মতামত

আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিলিয়ে দাম বাড়ে কিন্তু কমে না কেন?

বাংলাদেশের নিত্যপণ্যের বাজারে সিন্ডিকেটের অভিযোগ দীর্ঘদিনের
ছবি : প্রথম আলো

আভিধানিক ভাবে ‘সমন্বয়’ কথাটি দিয়ে যা-ই বোঝানো হোক, বাংলাদেশে ‘মূল্য সমন্বয়’ বলতে সম্ভবত শুধু মূল্যবৃদ্ধি-ই বোঝানো হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন কোনো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়, তখন তার সঙ্গে ‘সমন্বয়’ করে দেশে ওই পণ্যের দাম বাড়ানো হয় ঠিকই, কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে যখন পণ্যের দাম কমে, তখন তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের বাজারে সেই পণ্যের দাম কমতে দেখা যায় না।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়াকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে গত বছরের আগস্টে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম একলাফে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয় সরকার। এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বৈশ্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই দাম ‘সমন্বয়’ করতে হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের দাম পুনর্বিবেচনা করা হবে। একবারে জ্বালানি তেলের নজিরবিহীন এমন মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচ বেড়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। এ কারণে সার্বিকভাবে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে সাধারণ মানুষের জীবন আরও কঠিন হয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে গেলেও ২০২২ সালের শেষ দিকে এসে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলারের নিচে নেমে আসে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ৭৫ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। অনেক দিন ধরেই তেলের দাম ৭০ থেকে ৮০ ডলারের মধ্যে ঘোরাফেরা করলেও সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের বাজারে দাম কমানোর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

শুধু জ্বালানি তেলই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো পণ্যের মূল্যহ্রাসের সুফল পাচ্ছে না দেশের মানুষ। গত মার্চে প্রধান আটটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানিমূল্য ও খুচরা বাজার তুলনা করে প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদ থেকে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেল, পাম তেল, চিনি, আটা তৈরির গম, পেঁয়াজ, মসুর ডাল, ছোলা ও মটরের ডাল—আটটি পণ্যের দাম রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর সময়কার তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে কমলেও দেশের বাজারে তার কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। পেঁয়াজ কিংবা সয়াবিন তেলের দাম বিশ্ববাজারে কমলেও দেশে উল্টো বেড়েছে। চিনির দাম বিশ্ববাজারে যা বেড়েছে, দেশে বেড়েছে তার দ্বিগুণ। ডালের দাম বিশ্ববাজারে যে হারে কমেছে, দেশে সে হারে কমেনি।

নানা ধরনের স্বার্থের দ্বন্দ্ব ও গোষ্ঠীস্বার্থের কারণে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফা নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছেন না। এমনকি তেল-গ্যাসের মতো যেসব খাত সরকারের নিজের নিয়ন্ত্রণে, সেসব খাতেও আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যহ্রাসের সুবিধা জনগণকে দেওয়া হচ্ছে না। এসব বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে না পারলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও জ্বালানি বিক্রির নামে জনগণের অর্থ লুণ্ঠন বন্ধ হবে না।

এক বছরের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম কমেছে যথাক্রমে ৪৪ শতাংশ ও ৫২ শতাংশ, কিন্তু দেশের বাজারে সম্প্রতি উল্টো লিটারপ্রতি সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে যথাক্রমে ১২ টাকা ও ১৮ টাকা। বণিক বার্তায় প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২০ শতাংশ শুল্কসহ প্রতি টন সয়াবিন তেলের আমদানি মূল্য ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৫০ টাকার সঙ্গে উৎপাদন পর্যায়ের ১৫ শতাংশ ভ্যাট, উৎপাদন খরচ, মোড়কজাতকরণ, অপচয় (প্রসেস লস), মুনাফা ও ডিলার কমিশন মিলিয়ে আরও ১৫ শতাংশ যুক্ত করে সবচেয়ে রক্ষণশীল হিসাব করলেও খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮৩ টাকা ৫০ পয়সার বেশি হওয়ার কথা নয়। যদিও ট্যারিফ কমিশনের অনুমোদন নিয়ে বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৯ টাকায়।

সম্প্রতি সরকার কর্তৃক ভারত থেকে প্রতি লিটার ১৪৬ টাকা ১০ পয়সা দরে ১১ হাজার টন সয়াবিন তেল ও সিঙ্গাপুর থেকে ৮২ টাকা ৯৪ পয়সা কেজিতে সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি আমদানি করার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রশ্ন হলো, সরকার যদি বিদেশ থেকে ১৪৬ টাকা লিটার দরে সয়াবিন ও ৮৩ টাকা কেজি দরে চিনি আমদানি করতে পারে, তাহলে দেশের ব্যবসায়ীদের কোন যুক্তিতে এবং কার স্বার্থে দেশের মানুষের কাছে ১৯৯ টাকা লিটার দরে তেল এবং ১৪০ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রি করতে দেওয়া হচ্ছে?

তেলের মতো চিনির বাজারেও যে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে ভারতীয়দের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি দামে চিনি কিনতে হচ্ছে। সরকার যখন ব্যবসায়ীদের কথামতো চিনির দাম কেজিপ্রতি ১২০ টাকা ঘোষণা করে, তার আগে থেকেই দেশের বাজারে চিনি ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। অভিযোগ রয়েছে, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চিনির এই অস্বাভাবিক দাম বাড়ানো হয়েছে। চিনি-সংকটের পেছনে বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বাড়ানোর কথা বলা হলেও গুরুত্বপূর্ণ একটা কারণ হলো, বেসরকারি আমদানিকারকদের ওপর একক নির্ভরশীলতা।

বর্তমানে দেশে চিনির চাহিদা ১৮ থেকে ২০ লাখ টন। রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলো একসময় বছরে দেড় থেকে দুই লাখ টন চিনি উৎপাদন করত, যা বাজার নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করত। কিন্তু গত দুই বছরে ১৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলের মধ্যে ৬টির উৎপাদন বন্ধ রাখায় দেশীয় উৎপাদন কমে ২১ হাজার টনে নেমে এসেছে। এতে দেশের চিনি খাত প্রায় শতভাগ আমদানিভিত্তিক বেসরকারি কলগুলোর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এ কারণে চিনির বাজারের ওপর সরকারের কার্যত কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানিনির্ভরতা কমানোর কথা বলা হচ্ছে। অথচ যে খাতের বিকাশ হলে আমদানিনির্ভরতা হ্রাস করে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা যেত, সেই রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পকে নিদারুণ অবহেলার মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছে। যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হলে রাষ্ট্রায়ত্ত কলগুলো চাহিদার উল্লেখযোগ্য অংশ সরবরাহ করতে পারত, সেই সঙ্গে হাজারো আখচাষি ও শ্রমিকের কর্মসংস্থানে ভূমিকা রাখতে পারত।

সম্প্রতি সিপিডি (সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ) দেশের চারটি খাদ্যসামগ্রীর অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মূল্যের পার্থক্য বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম কমে না। উপরন্তু দেখা যায় যে কিছু প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর দাম আন্তর্জাতিক দামের তুলনায় ধারাবাহিকভাবে বেশি থাকছে।

সিপিডি যে চারটি খাদ্যপণ্য নিয়ে গবেষণা করেছে, তার মধ্যে চাল ও গরুর মাংস মূলত অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত হয়, আর সয়াবিন তেল ও চিনি প্রধানত আমদানি করা হয়। দেখা গেছে, বাংলাদেশে এ চার সামগ্রীর দামই আন্তর্জাতিক মূল্যের তুলনায় ধারাবাহিকভাবে বেশি থাকছে। ইরি/বোরো, পাইজাম, নাজিরশাইল/ মিনিকেটব—এই সব ধরনের চালের দামই সমমানের থাই ও ভিয়েতনামি চালের দামের চেয়ে ধারাবাহিকভাবে বেশি।

দেখা গেছে যে নভেম্বর ২০২২ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমলেও একই সময়ে স্থানীয় বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমেনি। জুলাই থেকে ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত গরুর মাংসের আন্তর্জাতিক মূল্য হ্রাস পেয়েছে, যেখানে বাংলাদেশে গরুর মাংসের দাম একই সময়ে বেড়েছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, বাংলাদেশে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম বিশ্ববাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দামের চেয়ে ২২৫ টাকা বেশি ছিল।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে চিনির দাম বাংলাদেশে প্রতি কেজি ছিল ১২২ টাকা, কিন্তু মার্কিন বাজারে প্রতি কেজি মাত্র ৮০ টাকা। বিশ্ববাজারে প্রতি কেজি ৪৪ টাকা এবং ইউরোপীয় বাজারে ছিল প্রতি কেজি ৩৫ টাকা। পরিবহন খরচ, আমদানি শুল্ক এবং অন্যান্য বাণিজ্য-সম্পর্কিত খরচ বিবেচনা করার পরও দামের এ ধরনের উচ্চ পার্থক্যকে সিপিডি ‘অস্বাভাবিক’ বলে উল্লেখ করেছে।

দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এই অস্বাভাবিক মূল্যের পেছনে একদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের ভুল নীতি ও বারবার মূল্যবৃদ্ধি, অন্যদিকে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজারে অল্প কিছু কোম্পানির একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ও সরকারের তদারকের অভাবই দায়ী। বিদেশ থেকে কাঁচা চিনি আমদানি করে পরিশোধন করে দেশে বিক্রি করে মাত্র পাঁচটি কোম্পানি। এ সব প্রতিষ্ঠানই দেশের প্রধান চিনি সরবরাহকারী। দেশে ভোজ্যতেলের ৮৮ শতাংশই আমদানি করে চারটি কোম্পানি। দেশে পোলট্রি খাদ্য ও মুরগির বাচ্চার সিংহভাগ উৎপাদন করে অল্প কয়েকটি কোম্পানি, সেই সঙ্গে ডিম ও মাংসের বাজারেরও বড় একটি অংশ তাদের দখলে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) এক গবেষণায় দেখা গেছে, ধান-চালের বাজারে সবচেয়ে প্রভাবশালী পক্ষ হিসেবে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন চালকলমালিকেরা। কৃষক, ফড়িয়া, আড়তদার, চালকলমালিক ও চালের খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ও অস্বাভাবিক মুনাফা করেন চালকলমালিকেরা। তাঁরা প্রতি কেজি চাল ও এর উপজাত বিক্রি করে ৮ থেকে ১৩ টাকা ৬৬ পয়সা পর্যন্ত মুনাফা করছেন।

এভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যসামগ্রীর ওপর কতিপয় বৃহৎ গ্রুপ অব কোম্পানি ও মিলমালিকদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার কারণে তাঁরা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানান পরিস্থিতির অজুহাতে ইচ্ছামতো পণ্য আমদানি ও উৎপাদনের পরিমাণ এবং এসবের মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি করতে পারে বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারের কথাতেও পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেটের বিষয়টি উঠে এসেছে। অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও এসএমই ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি বলেছেন, অর্থনীতি ও বাজার—এই দুই জায়গাতেই সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে, যে কারণে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ঝরে পড়ছেন এবং পণ্যের মূল্য বেড়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। মানুষ বাজার করতে গিয়ে এখন কাঁদছেন।

বস্তুত বাংলাদেশের নিত্যপণ্যের বাজারে সিন্ডিকেটের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। একদল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন উপলক্ষে বিভিন্ন সময় চাল, তেল, চিনি, মুরগি, পেঁয়াজ ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিচ্ছেন।

নানা ধরনের স্বার্থের দ্বন্দ্ব ও গোষ্ঠীস্বার্থের কারণে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফা নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছেন না। এমনকি তেল-গ্যাসের মতো যেসব খাত সরকারের নিজের নিয়ন্ত্রণে, সেসব খাতেও আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যহ্রাসের সুবিধা জনগণকে দেওয়া হচ্ছে না। এসব বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে না পারলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও জ্বালানি বিক্রির নামে জনগণের অর্থ লুণ্ঠন বন্ধ হবে না।

  • কল্লোল মোস্তফা বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবেশ ও উন্নয়ন অর্থনীতিবিষয়ক লেখক। প্রকাশিত গ্রন্থ: ‘বাংলাদেশে উন্নয়নের রাজনৈতিক অর্থনীতি’, ‘ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদ, নজরদারি পুঁজিবাদ ও মানুষের স্বাধীন ইচ্ছার ভবিষ্যৎ’।
    ই-মেইল: kallol_mustafa@yahoo.com