ‘১৪ আগস্ট ১৯৪৭ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ সালের মাঝে সকল ঘটনা মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ছিল, তা অস্বীকার করা নিষিদ্ধ’। এর অর্থ হলো, ১৯৭১ সালের আগে কোনো মুহূর্তে পূর্ব পাকিস্তানের নাগরিকেরা যদি পাকিস্তান প্রকল্পে বিশ্বাস করে থাকে, সে তথ্য পরিবেশন করা যাবে না।
বাংলাদেশ সারা জীবন পেন্ডুলামের দোলার মধ্যেই আটক থাকল। এ এক অস্থির জাতীয় মানসের বহিঃপ্রকাশ। একসময় বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের একক নায়ক, আরেক সময় শহীদ জিয়া; আমাদের জটিল ইতিহাসকে অতি সরলীকরণ করতে করতে কিছুই আর বাকি রইল না। ইতিহাসের কোন প্রতিনায়ককে নিয়ে কখন গবেষণা করতে দেওয়া হয়, তা থেকেও বোঝা যায় ইতিহাস কার তদারকিতে আছে।
বিএনপি আমলে সিরাজ সিকদারকে নিয়ে লিখলে পত্রিকা সেটা ছাপাতে পারে। আবার আওয়ামী লীগ আমলে কর্নেল তাহেরকে নিয়ে লেখা সম্ভবপর হয়। এভাবে কি ইতিহাসের চর্চা হতে পারে? আমার এক একাডেমিক সহকর্মী সম্প্রতি ম্যাডিসনে দক্ষিণ এশিয়া কনফারেন্সে আমাকে বলেন, ‘তোমরা বাবা ইতিহাসের ঝঞ্ঝাট নিয়ে থাকো, আমি শান্তিতে পরিবেশবিদ্যা নিয়ে কাজ করি। ভবিষ্যৎ কোনো সরকার এসে বলতে যাবে না যে গাছ কেটে ফেলা পরিবেশের জন্য ভালো।’
বাংলাদেশের বয়ান জয় ও ব্যর্থতার যুগলবন্দী, এই বাইনারি ও ডায়ালেকটিক আমাদের প্রত্যেক জাতীয় নেতা ও তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের গভীরভাবে স্পর্শ করেছে।
শেখ মুজিব সেই ঐতিহাসিক দোটানার অংশ; যেমন ছিলেন মাওলানা ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমদ, জিয়াউর রহমান, কর্নেল তাহের প্রমুখ। প্রথম জাতীয় নেতা হিসেবে শেখ মুজিবের জীবনে শেক্সপিয়ারের ট্র্যাজেডি ফর্মের অনেক উপাদান সম্মিলিত হয়েছিল। তিনি অর্জনের উচ্চতায় পৌঁছেছিলেন এবং নাটকীয় ব্যর্থতা রোধ করতে পারেননি।
বেগআর্টের আলোকচিত্রে ৩২ নম্বরের গেটের উচ্চতার কথা বলছিলাম। ছবিটি দেখে মনে পড়ে যায়, ১৯৭০-এর দশকে একটা সময় ছিল, যখন নেতাদের বিশাল প্রাচীরের পেছনে লুকাতে হতো না। (১৯৬৩ সালে ডালাস শহরে জন এফ কেনেডি সেই যে খোলা গাড়িতে উঠেছিলেন, এরপর আর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেটা করতে পারেননি)।
শেখ মুজিবকে নিয়ে ট্র্যাজেডির কথা মনে আসে, কারণ, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি স্বেচ্ছায় এই প্রত্যয় নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামছিলেন যে এই সেনাবাহিনী তাঁর নিজের দামাল ছেলেরা। তারা নিশ্চয়ই তাঁর ক্ষতি করবে না।
শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি জিয়াউর রহমানের করুণ পরিণতির কথাও মনে পড়ে যায়। জিয়া চট্টগ্রামে এসেছিলেন বিএনপির ভেতরে দুই দলের কোন্দলের সমাধান করতে। সেই মুহূর্তে তাঁর নজর সেনাবাহিনী থেকে সরে গিয়ে পড়েছিল দলের ওপর। ১৯৯০-এর দশকে একবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস দেখতে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, জিয়া দরজা খুললেন কেন? ৩২ নম্বরের ঘটনার মতোই তিনিও হয়তো ভেবেছিলেন, আমার ছেলেরা আমাকে কিছু করবে না।
১৯৭২ সালে শেখ মুজিবের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের একটা আলোকচিত্র আছে; খন্দকার মোশতাক আহমদ তাঁকে এতই সজোর আলিঙ্গন করছেন যে তাঁর চশমা খুলে গেছে। ১৯৭৫ সালে এই মোশতাকই সিংহাসনের লোভে ষড়যন্ত্রে শামিল হলেন। আবার ১৯৮১ সালে জিয়ার ওপর হামলায় জড়িত হয়ে পড়লেন জেনারেল মঞ্জুর, যিনি একসময় তাঁর সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহযোগী ছিলেন। বিশ্বাসে ফাটল ধরায় মঞ্জুরকে বন্দর শহরে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
১৯৭০-এর দশকজুড়ে পুনরাবৃত্তি হয়েছে এই আত্মঘাতী বিন্যাসের। এর ফলে একদিকে সামরিক অভ্যুত্থানে শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মনসুর আলী, কামারুজ্জামানের মতো মুক্তিযুদ্ধকালীন রাজনৈতিক নেতাদের হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছে।
আরেক দিকে খালেদ মোশাররফ, এ টি এম হায়দার, খন্দকার নাজমুল হুদা, কর্নেল আবু তাহের, জিয়াউর রহমান এবং মোহাম্মদ মঞ্জুরের মতো মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তারাও রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্ব ও মৃত্যুর কবলে পড়েছেন।
বাংলাদেশ একটি বহুস্তরী, অস্পষ্ট ও অমীমাংসিত ইতিহাসকে ধারণ করে। সলিমুল্লাহ খান সম্পাদিত বেহাত বিপ্লব (আগামী, ঢাকা, ২০০৭) আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে মুক্তিযুদ্ধের ফল জনগণের কাছে কোনো দিনও পৌঁছায়নি। আমাদের স্ববিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ইতিহাসকে এমন এক হাতিয়ার করতে চাইল, যা দিয়ে তারা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করবে।
গত এক দশকে রাষ্ট্র ও তার অতি উৎসাহী বন্ধুরা ইতিহাসকে প্রতিপক্ষ হত্যার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। এ ক্ষেত্রে একমুখী পর্যবেক্ষণের কোনো অবকাশ নেই। লীগ সরকার যেমন প্রতিপক্ষকে ইতিহাসের বইয়ে জায়গা দেয়নি, বিএনপি সরকারও প্রতিপক্ষ হয়ে ঠিক একই কাজ করেছে।
দুই রাজনৈতিক দলই ইতিহাস বিকৃতির কাজে শক্তি প্রয়োগ করেছে। পার্থক্য এই যে বিগত সরকার দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার কারণে ইতিহাস পরিবর্তনের কাজে আরও নিপুণ হয়ে উঠেছিল।
বাংলাদেশের ইতিহাস রচনার কাজ ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপ, চোখ রাঙানো ও সেন্সরশিপের কারণে নাটকীয়ভাবে পর্যুদস্ত হয়েছে। এখনো যদি এটি অব্যাহত থাকে, তাহলে ইতিহাসচর্চার মাধ্যমে জাতীয় সব স্রোতের পুনর্মিলনের সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হয়ে আসবে। ইতিহাসযুদ্ধে শুদ্ধিকরণ, খারিজ ও প্রতিশোধ ১৯৭২ সাল থেকে আজ অবধি সব আমলেই অল্পবিস্তর হয়েছে।
ছাত্র-জনতার সাম্প্রতিক বিদ্রোহের পর আমরা জটিল এক পরিবর্তনের প্রথম অস্থিতিশীল মুহূর্তে আছি। গোড়ায় গলদের ব্যাপারে সাবধান, ইতিহাস নিয়ে আবারও যেন খেলা শুরু না হয়।
ড. নাঈম মোহায়মেন ইতিহাস-গবেষক এবং যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলার অধ্যাপক। ই–মেইল: naeem.mohaiemen@columbia.edu