বিশ্লেষণ

স্বাধীনতার পর প্রথম দুটি সংসদ নির্বাচন কেমন ছিল

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ হচ্ছে নির্বাচন। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ক্ষমতাকে বৈধতা দেয়। গ্রহণযোগ্য না হলে সেই ক্ষমতার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাই নির্বাচন শুধু আইনি বা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয় নয়; এর সঙ্গে ক্ষমতার বৈধতা, গণতন্ত্র, রাজনৈতিক বন্দোবস্ত—এ সবকিছুই জড়িত। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে সাতবার সামরিক শাসনসহ দলীয় সরকার ও চারবার নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে। এসব নির্বাচনের প্রেক্ষাপট, নির্বাচনের ফলাফল এবং রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে এর প্রভাব নিয়ে পাঁচ পর্বের লেখার আজ প্রথম পর্ব

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন করা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং এর প্রধান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে মানুষের প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। এ সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বেশ কিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্তও নিয়েছিল। এক বছরের মধ্যে একটি সংবিধান প্রণয়ন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয়।

১৯৭৩: প্রথম সংসদ নির্বাচন

১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর নতুন সংবিধান কার্যকর হয়। এর অধীনে ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ প্রথম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, ন্যাপ (মোজাফফর), ন্যাপ (ভাসানী), সিপিবি, জাসদসহ মোট ১৪টি দল অংশ নেয়। নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৮৯ জন।

ওই সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। আওয়ামী লীগের ইশতেহারে নির্বাচনকে ‘মুজিববাদ’ এবং সংবিধানের ওপর ‘গণভোট’ বলে দাবি করা হয়েছিল। অন্যদিকে বিরোধী দল ন্যাপ (ভাসানী) ও জাসদ বলেছিল, তারা নির্বাচিত হলে একটি গণতান্ত্রিক ও ‘খাঁটি’ সমাজতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন করবে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও রাজনীতিতে তখন প্রগতিশীল ও বামপন্থী প্রবণতা ছিল লক্ষণীয়। ’৭৩–এর নির্বাচন উপলক্ষে দলগুলোর ঘোষিত ইশতেহারেও এর স্পষ্ট প্রতিফলন ছিল। নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব দলই সাধারণ মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

সে সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং অর্থনৈতিক সংকটের কারণে জনগণ ছিল কিছুটা অসন্তুষ্ট। এ ছাড়া নির্বাচনের কয়েক মাস আগে আওয়ামী লীগ ভেঙে নতুন দল জাসদ গঠিত হয়েছিল। এরপরও নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় ছিল নিশ্চিত।

এ বিষয়ে মওদুদ আহমদ তাঁর বাংলাদেশ: শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকাল বইয়ে লিখেছেন, ‘এ সময়ে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি দিনে দিনে ক্ষুণ্ন হয়ে চললেও ব্যক্তি হিসেবে শেখ মুজিবের অবদান ছিল তখনো প্রশ্নাতীত এবং একমাত্র তাঁর জনপ্রিয়তার ওপর নির্ভর করেই আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের তুলনায় অনেক বেশি প্রাধান্য বিস্তার করে চলে। শেখ মুজিবের ব্যক্তিগত ইমেজ নির্বাচনের ওপর তার নিদারুণ প্রভাব বিস্তার করে চলে এবং এর ফলে আওয়ামী লীগ যে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করবে, এ নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ ছিল না।...’

প্রথম সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের ১১টিতে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চারটি আসনে প্রার্থী হন এবং দুটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত অন্য নয়জন ছিলেন সোহরাব হোসেন, তোফায়েল আহমেদ, মোতাহার উদ্দিন, কে এম ওবায়দুর রহমান, এ এইচ এম কামারুজ্জামান, রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া, মনোরঞ্জন ধর, সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও জিল্লুর রহমান।

সরকার–সমর্থক সংবাদপত্রগুলোতেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, বিরোধী দলগুলো ১৫-২০টি আসন পেতে পারে। কিন্তু ফল প্রকাশের পর দেখা গেল, ২৮৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৮২ আসনে জয়ী হয়েছে। ২টি আসনে বিরোধীরা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন বাকি ৫টি আসনে। বিরোধী দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় লীগের প্রবীণ নেতা আতাউর রহমান খানের জয়লাভের বিষয়টি ছিল উল্লেখযোগ্য।

এ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৫৫.৬২ শতাংশ। মোট বৈধ ভোটের ৭৩.২০ ভাগই পেয়েছিল আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮.৩৩ ভাগ ভোট পেয়েছিল ন্যাপ (মোজাফফর)। এরপর জাসদ ৬.৫২ এবং ন্যাপ (ভাসানী) পেয়েছিল ৫.৩২ ভাগ ভোট।

 নির্বাচনে নিশ্চিত বিজয়ের সম্ভাবনা সত্ত্বেও বিরোধীদের প্রতি আওয়ামী লীগের অবস্থান ছিল বেশ কঠোর। নির্বাচনে বেশ কিছু আসনে ভোট গণনায় বিরোধীদলীয় প্রার্থীরা এগিয়ে থাকলেও তাঁদের শেষ পর্যন্ত জয়ী হতে দেওয়া হয়নি বলে বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল। এ প্রক্রিয়ায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোশতাক আহমদকে জয়ী ঘোষণার বিষয়টি ছিল বহুল আলোচিত।

এ বিষয়ে তাজউদ্দীন আহমদ: নেতা ও পিতা বইয়ে শারমিন আহমেদ লিখেছেন, ‘নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করলেও দলের কিছু নেতা নির্বাচনে কারচুপি করে জিতেছে এ খবর কিছু পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং বড়দের আলোচনা থেকেও সে খবর শুনতে পাই। সিলেটের কয়েকটি আসনে কারচুপি এবং কুমিল্লায় খন্দকার মোশতাক চুরি করে জিতেছে এই খবরগুলো রাজনৈতিক মহলে তখন অজানা ছিল না।’

১৯৭৩ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুটি আসন হারায়। তবে সেই সময় জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১৫টি আসনের সবগুলোই লাভ করে আওয়ামী লীগ। এর ফলে সংসদে মোট ৩১৫টি আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আসনসংখ্যা ছিল ৩০৬।

এ নির্বাচন নিয়ে সরকারি দলের প্রতি বিরোধী দলগুলোর অনাস্থা ও অবিশ্বাসের জন্ম হয়েছিল। স্বল্পসংখ্যক আসন পাওয়ায় সংসদে বিরোধীরা কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। অন্যদিকে সংসদে ‘ব্রুট মেজরিটি’ থাকায় সরকারের পক্ষে ইচ্ছেমতো সংবিধান সংশোধনের সুযোগ তৈরি হয়েছিল।

১৯৭৯: দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হলে তাঁর সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী মোশতাক আহমদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। ২০ আগস্ট তিনি ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতা (রেট্রোস্পেকটিভ ইফেক্ট) দিয়ে সামরিক আইন জারি করেন। তিনি ২৪ আগস্ট কে এম সফিউল্লাহকে সরিয়ে জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করেন।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময়টা ছিল ব্যাপক ঘটনাবহুল। এ সময় সামরিক বাহিনীর উচ্চাভিলাষী কর্মকর্তাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটে এবং জিয়াউর রহমান ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন। বিচারপতি সায়েম রাষ্ট্রপতি হলেও ৭ নভেম্বরের পর জিয়াই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। ১৯৭৬ সালের ২৯ নভেম্বর তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন।

জিয়া রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই বছরের ৩০ মে গণভোট হয়। জিয়ার ওপর জনগণের আস্থা আছে কি না, সেটা জানাই ছিল এর উদ্দেশ্য। গণভোটে তিনি প্রায় ৯৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বলে সরকারিভাবে দেখানো হয়। পরে ১৯৭৮ সালের ৩ জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জিয়া তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের নেতৃত্বে আসেন।

কেউ কেউ মনে করেন, ডান, বাম, ইসলামপন্থীদের এক প্ল্যাটফর্মে এনে জিয়া ‘ভারসাম্যের রাজনীতি’ চালু করেছিলেন। আবার কারও কারও মতে, এটি ছিল ‘সুবিধাবাদের রাজনীতি’। তিনি ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ নামে নতুন একটি ধারা তৈরি করেন। এটি ছিল তাঁর অন্যতম নির্বাচনী ইস্যু।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ‘জয়ী’ হয়ে জিয়া জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগ দুই ভাগ হয়ে গিয়েছিল। এর এক অংশের নেতৃত্বে ছিলেন আবদুল মালেক উকিল। আরেক অংশের নেতৃত্ব দেন মিজানুর রহমান চৌধুরী। নবগঠিত বিএনপি, আওয়ামী লীগের দুই অংশ, ন্যাপ (মোজাফফর), সিপিবি, জাসদসহ মোট ২৯টি দল নির্বাচনে অংশ নেয়। নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ২ হাজার ১২৫ জন।

সামরিক শাসনের অধীনে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২০৭টিতে জয়ী হয় বিএনপি। আওয়ামী লীগ (মালেক) পায় ৩৯টি আসন। আওয়ামী লীগ (মিজান) ২টি, জাসদ ৮টি এবং এমএল–আইডিএল (মুসলিম লীগ ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ) পায় ২০টি আসন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র্র প্রার্থীরা পেয়েছিলেন ১৬টি আসন।

এ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৫০.৬২ শতাংশ। এর মধ্যে বিএনপি ৪১.১৬ ভাগ, আওয়ামী লীগ মালেক ২৪.৫৫ ভাগ, আওয়ামী লীগ (মিজান) ২.৭৮ ভাগ, জাসদ ৪.৮৪ ভাগ এবং এমএল–আইডিএল পায় ১০.০৮ ভাগ ভোট।

 বিরোধী দলগুলো এ নির্বাচন নিয়ে অভূতপূর্ব কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল। আওয়ামী লীগ (মালেক) অভিযোগ করেছিল, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার জরিপের ভিত্তিতে ‘নীলনকশা’র এ নির্বাচনের ফল পূর্বনির্ধারিত ছিল।

মহিউদ্দিন আহমদ তাঁর বিএনপি: সময়–অসময় বইয়ে আবদুল মালেক উকিলকে উদ্ধৃত করে লিখেছেন, ‘নির্বাচনের আগেই বঙ্গভবনে ফলাফল সম্পর্কে যে নীলনকশা তৈরি হয়েছিল, সেটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে; সবকিছুই নির্ধারিত হয়েছে নির্বাচনের আগে নেওয়া বিভিন্ন সংস্থার জরিপের ভিত্তিতে।’

সামরিক শাসনের অধীনে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন নিয়ে শুরু থেকেই নানা শঙ্কা ছিল। বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে সামরিক আইন বাতিলসহ বেশ কিছু শর্ত দিয়েছিল। তবে সেসব শর্ত পূরণ না হলেও তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল।

এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবুল ফজল হক বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা ও রাজনীতি বইয়ে বলেছেন, ‘...বিরোধী দলসমূহ এ নির্বাচনে অভূতপূর্ব কারচুপির অভিযোগ করলেও সংসদে যোগ দিয়ে জিয়ার সামরিক সরকারকে বৈধতা দেয়।’

নির্বাচনের পর ২ এপ্রিল সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে। ১৯৭৯ সালের ৬ এপ্রিল সামরিক শাসন প্রত্যাহার করা হয়। সেদিনই সংসদে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী পাস হয়। পুরো প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জিয়া নবগঠিত বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসেন এবং নিজের ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দেন।

সূত্র: ১. মওদুদ আহমদ, বাংলাদেশ: শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকাল, ইউপিএল

২. শারমিন আহমদ, তাজউদ্দীন আহমদ: নেতা ও পিতা, ঐতিহ্য

৩. মহিউদ্দিন আহমদ, বিএনপি: সময়–অসময়, প্রথমা

৪. আবুল ফজল হক, বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা ও রাজনীতি, অনন্যা

৫. নেসার আমিন সম্পাদিত বাংলাদেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা ও ফলাফল, ঐতিহ্য

[আগামীকাল পড়ুন: এরশাদ আমলে ভেঙে পড়ে নির্বাচনী ব্যবস্থা]