আলতাফ পারভেজের বিশ্লেষণ

মণিপুরে কী ঘটছে, এত অস্ত্র আসছে কোথা থেকে

মণিপুরে তুমুল বিক্ষোভ চলছে গত কয়েক দিন। বিক্ষোভকারী ও বিক্ষোভের সংগঠক মেইতেইরা। অন্যদিকে তাদের প্রতিপক্ষ কুকিরা সেখানে সহিংসতায় রকেট ও ড্রোনের মতো উন্নত অস্ত্র নিয়ে এসেছে। ইম্পল বিমানবন্দরের আকাশে ড্রোন ওড়ার গুজবও ভয় ছড়িয়েছে এ সপ্তাহে।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এসব এলাকায় এবং পাশের অন্যান্য দেশের রাজ্যে সশস্ত্রতা বেশ পুরোনো। সবার প্রশ্ন, এত সহজে এসব জনপদে অস্ত্র আসে কীভাবে? মণিপুরের কুকিরা ড্রোন ও রকেট লাঞ্চারের মতো সমরাস্ত্র পাচ্ছে কোথা থেকে?

সশস্ত্রতায় গুণগত উল্লম্ফন

মণিপুরে সহিংসতার শুরু গত বছর মে মাসে। তবে এই রাজ্য ও তার আশপাশের অঞ্চলে সহিংসতার বয়স সাত দশকেরও বেশি পুরোনো। নাগা জাতির স্বাধীনতার দাবিতে সশস্ত্রতার শুরু। একই সময়ে মিয়ানমারে বিদ্রোহ করেছিল কারেন-কাচিন-চিনরা। সব মিলে ভারত-মিয়ানমার-বাংলাদেশে অনেকগুলো রাজ্য ও জেলায় বিভক্ত পাহাড়ি এই বিশাল জনপদে সশস্ত্রতা বেশ পুরোনো। ফলে মণিপুরে রকেট লাঞ্চারের ব্যবহার দেখে এক অর্থে খুব বেশি চমকে ওঠার কিছু নেই, তবে নিঃসন্দেহে এটা সশস্ত্রতায় ব্যবহৃত অস্ত্রের ধরনে গুণগত এক উল্লম্ফন।

যদিও ‘সেভেন সিস্টার্স’ বা ‘সাত বোন’ বলা হয়, কিন্তু ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের সংখ্যা আট। এর মধ্যে সিকিম ছাড়া বাকি সাতটিতেই অল্পবিস্তর সশস্ত্রতা আছে। আবার সশস্ত্র ‘সাত রাজ্যে’র কাছের এলাকা হলো মিয়ানমারের কাচিন, সাগাইং, চিন ও আরাকান। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্ত আছে মিয়ানমারের এসব এলাকার সঙ্গে। মিয়ানমারে এই চার জনপদেও অনেক সশস্ত্র দল আছে। তাদের সক্রিয়তার বয়সও কয়েক দশক পুরোনো।

পাশের বাংলাদেশে জনসংহতি সমিতি শান্তিচুক্তি করে এখন নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে থাকলেও একসময় এখানেও সশস্ত্র যুদ্ধাবস্থা ছিল। বাংলাদেশের সঙ্গে সাত রাজ্যের সীমান্ত আছে প্রায় প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার। সুতরাং মণিপুরের মেইতেই ও কুকিরা কোথা থেকে অস্ত্র পাচ্ছে, এ প্রশ্নের উত্তর রয়েছে ত্রিদেশীয় এই পুরো অঞ্চলের অস্ত্রপাতির উৎসে।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আট রাজ্যের আয়তন এক লাখ বর্গকিলোমিটারের চেয়েও বেশি। কাছাকাছি থাকা মিয়ানমারের চারটি এলাকার আয়তন প্রায় পৌনে তিন লাখ বর্গকিলোমিটার। পার্বত্য চট্টগ্রামের আয়তন প্রায় তেরো-চৌদ্দ হাজার বর্গকিলো। সব মিলে এই পুরো অঞ্চলের আয়তন প্রায় চার লাখ বর্গকিলোমিটার।

তবে আয়তনের চেয়েও এই অঞ্চলের গুরুত্ব তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ও জাতিগত বহুত্বে। ধর্মেও এই পুরো অঞ্চল বহুত্বময়। হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান—সবাই এখানে আছে। এ রকম সবার সমতলের মানুষদের সম্পর্কে ঐতিহাসিক বিরাগ আছে। সেই সূত্রে সিকিম ছাড়া ওপরের ১২টি জনপদেই জাতিগত অস্থিরতা আছে। আছে অস্ত্রেরও ব্যবহার। অস্ত্রের সঙ্গে আছে মাদকেরও আন্তদেশীয় চলাচল। কিন্তু কোথা থেকে আসছে এসব? যাচ্ছে কোথায়? তার রাজনৈতিক অর্থনীতিই–বা কী?

‘তুষের আগুনে’ যখন ‘কেরোসিন’

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে কেএনএফ ছাড়া আর কোনো সংগঠনের গেরিলা সশস্ত্রতা চোখে পড়ে না এখন। এর বাইরে মিজোরাম তুলনামূলকভাবে প্রায় শান্ত। কিন্তু ‘সাত বোনে’র অন্য ছয়টিতে এবং পাশের মিয়ানমারের চার রাজ্য গেরিলা সংস্কৃতিতে ভরপুর। এর মধ্যে কাচিন ইন্ডিপেনডেন্ট আর্মি (কেআইএ), আরাকান আর্মি, নাগাদের ন্যাশনালিস্ট সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড (এনএসসিএন) হলো এ মুহূর্তে সমগ্র অঞ্চলের সবচেয়ে বড় গেরিলা দল। চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা সিএনএফের সশস্ত্র শাখা সিএনএকেও এই তালিকায় রাখা যায়।

সশস্ত্রতায় একসময় আসামের ‘আলফা’র বেশ দাপট থাকলেও সাংগঠনিক দ্বিধাবিভক্তির কারণে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই রাজ্য এখন বেশ শান্ত। মেঘালয় ও ত্রিপুরা তেমন শান্ত নয়, তবে মণিপুরও ২০২৩–এর মের আগে পাশের নাগাল্যান্ড বা চিনল্যান্ডের চেয়ে বেশ শান্তই ছিল।

তবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোসহ পুরো অঞ্চলের শান্তাবস্থা যে টেকসই কোনো ব্যাপার নয়; বরং এখানকার ‘এথনো-পলিটিকস’ যে প্রকৃতপক্ষে তুষের আগুনের মতো, চোখের পলকে মণিপুরের জ্বলে ওঠা তারই প্রকাশ। পাশাপাশি থেকেও কুকি ও মেইতেইরা যে পরস্পরকে এত ঘৃণা করত, সেটা ইম্পল ঘুরে আসা কোনো পর্যটকের পক্ষে দুই বছর আগেও বোঝা কঠিন ছিল।

প্রশ্ন উঠতে পারে, এ রকম অচিন্তনীয় পারস্পরিক ঘৃণার কারণ কী এবং এই তুমুল ঘৃণা থেকেই কি এসব এলাকায় চুম্বকের মতো অস্ত্র আসছে? নাকি তাতে ভূরাজনৈতিক উসকানি আছে? এসব কারণেই কি মণিপুরের মতো বেশ ছোট একটি রাজ্যে ষাট হাজারের মতো রাষ্ট্রীয় সৈনিক থাকার পরও সহিংসতা কমছে না?

ভারত-মিয়ানমার-বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়ের শাসকেরা বরাবরই তাদের অঞ্চলে ‘অশান্তি’র জন্য অনির্দিষ্টভাবে ‘তৃতীয় পক্ষ’কে দায়ী করে। সচরাচর ‘সমস্যা’র জন্য সীমান্তের অপর দিকের ‘উসকানিদাতা’দের যেভাবে দায়ী করা হয়, তেমনটি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি নিজস্ব মাঠের জাতিগত টানাপোড়েনের ঐতিহাসিক উপাদানগুলোর দিকে। জাতিগত ঘৃণার পাশাপাশি প্রায় সর্বত্র আছে কোনো না কোনো ধরনের আর্থিক বঞ্চনাবোধও। মণিপুরে মেইতেইদের চেয়ে কুকিরা যে অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধায় বঞ্চিত ছিল, সেটা ভারতে সবাই যেন ২০২৩–এর মের পরই কেবল জানতে পারল। অথচ এটা গোপন ব্যাপার ছিল না।

এ রকম বিবিধ উদাসীনতার কারণেই এসব জায়গার এথনো-পলিটিকসের চূড়ান্ত সমাধান হয়নি। মাঝেমধ্যেই তুষের আগুনে কেরোসিন পড়ার মতো সেগুলো দপ করে জ্বলে ওঠে। তখনই আসতে শুরু করে অস্ত্রের চোরাচালান। সেসব অস্ত্রের খরচ জোগাতে প্রসার ঘটে মাদকের উৎপাদন ও বিপণন। মিয়ানমারের সঙ্গে থাকা থাই-লাওস সীমান্ত বহুকাল থেকে অস্ত্র কারবারিদের এক স্বর্গরাজ্য। এখন হয়েছে মণিপুর-চীন সীমান্ত। অর্থের জোগান থাকলে এসব জায়গা থেকে যেকোনো জনপদে যেকোনো পরিমাণ অস্ত্র পৌঁছে দিতেই প্রস্তুত অনেক ‘ব্যবসায়ী’।

আবার অনেক এলাকায় সশস্ত্রতা সাত থেকে আট দশক পুরোনো হওয়ায় অস্ত্র তৈরির একধরনের লোকজ–বিদ্যাও বেশ রপ্ত হয়েছে। সেটা এখন ড্রোন–বিদ্যা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।

বিভিন্ন দেশের সরকারি স্থাপনা লুটপাটের সূত্রেও গেরিলা সংগঠনগুলো নিয়মিত বড় অঙ্কে অস্ত্র পায়। গত বছর মে মাসে মণিপুরে দাঙ্গা শুরুর প্রথম মাসে সরকারি বিভিন্ন বাহিনীর স্থাপনা থেকে কয়েক হাজার অস্ত্র লুট হয়েছে। ডেকান হেরাল্ড এই সংখ্যা চার হাজার বলে দাবি করেছে। এর মধ্যে গ্রেনেড লাঞ্চার থেকে শুরু করে একে-৪৭ পর্যন্ত অনেক কিছুই ছিল। আরাকানে সম্প্রতি পিছু হটতে থাকা ‘টাটমা-ড’র অনেক উন্নত অস্ত্র পেল অ-রাখাইন গেরিলারা। যার কিছু অংশ বেচাবিক্রির সূত্রে আশপাশের অঞ্চলেও ঢুকছে বলে শঙ্কা করছেন সমরবিশারদেরা।

বাংলাদেশে খোদ ঢাকায় গত জুলাই আন্দোলনের শেষ দিকে অনেক অস্ত্র খোয়া যাওয়ার প্রতিবেদন দেখা গেছে সংবাদপত্রে। সরকারি সংস্থাগুলো এখন সেসব অস্ত্র উদ্ধারে মরিয়া চেষ্টায় আছে।

দৈনিক ইত্তেফাক ৮ সেপ্টেম্বর এখনো উদ্ধার না হওয়া অস্ত্রের সংখ্যা দুই হাজার বলে উল্লেখ করেছে। একই দিন ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির সংবাদে জানা যায়, আন্দোলনকালে লুট হওয়া অস্ত্রে পিস্তলই ছিল ৮০০টি।
মণিপুরে এ রকম লুটের ঘটনা এত যে ছোট সংখ্যার বাহিনী দিয়ে সেখানে গেরিলা খুঁজতে যাওয়া যাচ্ছে না। অ্যামবুশ করে বাহিনী সদস্যদের থেকে গেরিলারা সেসব নিয়ে নিচ্ছে।

যেভাবে নিরবচ্ছিন্ন অস্ত্র সরবরাহ

উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো এবং তার আশপাশের অঞ্চলে সমতলীয়দের শাসন কায়েম হলেও মাঠপর্যায়ে গভীর অরণ্যে নিত্যদিন সেই শাসন কায়েম রাখা দুরূহ। ফলে এই অঞ্চলে অধিকাংশ গেরিলা দল সাবলীলভাবেই নিজেদের রাজস্ব আদায় ব্যবস্থা কায়েম রাখতে পেরেছে। ওদিকে সমতলীয় যাঁরা বড় বড় ব্যবসা করতে যান, তাঁদেরও ‘কর’ দিয়েই রফা করতে হয়। এসব অর্থের একটা অংশ যায় অস্ত্র তৈরি ও ক্রয় খাতে।

মাদক থেকে পাওয়া অর্থের বাইরে এ রকম চাঁদা সমরাস্ত্র ক্রয়ে বড় সহায়তা দেয়।
মণিপুরে কুকি এলাকাগুলোতে পপির বিপুল আবাদ হতো। উখরুলে সম্প্রতি এ রকম বড় এক পপি অঞ্চল ধ্বংস করল ভারতীয় বাহিনী। সীমান্তসংলগ্ন এই এলাকায় হাজার হাজার একরে পপি আবাদ হয়। যেহেতু রাষ্ট্র কর্মসংস্থান দিতে পারছে না, ফলে এ রকম কাজের ভালো বিকল্পও নেই। দীর্ঘকাল ভারত-মিয়ানমার চুক্তি ছিল, সীমান্তের ১০ কিলোর মধ্যে ওখানকার মানুষজন ভিসা ছাড়া বর্ডার-পাস দিয়ে চলাফেরা করতে পারত। এ–ও মাদক ও অস্ত্রের কারবারকে সহজ করেছে।

মাদক অর্থনীতির জন্য মিয়ানমারের শানও খুব কুখ্যাত এলাকা। তবে এখন সেখানে প্রযুক্তিনির্ভর সিনথেটিক ড্রাগ উৎপাদনের বিস্তার ঘটেছে বেশি। গেরিলারা এই ‘শিল্পে’ নিরাপত্তা দেয় নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে। তবে মিয়ানমারে এসব কাজে আন্তর্জাতিক হইচই হওয়ায় মাদক কারবারের খানিকটা মণিপুরের দিকে ঢুকে গেছে। এসবে যুক্ত কুকি ও মেইতেইরা কৌশল করে মাদকের প্রসেসিং ইউনিটগুলো রেখেছে পাহাড় সন্নিহিত মুসলমানদের এলাকায়। সেই জন্য ড্রাগবিরোধী অভিযানগুলোতে মুসলমানদের অধিক সংখ্যায় গ্রেপ্তার দেখে অনেকের পক্ষেই প্রকৃত ঘটনা বুঝতে ধাঁধায় পড়তে হয়।

মণিপুরের মাদক অর্থনীতির আকার এত বড় যে, সেও আরেক ধাঁধা। আল-জাজিরার প্রতিবেদক এ বছর ১৬ এপ্রিল মণিপুরের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে লিখেছে, ২০২০ থেকে পরবর্তী আড়াই বছরে ২০ বিলিয়ন রুপি সমমূল্যের মাদক আটক হয় মণিপুরে। নিশ্চিতভাবেই আটক না করতে পারা মাদকের দাম এর চেয়ে বহুগুণ বেশি। যেখানে জনসংখ্যা ৩০ লাখও নয়, সেখানকার পাহাড়ি এলাকায় এ রকম একটা বিশাল অর্থনীতি বিস্ময়কর।

তবে গেরিলা অর্থের পুরো জোগান এভাবেই হয় না। ‘বিদেশি’ সহায়তাও লাগে এবং নানান সূত্রে মেলেও সেটা। প্রত্যেক ‘জাতি’র প্রবাসীরা নিয়মিত তাঁদের পছন্দের সংগঠনকে কিছু চাঁদা দেন। এর বাইরে বহির্বিশ্বের ধর্মীয় সংস্থাগুলোও এসব অঞ্চলে নিজ নিজ ধর্মের মানুষদের সহায়তা দেয়। সেই সহায়তার একটা অংশ নানা পথ হয়ে গেরিলা নেতাদের কাছেও যায়। আর বিশেষভাবে আছে বিদেশি বিভিন্ন রাষ্ট্রের সহায়তা। এটা নিয়মিত নয়।

ভূরাজনৈতিক উত্থান-পতনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংগঠন বড় আয়তনে এ রকম অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা পেয়েছে। অস্ত্র চোরাচালানে ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্ক সহজ হয় ভূরাজনৈতিক সহায়তায়। নাগা হিল থেকে কাচিন হিলের প্রত্যন্ত এলাকায় অতীতে এই সূত্রেই প্রধানত উন্নত অস্ত্রপাতি ঢুকেছে।

মিয়ানমারের শানদের অস্ত্রভান্ডার দেখলে অনেক দেশের সশস্ত্র বাহিনীই চমকে যাবে। যদি প্রশ্ন করা হয়, এসব অস্ত্র তারা কোথায় পেল, তাহলে উত্তর খুঁজতে হবে পাশের এলাকার চীনাদের কাছে। একইভাবে অতীতে নাগা ও লুসাই পাহাড়ে দিল্লির প্রতিপক্ষদের সহায়তা গিয়েছে। রাঙামাটিতে ঢুকেছিল ঢাকার প্রতিপক্ষদের ‘উপহার’।

এ অঞ্চলের কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রগুলো গেরিলা উপদলগুলোর একটিকে দমনের জন্য অপরটিকে নিজে থেকেও সহায়তা দেয়। মণিপুরে একসময় মেইতেইদের দমন করতে গিয়ে কুকিদের কিছু গেরিলা ধারাকে সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। এখন হচ্ছে উল্টোটা, কুকিদের কোণঠাসা করতে নাগাদের প্রতি সরকার সহানুভূতি দেখাচ্ছে। যখনই কোনো গ্রুপ এ রকম সহায়তা পায়, তখনই তারা চট করে অস্ত্রভান্ডার বাড়িয়ে নেয়।
মানব পাচারও গেরিলা অর্থের এক বড় উৎস। তবে এতে বিভিন্ন দেশের সীমান্তরক্ষীরাও বড় অঙ্কে আয় করছে। এতে রক্ষীদের সঙ্গে গেরিলা দলগুলোর আয়রোজগারের যে সম্পর্ক হয়, সেটা অস্ত্র চোরাচালানকে সহজ করে দেয়।

  • আলতাফ পারভেজ দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস বিষয়ে গবেষক