১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সপরিবার মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর এম সাখাওয়াত হোসেনের যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। হত্যাকাণ্ডের পর তিনি ছিলেন সেই রক্তাপ্লুত বাড়ির প্রথম প্রত্যক্ষদর্শী। প্রথমা প্রকাশন থেকে এ বছর বেরোনো তাঁর রক্তাক্ত দিনগুলো: ১৯৭৫-৮১: অভ্যুত্থান–পাল্টাঅভ্যুত্থান: প্রত্যক্ষদর্শীর অভিজ্ঞতা নামে বইয়ে আছে সেদিনের অভিজ্ঞতার রোমহর্ষ বিবরণ। বইটির ‘মৃত্যুপুরী বঙ্গবন্ধুর বাড়ি’ অধ্যায় থেকে পাঠকদের জন্য সে অভিজ্ঞতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। আজ প্রকাশিত হলো লেখাটির শেষ পর্ব।
বঙ্গবন্ধুকে কে কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে গুলি করেছিল, তখন তা সঠিকভাবে জানতে পারিনি। আর তার সঠিক তথ্য কোনো দিন পাওয়া যাবে কি না, জানি না। তবে অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের বাংলাদেশ: আ লেগাসি অব ব্লাড বইটিতে তিনি যে তথ্য বা বিবরণ তুলে ধরেছেন, তা থেকে জানা যায়, মেজর হুদা, মুহিউদ্দিন এবং নূর বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে প্রবেশ করার পর মুহিউদ্দিন সিঁড়ির ওপরে উঠতে গিয়ে শেখ সাহেবের সামনাসামনি হন।
শেখ সাহেব তখন ওপর থেকে নিচে নামছিলেন। মেজর মুহিউদ্দিন মুজিবকে হত্যা করার নিয়ত নিয়ে গেলেও জীবনে এই প্রথম মুজিবের সামনাসামনি হওয়ায় এবং তাঁর অবিচল চেহারা আর ব্যক্তিত্ব দেখে কিছুটা ভড়কে যান। প্রায় তোতলানো ভঙ্গিতে তিনি বলেন, ‘স্যার, আপনি আসুন।’
মুজিব উচ্চকণ্ঠে বলেন, ‘তোমরা কী চাও, তোমরা কি আমাকে মারতে এসেছ? এটা ভুলে যাও। আমাকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী মারতে পারেনি আর তোমরা আমাকে মারবে—এ চিন্তা করলেই-বা কীভাবে!’ মুজিব তাদের সঙ্গে কথোপকথন প্রলম্বিত করতে লাগলেন এই আশা থেকে যে যাঁদের তিনি ফোন করেছিলেন, হয়তো এই ফাঁকে তাঁদের তরফ থেকে কোনো না কোনো সাহায্য এসে পৌঁছাবে।
মুহিউদ্দিন বারবার একই কথা বলে যাচ্ছিলেন, ‘স্যার, আপনি আসুন’ এবং মুজিব প্রত্যেকবার কথা বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। কিছুক্ষণ পর মেজর নূর স্টেনগান হাতে সেখানে উপস্থিত হন এবং স্বগতোক্তির মতো করে কিছু বলার চেষ্টা করেন, যা বোঝা যায় না। মুহিউদ্দিনের অপারগতা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে নূর স্টেনগান থেকে টানা গুলি ছুড়ে মুজিবের বুকের ডান দিক ঝাঁঝরা করে দেন। গুলি খেয়ে মুজিব উপুড় হয়ে গড়িয়ে সিঁড়ির ওপর মুখ থুবড়ে পড়ে যান। হাতে তাঁর প্রিয় পাইপটি তখনো ধরা ছিল। তখন সম্ভবত সকাল আনুমানিক ৫টা ৪০ মিনিট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এভাবে বাঙালিদের প্রতি মুজিবের অকৃত্রিম ভালোবাসার অন্ত হয়।
অ্যান্থনি (মাসকারেনহাস) আরও লিখেছেন, ফারুকের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি (ফারুক) তাঁকে (মাসকারেনহাস) বলেন যে মুজিব একজন বিরাট ব্যক্তিত্বের অধিকারী নেতা ছিলেন। ফলে মুহিউদ্দিন তাঁর সামনে সম্পূর্ণভাবে নিষ্প্রভ হয়ে গিয়েছিলেন আর সে সময় যদি মেজর নূর সেখানে না পৌঁছাতেন, তাহলে কী যে হতো, বলা কঠিন। গুলির আওয়াজ শুনে বেগম মুজিব বেডরুমের বাইরে আসতেই দরজার সামনে তাঁকেও হত্যা করা হয়। পরে একে একে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে হত্যা করা হয়।
এ প্রসঙ্গে বজলুল হুদার উদ্ধৃতি দিয়ে মহিউদ্দিন আহমদ তাঁর জাসদের উত্থান–পতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি বইয়ে বিস্তারিত লিখেছেন। এর আগে কয়েকটি আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে দেওয়া ফারুক-রশীদের সাক্ষাৎকার থেকে এ সম্পর্কে আরও বিশদ তথ্য পাওয়া যায়। সেখানে তাঁরা নিজেদের সুস্পষ্টভাবে আত্মস্বীকৃত খুনি বা এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী হিসেবে তুলে ধরেছিলেন।
বজলুল হুদা বলেছিলেন যে সেদিন তাঁরা বঙ্গবন্ধুকে মারতে যাননি। আসলে তাঁকে রেডিও স্টেশনে নিয়ে গিয়ে বাকশাল গঠন বাতিল করা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে ঘোষণা দেওয়ার জন্য তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করা হতো।
এ-কথা আমি তখনো একাধিকবার শুনেছি। তবে মহিউদ্দিন আহমদ এ ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে লিখেছেন বজলুল হুদা আর জাসদ নেতা বাতেনের কথোপকথনের উদ্ধৃতি দিয়ে। তাঁর বিবরণ আমাদের এই সিদ্ধান্তে নিয়ে যায় যে হুদার এমন বক্তব্য অবাস্তব। তাঁদের হত্যাকাণ্ডের হীন চক্রান্তকে আড়াল করতেই হুদা এসব কথা বলেছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর মতো ব্যক্তিত্ব, যাঁকে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী পাকিস্তান সেনাবাহিনী এমনকি ইয়াহিয়ার সামরিক জান্তাও মচকাতে পারেনি, দেশের মাটিতে সেনাবাহিনীর কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল মেজর তাঁকে দিয়ে এমন কিছু করাতে পারবে—এ ছিল এক অবিশ্বাস্য, অবাস্তব ভাবনা।
মেজর মুহিউদ্দিনের (প্রথম বেঙ্গল ল্যান্সার) চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা আমি আগেও শুনেছিলাম কিন্তু বিশ্বাস করতে পারিনি। এই হালকা-পাতলা গড়নের অফিসারটি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ফিরে আর্মি সাপ্লাই কোর থেকে ট্যাংক রেজিমেন্টে যোগদান করেন। ট্যাংক রেজিমেন্টে (আর্মার্ড কোর) যোগদানের দিন কয়েক আগে আমার বাসায় তাঁর সঙ্গে দেখা হয়। তখন ভাবতেও পারিনি, তিনি এমন একটা কাণ্ড করতে পারেন।
ওই সময় ল্যান্সার ইউনিট ৪৬ ব্রিগেডের অধীনে ছিল। কিন্তু মিসর থেকে ট্যাংক আসার পর ৪৬ ব্রিগেড থেকে ট্যাংক রেজিমেন্ট নিয়ে যাওয়া হয় সেনাসদরের অধীনে, অর্থাৎ চিফ অব আর্মি স্টাফের সরাসরি অপারেশনাল কমান্ডে। বস্তুত পাকিস্তানফেরত অনেক অফিসারই তাঁদের পূর্বতন কোর বা সেনা শাখা ছেড়ে অন্য শাখায়, যেখানে কর্মকর্তার অভাব ছিল, সেখানে স্থানান্তরিত হন।
ঐতিহাসিকভাবে সেনাবাহিনীর ল্যান্সার ইউনিট (যা ঘোড়সওয়ার দিয়ে শুরু হয়) তার জাঁকজমকের জন্য সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করত। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশেও অনেকেই এই ইউনিটে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন, যার মধ্যে মুহিউদ্দিনও ছিলেন। মেজর নূর তখন অবসরপ্রাপ্ত। খুব বেশি পরিচিত নন। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই অফিসারটি তখনকার সর্বাধিনায়ক কর্নেল এম এ জি ওসমানীর এডিসি ছিলেন। মেজর নূর সম্বন্ধে মহিউদ্দিন আহমদ তাঁর ওই বইয়ে আরও লিখেছেন:
মেজর নূর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে ছাত্র ইউনিয়নের (মেনন গ্রুপ) সদস্য ছিলেন। পরে তিনি সর্বহারা পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন। সিরাজ সিকদার নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনি ক্ষুব্ধ হন।
আমি বঙ্গবন্ধুর মৃতদেহের সামনে আর বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না। বুকের ভেতরে কেমন একটু অস্থির অস্থির লাগছিল। ওপরে উঠতে হলে বঙ্গবন্ধুর মৃতদেহকে ডিঙিয়ে যেতে হবে, যা খুবই অমর্যাদাকর ব্যাপার হবে মনে করে কোনোরকমে দেয়াল ঘেঁষে ওপরে শেখ সাহেবের শয়নকক্ষের দিকে চলে গেলাম। অতিসাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের শয়নকক্ষ। তাতে একটি ডাবল খাট পাতা, পাশে একটি আলমারি, তারপর খুব একটা বেশি ফাঁকা জায়গা নেই। কোনায় একটি টেবিলের ওপরে রাখা গোটা তিনেক ফোন। তার মধ্যে রেড ফোনটাও ছিল, যেটা দিয়ে চূড়ান্ত বিপদের মুহূর্তে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তিনি।
সাইড টেবিলে দেখলাম আরও কয়েকটি পাইপ আর তাঁর শখের এরিনমোর টোব্যাকো। দেখলাম সিঁড়ি থেকে এ ঘরটি পর্যন্ত রক্তে রক্তে একাকার। প্রায় শুকিয়ে যাওয়া রক্তের গন্ধ নাকে যেতেই কেমন অসহ্য লাগল। চোখে পড়ল বুটেরও অনেক দাগ। ঘরজুড়ে সৈনিকদের চলাচলের চিহ্ন এগুলো। মাস্টার বেডরুমের মধ্যেই পরিবারের নিহত সবার দেহই দেখলাম। হয়তো একই রুমে সবাইকে হত্যা করা হয়েছে অথবা একত্র করার জন্য দু-একজনের মৃতদেহকে এক রুমে টেনে নিয়ে আসা হয়েছে।
বেডরুমে ঢোকার মুখেই বেগম মুজিবের মৃতদেহটা দেখলাম। তাঁর পাশেই ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে কামাল, জামাল আর তাদের সদ্য বিবাহিত দুই বধূ এবং সবার শেষে কোনার দিকে শিশু রাসেলের মৃতদেহ। রাসেল বঙ্গবন্ধুর ছোট সন্তান বলেই তাকে আদরও করতেন অনেক বেশি।
রাসেলের মৃতদেহ দেখেই আমার ভীষণ প্রতিক্রিয়া হলো। মনটা বেদনায় ভারী হয়ে উঠল। এই অবুঝ শিশুর প্রাণ হরণ করার কি যৌক্তিকতা থাকতে পারে? পরে আমাকে আমার পাশে দাঁড়ানো অফিসারই জানাল, যাতে চাক্ষুষ কোনো সাক্ষী না থাকে, সে জন্যই সবাইকে হত্যা করা হয়েছিল। এ কথার কতখানি যৌক্তিকতা আছে, সেদিন তা ভেবেই দেখিনি। তবে হত্যাকাণ্ডের পরে বজলুল হুদার সঙ্গে বাতেনের যে কথা হয়েছিল, তাতে হুদা একই কারণ উল্লেখ করেছিলেন, মহিউদ্দিন আহমদের বইয়ে দেওয়া এ-সংক্রান্ত বিবরণ থেকে তার প্রমাণ পাওয়া যায়।
জামালের চেহারার দিকে আবার তাকালাম। তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে। যে কারণে তাঁর দেহের রক্ত আর মাংস ছিটকে দেয়ালে লেগে ছিল। জামালকে দেখে মনে পড়ে, মাত্র কয়েক দিন আগেই তাঁর বিবাহোত্তর পার্টি হয়েছিল ৪৬ ব্রিগেড অফিসার মেসে। নববিবাহিত দম্পতিকে সেনাবাহিনীর মেসের প্রথা অনুযায়ী অন্যান্য অফিসার ও পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যই এটা করা হয়েছিল। সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্ট মিলিটারি একাডেমি থেকে কমিশনপ্রাপ্তির পর তাঁকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়নে নিয়োগ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় বেঙ্গল তখন ঢাকায় ৪৬ ব্রিগেডের অন্যতম পদাতিক বাহিনী।
স্যান্ডহার্স্ট পৃথিবীর অন্যতম সেরা মিলিটারি একাডেমি। যুক্তরাজ্যের এই মিলিটারি একাডেমি রয়্যাল মিলিটারি একাডেমি হিসেবেও পরিচিত। স্যান্ডহার্স্টে একজন ক্যাডেটকে পাঠাতে হলে তাঁকে অত্যন্ত কঠিন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। জামাল যদিও এসবের মধ্য দিয়ে যাননি, পরে তাঁকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন দেওয়া হয়। এভাবে সেনাবাহিনীতে তাঁর অন্তর্ভুক্তি নিয়েও জুনিয়র অফিসারদের মধ্যে কিছু আলোচনা ছিল।
জামালকে আমি প্রথম দেখি যখন প্রথম ইন্টারভিউর জন্য তাঁকে কমান্ডারের কাছে আনা হয়। তাঁর সঙ্গে আমি প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলি, বিশেষ করে জানতে চাই তাঁর স্যান্ডহার্স্টের অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে। আমার মনে আছে, আমি আর কর্নেল শাফায়াত জামিল প্রথমে জামালকে সেনানিবাসের প্রথা অনুযায়ী অফিসার মেসে এবং বিবাহ-পরবর্তীকালে সেনাছাউনিতে রাখার ব্যাপারে একমত হয়েছিলাম। সে রকম নির্দেশ তাঁর ইউনিট কমান্ডারকে জানানো হয়েছিল।
কিন্তু কয়েক দিন পর কর্নেল শাফায়াত জামিল আমাকে তাঁর অফিসে ডেকে স্বভাবসিদ্ধ স্মিত হাসি হেসে জানালেন যে বঙ্গবন্ধু জামালকে তাঁর মায়ের ইচ্ছানুযায়ী নিজের কাছেই রাখতে চান এবং সেখান থেকেই তিনি নিয়মিত ইউনিটে যাতায়াত করবেন। আমি কমান্ডারকে একজন নবীন অফিসারের সেনাছাউনির বাইরে থাকার ব্যাপারে অন্যান্য অসুবিধার কথা স্মরণ করালে তিনি হেসে জানালেন, আউট লিভিং স্যাঙ্কশন করা হয়ে গেছে।
বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ঘণ্টাখানেক থেকে আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে চলে এলাম ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারে। ফেরার সময় সমস্ত পথটা ভাবতে ভাবতে এলাম। মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেক রক্তাক্ত অধ্যায়ে যোগ হলো এমন এক ব্যক্তি আর তাঁর পরিবারের সদস্যদের রক্ত, যিনি তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। তখনো বুঝতে পারিনি এই রক্তাক্ত অধ্যায়ের শেষ কোথায় গিয়ে হবে।
ফেরার পথেও প্রায় একই দৃশ্য। কোথাও তেমন কেউ নেই। ফার্মগেটের কাছে কিছু মানুষের জটলা। কিন্তু কোনো ধরনের প্রতিবাদ বা প্রতিরোধের চিহ্ন দেখলাম না। রক্ষীবাহিনীর সদর দপ্তর এবং ব্যারাকের বাইরে কাউকে দেখা যায়নি। মনে হলো, এত বড় বাহিনী কর্পূরের মতো উবে গেছে। (শেষ)
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার