ডেঙ্গুতে সবচেয়ে ঝুঁকিতে শিশুরা। শেষ সময়ে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকদের কিছুই করার থাকে না। সুযোগ বুঝে পরীক্ষার সরঞ্জামাদির দাম বাড়ানো হচ্ছে। চিকিৎসায় অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হচ্ছে।
ডাকসুর সাবেক জি এস এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন গত মাসে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বলেছিলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখন মহামারি পর্যায়ে চলে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে রাজনৈতিক কারণ ছাড়া অন্য কোনো কারণে কখনো জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় না।
মানুষের জন্য বিশেষ করে শিশুদের জন্য পরিস্থিতি এখন জটিলতর। ঢাকার শিশু হাসপাতালে ঠাঁই নেই। শিশু হাসপাতালে ৬৮১টি শয্যা রয়েছে। ডেঙ্গুর পাশাপাশি এখন নানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে আনা হচ্ছে। এখানে কোনো শয্যা খালি নেই। স্থান সংকুলানের অভাবে বাধ্য হয়ে অভিভাবকেরা শিশু রোগীদের নিয়ে ফেরত যাচ্ছেন। এই হাসপাতালে এনআইসিইউ, আইসিইউ, আরআইসিইউতে শয্যা আছে ১০০। এগুলো সব সময় ভরা থাকছে।
শিশু হাসপাতালের সহাকারী অধ্যাপক ডা. মো. কামরুজ্জামান কামরুল সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এবার এক থেকে দশ বছর বয়সী শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এক বছরের কম বয়সী শিশুরা আছে সবচেয়ে ঝুঁকিতে। এসব শিশুর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম। তার ওপর বেশির ভাগ রোগী আসছে জ্বর বা ডায়রিয়া হওয়ার চার-পাঁচ দিন পর। এতে রোগী গুরুতর পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। দেখা যায়, কারও ফুসফুসে বা পেটে পানি চলে আসছে কিংবা রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অনেকে আসার পরপরই আইসিইউ সাপোর্ট লাগছে। এসব রোগী চিকিৎসায় সুস্থ হতে ১০ থেকে ১৫ দিন লেগে যায়।
গত ৬ জুলাই ঢাকার শিশু হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনে দেখা যায়, অসুস্থ শিশুদের নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন মায়েরা। দীর্ঘ সারি। ধীরগতিতে লাইন এগোচ্ছে। অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত অভিভাবকেরা, হাঁসফাঁস করছে সঙ্গে থাকা অসুস্থ শিশুরা। হাসপাতালের নির্দিষ্ট দুটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের রাখা হয়েছে। সেখানে প্রায় সব শিশুরই স্যালাইন চলছে। শিশুদের শান্ত রাখতে অনেক মা-বাবা তাদের হাতে মুঠোফোন দিয়ে রেখেছেন। কেউ কেউ স্যালাইনের পাশাপাশি শিশুকে খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন।
অসুস্থ শিশু কোলে মায়েদের দীর্ঘ সারির ছবি দেখা যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও। হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় পূবালী ব্যাংকের বুথে রোগনির্ণয়ের ফি জমা নেওয়া হয়। একসঙ্গে পাঁচটি কাউন্টারে ফি জমা নেওয়া হলেও লাইনে নড়াচড়া নেই। কেবল টাকা জমা দিতে রোগীর চাপে স্বজনদের দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
তারপরও এই প্রতিষ্ঠান রোগী টানছে চুম্বকের গতিতে। এখানে সাধারণ থেকে জটিল—সব ধরনের রোগীর চিকিৎসায় সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুবিধা, প্লাটিলেট দেওয়ার সুবিধাসহ আইসিইউ শয্যাসংখ্যা বেশি। ফলে রোগীদের নিয়ে এখানেই আসছেন বেশির ভাগ স্বজন। আবার সাধারণ জ্বরকে ডেঙ্গু মনে করে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন, তাতেও ঢাকা মেডিকেলে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।
শিশু মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় ঢাকার আশপাশের জেলা থেকেও শিশু রোগীদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়ার একটা প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ডেঙ্গু জ্বর হলে জেলা সদরসহ উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তবে রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ অনেক কমে গেলে বা গর্ভবতী নারীর ডেঙ্গু রোগের সঙ্গে অন্যান্য জটিলতা দেখা দিলে আমরা রেফার করে থাকি। কারণ, এখানে প্লাটিলেট দেওয়ার বা আইসিইউর ব্যবস্থা নেই।’
আবার ঢাকার ভেতরেই সরকারি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় গোপালগঞ্জের তানিয়াকে। তাঁর বাবা বলেন, ‘ওখানে নাকি রোগী বেশি। তাই এখানে (ঢাকা মেডিকেল) আইতে কয়। এখানে রোগী ফেরত দেয় না।’
চট্টগ্রামের চিকিৎসকেরাও বলছেন, সেখানে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে শিশুরা। তাদের মধ্যে কারও কারও শরীর ফুলে যাওয়া, পেট ব্যথা, ডায়রিয়াসহ নানা নতুন উপসর্গ পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া ৩১ জুলাই পর্যন্ত জেলায় মারা যাওয়া ২৫ জনের মধ্যে ১৪ জনই শিশু; আক্রান্তের হারও ২৫ শতাংশের বেশি।
ডেঙ্গুতে এত মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে চিকিৎসকেরা সংবাদকর্মীদের জানান, শিশুরা চিকিৎসার আওতায় আসছে দেরিতে। স্বাভাবিক জ্বর মনে করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেরিতে করানো হচ্ছে। শেষ সময়ে হাসপাতালে আনার কারণে অনেকে মারা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, চারজনের মধ্যে তিনজনই ভর্তির দু-এক দিনের মধ্যে মারা যায়।
চট্টগ্রামের বিশিষ্ট শিশুবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বাসনা মুহুরী মনে করেন, তীব্র ব্যথা হলেও শিশুরা সেটা ঠিকমতো বলতে পারে না। ভেতরে-ভেতরে শরীরে রক্তের প্লাটিলেট কমতে থাকে। হঠাৎ করে শকে চলে যায়। প্রথম দিকে ডেঙ্গু শনাক্ত হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিশুদের সমস্যা হয় না।
স্থানীয় এক সাংবাদিক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সরেজমিন ঘুরে লিখেছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুর কান্না যেন থামছেই না। ছোট্ট শিশুরা জ্বর, বমিসহ ডেঙ্গুর নানা উপসর্গের যন্ত্রণা ভাষায় প্রকাশ করতে না পারলেও ঠিকই অনুভব করছেন তাদের মায়েরা। তাই সন্তানের কষ্টের ছোঁয়া মায়ের চোখেমুখেও।’
পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ চিকিৎসার আওতায় আনতে দেরি হচ্ছে বলেই শিশুদের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটছে। যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখন অবস্থা এতই খারাপ থাকে যে তখন জরুরি চিকিৎসা দিলেও বাঁচানো অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের পর রোগী বেশি বরিশালে। শয্যার অভাবে শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের অস্থায়ী মেডিসিন ওয়ার্ডে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও অন্যান্য রোগীকে একসঙ্গে রাখা হচ্ছে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশালের বাইরে অন্যান্য জেলা শহরেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, বাড়ছে শিশু মৃত্যুর হার। সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যাচ্ছে, লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত অর্ধশতাধিক রোগী হাসপাতালের বিছানা ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে অনেকে শয্যা পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় অনেকে সাধারণ ওয়ার্ডে ও বারান্দায় বিছানা করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বলা বাহুল্য, এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেশি।
গোদের ওপর বিষফোড়া হয়ে দেখা দিয়েছে চিকিৎসা ও রোগনির্ণয় সরঞ্জামের সংকট আর মূল্যবৃদ্ধি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রায় সব হাসপাতালে অ্যাপারেসিস প্লাটিলেট নিতে খরচ হয় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। কিন্তু ব্যক্তি বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে একই অ্যাপারেসিস প্লাটিলেটের জন্য ২৫ থেকে ২৮ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গুর সাধারণ চিকিৎসায় একজন রোগীর খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। অথচ ব্যক্তিমালিকানার হাসপাতাল-ক্লিনিকে খরচ হচ্ছে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। লাগামহীন চিকিৎসা খরচ নিয়ন্ত্রণের জন্য এসব প্রতিষ্ঠানকে জোর তদারকির আওতায় আনা উচিত।
অ্যাপারেসিস প্লাটিলেট কিটের দাম চলতি বছর কয়েক দফায় বাড়ানো হয়েছে। অ্যাপারেসিস প্লাটিলেটের খরচ কমাতে কিটের দাম নিয়ন্ত্রণ জরুরি। অ্যাপারেসিস প্লাটিলেটের কিট সরবরাহ করে তিনটি প্রতিষ্ঠান। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, প্লাটিলেটের চাহিদা বাড়লে তারাই কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দফায় দফায় কিটের দাম বাড়াচ্ছে।
পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিটের দামও। আমদানি করা ভারতের বায়োটেক কোম্পানির তৈরি কিটের দাম আগে ছিল ৬৫ টাকা। সপ্তাহ তিনেকের মধ্যে এই কিটের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫০ টাকা। সরকারি সরবরাহ অপ্রতুল থাকায় ঢাকার বাইরের অনেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বেশি দামে কিট কিনে কাজ চালিয়ে নিচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দাবি, ডেঙ্গু কিটের কোনো সংকট নেই। চাহিদা অনুযায়ী সব হাসপাতালে কিট সরবরাহ করা হচ্ছে; কিন্তু মাঠের খবর ভিন্ন।
লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, মানিকগঞ্জ, ঝালকাঠি, বগুড়ায় কিটের জন্য অপেক্ষা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, দুই সপ্তাহ আগে কিট চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কোনো উত্তর এখনো মেলেনি। দু-তিন দিনের মধ্যে নতুন কিট না এলে পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে।
লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন আহমেদ কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিট-সংকট রয়েছে। তবে আমরা কিছু জোগাড় করে কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। সর্বশেষ ৪ হাজার কিটের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদা পাঠিয়েছি। কিন্তু পেয়েছি মাত্র ৮৮০টি, যা চাহিদার তুলনা খুবই কম।’
ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার কারণে রোগী ও স্বজনেরা ঢাকামুখী হচ্ছেন বলে অনেকে ধারণা করছেন।
একটা নির্দিষ্ট বিরতি দিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে/স্কুলে গিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রয়োজনে বিনা মূল্যে করতে হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগী শনাক্ত করতে হবে। রোগী পেলে সেখানে মশা মারার কাজ চালাতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব স্কুল কর্তৃপক্ষের। সেই সঙ্গে তাদের মশা তাড়াতে তাগিদ দিতে হবে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এ-সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম নেই। সেগুলোর ব্যবস্থা ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
অবিলম্বে কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু করতে হবে।
১০ বছরের নিচে সব শিশুর ডেঙ্গু-সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা ও চিকিৎসা বিনা মূল্যে করে দিতে হবে।
শিশু কোলে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসা মায়েদের সহায়তার জন্য স্বেচ্ছাসেবীর ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্কাউট ও রেডক্রস/রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তা নেওয়া যায়।
শিশু হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল—উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ জনবল সংকটের কথা বলেছে। ঘাটতি পূরণের জন্য মেডিকেল কলেজগুলোর জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক ব্রিগেড গঠন করা যেতে পারে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সরকারি মেডিকেল কলেজে যথাসময়ে ইন্টার্ন করার সুযোগ দেওয়ার শর্ত দিলে অনেকেই এই স্বেচ্ছামূলক কাজে এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত হবেন।
অনেক পরিবার ডেঙ্গুর চিকিৎসা করাতে গিয়ে বিপর্যয়কর চিকিৎসা ব্যয়ের ফাঁদে পড়ে আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে সন্তানদের পড়াশোনায় ছেদ পড়ে বা তারা বাল্যবিবাহের শিকার হয়। এসব পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।
জরুরি ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতালগুলোকে একটা থোক বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের মতো যেন কাউকে বলতে না হয়, ‘সম্প্রসারণের জন্য পিডব্লিউডিকে (গণপূর্ত বিভাগ) বলেছি, তাদের কাছে তহবিল নেই। টাকা আসলে তারা কাজ করবে।’
অনেকেই ডেঙ্গুকে লুটপাটের আরেকটা মওকা হিসাবে দেখছেন। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, এটা মানুষের জীবনমরণ সমস্যা। সুতরাং এখন থোক বরাদ্দ যেমন দরকার, তেমনি এই অর্থের যথাযথ ব্যবহার দরকার।
কেউ কেউ বলছেন, মানুষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানীদের সহায়তায় একটা সুচিন্তিত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। ঠিক করতে হবে, কে মশা মারবে, আর কে চিকিৎসা দেবে। একসঙ্গে নাকি আলাদা আলাদা বিভাগ এই কাজ করবে।
কেউ কেউ গবেষণা ইনস্টিটিউট গড়ার ঘোষণা দিচ্ছেন। কেউ কেউ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে গবেষণাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক সই করছেন। আবার কারও শখ ডেঙ্গু টিকার ব্যাপারে গবেষণার। হয়তো সব কটিরই দরকার আছে, কিন্তু সবকিছুই হোক সবার সম্মতিতে, একটা সমন্বিত পরিকল্পনার ছাঁচে।
গওহার নঈম ওয়ারা: গবেষক
ই-মেইল: nayeem5508@gmail.com