লেবার পার্টির সাবেক নেতা জেরেমি করবিন ফিলিস্তিনপন্থী একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে সহজ জয় পেয়েছেন
লেবার পার্টির সাবেক নেতা জেরেমি করবিন ফিলিস্তিনপন্থী একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে সহজ জয় পেয়েছেন

বিশ্লেষণ

গাজা ইস্যু যেভাবে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে

এবার ব্রিটেনের নির্বাচনে লেবার পার্টি ভূমিধস জয় পেয়েছে। এই বড় জয়ের মধ্যেও বেশ কিছু আসনে ফিলিস্তিনপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে লেবার পার্টির প্রার্থীরা হেরেছেন। এ ঘটনা কী বার্তা দিচ্ছে? গাজা ইস্যু ব্রিটেনের নির্বাচন ও রাজনীতিতে কতটা প্রভাব রেখেছে, তা নিয়ে লিখেছেন শায়িস্তা আজিজ

কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও পরবর্তী সংঘর্ষ–সহিংস পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই ২০২৪) সন্ধ্যার পর থেকে দেশজুড়ে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই ২০২৪) রাত থেকে সীমিত আকারে ইন্টারনেট চালু করা হয়। এ কয়দিনের প্রথম আলোর ছাপা পত্রিকার অভিমত–বিশ্লেষণ পাতার লেখা ও সাক্ষাৎকার ধাপে ধাপে অনলাইনে প্রকাশ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই ২০২৪) এ লেখা ছাপা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

নির্বাচনের পর যুক্তরাজ্যে একটি নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বে লেবার পার্টি এবার নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছে। ১৯৯৭ সালে টনি ব্লেয়ার তাঁর ‘নিউ লেবার’কে নিয়ে যেমন বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিলেন, লেবার পার্টি এবার প্রায় তেমনসংখ্যক আসন পেয়েছে।

১৪ বছরের দীর্ঘ ও অপ্রতিরোধ্যভাবে বিপর্যয়কর টোরি (কনজারভেটিভ) শাসনের পরে স্টারমারের নেতৃত্বে লেবার পার্টির ক্ষমতায় আসাটাই নির্বাচনের পুরো গল্প নয়। বরাবরের মতো ছোটখাটো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে এবং এগুলো গুরুত্ব দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।

স্টারমারের প্রতি বিপুল সমর্থনের জন্য নয়, বরং কনজারভেটিভ পার্টিকে ভোটারদের সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যানই লেবার পার্টির ভূমিধস বিজয়ের কারণ—এমনটা প্রতীয়মান হচ্ছে।

নির্বাচনে রক্ষণশীলেরা প্রায় ‘নিশ্চিহ্ন’ হয়ে গেছে। এমনকি কিছু আসনে কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থীরা হেরে গেছেন, যেগুলোকে তাঁদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ বলে মনে করা হয়েছিল। এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে, বরিস জনসন, ডেভিড ক্যামেরন এবং ব্রিটেনের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের আসন অন্যতম।

কনজারভেটিভ পার্টি বেদনাদায়কভাবে গতবারের (২০১৯) চেয়ে ২৫০টির মতো আসন কম পেয়েছে। জ্যাকব রিস মগ, পেনি মর্ডান্ট, গ্রান্ট শ্যাপসসহ দলটির অনেক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব নির্বাচনে হেরে গেছেন। টোরি মন্ত্রিসভার রেকর্ড ১১ জন সাবেক সদস্য তাঁদের আসন হারিয়েছেন। এসব পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, নিবাচনে কনজারভেটিভ পার্টি পুরোপুরি পর্যদুস্ত হয়েছে।

আসনসংখ্যার হিসাবে লেবার পার্টি ভূমিধস জয় পেয়েছে, কিন্তু মোট ভোটারের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ বা ৩৫ শতাংশ ভোটার দলটিকে ভোট দিয়েছেন। গত নির্বাচনের (২০১৯) তুলনায় দলটির ভোটের হার বেড়েছে মাত্র ১ দশমিক ৪ শতাংশ। লক্ষণীয়, জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে ২০১৭ সালের লেবার পার্টির প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে এটা ৫ শতাংশ কম। ব্রিটিশ জনগণ এবার যেভাবে রক্ষণশীলদের প্রত্যাখ্যান করেছেন, ২০১৭ বা ২০১৯ সালেও যদি একই ঘটনা ঘটত, তাহলে করবিনের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টিও বড় বিজয় অর্জন করত।

এটি যুক্তরাজ্যের নির্বাচনব্যবস্থার একটি ধরন, যা ওয়েস্টমিনস্টারে দ্বিদলীয় দ্বৈততা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং প্রায়শই জনগণের ইচ্ছার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ফলাফল প্রদান করে না। এই ভাঙা ব্যবস্থা সত্ত্বেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচিত করে ভোটাররা লেবার পার্টিকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন।

এই নির্বাচনে স্টারমারের লেবার পার্টি তাদের বেশ কয়েকটি পুরোনো শক্ত ঘাঁটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে হেরে গেছে। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজায় অবিলম্বে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি এবং কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনে দখলদারত্বের অবসানের দাবিতে প্রচারণা চালিয়েছেন। গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে স্টারমারের ইসরাইলপন্থী অবস্থান নিয়ে ভোটাররা বিরক্ত ছিলেন। কমপক্ষে পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়ের ঘটনায় তেমনটাই প্রতীয়মান হয়েছে। এঁদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলেন লেবার পার্টির সাবেক নেতা জেরেমি করবিন। ফিলিস্তিনপন্থী একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি উত্তর ইসলিংটন থেকে সহজ জয় পেয়েছেন।

একসময় যে আসনগুলো লেবার পার্টির জন্য নিরাপদ হিসেবে বিবেচনা করা হতো, এ রকম বেশ কিছু আসনে লেবার পার্টির প্রার্থী খুব অল্প ব্যবধানে ফিলিস্তিনপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, লেবার পার্টির ছায়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েস স্ট্রিটিং ইলফোর্ড উত্তর থেকে গত নির্বাচনে পাঁচ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন। এবার ২৩ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ-ফিলিস্তিনি নারীর বিরুদ্ধে তিনি মাত্র ৫০০ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। বলা যেতে পারে, তিনি প্রায় হারতে হারতে জিতে গেছেন।

একইভাবে বার্মিংহাম ইয়ার্ডলিতে ফিলিস্তিনপন্থী একটি ছোট দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে মাত্র কয়েক শ ভোটে জিতেছেন লেবার পার্টির জেস ফিলিপস; যিনি এর আগে একই আসনে ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন।

এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এই অভূতপূর্ব উত্থানকে মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলো কেবলই ‘মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ’ এলাকায় স্টারমারের গাজা নীতির প্রত্যাখ্যান হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। তবে এটা একটি অদূরদর্শী বিশ্লেষণ, যা বোঝায় যে শুধু মুসলিমরা গণহত্যার বিষয়ে চিন্তিত। উপরন্তু এই ব্যাখ্যা ব্রিটিশ মুসলিমদের বিরুদ্ধে কথিত দ্বৈত আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ করে দেয় এবং ইসলামোফোবিয়া বিষয়ে মানুষকে উত্তেজিত করে।

সত্যটা অবশ্যই সহজ। মুসলিম হোক বা না হোক, অনেক ব্রিটিশ নাগরিক চান ফিলিস্তিনে হত্যালীলার অবসান হোক এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হোক। এ ছাড়া তাঁরা আরও চান যে যাঁরা তাঁদের প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন, গণহত্যা ও আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য স্পষ্ট লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য তাঁদের নৈতিক সততা থাকতে হবে; এমনকি এই লঙ্ঘনগুলো যদি এমন একটি রাষ্ট্রের দ্বারা সংঘটিত হয়, যে রাষ্ট্রটি যুক্তরাজ্যের একটি প্রধান কৌশলগত মিত্র হিসেবে বিবেচিত।

অধিকন্তু ব্রিটেনের অনেক নাগরিক ফিলিস্তিনিদের তাঁদের ভূমি থেকে হিংসাত্মকভাবে উচ্ছেদে যুক্তরাজ্যের ঐতিহাসিক জটিল ভূমিকার কথা স্বীকার করেন। এসব ব্রিটিশ নাগরিক তাঁদের সরকারের অতীতের ভুল শুধরানোর জন্য এ বিষয়ে একটি নীতিগত অবস্থান গ্রহণ করতে চান। এ কারণেই গাজা ইস্যুতে লেবার পার্টির অবস্থান এত বেশি ভোটারকে দলটি থেকে মুখ ফেরাতে বাধ্য করেছে।

এই নির্বাচনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো কট্টর ডানপন্থী ও অভিবাসনবিরোধী রিফর্ম পার্টির উত্থান। এ দলটি এবার ১৪ শতাংশ ভোট এবং সংসদে চারটি আসন জিতেছে। ইউকেআইপির সাবেক নেতা ও ব্রেক্সিটের মূল কারিগর নাইজেল ফারাজ এবার রিফর্ম পার্টি থেকে ক্ল্যাকটন এলাকার প্রতিনিধি বা এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।

পার্লামেন্টে আসন না থাকা সত্ত্বেও গত কয়েক বছরে ফারাজ ব্রিটিশ রাজনীতি, বিশেষ করে অভিবাসন এবং ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের মতো বিষয়গুলো নিয়ে জনমত গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এখন যেহেতু তিনি একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি, আগের চেয়ে আরও বেশি প্রভাব রাখবেন—এমনটা মনে করাই যুক্তিসংগত।

রিফর্ম পার্টি পার্লামেন্টের মধ্যে থেকে লেবার পার্টিকে আরও ডান পন্থার দিকে, যেমন অভিবাসন বিষয়ে আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণের জন্য চাপ দেবে। নতুন প্রধানমন্ত্রী স্টারমারকে এই ধাক্কা প্রতিহত করতে হবে। তাঁকে আন্তর্জাতিক আইন ও নৈতিক শালীনতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি অভিবাসন ও আশ্রয় নীতি তৈরি করতে কাজ করতে হবে, যা দেশের চাহিদাও পূরণ করবে।

১৪ বছরের টোরি শাসন ব্রিটিশ জনগণের কাছ থেকে অনেক কিছু নিয়ে নিয়েছে। আমাদের জীবন এখন অনেক কঠিন। আমরা অনেকেই এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি গরিব। আমাদের সব নাগরিক সুবিধা (পাবলিক সার্ভিস) তাদের পায়ের নিচে চাপা পড়েছে।

 এই নির্বাচনে ফিলিস্তিনপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সাফল্য গাজায় গণহত্যা নিয়ে ব্রিটেনের অবস্থান নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি করেছে। দখলদারত্বের অধীনে থাকা একটি জনগোষ্ঠী এই গণহত্যার শিকার হচ্ছেন, যে দখলদারত্বের জন্য ঔপনিবেশিক ব্রিটেনের সহযোগিতা ছিল। এগুলো প্রত্যক্ষ করে আমাদের মধ্যে অনেকেই বিচলিত হয়ে পড়েছেন।

পরিবর্তনের জন্য একটি বিশাল ক্ষুধা আছে—এ কারণেই জনগণ টোরিদের (কনজারভেটিভ পার্টি) বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু যখন কিয়ার স্টারমারের দেশের শাসনভার গ্রহণ করেন, তখন তাঁর পক্ষে এটা স্বীকার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে তাঁর বিজয় নিরঙ্কুশ ছিল না। তিনি ভোটারদের বড় অংশকে বিশ্বাস করাতে পারেননি যে তাঁর সরকার তাঁদের স্বার্থ পূরণ করবে। তাঁকে দেখাতে হবে যে তিনি ভোটারদের দেওয়া স্পষ্ট বার্তা বুঝতে পেরেছেন।

সেই বার্তাটি হলো, ‘আমরা টোরিদের প্রত্যাখ্যান করেছি, কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে আমরা নিঃশর্তভাবে আপনার লেবার পার্টিকে সমর্থন করছি।’ যুক্তরাজ্যের নতুন নেতা হিসেবে তাঁর প্রথম বক্তৃতায় স্টারমার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি এটি বুঝতে পেরেছেন। তাঁর দাবি, তিনি পুরো দেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী হতে চান এবং বিশেষ করে যাঁরা তাঁকে ভোট দেননি, তাঁদের জন্যও।

যদি তিনি এ বিষয়ে আন্তরিক হন এবং আমি আশা করি যে তিনি আমাদের দেশের স্বার্থে তেমনটা হবেন, তাহলে তাঁকে লেবার পার্টির বামপন্থী গ্রুপ, ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন এবং অন্যান্য শক্তি যারা বৈদেশিক নীতিতে মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইন সমুন্নত রেখে দেশের জনগণের স্বার্থে কাজ করতে চায়, তাদের কাছে পৌঁছাতে হবে।

ব্রিটেনের এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র ও বামপন্থী ছোট দলের প্রার্থীদের অর্জনকে উপেক্ষা করা যায় না। স্টারমারকে গাজা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ইস্যুতে তাদের উদ্বেগের কথা শুনতে হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে টোরিদের পতনের ওপর ভিত্তি করে তিনি তাঁর নির্বাচনী বিজয় দেখতে পাবেন, কিন্তু পরবর্তী সময়ে তা অর্থহীন প্রমাণিত হবে। তিনি কেবল রিফর্ম পার্টির চাপ প্রতিরোধ করতেই অক্ষমতা হবেন না, বরং আরও ক্ষোভ, প্রতিবাদ এবং বামপন্থীদের জবাবদিহির মুখে আরও জোরালো চাপের সম্মুখীন হবেন।

ফিলিস্তিনপন্থী বামপন্থীরা এই নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু লড়াই শেষ হয়নি। নির্বাচনের মাধ্যমে কনজারভেটিভদের পতন হয়েছে এবং লেবার পার্টি ক্ষমতায় এসেছে। এখন লেবার পার্টির ভেতরে-বাইরে থাকা বামপন্থী গ্রুপগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গাজা যুদ্ধ থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে তাদের অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে এবং নতুন সরকারকে চাপ দেওয়ার জন্য নতুন কৌশল তৈরি করতে হবে।

এই নির্বাচন দেখিয়েছে যে যুক্তরাজ্যে দ্বিদলীয় ব্যবস্থার দিন শেষ। মানুষ কাকে ভোট দেবেন—এটা শুধু একটি দলের প্রতি তাঁদের আনুগত্যের ওপর নির্ভর করছে না। এর পরিবর্তে অনেক বেশিসংখ্যক মানুষ এখন তাঁদের মূল্যবোধের ভিত্তিতে ভোট দিচ্ছেন। এ রকম অবস্থায় ব্রিটেনের রাজনীতিতে বামপন্থীদের প্রভাব বাড়ানোর একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে।

  • শায়িস্তা আজিজ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার

  • আল-জাজিরা থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনুবাদ: মনজুরুল ইসলাম