বছরের প্রথম সকালে নতুন বই সংগ্রহের মধ্য দিয়ে ২০২২ সাল শুরু করেছিল প্রাথমিকের শিশু-কিশোরেরা। বছরের প্রথম দিনে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছিল দেশের অধিকাংশ অঞ্চল। এই ঘন কুয়াশা যেন সারাটি বছর বিরাজ করেছে দেশের সংকটময় অর্থনীতিতে। শীতের কুয়াশা ভেদ করে সূর্যালোক উঁকি দেওয়ার মতো করে জাতীয় জীবনে আনন্দ নিয়ে এসেছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল এবং দেশের ইতিহাসের প্রথম মেট্রোরেলের উদ্বোধন। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের কোটি কোটি মানুষের যোগাযোগ সহজ হয়েছে। মেট্রোরেলে ঢাকার যানজট সমস্যার সমাধান প্রশ্নে অগ্রগতির সূচনা হয়েছে।
২০২২ সাল ছিল লাগামহীন দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির বছর। ভোজ্যতেল ও চালের মূল্য রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিল। টিসিবির লাইনে অপেক্ষমাণ মানুষের দীর্ঘ লাইন ছিল দৃষ্টিকটু। এসব লাইনে নিম্নবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্তের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি সবাইকে আশাহত করেছে। নব্বইয়ের দশকের পর ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো সরকারি হিসাবেই মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে, বেসরকারি হিসাবে মূল্যস্ফীতি ছিল অনেক বেশি। এ বছর জ্বালানি তেলের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। জনজীবনে নাভিশ্বাস এসেছে, শিল্পকারখানায় কর্মী ছাঁটাই বেড়েছে। ২০২২ ছিল বিদ্যুৎ-জ্বালানিসংকট, ক্ষুধা ও বেকারত্বের বছর, নিম্ন ও মধ্যবিত্তের টানাপোড়েনের বছর।
করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধকেন্দ্রিক বৈশ্বিক সমস্যার সঙ্গে, ব্যাপক আমদানি বৃদ্ধি, অকার্যকর মুদ্রানীতি ও রিজার্ভ ঋণ ফেরত না আসা, ব্যাংকিং অপব্যবস্থাপনা, ঋণখেলাপি, পাচার—সব মিলে দেশের ডলার রিজার্ভের পতন হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতি হয় প্রায় ৩৩ বিলিয়ন ডলার। ৮৩ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড আমদানি বাড়ায়, ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানিও অর্থনীতিকে স্বস্তি দেয়নি। বরং ডলার বাঁচাতে জ্বালানি আমদানি বন্ধ করলে তেল-গ্যাসের অভাবে কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে রাখা হয়। শিল্পের কাঁচামাল, ট্রেডিং পণ্যসহ যাবতীয় আমদানির ঋণপত্র বা এলসি বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতেও ডলার রিজার্ভের পতন ঠেকানো যায়নি, সরকারকে নিজস্ব আমদানি এবং বেসরকারি চাহিদায় ক্রমাগতভাবে খোলাবাজারে ডলার ছাড়তে হয়েছে। এক পঞ্জিকাবর্ষে ডলারের বিপরীতে টাকার ইতিহাসের সর্বোচ্চ দরপতন ঘটেছে। এক বছরে সরকারি হিসাবেই ডলার রিজার্ভের ক্ষয় হয়েছে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। ডলারের রেট ৮৬ টাকা থেকে বেড়েছে ১০৬ টাকা। বছর শেষেও সরকারি হিসাবে মূল্যস্ফীতি রয়ে গেছে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেলেও এ বছর তিস্তা চুক্তিতে বিন্দুমাত্র অগ্রগতি হয়নি। বরং চীন তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়নের সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। এ বছর রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসনে কোনো অগ্রগতি হয়নি। বরং মিয়ানমার কয়েকবার বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে, সীমান্তে গোলা নিক্ষেপ করেছে। ডিসেম্বরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মালামাল নিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা একটি জাহাজ গ্রহণে রাশিয়ার চাপ-হুমকি আসে, বাংলাদেশ মার্কিন প্রতিক্রিয়ার ভয়ে সেটা প্রত্যাখ্যান করলে, রাশিয়ার সঙ্গে কিছুটা টানাপোড়েন তৈরি হয়।
২০২২ সালে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের রেকর্ড লোকসান হয়। পিডিবির হিসাব বিশ্লেষণে চলতি অর্থবছরে ক্যাপাসিটি চার্জ নামে ভর্তুকি দাঁড়াবে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। আশার কথা হচ্ছে, ২০২২ সালে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় অন্তত ৫ লাখ শ্রমিক নতুন করে বিদেশে গেছেন। বছরের শেষ দিকে, প্রবাসী আয়ে ডলারের বিনিময়ে বাড়তি রেট দিয়ে সরকার হুন্ডি বন্ধে উদ্যোগী হয়েছে।
ডলার সংকটে বড়পুকুরিয়া, ঘোড়াশাল, রামপাল ইত্যাদি বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিদেশি ঋণের কিস্তি দিতে অসুবিধায় পড়েছে পিডিবি। বিপিসিসহ বহু সরকারি সংস্থার আমদানির ঋণপত্র নিষ্পত্তি আটকে গেছে সরকারি ব্যাংকের ডলার সংকটে। পর্যাপ্ত ডলার না থাকায় সরকারি ব্যাংকগুলো মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দিচ্ছে। মিলিয়ন ডলার পর্যায়ে বকেয়া আছে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের, ইস্টার্ন রিফাইনারির, বিমানের, বিপিসির, পিডিবির, সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির রাডার স্থাপনের, খাদ্য অধিদপ্তরের গম কেনার, এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকার নোট ছাপানোর কালি কেনার বিল বাবদ। সরকারি ও বেসরকারি উভয় বিলই একাধিকবার বিলম্বিত হচ্ছে।
ডলার সংকটে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বছরের আলোচিত ঘটনা ছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে তিন বছরে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য সরকারের আবেদন এবং ঋণের শর্ত নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা। অভিযোগ উঠেছে, সরকার আইএমএফের শর্ত মানার ইঙ্গিত দিতেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে, ব্যাংক ঋণের খেলাপি পরিমাণ কমাতে, ৬-৯ শতাংশের সুদের হার তুলে দিতে, রিজার্ভের হিসাবপদ্ধতি সংশোধন করতে সম্মত হয়েছে। দেশের পরিসংখ্যান মান, আর্থিক খাতের তথ্য স্বচ্ছতা নিয়ে আইএমএফ যৌক্তিক প্রশ্ন তুলে সরকারকে বিব্রত করেছে।
বছরজুড়ে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি, শত এবং হাজারকোটি করে খরচ বৃদ্ধি, খেলাপি ঋণ ও পাচারের নতুন নতুন খবর আলোচিত ছিল। দুদক অর্থ কেলেঙ্কারির বড় খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে কোনো সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে পারেনি। খেলাপিবান্ধব ঋণনীতি পরিবর্তনের বছরে রেকর্ড ৩৩ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ বেড়েছে। ইসলামী ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি এ বছরের বড় ঘটনা। ২০২৩ সালে সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষের আগাম ঘোষণা দিয়ে সরকার অনাবাদি জমি চাষের পরামর্শ দিয়েছেন। অব্যাহত ঋণ কেলেঙ্কারির কারণে ‘ব্যাংক দেউলিয়া’ হওয়ার গুজব ছড়ায় ও শুরু হয় নগদ তোলার হিড়িক। ব্যাংকের ওপর অনাস্থা এবং বর্ধিত দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতিতে আমানতপ্রবাহ ও সঞ্চয়—উভয়ই কমে আসে। পরে আবার ভালো ব্যাংকগুলাতে আমানতপ্রবাহ ও সঞ্চয় স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এ বছরে দুবার শেয়ারবাজারের সূচক ধসের ঘটনা ঘটে।
ঘাটতি বাজেট মেটাতে সরকার ২০২২ সালে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ না পেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার (টাকা ছাপানো) ‘আত্মঘাতী’ ধারা শুরু করে। সাধারণ সুদহারের চেয়ে ট্রেজারি বিলের সুদের হার কম হওয়ায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ট্রেজারি বিল-বন্ড কেনায় আগ্রহ হারিয়েছে। বর্ধিত দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং অতি মূল্যস্ফীতিতে সঞ্চয় কমেছে। ২০২২ সালে অপ্রতিরোধ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের মিথ প্রশ্নের মুখে পড়ে। বরং ইতিহাসের সর্বোচ্চ পরিমাণ বিদেশি ঋণ এবং এলসির দায় বকেয়া আছে।
আন্তর্জাতিক ঋণমান সনদ প্রদানকারী সংস্থা মুডি’স বাংলাদেশের জাতীয় ক্রেডিট রেটিং অবনমনের পর্যালোচনার ঘোষণার পাশাপাশি স্থানীয় মুদ্রা এবং স্থানীয় কিছু ব্যাংকের রেটিং কমিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, সিলেটের দুই দফার প্রলয়ংকরী বন্যা এ বছর ফসল ও সম্পদের বিপুল ক্ষতি করেছে। শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে চট্টগ্রামের বিএম ডোপের শিল্প আগুনের দগদগে ক্ষত তৈরি হয়েছে। ইটনা-মিঠামইন হাওরের বাঁধে জলাবদ্ধতা এবং বন্যা পরিস্থিতি নাজুক করার আলোচনা। ঢাকা কয়েক ডজনবার বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর হওয়ার রেকর্ড করেছে। এ বছর দুইবার জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড বিপর্যয় হয়েছে।
বাংলাদেশ ২০২২ সালে উন্নত দেশের সঙ্গে কূটনীতির ৫০তম বর্ষ উদ্যাপন করেছে। তথাপি র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর কূটনীতিতে উৎকণ্ঠা ছিল বিস্তর। বছরজুড়ে ভারত, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে দৌড়ঝাঁপ চলেছে। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন, রাশিয়ান পাল্টাপাল্টি বিবৃতি-বক্তব্য এসেছে। চীনা রাষ্ট্রদূত প্রকাশ্যে সরকারকে অনেক বিষয়ে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছে। মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং স্বচ্ছ নির্বাচন নিয়ে ১৮টি দেশের অভূতপূর্ব বিবৃতি সবার নজর কেড়েছে।
বড় ধরনের জ্বালানি সরবরাহ চুক্তির অভাবে সরকার স্পট মার্কেটের উচ্চ মূল্যে ডলার সংকটে জ্বালানি আমদানি করতে পারছিল না। এ সময় রাশিয়া থেকে সরাসরি কিংবা ভারত হয়ে তেল আমদানিতে ব্যর্থ হয় সরকার। ভারতের সঙ্গে ডলারকে পাশ কাটিয়ে সরাসরি রুপিতে এবং চীনের সঙ্গে আরএমবিতে এলসি নিষ্পত্তির আলোচনা উঠেছে। বছরের শেষ দিকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা বিঘ্নের উদ্দেশ্যপ্রসূত কাজে, যুক্তরাষ্ট্র কড়া প্রতিবাদ করেছে। এ বছর প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে এক মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির রেকর্ড হয়।
প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেলেও এ বছর তিস্তা চুক্তিতে বিন্দুমাত্র অগ্রগতি হয়নি। বরং চীন তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়নের সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। এ বছর রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসনে কোনো অগ্রগতি হয়নি। বরং মিয়ানমার কয়েকবার বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে, সীমান্তে গোলা নিক্ষেপ করেছে। ডিসেম্বরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মালামাল নিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা একটি জাহাজ গ্রহণে রাশিয়ার চাপ-হুমকি আসে, বাংলাদেশ মার্কিন প্রতিক্রিয়ার ভয়ে সেটা প্রত্যাখ্যান করলে, রাশিয়ার সঙ্গে কিছুটা টানাপোড়েন তৈরি হয়।
গত এক দশকে প্রথমবারের মতো ২০২২ সালে এসে সরকারবিরোধী রাজনীতিতে জোয়ার ফেরে। বলা বাহুল্য, এ বছর গত ১৪ বছরের তুলনায় ধারণাতীত কম ক্রসফায়ার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা হয়েছে। সেখানে ভূমিকা রাখে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। তবে এ বছর ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও মানবাধিকার কর্মী এবং মানুষকে হয়রানি অব্যাহত ছিল।
বিরোধীদের মতামত হীন সার্চ কমিটির গোপনীয় সুপারিশের মাধ্যমে আরেকটি নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে। বছরব্যাপী আলোচনায় ছিল ইভিএম নির্বাচন ও ভোট জালিয়াতি। এ বছর গোপন বুথ দখল করে ইভিএম ভোটের মহড়া চলমান ছিল। বছরের শেষ দিকে গাইবান্ধা সংসদীয় উপনির্বাচন বাতিল করে গোপন বুথ দখলের ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে একটা ঐতিহাসিক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে কমিশন।
বছরের প্রথম মাসে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থী সহজে জয়ী হয়েছেন। মধ্যে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় ইভিএম বিতর্ক বহুদূর গড়িয়েছে। এ বছরের স্থানীয় সরকারের অধিকাংশ চেয়ারম্যান নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। বছরের শেষ রংপুরে নৌকা প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশে বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ১০টি বড় বড় গণসমাবেশ করে বিএনপি তাক লাগিয়েছে, ফলে আওয়ামী লীগকেও ভবন ছেড়ে মাঠের রাজনীতিতে ফিরতে হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজনীতিতে ভদ্রলোকের আবির্ভাবের আশার আলো ছড়িয়েছেন। উৎকণ্ঠা থেকে বিএনপি অফিসে হামলা, মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, রুহুল কবির রিজভীসহ গণগ্রেপ্তার করে সরকার আবারও বল প্রয়োগের পুরোনো রাজনীতির হিংসা বার্তা দিয়েছে। বুয়েট ছাত্র ফারদিন হত্যার জট খোলেনি, তবে এ নিয়ে অনেক নাটকীয়তা হয়েছে। ২০২২ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির ১১ কর্মী খুন হয়েছেন। শাহবাগে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে লিফলেট বিতরণকালে একজন প্রবীণ নাগরিক ও রাজনীতিককে থাপ্পড় মারার ঘটনা দেখেছেন মানুষ। বছর শেষ হয়েছে বিএনপি, মধ্য ডান ও উদার বাম দলগুলোর ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং রাষ্ট্র সংস্কারের যুগপৎ আন্দোলন’ শুরুর মধ্য দিয়ে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব টেকসই উন্নয়নবিষয়ক লেখক। গ্রন্থকার: চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও বাংলাদেশ; বাংলাদেশ: অর্থনীতির ৫০ বছর; অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবিত কথামালা; বাংলাদেশের পানি, পরিবেশ ও বর্জ্য
faiz.taiyeb@gmail.com