রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের কারণে পশ্চিমারা রাশিয়ার অর্থনীতির ওপর ১৬ হাজারেরও বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়াকে পঙ্গু করা। যাতে তারা যুদ্ধে অর্থায়ন করতে ব্যর্থ হয়, পরাজয় স্বীকার করে এবং ফলস্বরূপ ইউক্রেন স্বাধীন হয়। ইউক্রেনের বর্তমান সরকারের ন্যাটোর ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার লক্ষ্যে মার্কিন-প্ররোচিত উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্যও রাশিয়াকে পঙ্গু করা দরকার ছিল।
এখানে স্মরণ করা দরকার যে যখন সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঘটে এবং ওয়ারশ চুক্তি ভেঙে যায়, তখন পশ্চিমারা রাশিয়াকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে কখনোই বিশেষ করে পোল্যান্ডর পূর্ব দিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ হবে না। তাই ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য ইউক্রেনের যেকোনো উদ্যোগে রাশিয়ার আপত্তি জানানো স্বাভাবিক।
ইউক্রেনের একটি বড়সংখ্যক মানুষ রুশ ভাষায় কথা বলেন। দনবাস ও ক্রিমিয়ায় রুশভাষীদের সংখ্যা ইউক্রেনীয় ভাষীদের চেয়ে বেশি। ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো ফ্রান্স ও জার্মানির নেতাদের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যা ‘মিনস্ক চুক্তি’ নামে খ্যাত। চুক্তিতে দনবাস এলাকা, অর্থাৎ দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব ও রুশভাষীদের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়, তাঁদের ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষিত হয়। কিন্তু ইউক্রেনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই চুক্তি অমান্য করেছেন।
ন্যাটো ও ইইউর সদস্য হওয়া, মিনস্ক চুক্তি অমান্য করা, ইউক্রেনের সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে রুশভাষী বিদ্রোহীদের দমন করা, রুশ ভাষা ও সংস্কৃতিচর্চায় বাধা দেওয়া—সবই মার্কিন মদদের ফল। এ জন্যই জেফ্রি স্যাক্স, রিচার্ড ডেভিড উলফ, জন মার্শেইমারসহ প্রায় সব মার্কিন বুদ্ধিজীবী ইউক্রেনের বর্তমান দুর্দশার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিকে দায়ী করেন।
এখন বিশ্বব্যাপী একটি প্রশ্নই ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর তা হলো, নিষেধাজ্ঞাগুলো কি কাজ করছে? এই প্রশ্নে রাশিয়ার অর্থনীতির সূচকগুলোর জবাব নেতিবাচক, অর্থাৎ নিষেধাজ্ঞাগুলো কাজ করছে না। বাস্তবতা হলো, রাশিয়ার অর্থনীতি সব জি-৭ দেশের চেয়েও ভালো করেছে এবং এখনো করছে।
২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণের পর রাশিয়ার অর্থনীতিতে নিষেধাজ্ঞার ঢল নামতে শুরু করে। বিদেশি ব্যাংকে গচ্ছিত ৩০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রাশিয়ার রিজার্ভ জব্দ করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সব আমেরিকান মিত্রদেশ রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের বৃহত্তম বাজার, ইইউ রাশিয়া থেকে আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে, যা রাশিয়ার রাজস্বে ব্যাপক পতন ঘটাবে বলে মনে করা হয়েছিল।
রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া তাদের দেশে কাজ করা বিদেশি কোম্পানির স্থাপনাগুলো দখল করে নেয় এবং স্থানীয় ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে, যারা সেগুলোর নতুন নাম দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ ম্যাকডোনাল্ড বর্তমানে ‘কুচনা ই তোচকা’ নাম নিয়ে চলছে। এর কর্মীসংখ্যা ৬২ হাজার। উল্লেখ্য, যেসব কোম্পানি রাশিয়া থেকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শুধু তাদের সম্পদই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
কম্পিউটার চিপ ও অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য যন্ত্রাংশ আমদানির ওপর রাশিয়া ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। এ ধরনের আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অস্ত্র উৎপাদনের ক্ষমতাকে খর্ব করবে বলে আশা করা হয়েছিল।
নিষেধাজ্ঞা এড়াতে রাশিয়া রপ্তানি ও আমদানি-সংক্রান্ত দুটি কৌশল গ্রহণ করেছে। ভোক্তাপণ্যে পাওয়া ‘রান-অব-দ্য-মিল’ কম্পিউটার চিপ এবং ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ আমদানি শুরু করে রাশিয়া, যা মূলত মার্কিন নির্মাতাদের কাছ থেকে আসে, কিন্তু সেগুলো আবার রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার বাইরে। রাশিয়া তৃতীয় পক্ষের নেটওয়ার্কও ব্যবহার করেছে, যাদের ট্যাংক, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ইত্যাদি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ যারা উৎপাদন করে, তাঁদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাজ্য অভিযোগ করেছে যে কিছু ভারতীয় ব্যবসায়ী তাদের কাছ থেকে ওই সব যন্ত্রাংশ আমদানি করে রাশিয়ার কাছে বিক্রি করেছে।
তেল রপ্তানির ক্ষেত্রে রাশিয়া শ্যাডো ভেসেল, তথা ছায়া জাহাজ ব্যবহার করছে। একটি শ্যাডো ভেসেল রাশিয়া থেকে তেল বহন করে, সমুদ্রের মাঝখানে যায় এবং তারপর একটি নামাঙ্কিত ও বিমাকৃত জাহাজে তেল স্থানান্তর করে। রাশিয়া এভাবে ধূম্রজাল তৈরি করছে, যাতে কেউ বুঝতে না পারে তেল কোথা থেকে আসছে এবং পশ্চিমাদের আরোপ করা ৬০ ডলার মূল্যসীমা (প্রাইস ক্যাপ) এড়াতে পারছে। এভাবে যারা রাশিয়ার তেল কেনে, তাদের মধ্যে আমেরিকার কিছু মিত্রদেশও আছে।
আমরা মার্কিন আধিপত্যের উপরিউক্ত পটভূমির ইতিহাস এবং আজকের রাশিয়ার গল্পের মধ্যে একটি সাদৃশ্য খুঁজে পাই। রাশিয়া যুদ্ধ অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হয়েছে এবং আধুনিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাশিয়া তার জিডিপির ৬ শতাংশ সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করেছে, যা রাশিয়ার অর্থনীতির প্রধান চালক হয়ে উঠেছে। শিল্প উৎপাদন ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ বেড়েছে, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে উল্লম্ফন ঘটিয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার কারণে রুবলের মূল্য ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল, কিন্তু রাশিয়া অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রথম যে কাজ করেছে, তা হলো, তার পলিসি রেট বৃদ্ধি করা এবং মূলধনের বহিঃপ্রবাহ ঠেকাতে মূলধন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। এতে রুবলের পতন রোধ করা গেছে। মুদ্রা স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রথমেই পলিসি রেট ১১ দশমিক ৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়েছে। সুদহার বেশ কয়েকবার বাড়িয়েছে। সবশেষ বৃদ্ধির হার ছিল ২০।
পুঁজি নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে শেয়ারবাজারও বন্ধ করে দিয়েছিল। এখন রাশিয়ার রুবল বেশ শক্তিশালী। ইউক্রেন আক্রমণের দিন, অর্থাৎ ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ডলার-রুবল বিনিময় হার ছিল ৮১ এবং এখন তা প্রায় ৯১। আবার সামরিক খাত বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। ফলস্বরূপ, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বেকারত্বের হার এখন সর্বনিম্ন। আর ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে মূল্যস্ফীতি স্বাভাবিকভাবেই বেশি হওয়ারই কথা।
রাশিয়াকে গ্লোবাল পেমেন্টস ক্লিয়ারিং সিস্টেম, এস ডব্লিউ এফ টি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা রপ্তানির ও আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক লেনদেন থেকে দেশটিকে নিষ্ক্রিয় করেছে। রাশিয়া সরাসরি রুবলের সঙ্গে তাদের মুদ্রা বিনিময়ের জন্য বাণিজ্য অংশীদারদের শর্ত দিয়ে এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠেছে। কিছু লেনদেন, বিশেষ করে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে, সিস্টেম ফর ট্রান্সফার অব ফিন্যান্সিয়াল মেসেজ, এসপিএফএস, ক্রস-বর্ডার ইন্টারব্যাংক পেমেন্ট সিস্টেম, সিআইপিএস এবং রাশিয়ার দেশীয় মির পেমেন্ট কার্ডও ব্যবহার করা হচ্ছে।
যে পশ্চিমারা রাশিয়াকে পঙ্গু করতে চেয়েছিল, এখন অর্থনীতির অনেক সূচকে তারা রাশিয়া থেকে পিছিয়ে রয়েছে। ২০২৩ সালে রাশিয়ার মূল্যস্ফীতি (৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ) যুক্তরাজ্য (৬ দশমিক ৭২ শতাংশ) ও জার্মানির (৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ) তুলনায় কম ছিল। ২০২৩ সালে রাশিয়ায় বেকারত্বের হার ছিল ৩ শতাংশ, যা জি-৭ দেশগুলোর মধ্যে শুধু জাপানের (২ দশমিক ৫৫ শতাংশ) চেয়ে বেশি, যেখানে ফ্রান্সে ছিল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।
২০২৩ সালে প্রবৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রে ৩ শতাংশের কম, কানাডা ও জাপানে ২ শতাংশের কম, ফ্রান্স, ইতালি ও যুক্তরাজ্যে ১ শতাংশের কম এবং জার্মানিতে ছিল ঋণাত্মক, যেখানে রাশিয়ায় ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০২৪ সালে প্রবৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রে ২ দশমিক ১ শতাংশ এবং ইউরো অঞ্চলে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ এবং রাশিয়ায় ২ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছে। এসবের অর্থ হলো, রাশিয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রকোপ থেকে নিজেকে বেশ ভালোভাবেই রক্ষা করেছে।
অনেক ভাষ্যকার বা গবেষক বলতে চান যে রাশিয়ার অর্থনীতি এখন একটি যুদ্ধের অর্থনীতি এবং এর প্রবৃদ্ধির কারণ সামরিক খাতে ব্যাপকভাবে নিযুক্ত নাগরিকদের উচ্চ ব্যয় এবং এই প্রবৃদ্ধি হবে ক্ষণস্থায়ী। আমি এই ধারণার সঙ্গে একমত নই। আমরা যদি মার্কিন অর্থনীতির ইতিহাসের দিকে তাকাই, দেখতে পাব যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী স্থবিরতার পর, তৎকালীন সরকার তথাকথিত ‘মিলিটারি কেইনসিয়ানিজম’ তত্ত্ব অনুসরণ করেছিল। এটি আসলে ১৯৫০ সালে প্রণীত এনএইচসি-৬৮ শিরোনামের গোপন জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন, যাকে ‘গানজ অ্যান্ড বাটার’ অ্যাপ্রোচ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এই নীতির কারণে পেন্টাগনের অস্ত্র বিক্রি ১৯৫০ সালের ১৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৯৫১ সালে ৫১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়, যা জিডিপির ১৫ দশমিক ১ শতাংশ। জিডিপিতে এই উল্লম্ফন এবং পরবর্তীকালের রাজস্ব বৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রকে অন্যান্য খাতেও একটি শক্তিশালী শিল্পভিত্তি তৈরি করতে সাহায্য করে এবং এটি অর্থনৈতিক উন্নয়নের এবং বিশ্বে তাদের আধিপত্যের পটভূমিরও ইতিহাস হয়ে ওঠে।
আমরা মার্কিন আধিপত্যের উপরিউক্ত পটভূমির ইতিহাস এবং আজকের রাশিয়ার গল্পের মধ্যে একটি সাদৃশ্য খুঁজে পাই। রাশিয়া যুদ্ধ অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হয়েছে এবং আধুনিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাশিয়া তার জিডিপির ৬ শতাংশ সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করেছে, যা রাশিয়ার অর্থনীতির প্রধান চালক হয়ে উঠেছে। শিল্প উৎপাদন ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ বেড়েছে, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে উল্লম্ফন ঘটিয়েছে।
পৃথিবী আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি যুদ্ধংদেহী হয়ে উঠেছে; সুতরাং, ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও রাশিয়া তার নতুন উদ্ভাবিত আধুনিক অস্ত্র রপ্তানির জন্য নতুন বাজার খুঁজে পেতে সক্ষম হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো অস্ত্র রপ্তানি থেকে ক্রমবর্ধমান রাজস্ব দিয়ে রাশিয়া অন্যান্য খাতে একটি শিল্পভিত্তি তৈরি করতে সক্ষম হবে। প্রকৃতপক্ষে, ক্রিমিয়া অধিগ্রহণের পর রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়া তার অর্থনীতিতে কাঠামোগত পরিবর্তন এনেছে। নিষেধাজ্ঞার প্রভাব এড়াতে রাশিয়া আমদানি-বিকল্প শিল্প গড়ে তুলেছে এবং অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য এনেছে। এর অর্থ হলো, ২০২২ সালে ইউক্রেনে আক্রমণের কারণে পশ্চিমা অবরোধের জন্য রাশিয়া আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল।
যাহোক, আমরা চাই না রাশিয়া আরেকটি আধিপত্যবাদী শক্তি হিসেবে বেড়ে উঠুক। আমরা, পৃথিবীর সব শান্তিকামী মানুষ চাই একটি বহু-মেরু বিশ্ব, যা সব দেশের জন্য সমান গুরুত্ব ও সুযোগ নিশ্চিত করবে।
এন এন তরুণ ইউনিভার্সিটি অব বাথ, ইংল্যান্ড। সাউথ এশিয়া জার্নালের এডিটর অ্যাট লার্জ। nntarun@gmail.com