লালমনিরহাটে তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চর
লালমনিরহাটে তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চর

শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য তিস্তার পানি চুক্তি কেন প্রয়োজন

তিস্তার পানি সমস্যা একটি মানবিক সমস্যা। এর সমাধান হলে কেবল পানি সমস্যার সমাধানই যে হবে তা নয়, এটি দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিশ্বাস, আস্থা, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির সহায়ক হবে। বিশ্ব পানি দিবসে তিস্তার পানি চুক্তির অপরিহার্যতা নিয়ে লিখেছেন গোলাম রসুল

মানবসভ্যতার বিকাশ, সমৃদ্ধি ও বিবর্তনে পানি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। পানির একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, পানি নিচের দিকে গড়ায় এবং দেশের রাষ্ট্রীয় বা প্রশাসনিক সীমানা মানে না, এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলে যায়।

বর্তমানে বিশ্বে আনুমানিক ২৬০টি আন্তর্জাতিক নদী রয়েছে। বিশ্বের প্রায় ৪০ ভাগ লোক এই আন্তর্জাতিক নদীগুলোর অববাহিকায় বসবাস করে। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে পানি বিভিন্ন জাতি, গোষ্ঠী ও দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব-বিবাদ এবং যুদ্ধবিগ্রহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ২৫০০ সালে সুমেরীয় শহর লাগাশ এবং উম্মার মধ্যে টাইগ্রিস নদীর পানি নিয়ে বিরোধ বাধে। একটি চুক্তির মাধ্যমে এ সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান হয়।

এটিকে মানব ইতিহাসের প্রথম চুক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বশান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধিতে পানির ভূমিকা বিবেচনা করে ২০২৪ সালের বিশ্ব পানি দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘লেভারেজিং ওয়াটার ফর পিস’। বাংলায় আমরা বলতে পারি ‘পানির মাধ্যমে শান্তি স্থাপন’।

তিস্তার ওপর নির্ভরশীলতা

তিস্তা একটি আন্তর্জাতিক নদী, যা বাংলাদেশ এবং ভারত দুটি দেশেরই অংশ। এটি ভারতের সিকিম থেকে উৎপন্ন হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে রংপুর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ব্রহ্মপুত্র নদীর সঙ্গে মিলিত হয়। পরে তা পদ্মা ও মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। তিস্তার অববাহিকা আনুমানিক ১২ হাজার ১৫৯ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত।

এ নদীটি বাংলাদেশ ও ভারতের তিন কোটির বেশি মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে দুই কোটির বেশি লোক বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে তিস্তার অববাহিকায় বসবাস করে। ৪০ লাখ লোক ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং প্রায় ৫০ লাখ লোক সিকিমের অববাহিকায় বসবাস করে। অর্থাৎ তিস্তার ওপর নির্ভরশীল ৭০ ভাগ লোক বাংলাদেশে তিস্তার অববাহিকায় বসবাস করে।

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের মধ্য দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করা তিস্তা বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম নদী। তিস্তার প্লাবনভূমি ২ হাজার ৭৫০ বর্গকিলোমিটারজুড়ে বিস্তীর্ণ। লাখো মানুষ কৃষি, খাদ্য উৎপাদন, মাছ ধরা এবং গৃহস্থালি দৈনন্দিন পানির চাহিদা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য তিস্তা নদীর ওপর নির্ভর করে।

এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফসল বোরো ধান চাষের জন্য পানির প্রাথমিক উৎস এবং মোট ফসলি জমির প্রায় ১৪ শতাংশ সেচ প্রদান করে। তিস্তা ব্যারাজ প্রজেক্ট বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প। এটাও তিস্তার পানির ওপর নির্ভরশীল। এই প্রকল্পটির অন্তর্ভুক্ত উত্তরবঙ্গের ছয়টি জেলা যথা নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট এবং এর ‘কমান্ড এরিয়া’ (আওতাভুক্ত এলাকা) ৭ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর বিস্তৃত। তিস্তার সঙ্গে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের মানুষের জীবন–জীবিকা ও অর্থনীতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

তিস্তার পানি কমে যাওয়ার প্রভাব

তিস্তা নদীতে ভারতের উজানে পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমে বাঁধ, ব্যারাজ, জলবিদ্যুৎসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশে তিস্তা নদীর পানির প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই অবকাঠামোগুলো তিস্তার উজানে পানির চাহিদা পূরণ করছে। কিন্তু তা ভাটিতে বাংলাদেশ অংশে তিস্তা নদীতে পানির প্রাপ্যতা দারুণভাবে হ্রাস করেছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত এক সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গজলডোবা ব্যারাজ নির্মাণের আগে বাংলাদেশের ডালিয়া সীমান্তে তিস্তার গড় বার্ষিক পানির প্রবাহ ছিল ৬ হাজার ৭১০ কিউসেক (ঘনফুট প্রতি সেকেন্ড)। ১৯৯৫ সালে গজলডোবা ব্যারাজ চালু হওয়ার পর তা কমে ২ হাজার কিউসেকে দাঁড়ায়। শুষ্ক মৌসুমে সর্বনিম্ন প্রবাহ ১ হাজার ৫০০ কিউসেক থেকে ২০০-৩০০ কিউসেকে নেমে আসে। এটা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। ভূপৃষ্ঠের পানির প্রবাহ হ্রাস এবং সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে তিস্তা অববাহিকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর গত এক দশকে প্রায় ১০ মিটার নিচে নেমে গেছে।

শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদীতে পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় তা সেচের ক্ষেত্রে এবং কৃষি ফলনে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফসলগুলোর একটি বোরো ধান উৎপাদনে এর প্রভাব ব্যাপক। ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় দেখা যায়, তিস্তার পানির ঘাটতির কারণে প্রতিবছর প্রায় ১৫ লাখ টন বোরো ধান উৎপাদনের ক্ষতি হয়েছে। এটা দেশের মোট ধান উৎপাদনের প্রায় ৯ শতাংশের সমান।

এই গবেষণায় আরও ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, যদি পানি সমস্যার সমাধান করা না হয়, তাহলে তিস্তায় পানির ঘাটতির কারণে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের চাল উৎপাদন প্রায় ৮ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১৪ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে। তিস্তা অববাহিকায় পানির ঘাটতির কারণে কৃষকেরা ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করে জমিতে সেচ দিচ্ছে। এতে করে কৃষকদের সেচের খরচ অনেক গুণ বেড়ে গেছে এবং কৃষিব্যবস্থাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে যে উত্তরবঙ্গের খাল-বিল, পুকুর, জলাশয় শুকিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এর সঙ্গে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তায় পানি না থাকার সম্পর্ক রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলতে থাকলে তা ভবিষ্যতে পুড়ো উত্তরবঙ্গের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।

‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্ক বনাম তিস্তার পানি চুক্তি

তিস্তার পানি চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। তিস্তার পানি ভাগাভাগি নিয়ে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে আলাপ-আলোচনার পর স্বাক্ষরের জন্য চুক্তির একটি খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী শুষ্ক মৌসুমে তিস্তার পানির ৩৭ দশমিক ৫ ভাগ বাংলাদেশের এবং ৪২ দশমিক ৫ ভাগ ভারতের পাওয়ার কথা ছিল। বাকি ২০ ভাগ থাকবে নদীর পরিবেশ রক্ষার উদ্দেশ্যে।

২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় তিস্তার পানি নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ছিল। কিন্তু ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরোধিতার কারণে শেষ মুহূর্তে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়নি—কেউ কেউ এমন দাবি করেছেন। এর পর থেকে তিস্তা পানি চুক্তি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি অচলাবস্থারসৃষ্টি হয়েছে।

নরেন্দ্র মোদির সরকার তিস্তার পানি চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশে তাঁর প্রথম সফরের সময় মোদি বলেছিলেন, পানির সমস্যা একটি মানবিক সমস্যা। তিনি আত্মবিশ্বাসী যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সহায়তায় তাঁরা খুব শিগগিরই তিস্তা ও ফেনী নদীর বিষয়ে একটি ন্যায্য সমাধানে পৌঁছাতে পারবেন।

কিন্তু বাংলাদেশের ক্রমাগত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সমস্যাটি এক দশকের বেশি সময় ধরে অমীমাংসিত রয়ে গেছে। এটা দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের নীতিনির্ধারকেরা প্রায়ই দাবি করেন, বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র দুটির মধ্যে চমৎকার সুসম্পর্ক বিরাজ করছে। এর আগেও এ দুটি দেশ অতীতে অনেক বড় বড় দ্বিপক্ষীয় সমস্যা শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধান করেছে। ভারত ও বাংলাদেশ ১৯৯৬ সালে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা শুষ্ক মৌসুমে, গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান করে।

২০১৪ সালে দেশ দুটি আন্তর্জাতিক সালিশির মাধ্যমে তাদের সমুদ্রসীমা বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান করে। ২০১৫ সালে দুই দেশ একটি ঐতিহাসিক স্থল সীমানা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এটা কয়েক দশকের পুরোনো সীমান্ত বিরোধের অবসান করেছে এবং ছিটমহল বিনিময় সম্ভব হয়েছে। এর মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের দুর্দশার অবসান হয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারত কুশিয়ারা নদীর অন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টনের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এটা ভারতকে ত্রিপুরার সাব্রুম শহরের পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে ফেনী নদী থেকে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক (ঘনফুট প্রতি সেকেন্ড) পানি প্রত্যাহারের সুযোগ করে দিয়েছে। এর ফলে ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুম শহরের পানীয় জলের সংকট দূর হবে। তা ছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, ট্রানজিট ও জ্বালানিসহ অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে। কিন্তু তিস্তা নদীর পানি চুক্তির অচলাবস্থা দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার ক্ষেত্রে একটি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিস্তা পানি চুক্তি কেন ‘অপরিহার্য’

তিস্তার পানি সমস্যা একটি মানবিক সমস্যা। এর সমাধান হলে কেবল পানি সমস্যার সমাধানই যে হবে তা নয়, এটি দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিশ্বাস, আস্থা, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির সহায়ক হবে। তিস্তার পানি সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত ও গভীরতর করতে পারে। এ সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র যেমন বন্যানিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ সংরক্ষণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ নানাবিধ পারস্পরিক উপকারী প্রকল্প গ্রহণে সহায়ক হতে পারে।

জনগণের চাহিদা বৃদ্ধি এবং বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত—দুই দেশেই পানির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান পানি ব্যবস্থাপনা এই ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। এর ফলে পানির সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।

পানি সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি এবং স্থায়ী সমাধানের জন্য তিস্তা নদীর পানির যৌথ ব্যবস্থাপনা এবং উন্নয়ন প্রয়োজন। তিস্তা নদী হিমালয় পর্বতের হিমবাহ (গ্লেসিয়ার) থেকে উৎপত্তি হলেও তিস্তার পানির মূল উৎস বৃষ্টিপাত। পানির সামান্য অংশ আসে সিকিমের বিভিন্ন হিমবাহ থেকে। অধিকাংশ বৃষ্টিপাত হয় বর্ষা মৌসুমে জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে। এর ফলে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদীর পানির প্রবাহ বাড়াতে হলে তিস্তার উজানে সিকিমে জলাধার নির্মাণ করতে হবে।

এভাবে বর্ষা মৌসুমের পানি ধরে রেখে তা শুষ্ক মৌসুমে দুই দেশের সম্মতিতে ও পারস্পরিক লাভজনক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা প্রয়োজন। সেই জন্য দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা, বোঝাপড়া এবং পানিসম্পদ সংরক্ষণ ও ব্যবহারের জন্য সমন্বিত ব্যাপক পরিকল্পনা ও প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন।

তিস্তা পানি চুক্তি এই ‘মহাপরিকল্পনা’র ভিত্তি স্থাপনে সহায়ক হতে পারে। তাই আন্তর্জাতিক পানি–সম্পর্কিত নীতিমালা অনুসরণ করে ভারত এবং বাংলাদেশকে তিস্তা পানি চুক্তি সম্পাদনে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

  • ড. গোলাম রসুল অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি, ঢাকা