সরকারের উদ্যোগের ফলে ২০২৩ সাল থেকে যে লোডশেডিং একেবারেই থাকবে না, তার ঘোষণা গত ছয়-সাত মাসে নেতা, মন্ত্রী এবং বিদ্যুৎ বিভাগ একাধিকবার দিয়েছে। পর্যায়ক্রমে উদ্ধৃতিগুলো তুলে ধরছি—‘সেপ্টেম্বর থেকে লোডশেডিং থাকবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী’; ‘অক্টোবর থেকে লোডশেডিং থাকবে না: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী’; ‘নভেম্বরের শেষের দিকে লোডশেডিং সমস্যার সমাধান হবে: হানিফ’; ‘ডিসেম্বর থেকে থাকবে না লোডশেডিং: পিডিবি চেয়ারম্যান’; লোডশেডিং থাকবে না সামনের গ্রীষ্ম থেকে: সংসদীয় কমিটিকে বিদ্যুৎ বিভাগ’; ‘সেচ মৌসুমে লোডশেডিং থাকবে না: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী’।
বাস্তবতা হচ্ছে রেকর্ড উৎপাদনেও দেড় হাজার থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট চাহিদার ঘাটতি থাকছে। ফলে লোডশেডিংয়ে নাকাল শহর এবং মূলত গ্রামাঞ্চলের মানুষ। দেশের ২৩টি জেলার অর্ধশতাধিক মানুষ দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন যে দিনে ১০ থেকে ১৯ বার পর্যন্ত বিদ্যুৎ চলে যায়। লেখকের বন্ধু তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘গ্রামের বাড়িতে আসলাম প্রায় ৩০ ঘণ্টা হয়েছে। এই ৩০ ঘণ্টায় অন্তত ৫০ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করেছে। ইফতার এবং সাহ্রি—কোনো সময়েই বিদ্যুৎ পাইনি, টানা দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল এমনও কখনো পাইনি।’ ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ে শিল্পকারখানায় উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে, অসহ্য গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে, সেচকাজে ব্যাঘাত ঘটছে, সীমাহীন কষ্টে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে গ্রামের মানুষ। কিছু এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল এবং পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে হামলা-ভাঙচুর হয়েছে।
সবশেষে ১৮ এপ্রিল লোডশেডিংয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ভোগের জন্য বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এ বছর গ্রীষ্ম, সেচ মৌসুম এবং রোজা একসঙ্গে হওয়াতে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে, সেটা আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে আমরা আমাদের পূর্বপ্রস্তুতির স্বাক্ষরও রেখেছি। কিন্তু গত ৫০ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙে বর্তমানে যে নজিরবিহীন দাবদাহ চলছে, তাতে ধারণার চেয়েও বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেশি বেড়ে গেছে।’
স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে, সরকারের লোড ফোরকাস্টিং ভুল ছিল, বিদ্যুতের চাহিদার সঙ্গে আবহাওয়া ফোরকাস্টের সংযোগ ছিল না, ফলে প্রস্তুতিও ভুল হওয়ার কথাই ছিল। বাংলাদেশের সব পরিকল্পনা এমনই ভুলে ভরা এবং অসম্পূর্ণ থাকে। প্রশ্ন হচ্ছে তীব্র গরম কিছুটা কমে সহনীয় হয়ে এলেই কি লোডশেডিং চলে যাবে? উত্তরটা হ্যাঁ বলার অবকাশ নেই। কারণ, বিদ্যুতের সংকটের কারণ শুধু প্রচণ্ড দাবদাহ নয়; বরং মূল কারণ তীব্র ডলার–সংকট, ভুল পরিকল্পনা ও অব্যবস্থাপনা।
লোডশেডিংয়ের কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রাথমিক জ্বালানির অনিশ্চিত সরবারহ, গ্যাস–সংকট, তেল আমদানির বিশাল বকেয়া, অভ্যন্তরীণ গ্যাস উৎপাদনে বিশাল বকেয়া, বেসরকারি খাতে মিথ্যা ঘোষণার ত্রুটিপূর্ণ বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যাকআপ পরিকল্পনা জোড়াতালিনির্ভর। আরেকটি কারণ হচ্ছে, উৎপাদনের সঙ্গে সঞ্চালনের বিনিয়োগ সমন্বয় না থাকা। অন্যায্য পরিমাণে ক্যাপাসিটি চার্জ প্রদানের অস্বচ্ছ মডেলে অপ্রমাণিত সক্ষমতার হিসেবে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৪ হাজার মেগাওয়াট, কিন্তু নিয়মিত সঞ্চালন সক্ষমতা এর চেয়ে অনেক কম। এক দশকে বিদ্যুৎ খাতে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ হলেও চাহিদার বিপরীতে সঠিক উৎপাদন, উৎপাদনের বিপরীতে সঞ্চালন এবং সঞ্চালনের বিপরীতে বিতরণ অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়নি।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেছেন, এটা ভালো। কিন্তু তাঁর বক্তব্য লোডশেডিং কেন এবং কবে থামবে, সেই ব্যাখ্যা দেয় না। দাবদাহ নয়; বরং তীব্র ডলার–সংকটের পাশাপাশি লোডশেডিংয়ের মূল কারণ অক্ষম বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র, স্বল্প সক্ষমতার বিতরণব্যবস্থা, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন, দুর্নীতিযুক্ত কেন্দ্র স্থাপন, বিদ্যুৎ খাতে অটেকসই, অসামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়ন এবং সবুজ বিদ্যুতের অভাব।
বরং দলীয় প্রভাববলয়ের ব্যবসায়ীরা উৎপাদনের সহজ কাজে যুক্ত হয়ে নিজেরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন এবং এতে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হয়েছে। যার প্রমাণ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের রেকর্ড লোকসান। একদিকে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, ডলার–সংকট এবং অসম্ভব খরুচে চুক্তির কারণে দেড় বছরে গড় ব্যয় বেড়েছে ৮১ শতাংশ, অন্যদিকে রেন্টাল, আইপিপি (ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার) এবং সরকারি বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বকেয়া পড়েছে প্রায় ২৮ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। সরকার নিজেই অর্থসংকটে থাকায় ২০২২ সালের শুরু থেকে বিদ্যুৎ খাতে নিয়মিত ভর্তুকি ছাড় করছে না অর্থ মন্ত্রণালয়। ২০২৩ সাল থেকে আদানির অন্যায্য ক্যাপাসিটি চার্জ এবং রূপপুরের রুশ ঋণের কিস্তি প্রদান শুরু হলে পিডিবির দেনার দায় সীমাহীন হবে।
অভিযোগ আছে যে বিশেষ গোষ্ঠী কমিশন–বাণিজ্যের লোভে দীর্ঘমেয়াদি আমদানি চুক্তির বদলে মোট তেল ও গ্যাস আমদানির প্রায় ৫০ শতাংশই খোলাবাজার থেকে করা হচ্ছিল। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের সংকটে পড়ে ২০২২ সালের জুলাইয়ে খোলাবাজার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বন্ধ করে দেয় সরকার। টানা সাত মাস বন্ধ থাকার পর গত ফেব্রুয়ারিতে আবার আমদানি শুরু হলে লোডশেডিং কিছুটা কমে আসে। কিন্তু নতুন সমস্যা আমদানি ও উৎপাদন উভয়ের বকেয়া।
লোডশেডিং যে দ্রুতই থাকছে না, তার বড় প্রমাণ তেল আমদানির বকেয়া জমেছে প্রায় ৪ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা, প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার। বিপিসির ফান্ড–সংকট না থাকলেও মূলত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলার–সংকটের কারণে এলসির (লেটার অব ক্রেডিট) মাধ্যমে বকেয়া পরিশোধ করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় বিপিসিকে তেল সরবরাহ না করার কথা জানিয়েছে সাত বিদেশি প্রতিষ্ঠান। জ্বালানি তেল সরবরাহ বাবদ বিপিসির কাছে পাওনাদার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুরভিত্তিক ভিটল এশিয়া, চীনা প্রতিষ্ঠান ইউনিপেক, সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (ইএনওসি), ভারতের আইওসিএল, ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল), সিঙ্গাপুরের পেট্রো চায়না ও ইন্দোনেশিয়ার বুমি সিয়াক পুসাকো (বিএসপি) উল্লেখযোগ্য। সর্বশেষ ইন্ডিয়ান অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (আইওসিএল) পাওনা আদায়ে ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। আর পেট্রো চায়না ইন্টারন্যাশনাল (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট লিমিটেড তাদের ২৯ দশমিক শূন্য ৩ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পাওনা প্রদানের জন্য ১৪ এপ্রিল চিঠি দিয়ে বিপিসিকে ২১ এপ্রিল বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
নতুন লোডশেডিংয়ের ঝুঁকি আছে অভ্যন্তরীণ খাতেও। ডলার-সংকটে গ্যাস বিল বকেয়া বাড়ছে বলে ঝুঁকিতে পড়েছে দেশীয় সরবারহ। দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে সরবরাহ করা গ্যাসের মধ্যে এখন ৬০ শতাংশের বেশি সরবরাহ করছে শেভরন। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে তাদের বিল বকেয়া রাখা শুরু হয়। এর বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বকেয়া জমেছে ১৭ কোটি ডলার (প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা)। ছয় মাসের বেশি বকেয়া থাকায় চুক্তি অনুসারে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন।
ডলার–সংকট ছাড়াও লোডশেডিংয়ের অন্যান্য কাঠামোগত কারণ আছে। একটি হচ্ছে চাহিদার সঙ্গে সঞ্চালন ও বিতরণ অবকাঠামোর সক্ষমতা না থাকা। গ্রীষ্মের গরমে যখন চাহিদা বাড়ে, তখন সারা দেশে পল্লী বিদ্যুৎসহ বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রায় ৭০ হাজার ট্রান্সফরমার ঝুঁকিতে থাকে, ফলে লোডশেডিং না করা হলে পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। অর্থাৎ চাহিদার সঙ্গে বিতরণব্যবস্থা অসমন্বিত।
লোডশেডিংয়ের অন্য কারণ আঞ্চলিক গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইনের রক্ষণাবেক্ষণ, যেমন এপ্রিলেই শেভরন বাংলাদেশ লিমিটেডের বাৎসরিক রক্ষণাবেক্ষণ (সিলেট বিভাগ), কয়লা ও গ্যাস–সংকট ইত্যাদি। লোডশেডিংয়ের কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির প্রাপ্যতার সংকটেও সবুজ জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুতে ব্যাপক বিনিয়োগে না যাওয়া।
লোডশেডিংয়ের প্রধানতম কারণ বাজে ও ত্রুটিপূর্ণ বিদ্যুৎকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণ। ১২ এপ্রিল প্রকাশিত হিসাব অনুযায়ী, জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ২৩ হাজার ৩৩২ মেগাওয়াট। সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ১৫৪ মেগাওয়াট, অর্থাৎ সক্ষমতার তুলনায় ৮ হাজার ১৭৮ মেগাওয়াট কম। তথাপি সেদিন ৭৭৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সক্ষমতার ধারেকাছেও উৎপাদন করা যাচ্ছে না কেন?
সেদিন ১৫৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র সক্রিয় ছিল, যার মধ্যে ৪৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের (৩১ দশমিক ৪ শতাংশ) ইঞ্জিন যন্ত্রপাতির সমস্যা ছিল, ৩৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র (২২ দশমিক ২ শতাংশ) জ্বালানিসংকটে ভুগেছে এবং ১২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র (৭ দশমিক ৮ শতাংশ) মেরামতের কাজ চলছিল। অর্থাৎ যন্ত্রপাতির সমস্যা ও জ্বালানির অভাব—এই দুটি কারণেই ৯৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র (৬১ দশমিক ৪ শতাংশ) ঠিকমতো চলেনি। বাকি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মধ্যে কয়েকটি অন্যান্য সমস্যায় ভুগেছে। অর্থাৎ মোটামুটি ৩৫ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র ঠিকঠাক চলে। অর্থাৎ ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতিও লোডশেডিংয়ের বড় কারণ।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেছেন, এটা ভালো। কিন্তু তাঁর বক্তব্য লোডশেডিং কেন এবং কবে থামবে, সেই ব্যাখ্যা দেয় না। দাবদাহ নয়; বরং তীব্র ডলার–সংকটের পাশাপাশি লোডশেডিংয়ের মূল কারণ অক্ষম বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র, স্বল্প সক্ষমতার বিতরণব্যবস্থা, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন, দুর্নীতিযুক্ত কেন্দ্র স্থাপন, বিদ্যুৎ খাতে অটেকসই, অসামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়ন এবং সবুজ বিদ্যুতের অভাব। মিথ্যা ঘোষণার ত্রুটিপূর্ণ ও অক্ষম বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ক্যাপাসিটি চার্জ ও ওভারহোলিং চার্জ দিতে দিতে বিলিয়ন ডলার গচ্চা যাচ্ছে পিডিবির; তথাপি লোডশেডিংয়ে নাকাল দেশবাসী। অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে লোডশেডিং সরাসরি সম্পর্কিত। বিদ্যুৎ খাতের অপচুক্তি, ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতি এবং উৎপাদন-সঞ্চালন-বিতরণের অসমন্বিত পরিকল্পনা শোধরানো না হলে লোডশেডিং দীর্ঘ মেয়াদে থেকে যেতে পারে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব টেকসই উন্নয়নবিষয়ক লেখক। গ্রন্থকার: চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও বাংলাদেশ; বাংলাদেশ: অর্থনীতির ৫০ বছর; অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবিত কথামালা; বাংলাদেশের পানি, পরিবেশ ও বর্জ্য। faiz.taiyeb@gmail.com