বিশ্লেষণ

স্বৈরাচারী শাসকদের কীভাবে থামানো যায়

ব্রিটিশ লেখক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক টিম জুদাহ সম্প্রতি স্বৈরাচার ও একনায়কদের নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত দুটি বই নিয়ে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস–এ আলোচনা করছেন। সেটার ঈষৎ সংক্ষেপিত বাংলা রূপান্তর করেছেন আসজাদুল কিবরিয়া

উত্তেজনা, আশা, ভয়—যখন একজন স্বৈরাচারী বা একনায়কতান্ত্রিক শাসকের পতন ঘটে, তখন এই আবেগগুলোর মিশ্রণ দেখা দেয়।

১৯৮৯ সালের ডিসেম্বর মাসে নিকোলে চসেস্কুর পতনের পরের সপ্তাহগুলোতে বুখারেস্টের অধিবাসী রোমানীয়রা প্রবল উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছিলেন। এটার জন্য যে তাঁরা কয়েক দশকের অত্যাচারী শাসনের পর অবাধে বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলতে পারছিলেন। অন্যদিকে তাঁদের মধ্যে একটা ভয়ও কাজ করছিল যে এভাবে কথা বলতে থাকলে তাঁরা বিপদে পড়বেন।

২০০৩ সালের এপ্রিলে বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা শহরের একটি গোলচত্বরের মাঝখানে ‘বৈসাদৃশ্যমূলকভাবে’ দাঁড়িয়ে থাকা সাদ্দাম হোসেনের বিশাল মূর্তি টেনে নামিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। এটা ছিল সাদ্দামের শাসনকালের অবসান। কিন্তু মেই নামের এক নারী আমেরিকানদের এগিয়ে আসতে দেখে চিৎকার করে বলে উঠেছিলেন, ‘এটা শেষ নয়, এটা শুরু মাত্র।’ 

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ে। একজন খ্রিষ্টান হিসেবে তিনি যেমনটা আশঙ্কা করেছিলেন, তেমনটাই ঘটেছিল, কট্টর ইসলামপন্থীরা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং তাঁর প্রাচীন গোত্র ধ্বংসের মুখে পতিত হয়।

কীভাবে চসেস্কু ও সাদ্দামের মতো পতন ঘটেছিল, সেটাকে উপজীব্য করে লেখা হয়েছে হাউ দ্য টাইরান্টস ফল (কীভাবে অত্যাচারীদের পতন ঘটে)। এর রচয়িতা জার্মান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মার্শেল ডিরসুস, যিনি অত্যাচারী শাসকদের নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রধানত ক্ষমতায় থাকা বহুল পরিচিতদের ওপর দৃষ্টিপাত করেছেন। 

কীভাবে এই মানুষগুলো স্বৈরাচারী-স্বেচ্ছাচারী-অত্যাচারী হয়ে ওঠে, তা বুঝতে পারা খুব জরুরি। তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব নয়। বইটির উপশিরোনাম ‘কীভাবে জাতিগুলো টিকে থাকে’।

অবশ্য অ্যাপেলবাউম তাঁর অটোক্রেসি ইনকরপোরেটেড (স্বৈরতন্ত্র কোম্পানি) শিরোনামে রচিত বইতে যুক্তি দিয়েছেন যে আধুনিক স্বৈরতন্ত্র অনেক দূর এগিয়ে গেছে আর তাই আগের তুলনায় লড়াইও অনেক জটিল।

যুক্তরাষ্ট্রের পুলিৎজার বিজয়ী লেখিকা তাঁর এই চমৎকার বইতে আজকের দিনের স্বৈরাচারী শাসক এবং বিংশ শতাব্দীতে লাখ লাখ মানুষ হত্যাকারী শাসকদের মধ্যে প্রধান পার্থক্য তুলে ধরে বলেছেন যে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আজকের যুগের একনায়কদের কোনো সত্যিকারের আদর্শিক যৌক্তিকতা নেই।

বরং তাঁরা ইতিহাসের রাজা-বাদশাহদের অনুকরণ করেছেন, যাঁদের কাজই ছিল নিজ জনগণকে দাবিয়ে রাখা, নিজেদের টিকে থাকার স্বার্থে সুবিধাবাদী উচ্চশ্রেণির মানুষদের বিপুল সম্পদের ভাগীদার করা এবং তাদের জমিদার বাড়াতে দেওয়া। বইটির উপশিরোনাম হলো যেসব স্বৈরশাসক দুনিয়া পরিচালনা করতে চান

আজকের যুগে স্বৈরশাসকেরা ইন্টারনেট ও বিত্তে বিনিয়োগ করে থাকেন এবং এসব উচ্চশ্রেণির মানুষকে তাঁরা এসবসহ আরও বিপজ্জনক উপকরণ দিয়ে আমাদের সমাজকে ভেতর থেকে দুর্বল করে দিতে চান। ইকুয়েটারিয়াল গুনিয়ার শাসক ফ্রান্সিসকো মাকিয়াস নগুয়েমা ১৯৬৮ সালে ক্ষমতাসীন হয়ে এক দশক শাসনের পর ১৯৭৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হন।তিনি ছিলেন সেই পুরোনো ধাঁচের স্বৈরশাসক।

ডিরসুসের বইয়ে বেশ কিছু ভয়াবহ বিবরণ আছে। তিনি লিখেছেন, নগুয়েমা বলে বেড়াতেন, ‘রাজনীতিতে বিজয়ীরা বাঁচে, পরাজিতরা মরে।’ তিনি শুধু রক্তপিপাসুই ছিলেন না, মানসিক ব্যাধিগ্রস্তও ছিলেন।’ স্বৈরাচারীদের নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেন, তাঁদের জন্য যে তথ্যটা গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো ১৯৫০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত বিশ্বে ৪৭৩ জন স্বৈরশাসকের পতন ঘটে, যাঁদের মধ্যে নগুয়েমা একজন। আর এঁদের ৬৫ শতাংশের পতন ঘটেছে শাসকগোষ্ঠীর ভেতর থেকেই অপসারণের মাধ্যমে।

ডিরসুস আরও দেখিয়েছেন, স্বৈরাচার বা একনায়কদের বিরুদ্ধে অহিংস পথে আন্দোলন করে সফল হওয়াদের ৫৭ শতাংশই গণতন্ত্রের দিকে অগ্রসর হয়েছেন। আর সহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে সফলদের ক্ষেত্রে এই হার মাত্র ৬ শতাংশ। তবে ১৯৫০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত মাত্র পতিত স্বৈরতন্ত্রের জায়গায় মাত্র ২০ শতাংশ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে।

তাই ডিরসুস বলেছেন, ‘অত্যাচার-স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে কোনো একক জবাব নেই, নেই এমন কোনো বোতাম, যা চাপ দিলে সমস্যা দূর হয়ে যাবে।’ তাঁর গভীর গবেষণার ভিত্তিতে এ ধরনের উপসংহার বিস্ময়কর নয়। তবে যে প্রশ্নটা উঠে আসে, তা হলো নগুয়েমার সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের শাসকদের এবং হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবানকে একই কাতারে বিচার করা কি বাস্তবসম্মত?’

একটা দেশ পরিচালনা করতে অবাধ নির্বাচন, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান ও অন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর তালিকা করা হলে এবং তার নিরিখে দেখতে গেলে সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান তো একজন স্বেচ্ছাচারী শাসক হিসেবেই বিবেচিত হবেন।

ডিরসুসের বইয়ে অবশ্য তাঁর কোনো উল্লেখ নেই। তবে সৌদি আরবকে এমন একটি দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানকার শাসকেরা নিজেদেরকে ‘অভ্যুত্থান-প্রতিরোধী’ হিসেবে গড়ে তুলতে কঠিন পরিশ্রম করেছেন।

বিপরীতে ওরবান আর যা–ই হন, প্রতিপক্ষ বা বিরোধীদের হত্যাকারী স্বৈরশাসক নন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষেণা প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউস রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার পরিস্থিতির ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশের অবস্থানের যে তালিকা প্রস্তুত করে, তাতে হাঙ্গেরিকে ‘আংশিক মুক্ত’ দেশের কাতারে রাখা হয়েছে। ওরবান বিচারব্যবস্থা ও গণমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করায় দেশটিকে এই কাতারভুক্ত করা হয়েছে।

তাহলে আমরা কেন সৌদি ও আমিরাতিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখি, যাদের দেশগুলো ফ্রিডম হাউসের তালিকায় ‘মুক্ত নয়’? এদের তুলনায় হাঙ্গেরি তো গণতন্ত্রের একটি মডেলই বটে।

অ্যাপেলবাউম অবশ্য এ ক্ষেত্রে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন। ইরানের, উত্তর কোরিয়ার ও ভেনেজুয়েলার শাসকেরা ’বেশির ভাগই গণতান্ত্রিক বিশ্বকে হেয় করতে চাননি’, যেমনটা চীনা ও রুশরা করে থাকেন। হাঙ্গেরির বিষয়ে এই লেখকের ভাষ্য হলো যে সিঙ্গাপুর, ভারত, তুরস্ক ও ফিলিপাইনের পাশাপাশি এটাও অন্যতম নম্রতর স্বৈরতন্ত্র ও মিশ্রিত গণতন্ত্র। এরা কখনো গণতান্ত্রিক বিশ্বের সঙ্গে সারিবদ্ধ হয়, কখনো হয় না। এই ধাঁচের আরও অনেক দেশ আছে, বিশেষত বৈশ্বিক দক্ষিণে যাদেরকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জন্য চালিত করতে পশ্চিমা বিশ্বের চেষ্টা সাধারণত ব্যর্থ হয়নি।

ডিরসুস যেখানে প্রধানত এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বেচ্ছাচারী-অত্যাচারীদের বিষয়ে আলোকপাত করেছেন, সেখানে অ্যাপেলবাউমের ভাষ্য হলো, ‘এখনকার দিনে স্বৈরশাসন কোনো একক খারাপ ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত হয় না, বরং পরিচালিত হয় দুর্নীতিবাজ রাজনীতিকদের (ক্লেপটোক্রেটিক) আর্থিক কাঠামোর ওপর নির্ভরশীল নিবিড় অত্যাধুনিক জাল বিস্তারের মাধ্যমে, যার মধ্যে আছে সামরিক, আধা সামরিক ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত একটি জটিল নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং নজরদারি বাড়ানো, প্রচারণা চালানো ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য কারিগরি বিশেষজ্ঞ।’

অ্যাপেলবাউমের ভাষায়, এরা কোনো একটি দল হিসেবে নয়, বরং বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের একটি সমন্বিত জোট হিসেবে পরিচালিত হয়। এরা আদর্শ নয়, বরং তাদের ব্যক্তিগত সম্পদ ও ক্ষমতা বজায় রাখতে একটি নির্দয় ও একগুঁয়ে ইচ্ছাশক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়, যা পরে রূপ নেয় ‘অটোক্রেসি ইনকরপোরেটেডে’।

১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে কমিউনিস্ট কিউবা সেনা পাঠিয়েছিল অ্যাঙ্গোলায় মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী গেরিলাদের হয়ে লড়াই করার জন্য। এই গেরিলারা আবার লড়ছিল যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত ও বর্ণবাদী দক্ষিণ আফ্রিকার সেনাদের সহায়তাপ্রাপ্ত প্রতিপক্ষের সঙ্গে। সে সময় অন্তত একটা আদর্শিক যৌক্তিকতা ছিল।

আধুনিক স্বৈরাচারীরা অবশ্য বিত্তবৈভবে বেশি আগ্রহী। তার মানে আবার এই নয় যে তারা অন্য কোনো কিছুতে বা কোনো আদর্শে বিশ্বাস করে না। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যেমন অন্তরের গভীর থেকে এটা বিশ্বাস করেন যে ইউক্রেনের স্বাধীন অস্তিত্ব হিসেবে টিকে থাকার কোনো অধিকার নেই।

ডিরসুস বলছেন, শেষ পর্যন্ত স্বাভাবিক মৃত্যুর মাধ্যমে বা সহিংস আন্দোলনে অপসারিত হয়ে প্রত্যেক স্বেচ্ছাচারী-অত্যাচারীর পতন ঘটে। জোসেফ স্ট্যালিন, মাও সে–তুং এবং ফ্রাঙ্কো—প্রত্যেকেই বৃদ্ধ বয়সে রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। আবার কিছু জঘন্যতম স্বৈরশাসক টিকে যায় নিজেদেরকে স্বৈরতন্ত্রের গালিচায় না মুড়িয়েই। কেন এটা হয়?

এর উত্তর হয়তো ডিরসুসের মতে এ রকম, ‘নির্দয় নিপীড়ন কাজ করতে পারে, তবে তার জন্য দরকার ভয়ংকর নৃশংসতার প্রতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া।’ সে কারণেই ১৯৮৯ সালে চীন তিয়েনআনমেন স্কয়ারের গণহত্যা চালিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছে। কিন্তু ইউক্রেনে ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ২০১৪ সালের অভ্যুত্থান দমন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। কারণ, ১০০ জনের কিছু বেশি প্রতিবাদী নিহত হওয়ায় বিরোধী দল ভীত হওয়ার বদলে বিপ্লবী হয়ে উঠেছিল।

তবে সবকিছুই হতাশাজনক নয়। কেননা অ্যাপেলবাউম মনে করেন, ‘আমরা তাঁদের থামাতে পারি। এ জন্য আজকে আমাদের যা প্রয়োজন, তা হলো স্বৈরশাসকদের পাটাতন দেওয়া আন্তর্জাতিক ক্লেটোক্রেটিকদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক জোট গঠন করা এবং যেসব দেশে আন্দোলনকারীরা তাঁদের থাবার নিচে আছে, তাঁদের সঙ্গে কাজ করা। আর তাঁরা তো আমাদের চেয়ে ভালোভাবে জানেন যে কীভাবে তাঁদের টাকা চুরি করা হয়েছে এবং কীভাবে সেই তথ্য জানান দিতে হয়।’

অ্যাপেলবাউমের মতে, ‘আমাদের আরও প্রয়োজন হলো অপতথ্য বিস্তারকারী এক্সের মতো সামাজিক গণমাধ্যমের সংস্কার, যা ছেয়ে আছে চরমপন্থী, ইহুদিবিদ্বেষী ও রুশপন্থী বয়ানে। চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যনির্ভরতা কমানো দরকার। কেননা এই বাণিজ্য সম্পর্ক আমাদের সমাজকে দুর্নীতিপরায়ণ করে তুলছে।’

অ্যাপেলবাউমের প্রত্যাশার তালিকাটা দীর্ঘ। তবে তিনি আমাদেরকে পরাজয় মেনে নিতে মানা করছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন যে ২০২২ সালে রাশিয়া পুরোমাত্রায় অভিযান শুরু না করা পর্যন্ত ইউক্রেনকে সহযোগিতার জন্য কোনো আন্তর্জাতিক জোট ছিল না। তবে পশ্চিমা দুনিয়ায় পুতিনের প্রতি বন্ধুসুলভ নেতা বাড়তে থাকায় এখন কাজটা কঠিন হচ্ছে।

সর্বোপরি অ্যাপেলবাউম তাঁর বইতে সমাজকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বলেছেন। তাঁর মতে, ‘আমাদের সমাজ শুধু বাইরে থেকে নয়, বরং ভেতর থেকেও বিভক্তি ও আবেগময়ী নেতাদের কারণে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। আর তাই উদার গণতন্ত্রের জন্য “লড়াই, লড়াই, লড়াই” ছাড়া কোনো উপায় নেই। তা না হলে আমরা আমাদের স্বাধীনতা হারানোর পিচ্ছিল ঢালে অবস্থান করব।’

টিম জুদাহ লেখক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

অনুবাদ: আসজাদুল কিবরিয়া