মতামত

এরদোয়ান কি ক্ষমতার তৃতীয় দশকে প্রবেশ করতে চলেছেন?

নির্বাচনের ফল নিয়ে আগাম মন্তব্য করা কঠিন। তবে ২১ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও এরদোয়ান যে বিদায় নিতে আগ্রহী নন, তার বড় কারণ এখনো তাঁর জনভিত্তি শেষ হয়ে যায়নি।
ছবি : এএফপি

প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বর্তমান বিশ্বের পুরোনো শাসকদের একজন। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী পদ মিলে ২১ বছর দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় আছেন। তবে তিনি মুসলমানপ্রধান সেসব দেশের শাসকদের মতো নন, যাঁরা অনির্বাচিত বা প্রশ্নবিদ্ধ পথে ‘নির্বাচিত’। এ পর্যন্ত তিনি দুবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেছেন, তিন দফা গণভোটের মুখোমুখি হয়েছেন, পার্লামেন্ট ও স্থানীয় পর্যায়ের আরও প্রায় সাতটি নির্বাচন সামাল দিয়েছেন। ‘মুসলিম বিশ্বে’ এমন রাজনীতিবিদ বেশি নেই। আগামী ১৪ মে তুরস্কে আরেক দফা জাতীয় নির্বাচন হবে। এতে পুনরায় নির্বাচিত হতে চান এরদোয়ান। তবে এবার কড়া চ্যালেঞ্জের মুখেও আছেন। তাঁর নির্বাচিত হওয়া না–হওয়া ভূরাজনীতিরও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা হয়ে উঠেছে।

জাতীয় নির্বাচন ছাড়াও সময়টা তুরস্কের জন্য বাড়তি গুরুত্বের। কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে দেশটির নবযাত্রার ১০০ বছর হচ্ছে ২০২৩-এ। এরদোয়ান এ রকম একটা ঐতিহাসিক উপলক্ষ বিজয় দিয়েই উদ্‌যাপন করতে চাইছেন। তবে আসন্ন নির্বাচন কেবল প্রেসিডেন্ট পদে হচ্ছে না, ৬০০ সদস্যের পার্লামেন্টের জন্যও হচ্ছে। যেহেতু ২০১৭ থেকে দেশটির নির্বাহী প্রধান প্রেসিডেন্ট, এ কারণে জল্পনাকল্পনার কেন্দ্রে কেবল প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা।

নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে

তুরস্কে যদিও জনপ্রতিনিধিদের শাসন চলছে, তবে এরদোয়ানের গত দুই দশকের শাসনের সারসংকলন এভাবেও করা হয় যে দেশটির মুসলমানরা এক ব্যক্তিনির্ভর কেন্দ্রীভূত শাসন বেশি পছন্দ করছে। ঠিক এ কারণেই নিজ দল আক পার্টির (আদালত ভে কালকিনমা পার্টিসি) চেয়ে এরদোয়ান নিজ ভাবমূর্তির ওপর নির্বাচনে বেশি ভরসা করছেন। ক্ষমতার প্রাথমিক দিনগুলোতে সামাজিক নিরাপত্তামূলক অনেক কর্মসূচি ছিল তাঁর। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও বাড়াতে পেরেছিলেন। এখন সেই তরঙ্গ ধীর হয়ে গেছে মূল্যস্ফীতি ও দুর্যোগে।

এতে নির্বাচনের ফল নিয়ে আগাম মন্তব্য করা কঠিন। তবে ২১ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও এরদোয়ান যে বিদায় নিতে আগ্রহী নন, তার বড় কারণ এখনো তাঁর জনভিত্তি শেষ হয়ে যায়নি। বিরোধী রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (জুমহুরিয়াত হাল্ক পার্টিসি বা যেহেপে) অবশ্য মনে করে, এবার তাদের সম্ভাবনা বেশি। যেহেপে ‘ন্যাশনাল এলায়েন্স’ নামে ছয়দলীয় এক জোট গঠন করে নির্বাচনে লড়ছে। এ জোটকে অনেকে রসিকতা করে ‘ছয়জনের খাবার টেবিল’ও বলে। এদের প্রতি নবীন ভোটার ও কুর্দিদের সমর্থন আছে, যা বিশেষভাবে মনোযোগ পাওয়ার মতো। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট পদের লড়াইয়ে বিরোধী হোমল্যান্ড পার্টির মুহরারম ইনজে প্রার্থী হওয়ায় এরদোয়ানের খানিক সুবিধা হচ্ছে। মুহরারম অন্তত ৫ শতাংশ এরদোয়ানবিরোধী ভোট কেটে নেবেন।

পার্লামেন্ট নির্বাচনেও এরদোয়ানের দল বিজয়ের আশা করছে। ২০১৮ সালে তারা প্রায় ৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, যা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে প্রায় ২৩ শতাংশ বেশি।

প্রচারে প্রধান প্রসঙ্গ ভূমিকম্প ও পুনর্বাসন

এরদোয়ান সম্পর্কে কৌতুক করে বলা হয়, নিজ দেশের বাইরের মুসলমানদের কাছে তিনি বেশি জনপ্রিয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের বড় এক অংশ মনে করে, এরদোয়ানকে তাদের দরকার। তাঁর মধ্যে তারা একজন শক্তিশালী ‘মুসলিম শাসকে’র ছবি দেখে। বিভিন্ন স্বৈরাচারী পুতুল শাসকদের অধীন থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে মুসলমানরা হয়তো এ রকম মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়া দেখান। তবে তুরস্ক এ মুহূর্তে প্রকৃতই করিতকর্মা প্রেসিডেন্ট চায়। দেশটির অর্থনীতি ভালো নেই।

নির্মাণ খাতের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা বিপদে ফেলেছে তাদের। দ্রব্যমূল্য অনেক বেড়েছে। ডলারের বিপরীতে লিরার দরও বেশ পড়ে গেছে। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারির জঘন্য ভূমিকম্প কেবল ৪৮ হাজার মানুষের জীবনই কেড়ে নেয়নি, সম্পদের টানাটানিতেও ফেলেছে। এ দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে সমাজে অসন্তোষ আছে। এ দুর্যোগ ১২ বছর পুরোনো সিরিয়ার শরণার্থীদের দুর্ভোগও বাড়িয়েছে এবং স্থানীয় সমাজে শরণার্থীবিরোধী মনোভাবও বাড়াচ্ছে।

আমেরিকার প্রথম সারির প্রায় সব কাগজে তুরস্কের পরিস্থিতির নির্মোহ বিশ্লেষণের চেয়ে এরদোয়ানের নিন্দাই বেশি মেলে। তবে তারা এ–ও জানে, এরদোয়ান বহু নির্বাচন করা মানুষ এবং তিনি জানেন কীভাবে জিতে আসতে হয়, ফিরে দাঁড়াতে হয়। এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে বেশ মিল রয়েছে পাকিস্তানের ইমরান খানের। আবার যেকোনো একটা রহস্যময় ‘সন্ত্রাসী’ হামলাও নির্বাচনী হাওয়া পাল্টে দিতে পারে। যেমনটি ঘটে অনেক ভারতীয় নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে। এরদোয়ান তখন নির্বাচনকে ‘কুর্দি সন্ত্রাস’বিরোধী গণভোটে পরিণত করে ফেলতে পারেন।

প্রশ্ন হলো, ভোটের দিন মানুষ কেন্দ্রে গিয়ে এসব মনে রাখবেন কি না । নির্বাচন এলে অনেক সময় সাধারণ মানুষ জীবনযাপনের জন্য জরুরি বিষয়ের বাইরে গিয়ে আঞ্চলিকতা, ধর্ম ইত্যাদির ওপর দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে ফেলেন। এ ছাড়া সুন্নি মুসলমানদের কাছে এরদোয়ান অর্থনৈতিক বিবেচনার বাইরে বাড়তি কিছু। প্রচুর নাটক-সিনেমার মাধ্যমে জীবন্ত করে তোলা অটোমান ঐতিহ্যের স্মৃতি বুকে নিয়ে তাঁরা মনে করছেন, এরদোয়ান তুরস্ককে অতীত ‘সাম্রাজ্যে’র দাপট এনে দিতে সক্ষম।

এ রকম মনোভাবের ওপর দাঁড়িয়েই এরদোয়ান সিরিয়া, লিবিয়া ও আজারবাইজানের পরিস্থিতিতে নাক গলিয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পছন্দসই নানা দলকে সহায়তা দিয়েছেন। তবে ভক্ত ও ভোটারদের কাছে এরদোয়ানের প্রতিপক্ষ কেমেল কিলিচদারওলুর ‘আলেভি’ মুসলমান পরিচয়ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে এবং এ–ও সত্য, ব্যক্তিগত ইমেজে এরদোয়ানের শক্তপোক্ত যে ভাবমূর্তি রয়েছে, কেমেলের সেখানে ঘাটতি আছে। দেশটির প্রচারমাধ্যমেও এরদোয়ানের প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ স্পষ্ট টের পাওয়ার মতো।

বিরোধী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কেমেল অনেক জরিপে এরদোয়ানকে সমানে সমানে মোকাবিলা করছেন বা কিছুটা এগিয়ে আছেন।

তারপরও সর্বশেষ জরিপগুলো এরদোয়ানের জন্য সতর্কবার্তা জানাচ্ছে। বিরোধী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কেমেল অনেক জরিপে এরদোয়ানকে সমানে সমানে মোকাবিলা করছেন বা কিছুটা এগিয়ে আছেন। ব্যবধানটি এরদোয়ানের জন্য এখনো অতিক্রম অযোগ্য স্তরে যায়নি। হয়তো সে কারণেই ভূমিকম্পকে অজুহাত করে তিনি নির্বাচন পিছিয়ে দেননি, বরং দলীয় এমপিদের বড় এক অংশকে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকায় পাঠিয়েছেন পুনর্বাসন উদ্যোগ তদারকির জন্য। অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে এরদোয়ান জানেন, ভূমিকম্পই এ নির্বাচনের প্রচারণার প্রধান বিষয় হয়ে থাকবে, যেখানে এ মুহূর্তে অন্তত পাঁচ লাখ নতুন বাড়িঘর দরকার।

অনেক দিন ধরে নির্মাণ খাত তুরস্কের অর্থনীতির প্রধান এক স্তম্ভ হলেও সর্বশেষ ভূমিকম্পে শীর্ণ কাঠির মতো বাড়িঘরের পড়ে যাওয়া দেখাল, এ খাতে নজরদারির অভাব ও দুর্নীতি কত প্রবল ছিল। অথচ ঐতিহাসিকভাবে ভূমিকম্পপ্রবণ এ দেশে নির্মাণ খাতে দুর্নীতি বন্ধ করার পুরোনো আকুতি রয়েছে। রাষ্ট্র সে প্রবণতা সামাল দিতে ব্যর্থ হলেও ভূমিকম্পের পর দুর্গত অঞ্চলের জন্য দেশটির সামাজিক সাড়া অভিবাদন পাওয়ার মতো ছিল।

গুরুত্ব পাচ্ছে কুর্দি ভোট

এবারের নির্বাচনের ফলাফলে কুর্দিরা নির্ধারক ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। জনগোষ্ঠী হিসেবে এরা তুরস্কে (এবং আশপাশের অন্যান্য দেশেও) ঐতিহাসিক দুর্ভাগ্যের শিকার। তুরস্কে মূলধারার সমাজে কুর্দিদের নিয়ে প্রশংসামূলক কিছু বলা ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু এবার কেমেল বনাম এরদোয়ান ম্যাচে তাঁদের মতামত ভারসাম্য বদলের কারিগর হতে পারে। প্রায় ১২ শতাংশ ভোট নিয়ে কুর্দিরা এককভাবে মূল দলগুলোর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে পারে না কখনো। আবার আক পার্টির একচেটিয়া আধিপত্যের দিনগুলোতে তাঁদের সমর্থন বিরোধীদের কাজে লাগেনি। এবার ‘যেহেপে’ অতীতের চেয়ে ভালো অবস্থায় থাকায় কুর্দিদের ভোট তাঁকে বিজয়ী করতে পারে।

তবে কুর্দি দলগুলো যেহেপের দিকে যতটা সরছে, কুর্দিবিরোধী দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল মুভমেন্ট পার্টি এনএইচপি ততটাই এরদোয়ানের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। সিএইচপির প্রতি কুর্দিদের পক্ষপাতের কারণ হলো এ রকম এক ভরসা যে তারা ক্ষমতায় এলে কুর্দি ভাষার ওপর নিয়ন্ত্রণ কিছুটা কমবে। এ ছাড়া কুর্দিদের স্বার্থের প্রতিনিধিত্বকারী এইচডিপি (পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি) দলের ওপর দমন–পীড়নও হয়তো থামবে। কয়েক ডজন এইচডিপি নেতাকে এরদোয়ান কারাগারে ঢুকিয়ে রেখেছেন।

কুর্দিরা প্রেসিডেনশিয়াল পদ্ধতির বদলে সংসদীয় ব্যবস্থার শাসন সংস্কৃতিতেও ফিরতে আগ্রহী। ছয়দলীয় বিরোধী জোটেরও সেটা পছন্দ। তবে এসব প্রত্যাশা কতটা পূরণ হবে, তাতে সন্দেহ আছে। কারণ, কেমেল যে জোটের প্রার্থী, তাতে কুর্দিদের প্রতি কঠোর মনোভাবের ডানপন্থী আইভি পার্টিও আছে। যদিও এ জোটকে আন্তর্জাতিকভাবে মধ্য-বাম চরিত্রের দেখিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

অনেকের অনুমান, চলতি নির্বাচন দ্বিতীয় রাউন্ড পর্যন্ত গড়াবে। প্রেসিডেন্ট পদে একজন প্রার্থীকে জিততে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাওয়ার নিয়ম। সে রকম না ঘটলে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থী নিয়ে দ্বিতীয় দফায় আবার লড়াই হবে। সে অধ্যায়ে নিশ্চয়ই একজন জিতবেন, কিন্তু তাতে তুরস্কের সমাজে রক্ষণশীলতার সঙ্গে বহুত্ববাদের যে দ্বন্দ্ব চলছে, তার আপাতত কোনো নিশ্চিত ফয়সালা হচ্ছে না। সাংস্কৃতিক জীবনধারায় দ্বিধাবিভক্ত এক জাতি তুরস্ক। একদিকে অটোমান ঐতিহ্যের নস্টালজিয়া, অন্যদিকে পিছুটান ছিঁড়ে সামনে এগোনোর ডাক।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ‘পরিবর্তন’ দেখতে চায়

তুরস্ক যদিও ‘প্রায় ইউরোপীয়’ এক দেশ এবং ন্যাটোর সদস্য, কিন্তু ‘পশ্চিম’ এরদোয়ানকে নিয়ে গত দুই দশক খুব বেশি সুখে ছিল না। সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়াকে সাহায্য এবং সুইডেনের ন্যাটোভুক্তিতে আপত্তি দেখিয়ে এরদোয়ান বেশ বিরক্ত করেছেন ইউরোপের যুক্তরাষ্ট্রপন্থীদের। আক পার্টি আবার ক্ষমতায় থেকে গেলে তুরস্কের ইইউভুক্তি যে আরেক দফা পিছিয়ে যাবে, সেটা প্রায় নিশ্চিত।

এরদোয়ান ন্যাটোতে থাকার পরও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের সঙ্গে বিশ্বজুড়ে বহুবার ভিন্নমত পোষণ করেছেন। বিশেষ করে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে রুশদের সঙ্গে তুরস্কের বাণিজ্য বেশ বেড়েছে। উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন স্থানে এরদোয়ানকে হাজির হতে দেখে ফ্রান্সও ‘বিরক্ত’। এরদোয়ানের এ সাহস দেশে-বিদেশে তাঁর দেশের স্বতন্ত্র এক সাহসী ভাবমূর্তি তৈরি করেছে। সম্প্রতি তিনি মধ্যপ্রাচ্যে পুরোনো প্রতিপক্ষ সৌদি আরবের সঙ্গেও বিস্ময়করভাবে বিরোধ মিটিয়ে ফেলেছেন। তাঁর আমলে সমরাস্ত্র খাতে তুরস্ক বেশ এগিয়েছে। তবে এসব অর্জনের বিপরীতে ‘পশ্চিমা’রা মে মাসে পরিবর্তন দেখতে চাইবে বলেই মনে হয়।

আমেরিকার প্রথম সারির প্রায় সব কাগজে তুরস্কের পরিস্থিতির নির্মোহ বিশ্লেষণের চেয়ে এরদোয়ানের নিন্দাই বেশি মেলে। তবে তারা এ–ও জানে, এরদোয়ান বহু নির্বাচন করা মানুষ এবং তিনি জানেন কীভাবে জিতে আসতে হয়, ফিরে দাঁড়াতে হয়। এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে বেশ মিল রয়েছে পাকিস্তানের ইমরান খানের। আবার যেকোনো একটা রহস্যময় ‘সন্ত্রাসী’ হামলাও নির্বাচনী হাওয়া পাল্টে দিতে পারে। যেমনটি ঘটে অনেক ভারতীয় নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে। এরদোয়ান তখন নির্বাচনকে ‘কুর্দি সন্ত্রাস’বিরোধী গণভোটে পরিণত করে ফেলতে পারেন।

  • আলতাফ পারভেজ ইতিহাস বিষয়ে গবেষক