৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নটি সব জায়গায় আলোচিত হচ্ছে
৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নটি সব জায়গায় আলোচিত হচ্ছে

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যের প্রশ্ন কেন এল?

বাংলাদেশে ২০০৮–এর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে বিতর্ক সামনে আসে ওই নির্বাচনের বেশ কয়েক বছর আগেই। প্রধানমন্ত্রীর অসীম ক্ষমতার সংস্কারসহ রাষ্ট্রের অন্যান্য ক্ষমতা-কাঠামোর সংস্কারের আলোচনার প্রেক্ষাপটেই ২০০৭–০৮-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি নাগরিক সমাজের একটা অকুণ্ঠ সমর্থন ছিল। কিন্তু সেই সরকার কাঙ্ক্ষিত সংস্কার আনয়নে ব্যর্থ হয়।

 ২০০৯-এ নতুন সরকার গঠনের পর ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলকে কেন্দ্র করে প্রদত্ত সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং এই প্রেক্ষাপটে সুষ্ঠু নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনের আলোচনায় আরও বেশি গুরুত্ব পেতে থাকে।

 এই বিতর্কের একটি মূল ব্যাপার ছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে তিন তিনটি নির্বাচন হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে শাসন বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের ডিফ্যাক্টো শাসক প্রধানমন্ত্রীর বাস্তব ক্ষমতা এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে যে তিনি শুধু রাষ্ট্রের অন্য বিভাগগুলোই নিয়ন্ত্রণ করেন না, বরং রাষ্ট্রের আইনগত প্রধান রাষ্ট্রপতিকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

 এই প্রেক্ষাপটেই ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল নির্বাচনী ব্যবস্থায় একধরনের অনাচার তৈরি করতে পারে—এ বিষয়টি সামনে আসে। তাই এই অভাবনীয় বাংলাদেশীয় লেভিয়াথানের ক্ষমতা হ্রাস করার জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো, সুশীল সমাজসহ সর্বমহলে আলোচনা প্রাধান্য পায়।

২০১৮–এর নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং এর পরবর্তী সময়ে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিএনপি, নাগরিক মঞ্চ, গণসংহতি পার্টি তাদের বিভিন্ন আলোচনায় বৃহৎ রাজনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা, ফ্লোর ক্রসিংয়ের সুযোগসহ বিভিন্ন ধারণা অন্যান্য রাজনৈতিক সংস্কারের সঙ্গে সামনে নিয়ে আসে।

 এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন আসে, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যের প্রশ্ন কেন এল? সংবিধানই কি প্রধানমন্ত্রীকে এমন লেভিয়াথান হিসেবে তৈরি করেছে? প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে বর্তমান সংবিধান কী বলে? এই আলোচনায় আমাদের মনে রাখতে হবে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা আসলে নির্ভর করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সংসদীয়ই না রাষ্ট্রপতিশাসিত তার ওপর। সংসদীয় ব্যবস্থায় সংবিধান এমনভাবে প্রণয়ন করা হয় যে সংসদ নেতা এবং শাসন বিভাগীয় প্রধান একই ব্যক্তি। এর ফলে সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগের মধ্যে দুটি বিভাগই সাধারণভাবে প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে।

 তা ছাড়া রাষ্ট্রপতি তাঁর দল থেকে নির্বাচিত হওয়ায় এবং দলে তিনি তাঁর অধস্তন হওয়ায় অথবা রাষ্ট্রপতিকে তাঁর পদে থাকার ক্ষেত্রেও সংসদ নেতার ইচ্ছার ওপর নির্ভর হওয়ায় এবং আদালত কার্যকর স্বাধীন না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীই সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত এক টোটালিটারিয়ান রাষ্ট্রের পিতা।

বাংলাদেশের সংসদীয় ব্যবস্থায় এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বছরের পর বছর প্রধানমন্ত্রীর জন্য তাঁর দলের নেতা হয়ে থাকার সুযোগ। এই সব সাংবিধানিক এবং বাস্তব ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করেছে সংসদে দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে না পারার সাংবিধানিক আইন। ফলে তিনি এক প্রকাণ্ড ক্ষমতাধর ব্যক্তি (হবসের প্রকৃতির রাজ্যের লেভিয়াথান), যাকে চ্যালেঞ্জ করার ন্যূনতম সুযোগ নেই। 

এই লেভিয়াথানকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এখন কী করতে হবে? সংবিধান সংশোধন, নাকি নতুন সংবিধান প্রণয়ন? সংবিধানের মৌলিক চরিত্র ও মূলনীতিগুলোর যদি পরিবর্তন চাই তাহলে নতুন সংবিধান লাগবে। এ ক্ষেত্রে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে হলে নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য যে প্রক্রিয়া তথা সাংবিধানিক পরিষদ গঠন এবং গণভোটের আয়োজন প্রয়োজন। ঐকমত্যের ভিত্তিতে আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কোন ধরনের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা চাই। পৃথিবীতে মোটা দাগে তিন ধরনের শাসনব্যবস্থা আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক হেজিমনি না থাকলে সেখানে আধুনিক সময়ের রাষ্ট্রপতিশাসিত স্বৈরতন্ত্র তৈরি হতে পারে। ব্রিটিশ শাসনে যৌথ জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকলেও ক্যাবিনেটের একনায়কতন্ত্র রয়েছে। তা ছাড়া এটি সাংবিধানিকভাবে নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের দেশ।

রাষ্ট্রপতিশাসিত শাসনব্যবস্থা (প্রধানত আমেরিকান ব্যবস্থা), সংসদীয় শাসনব্যবস্থা (ব্রিটিশ সিস্টেম) এবং সেমি-প্রেসিডেনশিয়াল শাসনব্যবস্থা (ফরাসি সিস্টেম)। আমেরিকান সিস্টেমে শাসন, আইন (দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা), বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতির কারণে স্বাধীনতা ও সুশাসন রয়েছে।

ব্রিটিশ সিস্টেমে ক্ষমতার একত্রকরণ আছে, যেখানে আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগের নিয়ন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর হাতে। তবে উঁচু মাত্রার সামাজিক ও রাজনৈতিক বোঝাপড়া ও মূল্যবোধ, প্রথা ও কাস্টমস এবং রাজার প্রতি জনগণের অগাধ বিশ্বাসের কারণে আমেরিকার চেয়েও বেশি স্বাধীনতা ও সুশাসন নিশ্চিত হয়েছে ব্রিটিশ ব্যবস্থায়। ফরাসি ব্যবস্থা ব্রিটিশ ও আমেরিকান ব্যবস্থার একটি ভারসাম্য ব্যবস্থা।

 এখানে শাসন, আইন ও বিচার বিভাগের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য ছাড়াও প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যেও ক্ষমতার ভারসাম্য রয়েছে। এককেন্দ্রিক এই রাষ্ট্রব্যবস্থায় দুজন শাসন বিভাগীয় নেতা রয়েছেন। রাষ্ট্রের প্রধান পাঁচ বছরের জন্য সরাসরি নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি, যিনি বিচারক ও সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেন এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুমোদন করেন।

তিনি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং সংসদ ভেঙে দিতে পারেন। সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেন যিনি নীতি নির্ধারণ, সিভিল সার্ভিস ও গণতান্ত্রিক বিষয়াদি দেখভাল করেন। ফরাসি ব্যবস্থাটি আমাদের নিকট খুব বেশি পরিচিত নয়। এই তিন ব্যবস্থার মধ্যে আমি ফরাসি ব্যবস্থাকে বেশি নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্যপূর্ণ মনে করি।

আমেরিকা ও ব্রিটেনের তুলনায় ফ্রান্সে স্বাধীনতা, স্বশাসন ও সুশাসন বেশি। আমেরিকান ব্যবস্থায় ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতি থাকলেও মার্কিন রাষ্ট্রপতি শুধু আমেরিকায় নয়, পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক হেজিমনি না থাকলে সেখানে আধুনিক সময়ের রাষ্ট্রপতিশাসিত স্বৈরতন্ত্র তৈরি হতে পারে। ব্রিটিশ শাসনে যৌথ জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকলেও ক্যাবিনেটের একনায়কতন্ত্র রয়েছে। তা ছাড়া এটি সাংবিধানিকভাবে নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের দেশ।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন, ভারতীয় সংসদীয় ব্যবস্থা আমেরিকান ও ব্রিটিশ ব্যবস্থার অনেক বৈশিষ্ট্য নিয়ে তৈরি হলেও এই ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর একনায়কতন্ত্র আছে। তবে ফেডারেল সিস্টেমে তথা কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকায় প্রধানমন্ত্রীর সীমিত একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলেও সাংবিধানিক কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের অপব্যবহারের ফলে প্রধানমন্ত্রীর একনায়কতন্ত্র দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। 

 মোটা দাগে পরিবর্তনের কথা ভাবলে বাংলাদেশে ব্রিটিশ, আমেরিকান কিছু বৈশিষ্ট্যসহ ফরাসি ব্যবস্থা আমাদের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে মাথায় রেখে চালু করা যেতে পারে। এই ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। দ্বিকক্ষ আইনসভা থাকবে। নিম্নকক্ষ সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে। উচ্চকক্ষে নির্বাচনসহ বিভিন্ন সামাজিক শ্রেণি ও নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর প্রতিনিধি থাকার ব্যবস্থা থাকবে। রাষ্ট্রপতিকে অবশ্যই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে হবে।

সম্ভব হলে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি কেউই এক মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না—এই বিধান যুক্ত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি উভয়ই পরবর্তী কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না এবং তাঁরা প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি পদে থাকা অবস্থায় দলীয় কোনো পদেও থাকতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী রাষ্ট্রপতি এবং রাষ্ট্রপতি পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।

এরদোয়ান যে নীতিতে তুরস্কে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি দুটোই হয়েছেন। তবে এই রকম প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হলো তাঁরা খুব দুর্বল হতে পারেন এবং দলীয় প্রধানের মারাত্মক প্রভাবে থাকবেন। এ ক্ষেত্রে স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো, বিশেষ করে মানবাধিকার কমিশন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ন্যায়পাল এমনভাবে গঠন করতে হবে, যেন তারাই নাগরিক অধিকার ও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষার মূল কাঠামোর অংশ হন।  

 বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্যও নানা সময়ে আমরা সংবিধান সংশোধন করেছি। একসময় আমাদের ভিন্ন দলের বিরুদ্ধে মতামত দেওয়ার সুযোগ ছিল। পাকিস্তান আমলে ১৯৫৪ সালের নির্বাচন–পরবর্তী সরকারগুলোর অস্থিতিশীলতার অভিজ্ঞতা আমাদের যে যেই দল থেকে নির্বাচিত সেই দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার ওপর প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে বাধ্য করছে।

চতুর্থ সংশোধনী, রাষ্ট্রপতি জিয়া ও এরশাদের সময়ের সংশোধনী, শেখ হাসিনার বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়া—এগুলোতে সংবিধানের মৌলিক পরিবর্তনের উদ্যোগও ছিল, কিন্তু এর অনেকগুলোতেই শাসকের ইচ্ছা, আবেগ ও রাজনৈতিক আদর্শ প্রাধান্য পেয়েছে।

তা ছাড়া এই উদ্যোগগুলোতে জাতি, শ্রেণি, ধর্ম এবং রাজনৈতিক বিশ্বাস–নির্বিশেষে সব নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ করা যায়নি। তাই সংবিধান সংস্কার বা নতুন সংবিধান তৈরি, যা কিছুই করি না কেন, এ সবকিছুতে জাতি, ধর্ম এবং আদর্শ–নির্বিশেষে একটা কমন ডিনমিনটরে পৌঁছতে হবে। অন্যথায় কিন্তু আমরা বারবার সংশোধন বা নতুন সংবিধান তৈরি করতে থাকব। যে প্রক্রিয়ায় আজকে সংবিধান সংশোধন বা নতুন সংবিধান তৈরি হবে সেই প্রক্রিয়া বা ক্ষমতা যে আর কেউ কোনো দিন পাবে না, তা তো হলফ করে বলতে পারি না।

তবে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি পূর্ণ আজ্ঞাবহ কাউকে যদি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ন্ত্রণ করতে বা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার সঙ্গে ভারসাম্য তৈরি করতে অন্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বসানো হয় (সংসদীয় ব্যবস্থায়) অথবা রাষ্ট্রপতির আজ্ঞাবহ কাউকে যদি রাষ্ট্রপতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে বা তাঁর ক্ষমতার সঙ্গে ভারসাম্য তৈরি করতে অন্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বসানো হয় তাহলে ফলাফল হবে আগের মতোই।

প্রায় দুই যুগ হয়ে গেল দারিদ্র্য হ্রাসকরণ কৌশলপত্রের অধীনে বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে আমরা অনেকগুলো স্বাধীন প্রতিষ্ঠান (যেমন দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, নির্বাচন কমিশন) তৈরি করেছিলাম, যেসব প্রতিষ্ঠানকে আমরা আরও পরাধীনভাবে কাজ করতে দেখলাম।

এ জন্য ব্যাপক আলোচনা ছাড়া এবং প্রক্রিয়াগত ঐকমত্য ছাড়া সংশোধন বলুন আর নতুন সংবিধান বলুন, কয়েক বছর বা দশক পরে যে নতুন কেউ তাকে পরিবর্তন করে স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না, এটা বলা কঠিন। তবে যা করতে চাই তা যত দ্রুত সম্ভব শুরু করতে হবে।

 কাজী মোহাম্মাদ মাহবুবুর রাহমান সহযোগী অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়