মতামত

সাংগ্রি-লা সংলাপেও কেন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীত অবস্থানে

২ থেকে ৪ জুন সিঙ্গাপুরে সাংগ্রি-লা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিশ্বের নানান দেশের সামরিক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ২০তম সাংগ্রি-লা সংলাপ।
ফাইল ছবি

২ থেকে ৪ জুন সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিশ্বের নানান দেশের সামরিক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ২০তম সাংগ্রি-লা সংলাপ। কয়েক মাস ধরে বৈশ্বিক নানান জোটের সভায় বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বর্তমান বৈশ্বিক দ্বন্দ্বে তাঁদের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। নানান আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র চীনকে বৈশ্বিক শান্তির ওপর হুমকি হিসেবে দেখেছে। চীনের তরফ থেকে এই প্রথম তাদের নবনিযুক্ত সামরিক প্রতিনিধি জেনারেল লি শাংফুর মুখে খুব স্পষ্টভাবে তাঁদের অবস্থান জানা গেল। চীন মনে করে, এই পৃথিবীতে দুটি বড় অর্থনীতির একসঙ্গে থাকার যথেষ্ট জায়গা আছে।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সচিব লয়েড জে অস্টিন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশী বড় রাষ্ট্র ক্ষমতাবান হলে আগ্রাসী হয়ে ওঠে; ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আক্রমণের ভয়াবহতা তারই প্রমাণ। আর তাই তিনি মনে করেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অবস্থান যথাযথ এবং নিজেদের স্বার্থেই এই অঞ্চলের সব দেশের যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে থাকা উচিত।

লয়েডের মতে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে একটি বড় শক্তি হলো ভারত। যে দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্র দুর্বল রাষ্ট্রগুলোকে টেনে ওপরে তোলার দায়িত্ব দিয়েছে। ভারতের দক্ষতা বৃদ্ধির দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্র নিয়েছে। কোয়াড জোটের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারতের সঙ্গে ভারত সাগর ও চীন সাগরে শক্তি বৃদ্ধির কাজ চলছে। ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনকেও ব্যাপক সামরিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে সমুদ্রনিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য। তিনি মনে করেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে জোট তৈরি করে, সামরিক ক্ষমতায়নের মধ্যে দিয়েই এ অঞ্চল স্থিতিশীল হবে।

লয়েড অস্টিন বলেন, এই অঞ্চলের মিত্রদেশগুলোর প্রতিটিই নিজেদের পানি বা সমুদ্রের ওপর নজর রাখা প্রয়োজন অবৈধ মাছ ধরা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করার প্রয়োজনে। তিনি আরও বলেন, কোনো একক দেশ যেন এই অঞ্চলের পানিসম্পদের ওপর কর্তৃত্ব স্থাপন করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে। তাইওয়ান প্রণালি নৌপথে বাণিজ্য ও বৈশ্বিক সাপ্লাই-চেইনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ আর তাই এই অঞ্চলে সংঘর্ষ বাধলে তা গোটা পৃথিবীর জন্য ভয়াবহ হবে।

চীনের সামরিক মন্ত্রী জেনারেল লি শাংফু এ সম্মেলনেই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের ‘চীন দমন’ প্রচেষ্টাকে ‘স্নায়ুযুদ্ধ’ মানসিকতা বলে আখ্যা দিলেন। যদিও তিনি কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করেই কথাটা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের মন্থরগতি ও উসকে দেওয়া আঞ্চলিক সংঘর্ষের কারণে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে। সংঘর্ষের পরিবর্তে আলাপ, জোট গঠনের বিপরীতে অংশীদারত্ব ও জয়-পরাজয়ের বিপরীতে উভয়ের লাভের ওপর প্রতিষ্ঠিত পথকে বেছে নেওয়ার আহ্বান জানান জেনারেল লি। উল্লেখ্য, রাশিয়ার কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনার দায়ে লির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আছে ২০১৮ সাল থেকে।

যুক্তরাষ্ট্র তাদের ইন্দো-প্যাসিফিক নীতিতে ভারত মহাসাগরে চীনকে প্রতিহত করার জন্য ভারতকে সহায়তা করছে। তবে ভারতের চীনের সঙ্গে সংঘর্ষে যাওয়ার কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই। ভারত সাগর সম্মেলনে তারা বারবারই এই অঞ্চলে অংশগ্রহণমূলক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দারিদ্র্য, চোরাচালান ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে। তারাও চায় চীনের এই ‘বেলুন উন্নয়ন’-এর অংশ হতে, যেখানে এক দেশের উন্নয়নে তার সহযোগী রাষ্ট্রেরও উন্নয়ন হয়।

জেনারেল লি যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্দো-প্যাসিফিক’ প্রবাদের পরিবর্তে ‘এশিয়া-প্যাসিফিক’ শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই অঞ্চলে উন্নয়নের কেন্দ্র হিসেবে চীন ভারতকে গ্রহণ করছে না; বরং আসিয়ান জোটের ওপর আস্থা রাখছে। তিনি কোনো নাম উল্লেখ না করে বলেন, কিছু কিছু দেশ নিজেদের স্বার্থে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে নিষেধাজ্ঞা দেয় ও বলপূর্বক অনুপ্রবেশ করে সংঘর্ষ ও ধ্বংসস্তূপ বানিয়ে চলে যায়। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে এমন ধ্বংসযজ্ঞ কাম্য নয়।

কে এই অঞ্চলে শান্তি ভঙ্গ করছে? এই অঞ্চলে সংঘর্ষ ও অস্থিতিশীলতার আসল কারণ কী? আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার নিয়ম কী? কাদের জন্য এসব নিয়ম প্রযোজ্য? এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতির প্রশ্নে চীনের শক্ত অবস্থান জানালেন জেনারেল লি। আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে পারস্পরিক সম্মানবোধ, ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে ছোটবড় সব রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমান অংশীদারত্ব, পারস্পরিক বিশ্বাস ও সংলাপের মাধ্যমে সংঘাত অবসান ও একঘরে না রেখে উদারতা ও সংযুক্তির বিশ্বব্যবস্থার প্রত্যাশা করেন তিনি। নিজ দেশের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি ‘চীনা শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন’ নীতির মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ দেখান।

আসিয়ান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রগুলো নিয়ে গঠিত। এ সংঘে চীন গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলের সঙ্গে চীনের ৯২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমানের বাণিজ্য হয়। আসিয়ান অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো একে অপরের প্রতিবেশী, তারা ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক ও পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ। এমন অর্থনৈতিক উন্নয়নের নজির পেশ করে চীন জানাতে চাচ্ছে যে কেউ চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে লাভবান হবে। আর এমন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে দরকার পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মান প্রতিষ্ঠা করা। তাইওয়ান একান্তই চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে তিনি কায়রো সনদ ও পোস্টডাম ঘোষণার কথা স্মরণ করে তাইওয়ানকে ‘এক চীন নীতি’র অংশ বলেন দৃঢ়তার সঙ্গে। কেউ যদি এর বিপরীতে মদদ জোগানোর দুঃসাহস করে, তবে চীনা মিলিটারি এক সেকেন্ড সময় নষ্ট করবে না তা প্রতিহত করতে।

যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের মধ্যেকার সংঘর্ষ স্পষ্টতা পাচ্ছে যতই দিন যাচ্ছে। চীন বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বড় অর্থনীতি হলেও দেশটি এখনো উচ্চ মধ্যম আয় পর্যায়ে রয়েছে। চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন চীনকে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন ও বাণিজ্যের নেতৃত্বে নিয়ে আসছে, যা যুক্তরাষ্ট্র শঙ্কাজনক বলে মনে করছে। তারা মনে করছে, বিশ্বজুড়ে চীনের প্রসার ও বাণিজ্য সম্পর্ক চীনকে আগ্রাসী করে তুলবে, যা বৈশ্বিক শান্তি বজায় রাখতে বড় হুমকির কারণ হতে পারে। গণতন্ত্র, স্বাধীন রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও সমুদ্রে নিরাপত্তা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এত দিন বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। মধ্যপ্রাচ্য ছিল তাদের রাজনীতির হৃদয়। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সময় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত ও বড় অর্থনীতির দেশও যেখানে হিমশিম খাচ্ছে, চীন তখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। এদিকে চীনের রোড অ্যান্ড বেল্ট ইনিশিয়েটিভ বিশ্বের ১৩৬টি দেশকে সংযুক্ত করে।

বিশ্বজুড়ে চীন বাণিজ্যিকভাবে পূর্ব থেকে পশ্চিমে এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রসারিত। ব্যবসার খাতিরে চীন সব ধরনের সরকারের সঙ্গে কাজ করে ও কারও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। তবে ব্যবসার খাতিরেই আবার প্রয়োজনে চীন তা করবে সেটাই স্বাভাবিক। কারণ, সেখানে তাদের বাণিজ্যিক স্বার্থ জড়িত। যুক্তরাষ্ট্র যেখানে বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র, সুশাসন, সুষ্ঠু নির্বাচন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, নারী-পুরুষের সমতা নিয়ে কাজ করছে, চীন করছে বাণিজ্যিক উন্নয়নে সহায়তা, তার নিজের উন্নয়নের খাতিরেই। তবে তাদের উন্নয়নের অংশীদার হতে চায়, এমন রাষ্ট্রের সংখ্যাও কম নয়।

যুক্তরাষ্ট্র তাদের ইন্দো-প্যাসিফিক নীতিতে ভারত মহাসাগরে চীনকে প্রতিহত করার জন্য ভারতকে সহায়তা করছে। তবে ভারতের চীনের সঙ্গে সংঘর্ষে যাওয়ার কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই। ভারত সাগর সম্মেলনে তারা বারবারই এই অঞ্চলে অংশগ্রহণমূলক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দারিদ্র্য, চোরাচালান ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে। তারাও চায় চীনের এই ‘বেলুন উন্নয়ন’-এর অংশ হতে, যেখানে এক দেশের উন্নয়নে তার সহযোগী রাষ্ট্রেরও উন্নয়ন হয়।

দক্ষিণ আমেরিকার রাষ্ট্রগুলো তাঁদের দীর্ঘদিনের সংঘাত কাটিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এক জোট হয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছে। আরব লীগ সম্মেলনে দীর্ঘদিনের শত্রু সৌদি আরব ও সিরিয়ার মধ্যে সংলাপ ওই অঞ্চলে শান্তির আশা জাগায়। এই সম্মেলনে তারা দ্বন্দ্ব-সংঘাতের ঊর্ধ্বে উঠে উন্নয়নের পথে চলার স্বপ্ন বাস্তব করছে।

ইরান-সৌদি আরব সংলাপের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে চীনের কূটনৈতিক বিজয় উল্লেখযোগ্য, যেখানে দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত থামাতে ব্যর্থ হয়েছে। গত কয়েক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের লাগাতার নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে এবং বর্তমান বৈশ্বিক সংঘাতকে মাথায় রেখে ব্রিক, দক্ষিণ আমেরিকার মতো জোটগুলো ব্যবসার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক মুদ্রা প্রচলনের কথাও বলে যাচ্ছে।

ডিডলারাইজেশন বা ডলারের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কাটানোর কথাও ভাবা হচ্ছে নানান আলোচনায়।

১-২ জুন ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার জোট, ব্রিকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে পশ্চিমকে পাশ কাটিয়ে নতুন এক বৈশ্বিক ব্যবস্থা তৈরির আবশ্যকতা নিয়ে আলোচনা হয়। এই জোটকে আমেরিকার জি-৭ জোটের সঙ্গে তুলনা করা হয়। আরও ৩০টি দেশ এই জোটের সদস্য হওয়ার আবেদন জানিয়েছে, যাতে বোঝা যায় যে বিশ্বজুড়ে ছোটবড় বেশির ভাগ দেশই অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে, পারস্পরিক নির্ভরতা তৈরি করে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্পর্ক উন্নয়ন চায়। এমন অবস্থায় চীনও দাবি করে যে বিশ্ব চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দুটি শক্তিকে ধারণ করার জন্য যথেষ্ট বড়।

মানবতার নেতৃত্বদানকারী দেশগুলো নিজেদের স্বার্থে বিভক্ত হয়ে পড়ছে। একদল নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিচ্ছে, আরেক দল সমৃদ্ধির। আন্তর্জাতিক সম্পর্কে চিরশত্রু বা মিত্র বলে কোনো বিষয় নেই। এই সম্পর্ক নিজ নিজ স্বার্থের ওপর নির্ভর করে।

বর্তমান বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এশিয়া অঞ্চল মুখ্য। এই অঞ্চলকে ঘিরেই গড়ে উঠছে ভবিষ্যৎ কয়েক দশকের রাজনীতি ও অর্থনীতির রূপরেখা। এই অবস্থা বাংলাদেশের মতো বঙ্গোপসাগরীয় ও মাঝারি অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য যেমন সুযোগ বয়ে আনবে, তেমনি অনেক প্রতিকূলতাও তৈরি করবে। তাই যেকোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নিজ নিজ দেশের জনগণের স্বার্থে কাজ করা প্রয়োজন। ধ্বংসের বদলে অবশ্যই শান্তির পথ বেছে নেওয়া দরকার মানবতার খাতিরে।

  • আইরিন খান গবেষক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ের বিশ্লেষক