নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের চার বছর পূর্তি হলো মাসখানেক আগে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অসাধারণ অরাজনৈতিক, স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের (অর্গানিক মুভমেন্ট) উদাহরণ হয়ে থাকবে আন্দোলনটি। বেশ কয়েক দিন রাস্তায় থেকে কিশোর শিক্ষার্থীরা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল আমাদের সমস্যা কোথায় এবং সেটা সমাধান করাইবা যাবে কীভাবে। আজকের কলামটি লেখার সময় এই আন্দোলনের কথা মনে পড়ল চার বছর পূর্তির কারণে নয়, বরং আমার আগ্রহের বিষয় আন্দোলনটিতে শেষ পর্যন্ত যা হয়েছিল সেটা। সাম্প্রতিক সময়ের দুটি ঘটনা সেই পরিণতি আমাকে স্মরণ করিয়েছে।
শ্রীমঙ্গলের প্রীতম দাশের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে চেষ্টা করা হয়েছিল প্রীতমের স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে কিছু সাম্প্রদায়িক হামলা ঘটানো, যাতে সেটার ভিত্তিতে বড় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায় তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অসাধারণ নজির সৃষ্টি করে সমাজের মানুষা একত্র হয়ে এ চক্রান্ত ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি প্রীতমের। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতা। প্রীতম গ্রেপ্তার হন। এখন তাঁকে রিমান্ডের আবেদনও করেছে পুলিশ।
ফেসবুকে প্রীতমের যেসব স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতা মামলা করেছিলেন, কিংবা এর আগে একধরনের সাম্প্রদায়িক হামলা চালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, সেগুলো জনপরিসরে এসেছে। এগুলোয় আদতে তেমন কোনো রকম উপাদান ছিল না। কিন্তু তাতে কিছু আসে–যায় না আসলে। নেকড়ে যখন কোনো মেষশাবককে খাওয়ার ব্যাপারে পণ করছে, তখন সে মেষশাবক ভাটিতে থেকেও পানি নোংরা করতে পারে, কিংবা জন্মানোর আগেই গালি দিতে পারে নেকড়েকে, কিংবা সে গালি না দিলেও দিতে পারে তার মা এবং মায়ের অপরাধেই...।
প্রীতম দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায়। সাম্প্রতিক সময়ে এই আইনের অধীন ঘটা আরেকটি ঘটনা আমরা এখানে যুক্ত করি। যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আবদুর রব ভুট্টো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘কটূক্তিমূলক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে দেশে থাকা তাঁর ছোট ভাই ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা আবদুল মুক্তাদির মনুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই চর্চা অবশ্য নতুন নয় একেবারেই।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনটি হয়েছিল একাদশ সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসছে। সেটিকে সামনে রেখে সরকার বলপ্রয়োগের যে উদাহরণ সৃষ্টি করছে, তা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলেই মনে হয়। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম আপাতত বন্ধ থাকলেও সরকার প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে এ কাজগুলো আবার শুরু করতে দ্বিধা করবে বলে মনে হয় না।
দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো, বিশেষ করে সর্ববৃহৎ বিরোধী দল বিএনপি মাঠে নেমেছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের জীবনে সৃষ্টি হওয়া সংকটের কারণে তারা সারা দেশে কর্মসূচি দিয়েছে। দলটির সভাগুলোয় খুবই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। কিন্তু সারা দেশের অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা বিএনপি কর্মীদের পিটিয়ে সভা বন্ধ করেছেন। দুটি জায়গায়—ভোলা ও নারায়ণগঞ্জ—পুলিশের গুলিতে তিনজন কর্মী নিহত হয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি, মার খাওয়া বিএনপি এরপর দেখেছে, মামলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধেই। প্রথম আলোসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এ-সংক্রান্ত খবর এসেছে। ‘একটি মামলায় বিএনপির নেতাদের যেভাবে আসামি করল পুলিশ’ শিরোনামে প্রথম আলোর একটি সংবাদে জানা যায়, ছেলেকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় থানায় মামলা করতে গিয়েছিলেন এক বাবা। পুলিশ যখন জানল তাঁর ছেলে ছাত্রদলের নেতা, তখন মামলা নিতে প্রথমে অস্বীকৃতি জানায়। দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রেখে পুলিশ যে এজাহার লিখে আনে, তাতে দেখা যায়, তাঁর ছেলে বিএনপির যে নেতার অনুসারী, তিনিই এক নম্বর আসামি। অন্য আসামিরা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা।
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সংঘাত এখন এসে ঠেকেছে ঢাকায়। ঢাকা শহরের আটটি জায়গায় বিএনপি সভা করবে—এমন ঘোষণা বিএনপি দিয়েছিল বেশ কিছুদিন আগেই। জানিয়েছিল সভার স্থান, দিন-তারিখ। কর্মসূচি যথারীতি বানচাল করার জন্য মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ। প্রথমে উত্তরায় লাঠিসোঁটা হাতে বিএনপি কর্মীদের সভায় যেতে বাধা দেওয়া, বিএনপির সমাবেশস্থলের কাছে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান গ্রহণ করে উসকানি দেওয়া—সবই হয়েছে। এরপর মিরপুর তো রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ‘আওয়ামী লীগের হামলায়, পুলিশের লাঠিপেটায় পণ্ড সমাবেশ’ শিরোনামে প্রথম আলোর প্রতিবেদনে খুব স্পষ্টভাবে দেখানো হয়েছে কীভাবে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা বিএনপির সমাবেশস্থল থেকে পিটিয়ে বিএনপি কর্মীদের সরিয়ে দেয়, পুলিশ কীভাবে এরপর লাঠিপেটা করে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে বিএনপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে। সর্বশেষ বিএনপির সমাবেশস্থল দখল করে সেখানে আওয়ামী লীগের সদ্য প্রয়াত নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী স্মরণে মোনাজাত করেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা।
বিএনপির ওপর এমন হামলা সরকারি দলের একেবারেই পরিকল্পিত। দলটির অতি গুরুত্বপূর্ণ দুজন মানুষের সাম্প্রতিক উক্তি দেখা যাক। সারা দেশে যা ঘটেছে, এখনো ঘটছে, তার প্রেক্ষাপটে নিশ্চয়ই তাঁদের বক্তব্যকে আর রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর (পলিটিক্যাল রেটরিক) বলে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিএনপির কর্মসূচির মধ্যেই আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের স্পষ্ট কথা, রাজপথের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সংযত রয়েছেন। ভবিষ্যতেও সংযত থাকবেন। তবে কথিত সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ, বোমাবাজি, হামলা, ভাঙচুর ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের চেষ্টা করলেই সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।’ (সমকাল, ২৮ আগস্ট)
এর আগে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা এখনো রাজপথে নামিনি। আগামী মাসে নামব। আমরা নামলে বিএনপি পালানোর জায়গা খুঁজে পাবে না। বিএনপিকে কীভাবে গর্তে ঢোকাতে হয়, সেই ওষুধ আমাদের জানা আছে। সময়মতো প্রয়োগ করা হবে।’ (সারাবাংলা, ১৩ আগস্ট)
এই দেশে আবহমানকাল থেকে ক্ষমতাসীন দল বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেয়, হামলার মাধ্যমে পণ্ড করে। বহু বছরের এসব চর্চায় বিষয় আমাদের একরকম গা–হাওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা এ প্রশ্ন খুব জোর দিয়ে করে যেতে হবে—তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেওয়া হয়, বিরোধী দলের কর্মীরা নাশকতা করছেন, তাহলে সেটা ঠেকানোর নামে রাস্তায় সংঘাতে জড়ানোর কোনো অধিকার ক্ষমতাসীন দলের হয় না। সেটা করা হলে তা স্পষ্ট ফৌজদারি অপরাধ, ন্যূনতম সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হলে যার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।
বিরোধী দল যদি কোনো নাশকতামূলক আচরণ করেও, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাংবিধানিক ও আইনগত এখতিয়ার একমাত্র রাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনীর। এমনকি এসব ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর আচরণ কেমন হবে, তারা কতটা বলপ্রয়োগ করবে, কীভাবে করবে, সেসব কিছু নিয়েও নাগরিকদের জোর আলাপ জারি রাখতে হবে। পুলিশকেও রাখতে হবে কঠোর নজরদারির মধ্যে।
সবচেয়ে জরুরি কথা, ‘বিরোধী দলের সমাবেশ পণ্ড করার সমর্থন করি না, কিন্তু বাংলাদেশে কবে, কোন সরকার বিরোধী দলকে স্বাচ্ছন্দ্যে কর্মসূচি পালন করতে দিয়েছে। তাই বিরোধী দলের উচিত হবে...’ এসব কথা বলে সরকার এবং সরকারি দলের অগণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী আচরণকে লঘু করার চেষ্টাকে মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই।
সাম্প্রতিক সময়ে সরকার পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে আমেরিকা এবং জাতিসংঘের দিক থেকে মানবাধিকারের প্রশ্নে খুব বড় চাপের মুখে রয়েছে। জাতিসংঘের সদ্য বিদায়ী মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেত বাংলাদেশে এসে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, হেফাজতে নির্যাতন, বিরোধী দলের ওপর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে মানুষকে হয়রানির বিরুদ্ধে তাঁর স্পষ্ট উদ্বেগ জানিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর কয়েক দিন আগেই মানবাধিকার পরিষদের ৫১তম অধিবেশনের সূচনায় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাদা আল নাশিফ বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির হালনাগাদ চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে মিশেল ব্যাশেলেতের পর্যবেক্ষণগুলো পুনরুল্লেখ করেন।
খুব স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসতে পারে, যে মুহূর্তে বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে মানুষের ওপরে নিপীড়ন এবং বিরোধী দলের ওপর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগের মতো বিষয় নিয়ে প্রচণ্ড সমালোচনা ও পর্যবেক্ষণের মুখে আছে, তখন কেন সরকার একই কাজগুলো করছে? আরেকটি নির্বাচনকে সামনে রেখে ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই সরকারকে আরও বেশি পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলন যখন তীব্র হয়ে উঠল, যখন কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের বাসায় ফেরত পাঠানো যাচ্ছিল না। তখন অনেকেই একটা কথা বলছিলেন, যেহেতু তৎকালীন সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পরিবহনশ্রমিকদের সংগঠনের মূল নেতা, তাই শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে তাঁকে সরকার থেকে সরিয়ে দিলেই শিক্ষার্থীরা অনেকটা শান্ত হতে পারে। তখনই সেই আন্দোলনের মধ্যে আমি একটি লেখায় লিখেছিলাম, কোনোভাবেই মন্ত্রীকে সরকার সরাবে না। ঠিক তা–ই হলো। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন সংযোজন, হেলমেট পরে পরিচয় গোপন করে সরকারের ক্যাডার বাহিনী কিশোর-কিশোরী শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে রাস্তা থেকে তুলে দেয়। সত্যি বলতে, এটাই হওয়ার কথা ছিল। সরকারের দিক থেকে এটাই ছিল ‘সঠিক’ পদক্ষেপ। রাস্তায় আন্দোলন করতে গেলে কী হবে, সেই নজির সরকারকে সৃষ্টি করতেই হতো। একেবারেই অরাজনৈতিক কিশোর-কিশোরীদেরই যেভাবে দমন করা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক অন্য কেউ কিংবা কোনো রাজনৈতিক দল আন্দোলন করতে গেলে কপালে কী ঘটবে, সেটা যাতে তারা বুঝে যায়।
সরকারের দৃষ্টিতে প্রীতমের প্রধান ‘পাপ’ ছিল তিনি সমাজের প্রান্তিকেরও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী চা-শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের পক্ষে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এখন প্রীতমকে প্রচণ্ড শাস্তি দিয়ে যদি সরকার নজির সৃষ্টি করতে না পারে, তাহলে বহু ক্ষেত্রে নানাভাবে অসন্তুষ্ট-নিপীড়িত মানুষ সংগঠিত হবে এবং সরকার ও ক্ষমতাবান মানুষদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাবে। যে সরকার জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া ক্ষমতায় থাকে, সে সরকারকে টিকে থাকতে হয় নাগরিকদের ভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে; বলপ্রয়োগের মাধ্যমে।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনটি হয়েছিল একাদশ সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসছে। সেটিকে সামনে রেখে সরকার বলপ্রয়োগের যে উদাহরণ সৃষ্টি করছে, তা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলেই মনে হয়। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম আপাতত বন্ধ থাকলেও সরকার প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে এ কাজগুলো আবার শুরু করতে দ্বিধা করবে বলে মনে হয় না। কারণ, ক্ষমতায় টিকে থাকতে বল প্রয়োগজনিত ভীতি জারি রাখাই তো বর্তমান সরকারে জন্য ‘সঠিক’ পথ!
ডা. জাহেদ উর রহমান ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষক