বিশ্লেষণ

পুলিশ সংস্কারে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে

গত এক-দেড় দশকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন ও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের একটা বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা গেছে। এ রকম প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। পুলিশ সংস্কারে যেসব বিষয় বিবেচনায় রাখা যেতে পারে, তা নিয়ে লিখেছেন এম এ সোবহান

যত দূর জানা যায়, পুলিশের কার্যক্রম প্রথম শুরু হয়েছিল প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতায়। আরও আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, সে সময়ে বিশেষায়িত পুলিশের ইউনিট ও তাদের কার্যাবলি বিদ্যমান ছিল। আধুনিক যুগে পুলিশের প্রয়োজনীয়তা এখন আরও বেশি অনস্বীকার্য। তাই পুলিশের সমস্যা, সীমাবদ্ধতা, ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ জেনে ও বিবেচনায় নিয়ে আমাদের একটা বাস্তবধর্মী ও টেকসই পুলিশ সংস্কারের পথে যেতে হবে। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে এই লেখায় পুলিশ সংস্কারের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।

আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার

পুলিশ যে সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান, সেটা ১৮৬১ সালের পুলিশ আইনের কোথাও বলা হয়নি। অথচ পুলিশি সেবা হলো অনেক উঁচুমানের সেবা। ১৮৬১ সালের পুলিশ আইনের মতো পুলিশ বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণকারী পুরোনো আইনগুলোকে হালনাগাদ করার জন্য আইনি পরিবর্তন করা যেতে পারে।

সরকার, রাজনৈতিক দল ও প্রভাবশালী গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে পুলিশকে ব্যবহার করতে চায় এবং অতীতে ব্যবহার করেছে। এ ধরনের অপপ্রয়াস থেকে পুলিশকে মুক্ত রাখতে হবে। পুলিশের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করে এ বাহিনীকে আরও স্বায়ত্তশাসিত, স্বচ্ছ ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত রাখতে হবে।

জনবান্ধব পুলিশ তৈরি

এ দেশের পুলিশকে সবার আগে জনবান্ধব হতে হবে। এ জন্য পুলিশকে জনগণের সঙ্গে মিথস্ত্রিয়া বাড়াতে হবে এবং মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। এসব বিষয় অর্জন করতে হবে কাজ দিয়ে, সেবা দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে। পুলিশ কর্মকর্তা বা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সব দল, মত, ধর্ম এবং বর্ণনির্বিশেষে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক ও যোগাযোগ রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে কমিউনিটি পুলিশিং হতে পারে এক কার্যকর পন্থা। তাই কমিউনিটি ও বিট পুলিশিংয়ের সেটআপ তৈরি, তাদের অফিস, প্রশিক্ষণ ও বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

 শক্তি প্রয়োগ, মানবাধিকার ও জবাবদিহি

পুলিশের শক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের শক্তি প্রয়োগের নীতিমালা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে, অর্থাৎ সর্বনিম্ন শক্তি প্রয়োগ, সমানুপাতিক হারে শক্তি প্রয়োগ, যৌক্তিক বা আইনসিদ্ধভাবে শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। এই শক্তি প্রয়োগের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এখানে একটু বলে রাখা দরকার, জাতিসংঘের শক্তি প্রয়োগের নীতিমালায় জবাবদিহির ক্ষেত্রে শুধু যাঁরা শক্তি প্রয়োগ করছেন শুধু তাঁরা নন, যাঁরা পরিকল্পনাকারী, যিনি তাঁর কমান্ডার বা নির্দেশদাতা এবং প্রশিক্ষণ প্রদানকারীরাও এর দায় এড়াতে পারেন না।

দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ড ও হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এগুলো থেকে উত্তরণের জন্য মানবাধিকার সংস্থা এবং পুলিশের ভেতরের ও বাইরের পর্যবেক্ষণগুলো (ওভারসাইট) জোরদার করতে হবে।

প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি

বাংলাদেশ পুলিশের সব সদস্যের একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সেগুলোর মধ্যে পুলিশিং কৌশল আধুনিকীকরণ, নতুন প্রযুক্তিতে প্রবর্তন, মানবাধিকার, সন্ত্রাসবাদ, সাইবার অপরাধ, মাদকাসক্তি ও মাদক পাচারের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এর পাশাপাশি ব্যক্তিত্ব ও সম্মান, প্রেরণা ও প্রেষণা, জনগণের মনস্তত্ত্ব, গণজমায়েত ব্যবস্থাপনা, বৈচিত্র্যের প্রতি সম্মান, আবেগগত বা মানসিক বুদ্ধিমত্তা, শৃঙ্খলা, সততা ও সাধুতা, সংহতি, বন্ধন ও ঐক্য, নিজের ইউনিট এবং ডিপার্টমেন্টের প্রতি ভালোবাসা, দেশের মানুষকে ও দেশকে ভালোবাসা ইত্যাদি বিষয় উল্লেখযোগ্য।

ক্যারিয়ার প্ল্যানিং

পুলিশ সদস্যদের পদোন্নতি, পদায়ন ও প্রশিক্ষণের একটি নীতিমালা থাকতে হবে। নীতিমালাটি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। তাহলে পদোন্নতি বা পদায়ন নিয়ে কারও সংক্ষুব্ধ হওয়ার সুযোগ কমে যাবে।

পুলিশের কাছে মারণাস্ত্র থাকা না–থাকা

পুলিশের কাছে মারণাস্ত্র থাকা দরকার আছে। এর পেছনে সুনির্দিষ্ট কারণ আছে। প্রথম কারণ হলো, পুলিশের ‘ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার’ অধিকারের প্রয়োজনে। দ্বিতীয় কারণ হলো, অপরাধ নিবারণের ক্ষেত্রে প্রতিরোধক বা ‘ডিটারেন্ট’ হিসেবে কাজ করা এবং সন্ত্রাস দমন করা।

প্রতিটি সাধারণ মানুষের মতো পুলিশ সদস্যদেরও  ‘ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার’ অধিকার আছে এবং পুলিশ সে অধিকার আইনসিদ্ধভাবে প্রয়োগ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে পুলিশের কাছে মারণাস্ত্র থাকা প্রয়োজন। ‘ক্ল্যাসিক্যাল ক্রিমোনলজি’ বা ধ্রুপদি অপরাধবিজ্ঞানে অপরাধ নিবারণের ক্ষেত্রে প্রতিরোধক বা ‘ডিটারেন্টের’ ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে মারণাস্ত্র বা বড় আগ্নেয়াস্ত্র ‘ডিটারেন্ট’ হিসেবে কাজ করবে।

বর্তমান সময়ে পুলিশকে সন্ত্রাসবাদ দমন করতে অনেক শক্তি, সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হয়। সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণকে প্রধানত তিনটি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়।

প্রথমত, ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার দৃষ্টিকোণ; এ ক্ষেত্রে সন্ত্রাসকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং অপরাধের জন্য মামলা নেওয়া হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে বিচার করে জেলে পাঠানো হয় এবং সবশেষে কারাগারে রেখে সংশোধনের চেষ্টা করা হয়।

দ্বিতীয়ত, জাতীয় নিরাপত্তা দৃষ্টিকোণ বা ‘যুদ্ধ মডেল’; এ ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদকে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দমন করা হয়।

সর্বশেষটি হলো জনস্বাস্থ্য দৃষ্টিকোণ; এ ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদকে রোগের সঙ্গে তুলনা করা হয়; প্রথমে সন্ত্রাসবাদের কারণ নির্ণয় করা হয় ও উপযুক্ত প্রতিকারের ওপর জোর দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্ত্রাসবাদ দমনে একই সঙ্গে তিনটি পন্থারই প্রয়োজন রয়েছে।

নতুন বিশেষায়িত ইউনিট/সাব–ইউনিট গঠন

বর্তমান সময়ে পুলিশের বড় চ্যালেঞ্জ হলো জনতা, আবেগপ্রবণ জনতা ও জনতার মনস্তত্ত্ব নিয়ে কাজ করা। এ জন্য বাংলাদেশ পুলিশে ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ইউনিট গঠন করা যেতে পারে। তা ছাড়া মানসিক ও আবেগপ্রবণ বিষয় নিয়ে কাজ করার জন্য আলাদা ইউনিট গঠন করা যেতে পারে।

একটি গবেষণা রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের পুলিশের একটা বড় অংশ মানসিক রোগাক্রান্ত এবং তাদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। আমাদের উপলব্ধি, বাংলাদেশের পুলিশের সদস্যদের মানসিক ও আবেগপ্রবণ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার জন্য মানসিক ও আবেগপ্রবণ ইউনিট গঠন করা যেতে পারে। সে জন্য কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও বিভাগীয় হাসপাতালগুলোতে এ–জাতীয় ইউনিট গঠন করা যেতে পারে।

এ ছাড়া ক্রাইম এনালাইসিস বা অপরাধ বিশ্লেষণ ইউনিট গঠন করা যেতে পারে। ওই ইউনিটের সদস্যরা ডেটা বা তথ্য বিশ্লেষণ করবে এবং তথ্যকে ইন্টেলিজেন্সে পরিণত করবে ও ইন্টেলিজেন্সকে এভিডেন্সে পরিণত করবে। তা ছাড়া পুরো দেশের অপরাধীদের তথ্য নিয়ে একটা ‘ডেটাবেজ’ তৈরি করবে, যেখান থেকে অন্য সব ইউনিট সাপোর্ট বা সহযোগিতা পাবে। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক বড় বড় ইউনিট, যেমন মেট্রোপলিটন পুলিশ, রেঞ্জ, জেলা, পিবিআই ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের জন্য নিজ নিজ সাব-ইউনিট বা শাখা চালু করা যেতে পারে।

ইন্টেলিজেন্স ও এভিডেন্সের ওপর ভিত্তি করে পুলিশিং

ইন্টেলিজেন্সভিত্তিক পুলিশিংয়ের মাধ্যমে তথ্য যাচাই-বাছাই করা, অভিযান ও কাজের ক্ষেত্রে ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে বিবেচনায় এনে যাচাই-বাছাই করে পুলিশের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা দরকার।

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে যে পদ্ধতি বা কৌশল নেওয়া হচ্ছে, সেগুলো কার্যকর হচ্ছে কি না এবং সন্ত্রাসী, অপরাধী ও মাদকাসক্তরা আবার তাদের আগের অপরাধে ফিরে যাচ্ছে কি না, এভিডেন্সভিত্তিক পুলিশিংয়ের মাধ্যমে তা যাচাই-বাছাই করা হয়ে থাকে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কোন পদ্ধতি বা উপায় সঠিক বা কার্যকর, সেটা বোঝা যায় এভিডেন্সভিত্তিক পুলিশিংয়ের মাধ্যমে। এ কারণে এভিডেন্সভিত্তিক পুলিশিংয়ের ওপর জোর দেওয়া উচিত। সেগুলো যাচাই করে পুলিশিং করা।

আমাদের অনেকের উপলব্ধি, আমরা যদি ইন্টেলিজেন্স ও এভিডেন্সের ওপর ভিত্তি করে পুলিশিং করি, তাহলে তা থেকে অনেক সুফল পাওয়া যাবে।

নতুন পদ তৈরি

বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল ও নায়েক পদের মধ্যে আর কোনো পদ নেই। এ ক্ষেত্রে ‘ল্যান্সনায়েক’ পদ তৈরি করা যেতে পারে।

প্ররক্ষা (প্রটেকশন) প্রদান

পুলিশ সদস্যদের চাকরির প্ররক্ষা দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশের প্রত্যেক সদস্যের শারীরিক, মানসিক ও আবেগপ্রবণ আঘাতের প্ররক্ষা প্রদান করা যেতে পারে। তদন্তকাজে, অভিযান ও অন্যান্য কাজে অভিযোগের ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও যৌক্তিক প্ররক্ষা দেওয়া যেতে পারে। যেকোনো সদস্যকে যাচাই ছাড়া মামলায় জড়ানো বা বদলি বা বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও অধিক যাচাই–বাছাই প্রয়োজন রয়েছে, অবস্থাদৃষ্টে এমনটা প্রতীয়মান হয়েছে।

আর্থিক সুবিধা

পুলিশ সদস্যরা সাধারণত সাপ্তাহিক ছুটি পান না। তাঁদের বেশির ভাগ সময় শুক্র-শনিবারসহ অন্য ছুটির দিনগুলোতে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এ জন্য পুলিশের সব স্তরের সদস্যের জন্য ‘পুলিশ ভাতা’ চালু করা যেতে পারে। পুলিশ সদস্যরা দিনে আট ঘণ্টার বেশি সময় দায়িত্ব পালন বা কাজ করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের জন্য কোনো প্রণোদনার ব্যবস্থা করা যায় কি না, সে বিষয়ে ভেবে দেখা যেতে পারে। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের মতো সব পুলিশ ইউনিটের জন্য ‘ফ্রেশ মানির’ ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

কর্মস্থলের পরিবেশের উন্নতি

কাজের ক্ষেত্রে পুলিশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়, যা সরকার এবং দেশের মানুষ অনেক সময় নাও জানতে পারে। হতে পারে, কোনো থানায় পুলিশের পর্যাপ্ত গাড়ি নেই। এর ফলে জনগণ গাড়ি সহায়তা না দিলে পুলিশ প্যাট্রোলিং ও অন্যান্য কাজ করতে পারবে না।

পুলিশের আবাসন সমস্যা বিশেষ করে থানা ও পুলিশ লাইনসের আবাসন সমস্যার সমাধান করতে হবে। সব ফোর্স ও অফিসারের মধ্যে ঐক্য আনতে হবে। পুলিশের একটা অংশকে তাদের পছন্দ বা ব্যাকগ্রাউন্ড অনুসারে অপারেশন, প্রশিক্ষণ, তদন্ত, গোয়েন্দা কর্মকাণ্ড, জনতা ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে পারদর্শী করে তুলতে হবে এবং তাদের সংশ্লিষ্ট বিশেষায়িত ইউনিটেই পদায়ন করতে হবে।

পুলিশের কর্মস্থল যেমন থানা, ফাঁড়ি, তদন্তকেন্দ্র এবং অন্য দপ্তর বা কার্যালয়গুলোকে আরও পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন এবং ভবনগুলোকে সাদা রং করা যেতে পারে। অফিসের সামনে, বিশেষ করে সব থানার সামনে একটা করে ফুলের বাগান করা যেতে পারে। পুলিশ তথা দেশের একটা অংশের মানুষের মন, মনন, মনোবল, কোমনীয়তা, নমনীয়তা, ভালোবাসা, মমত্ব এবং সংবেদনশীলতা জাগ্রত ও ফিরিয়ে আনতে হবে।

শেষ কথা

পুলিশ–সম্পর্কিত যেকোনো ঘটনা বা বিষয়ের সঠিক ও সুষ্ঠু ব্যাখা দেওয়া প্রয়োজন। পুলিশ কর্তৃক সংঘটিত যেকোনো অপরাধ বা পুলিশের প্রতি যেকোনো অসম্মান এবং আঘাতের সঠিক ও সুচারু তদন্ত করতে হবে। বাংলাদেশ পুলিশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ক্ষমতায়ন ও সেই সঙ্গে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। সর্বশেষে বলা আবশ্যক যে পুলিশকে সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজে উৎসাহ ও প্রশংসা করতে হবে। তাহলে একটা টেকসই সংস্কার সাধিত হবে এবং আপামর জনসাধারণ, পুলিশ এবং দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।

  • ড. এম এ সোবহান পিপিএম  কমান্ড্যান্ট (অ্যাডিশনাল ডিআইজি), পুলিশ স্পেশাল ট্রেনিং স্কুল (পিএসটিএস), বেতবুনিয়া, রাঙামাটি