মরিয়ম মান্নানের মা আর গুম হওয়া মানুষের কথা

গুমের শিকার ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে ‘মায়ের ডাক’ নামের সংগঠনটি
ফাইল ছবি : প্রথম আলো

মানবতাবিরোধী যত অপরাধ আছে, তার মধ্যে নিষ্ঠুরতম আমার কাছে মনে হয় গুম। মৃত্যুকে একরকম তীব্র গভীর শোকের পর পরিবার একপর্যায়ে মেনে নেয়, শান্ত হয়, সমাধিতে যায়, স্মরণ করে। পরিবার জানে, মানুষটি আর কখনোই ফিরে আসবে না। পরিবারের শিশুরা একদিন বড় হয়। মেনে নিতে শিখে যায়, মৃত মানুষ ফেরে না। যে মানুষটি চলে গেছে, সে আর কখনোই ফিরবে না। কিন্তু গুম হওয়া পরিবারের মানুষগুলো স্রেফ ডুবে যায়; ডুবে যায় অনিশ্চয়তায়, ডুবে যায় আশা–নিরাশার দোলাচলে, ডুবে যায় দোদুল্যমানতায়। অনিশ্চয়তার চেয়ে খারাপ কিছু হয় না। গুম হওয়া মানুষটির স্ত্রী জানে না, সে বিধবা কি না, সন্তান জানে না সে পিতৃহীন কি না, আর তাই বুঝে উঠতে পারে না কী করবে সে। জীবনটা কোন পথে এগোবে।

গুম নিয়ে গত এক যুগে এ দেশে যত আলোচনা হয়েছে, বাংলাদেশের জন্মের পর তেমনটি আর কখনোই দেখা যায়নি। গুম হওয়া পরিবারগুলোর আর্তনাদ, বিরোধী দলের হইচই, চিৎকার, প্রতিবাদ, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পরিসংখ্যান, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, জাতিসংঘের আওয়াজ কিছুই যেন স্পর্শ করে না সরকারকে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পরিসংখ্যান বলে, গত এক দশকে গুমের শিকার হয়েছে ৬০০–র বেশি মানুষ। এ বিষয়ে সরকারের বয়ান খুব স্পষ্ট। ‘ভদ্রলোকের এককথা’র মতো তাদেরও এক বুলি: ‘দেশে গুম বলে কোনো শব্দ নেই, তবে হারিয়ে যাওয়া মানুষ বা মিসিং পারসন থাকতে পারে’।

সর্বশেষ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেতের সফর শেষেও গুম বিষয়ে একই ধরনের বক্তব্য এল সরকারের তরফ থেকে। গুমের বিষয়ে মিশেল ব্যাশেলেতের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের দেশে যেটা হয়, সেটাই আমরা বলেছি। তাদের বলেছি, এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স শব্দ আমাদের দেশে নেই।’ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে গুম নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘৭৬টি গুমের যে কথা এসেছে, সেগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুঁজে দেখেছে। তাতে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি’। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মানুষের ‘নিখোঁজ’ হওয়ার কারণ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে তিন কারণে মানুষ ‘নিখোঁজ’ হয়। প্রথমত, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধে জড়িত হওয়ার পর শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য আত্মগোপনে যায়। দ্বিতীয়ত, কেউ ব্যবসায় লোকসান করলে পালিয়ে থাকে। তৃতীয়ত, পারিবারিক নানা কারণে আত্মগোপন করে।

গুম নিয়ে কথাগুলো আবার উঠল, কারণ, সম্প্রতি রহিমা বেগম নামের এক নারীকে এক মাস ধরে ‘নিখোঁজ’ থাকার পর অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি গত ২৭ আগস্টের। ওই দিন খুলনায় নিজ বাসার উঠানে পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। ওই রাতেই থানায় এ–সংক্রান্ত একটি জিডি করা হয়। এ ছাড়া তাঁর ছেলে-মেয়েরা মায়ের সন্ধান চেয়ে এলাকায় পোস্টার লাগান এবং ঢাকা ও খুলনায় মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন। বিশেষ করে ঘটনাটি সারা দেশে আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয় মেয়ে মরিয়ম মান্নানের কারণে। তিনি ফেসবুকে মায়ের সন্ধান চেয়ে বিভিন্ন পোস্ট দেন। তাঁর চিৎকার করা কান্নার ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তাঁর এই কান্না অনেককেই নাড়া দেয়। যার যার সাধ্যমতো প্রতিবাদে মুখর হয় মানুষ। চলতে থাকে আলোচনা, সমালোচনা। এ নিয়ে মূলধারার বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশ হয়।

এর মধ্যেই গত ২২ সেপ্টেম্বর এক ফেসবুক পোস্টে ময়মনসিংহের এক গ্রামের ঝোপ থেকে উদ্ধার হওয়া এক নারীর লাশকে নিজের মায়ের বলে দাবি করেন মরিয়ম মান্নান। পরদিন সেখানে গিয়ে লাশটি মায়ের বলে শনাক্তও করেন তিনি। লাশ শনাক্তের ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ফরিদপুরের একটি বাসা থেকে মরিয়মের মাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে ময়মনসিংহের লাশটি কার, কে বা কারা তার মৃত্যুর জন্য দায়ী, কেনই–বা তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো, সে সম্পর্কে কোনো তদন্ত হয়েছে বলে জানা যায় না। এ দেশে মানুষের জীবনের চেয়ে সহজলভ্য তো আসলে কিছু না। এরপর মরিয়ম মান্নানের প্রতি সহানুভূতি জানানো ব্যক্তিদের একটি অংশ তাঁদের ‘আবেগ নিয়ে খেলা হয়েছে’ উল্লেখ করে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেন।

ঘটনাটি সাজানো নাকি নয়, পুরো বিষয়টিতে মরিয়ম মান্নানের দায় কতটা, তিনি সত্যিই কতটা জানতেন, মানুষের আবেগকে ব্যবহার করে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা আদৌ ছিল কি না, সেসব আলোচনা একদিকে সরিয়ে রেখেই বলছি, এ ঘটনায় অনেক মানুষ নিঃসন্দেহে প্রতারিত বোধ করেছেন। তাঁর কিছু ভিডিও আমার নজরেও এসেছে। মাকে নিয়ে তাঁর বুকফাটা আর্তনাদ মিথ্যা কিংবা অভিনয় ভাবা সত্যিই কষ্টকর। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও ঠিক যে কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনো অন্ধকারেই আছে। আপাতত যা বোঝা গেছে, সেটি হলো সন্তানদের ওপর ক্ষোভ থেকেই তাঁর এই নিখোঁজ থাকা।

ঘটনাটি মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছে, প্রতারিত হওয়ার অনুভূতি এনেছে, কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা যেটা হয়েছে তা হলো, সরকারের দীর্ঘদিনের তৈরি করা যে বয়ান, তার পক্ষে এ ঘটনা কাজ করেছে। আর ঠিক সে কারণেই ঘটনার ঠিক পরপরই সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বলা হয়ে গেছে যে ‘গুমের প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে’। গুমের ‘প্রকৃত রহস্য’ আসলে কী? গুমের প্রকৃত রহস্য সরকারই ভালো বলতে পারে। আমি কেবল এটুকু বুঝি যে গুম নিয়ে প্রতিবছর ‘মায়ের ডাক’ নামের সংগঠনটি পথে দাঁড়ায়, দুই চোখ ভরা পানি নিয়ে ছোট্ট শিশুরা ফিরে পেতে চায় তাদের বাবাকে, নিখোঁজ ব্যক্তির স্ত্রীর বুকফাটা আর্তনাদে ভারী হয় আকাশ-বাতাস। আন্দাজ করি, মরিয়মের মায়ের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সরকার জড়িত ছিল না। ছিল না বলেই কিছু বিলম্ব হলেও তৎপর দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। তারা অল্প দিনের মধ্যেই সত্যি খুঁজে বের করেছেন রহিমা বেগমকে।

একজন আইনজীবী এবং রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার সুযোগ হয়েছে এই পরিবারগুলোর সঙ্গে গভীরভাবে মেশার। কেবল মানসিক কষ্ট নয়, সামাজিক, আর্থিকসহ আরও নানা ধরনের টানাপোড়েনের ভেতর দিয়ে যেতে হয় গুমের শিকার পরিবারগুলোকে। অনেকেই আমাকে জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্য গুম হওয়ার পর বহু আত্মীয় দূরে সরে গেছেন, এড়িয়ে চলছেন প্রতিবেশীরা। গত কয়েক বছরে আমাদের সমাজে তীব্র ভয়ের সংস্কৃতি চালু হয়েছে। সরকারের বিরাগভাজন হওয়ার ভয়ে অনেকেই আর চায় না কোনো ঝুঁকিতে পড়তে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে অনেক পরিবার যখন দিশাহারা, তখন ভয়ে হোক বা নিজেকে নিরাপদ রাখার তাগিদ থেকে হোক, স্বজন কিংবা প্রতিবেশীরা বজায় রেখেছেন নিরাপদ দূরত্ব।

যাঁদের কিছুটা হলেও বিষয় সম্পত্তি বা আর্থিক সক্ষমতা আছে, তাঁরাও পারছেন না সেটা ব্যবহার করতে। আইন অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি টানা সাত বছর নিখোঁজ থাকার পর আদালত তাঁর পরিবারকে ব্যাংকে জমা টাকা ওঠানো ও সম্পদ বণ্টনের অনুমতি দিতে পারেন। এ জন্য পরিবারকে আদালতে যেতে হয়। আইনি নানা প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। অর্থাৎ, অপেক্ষা বাড়ে আরও অনেকটা সময়। সে সময়টা ঠিক কীভাবে কাটে তাঁদের? ‘মায়ের ডাক’ পরিবারের সদস্যরা যখন এক হন, তখন জানতে পারি অনেক অজানা কথা। জানতে পারি, তাঁদের সীমাহীন কষ্ট আর সেই সঙ্গে সরকারের উদাসীনতা ও বিদ্রূপ-তাচ্ছিল্যের গল্প।

এ বছরের জানুয়ারি মাসে গুমের শিকার পরিবারগুলোকে দেওয়া পুলিশি হুমকির প্রতিবাদে ‘মায়ের ডাক’ এক সভার আয়োজন করে। সেখানে তিন বছর ধরে নিখোঁজ কাঠ ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বাতেনের স্ত্রী নাসিম আক্তার ক্ষোভ, ক্রোধ, বিষণ্নতা আর হাহাকার মিলেমিশে একাকার হওয়া কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘কিসের পুলিশ? আমি থানায় গেছি, পুলিশ আমাকে থানা থেকে বের করে দিয়েছে। পুলিশের ডিসি আমার চিঠিটা একবার পড়ল না। বলে র‍্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আপনি র‍্যাবের কাছে যান। পুলিশ এখন তিন বছর পর এসে জিজ্ঞাসা করে আমার স্বামী আসলে গুম হয়েছে, নাকি কোথাও চলে গেছে। আমাদের কষ্ট লাগে, ঘেন্না আসে এখন। মন্ত্রীরা আরামে বসে থাকে, আমাদের বিরুদ্ধে যখন কথা বলে, হেলেদুলে বলে, “আরে না। বাংলাদেশে কখনো গুম হয় না। তাঁরা ঋণের দায়ে চলে গেছে, বিয়ে করেছে।” এটা কতটা লজ্জার! আমার মনে হয় না সমাজে শ্বাস নিই। আমাদের এখন মেরে ফেলেন। তারা আমাদের চোখের পানি নিয়ে হোলি খেলে। উপহাস করে। আমার ঘরে কোনো উৎসব হয় না। আমার বাচ্চারা কখনো হাসে না।’

গত কয়েক বছরে এক নতুন সংস্কৃতি চালু হয়েছে। সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে অন্তত জনগণের সামনে বৈধতা দেওয়ার জন্য হত্যাকাণ্ডের শিকার মানুষটির নামে কয়টা মামলা ছিল জাতীয় তথ্য সামনে নিয়ে আসে। ‘ভীষণ খারাপ’ একজন মানুষকে বিনা বিচারে মেরে ফেলা যায়, এটা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা হয় সমাজে। একই চেষ্টা এখন দেখছি গুমের ক্ষেত্রেও। সমাজে এই বয়ান প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে যে ‘ভীষণ খারাপ’ কারও ক্ষেত্রে মানবাধিকার প্রযোজ্য হবে না। সম্প্রতি সরকারের একজন মন্ত্রী, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর গুম প্রসঙ্গে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘ওই বিএনপি যখনই মানবাধিকারের কথা আসে, তখনই বলে কী, যে আমাদের ইলিয়াস আলী গুম হয়ে গেছে। কে এই ইলিয়াস আলী.... এই ইলিয়াস আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস, হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১১ জন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, তার মধ্যে ইলিয়াস আলী অন্যতম।

‘ভীষণ খারাপ’ একজন মানুষকে বিনা বিচারে মেরে ফেলা যায়, এটা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা হয় সমাজে। একই চেষ্টা এখন দেখছি গুমের ক্ষেত্রেও। সমাজে এই বয়ান প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে যে ‘ভীষণ খারাপ’ কারও ক্ষেত্রে মানবাধিকার প্রযোজ্য হবে না।

ইলিয়াস আলী হচ্ছে ওই উল্ফাদের অস্ত্র দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রবাজি করেছে। ইলিয়াস আলী হচ্ছে সেই কুখ্যাত একজন মানুষ যে তার দলের যে কর্মী মামুন এবং মাহমুদ সূর্যসেন হলের পানির ট্যাংকিতে হত্যা করে ডুবিয়ে রেখেছিল।......আজকে সে রকম একটি কুখ্যাত মানুষের জন্য তারা আজকে বলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।’
যেন মন্ত্রীর এ কথাগুলো সত্য হলেই যে কাউকে গুম করা যায়, গুমের একটা নৈতিক ভিত্তি তৈরি হয়। যেন মানবাধিকার, আইনের শাসন বা ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার সবার নেই। সরকারের চোখে, তাদের বয়ানে যে অপরাধী, তার সঙ্গে করা যায় যাচ্ছেতাই। গুম, ক্রসফায়ার যখন যেমন সুবিধা। ঠিক যেন ‘গিভ দ্য ডগ আ ব্যাড নেইম অ্যান্ড হ্যাং হিম’।

র‍্যাব আর এর কয়েক কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আর গুমের ক্ষেত্রে আপাত লাগাম দিয়েছে বেশ অনেকটা। কিন্তু তাই বলে কি গুম বন্ধ হয়ে গেছে? বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকারের মারমুখী আচরণই বলে দেয় দরজায় কড়া নাড়া নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘটতে যাচ্ছে আরও কিছু রাজনৈতিক গুম আর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। আয়না ঘরের আঁধার এত সহজে কাটবে বলে মনে হয় না।

  • রুমিন ফারহানা বিএনপির সংসদ সদস্য ও হুইপ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী