নাটোরের ঐতিহ্যবাহী কাঁচাগোল্লা সৃষ্টির পেছনে আছে প্রাচীন গল্পগাথা। ছবি: সংগৃহীত
নাটোরের ঐতিহ্যবাহী কাঁচাগোল্লা সৃষ্টির পেছনে আছে প্রাচীন গল্পগাথা। ছবি: সংগৃহীত

ঐতিহ্যবাহী ৫০টি দুগ্ধপণ্য ও মিষ্টান্নের জিআই স্বীকৃতির কী হবে

মে ২০২৩ মাসে নাটোরে গিয়েছিলাম উত্তরা গণভবন দেখতে আর কাঁচাগোল্লার স্বাদ নিতে। কিন্তু সময়ের অভাবে উত্তরা গণভবন দেখা হয়নি। তবে ৬০০ বছরের পুরোনো শহরের সবচেয়ে পুরোনো কাঁচাগোল্লার দোকান লালপুরের জয়কালীবাড়ি মন্দিরের পাশে অবস্থিত জয়কালীবাড়ি মিষ্টির দোকানের কাঁচাগোল্লার স্বাদ নিতে ভুলিনি। সত্যি স্বাদে ও গন্ধে অনন্য এক মিষ্টির নাম কাঁচাগোল্লা। বর্তমানে নাটোর শহরে ৪০ থেকে ৪৫টি দোকানে প্রতি মাসে এক কোটি টাকার ওপরে কাঁচাগোল্লা বিক্রি হয়ে থাকে।

গত ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) থেকে দেশের ১৭তম ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায় এই কাঁচাগোল্লা।

পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) ২৪ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত তথ্যানুযায়ী দেশে কাঁচাগোল্লাসহ মোট জিআই স্বীকৃত ডেইরি পণ্যের সংখ্যা মাত্র ছয়। এসব পণ্য হলো বগুড়ার দই, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ীর চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, মুক্তাগাছার মন্ডা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লা। এ ছাড়া জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য এ জাতীয় আরও ১০টি পণ্যের আবেদন ডিপিডিটিতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা যায়।

প্রক্রিয়াধীন পণ্যগুলো হলো নোয়াখালীর মহিষের দুধের দই, সিরাজগঞ্জের তরল দুধ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি, মুন্সিগঞ্জের পাতক্ষীর, ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের ল্যাংচা মিষ্টি, ঝিনাইদহের মহেশপুরের খালিশপুরের সাদা চমচম, মেহেরপুরের সাবিত্রী মিষ্টি, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কির সন্দেশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি ও মৌলভীবাজারের দুছনির দই।

উল্লেখ্য যে ২০১৬ সালে প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে জামদানি শাড়ি স্বীকৃতি পাওয়ার পর ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত দেশে মোট জিআই স্বীকৃতিপ্রাপ্ত পণ্যের সংখ্যা ৩১ এবং এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত আরও ২৭টি পণ্যের আবেদন প্রক্রিয়াধীন। একই সঙ্গে পরবর্তীকালে জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য দেশব্যাপী আরও ৪৯৪টি পণ্যের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে (সূত্র: পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর)।

জিআই স্বীকৃত ৬টি ডেইরি পণ্যসহ স্বীকৃতির জন্য প্রক্রিয়াধীন ১০টি পণ্য ছাড়া এ মুহূর্তে দেশজুড়ে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রয়েছে আরও ৪০টি ডেইরি পণ্য, যেগুলোর জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার মতো যথেষ্ট সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে।

এসব পণ্য হলো গোপালগঞ্জের ছানার জিলাপি, রাজবাড়ীর চমচম, মুন্সিগঞ্জের ভাগ্যকুলের মিষ্টি, নারায়ণগঞ্জের রসমালাই, কিশোরগঞ্জের বালিশ মিষ্টি, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের পনির, ফেনীর খন্ডলের মিষ্টি, নোয়াখালীর ম্যারা, সিরাজগঞ্জের বেলকুচির পানিতোয়া ও সলপের ঘোল, পাবনার ঘি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের চমচম, নওগাঁর সন্দেশ, যশোরের জামতলার মিষ্টি, খুলনার সন্দেশ, মাগুরার রসমালাই, মেহেরপুরের রসকদম্ব, নড়াইলের পেড়ো সন্দেশ, সাতক্ষীরার সন্দেশ, নীলফামারীর ডোমারের সন্দেশ, লালমনিরহাটের রস, কুড়িগ্রামের চমচম, গাইবান্ধার রসমঞ্জরী, সুনামগঞ্জের দেশবন্ধুর মিষ্টি, মৌলভীবাজারের ম্যানেজার স্টোরের রসগোল্লা, ভোলার মহিষের দধি ও ঘি, বরিশালের গৌড়নদীর দই, জামালপুর ছানার পোলাও ও পায়েস, জামালপুরের সরিষাবাড়ীর প্যারা সন্দেশ, নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি, পঞ্চগড় সদর উপজেলার মীরগড়ের রসালো মিষ্টান্ন টোপা, ফরিদপুরের তেঁতুলতলার রসগোল্লা, ফরিদপুরের ল্যাংচা, ফরিদপুরের বাগাটের দই ও ঘি, গোপালগঞ্জের মোকসেদপুরের প্রভাষ ময়রার সন্দেশ, ময়মনসিংহের মালাইকারী ও বগুড়ার মহাস্থানগড়ের কটকটি।

আমাদের দেশের সমজাতীয় পণ্যের জিআই স্বীকৃতি নিয়ে যেভাবে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত টানাটানি করেছে, সে ক্ষেত্রে এখন থেকেই দেশে বিদ্যমান এসব ডেইরি পণ্যের জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারলে এসব পণ্য নিয়েও অদূর ভবিষ্যতে তাদের টানাটানির সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা, এই সব ডেইরি পণ্যের অনেকগুলোই সে দেশেএ উৎপাদিত হয়। এসব পণ্যের জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরকে (ডিপিডিটি) তড়িৎকর্মা হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

এই সব পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেলে একদিকে যেমন এসব পণ্যের বিক্রি বাড়বে, পণ্য ভেজালরোধে ও নিজস্ব ব্র্যান্ডিং তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ রাখবে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও পাবে, যা ডেইরি পণ্য বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

বাংলাদেশ মিষ্টি প্রস্তুতকারক সমিতির তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে তাদের এই সংগঠনের আওতায় নিবন্ধিত প্রায় ৪০০ সদস্য রয়েছে। এর বাইরে সারা দেশে আরও দুই হাজারের বেশি স্থানীয় উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা দেশব্যাপী বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার দই-মিষ্টির ব্যবসা করে থাকে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত কোনো মিষ্টিজাতীয় পণ্যই বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে না।

তবে আশার কথা হচ্ছে যে ইতিমধ্যে দেশ থেকে ক্ষুদ্রাকারে কিছু কোম্পানির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে মিষ্টিজাতীয় ডেইরি পণ্য রপ্তানি শুরু হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান গত মে মাসে অন্যান্য কৃষিপণ্যের সঙ্গে ১ হাজার ১০০ কেজি দেশি মিষ্টি অস্ট্রেলিয়ায় পাঠিয়েছে। এর মধ্যে ছিল স্পঞ্জ রসগোল্লা, রসগোল্লা, চমচম, ক্ষীরমোহন, ল্যাংচা ও মিষ্টি দই। একইভাবে আরেকটি প্রতিষ্ঠান গত বছরের আগস্ট মাসে ৩ ধরনের মিষ্টি ও দই মিলে ১ হাজার ৯৩২ কেজি পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছিল। এসব মিষ্টির মধ্যে ছিল কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী রসমালাই, চমচম ও কালোজাম। এ ছাড়া দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি দুবাই ও লন্ডনে তাদের মিষ্টিজাতীয় পণ্যের বিক্রয়কেন্দ্র খুলেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ১ কোটি ১৫ লাখ বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছেন, যাঁদের কাছে এই সব দেশি মিষ্টির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব, জার্মানি, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্যসহ ১৪৪টি দেশে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এই সব দেশে কৃষিজাত পণ্যের সঙ্গে মিষ্টিজাতীয় পণ্য রপ্তানির বড় সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারও কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে চায়। রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪-এ কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণকে সর্বাধিক অগ্রাধিকারের খাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং শিল্পনীতি ২০২২-এ এই খাতকে রপ্তানি বহুমুখীকরণের অন্যতম খাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০২১-২৫-এ বৈচিত্র্যময় কৃষিপণ্য ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য উৎপাদনের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

তবে বড় পরিসরে এই সব মিষ্টিজাতীয় পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে হলে প্রয়োজন হবে পণ্যের গুণগত মান নিশ্চয়তার সনদ, জিআই সনদ, রপ্তানির সনদ, স্বাস্থ্য সনদ ইত্যাদির মতো বেশ কিছু সনদের, যেগুলো দেওয়ার মতো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এখনো দেশে গড়ে ওঠেনি। সে ক্ষেত্রে মিষ্টিজাতীয় পণ্যগুলো দুগ্ধজাত হওয়ায় রপ্তানি সনদ বা অনুমতির এখতিয়ার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে দেওয়া যেতে পারে আবার এগুলো খাদ্যপণ্য হিসেবে বিবেচনা করলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকেও দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু সেটি অবশ্যই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে। মিষ্টিজাতীয় পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে এই সব বাধা দূর করতে পারলে ভবিষ্যতে দেশি মিষ্টিজাতীয় ডেইরি পণ্য রপ্তানি আয়ের একটি বড় ক্ষেত্র হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ডেইরিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম বলেন, এই সব ডেইরি পণ্য ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেলে এগুলোর বাণিজ্যিক গুরুত্ব যেমন বাড়বে, তেমনি উৎপাদনকারীরাও আর্থিকভাবে লাভবান হবেন এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও এক ধাপ এগিয়ে যাবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য, ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়া।

দেশ যখন উচ্চমধ্যম বা উন্নত দেশে পরিণত হবে, তখন দেশ থেকে এ ধরনের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে হলে প্রয়োজন হবে জিআইয়ের মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সনদ। অন্যথায় যেসব দেশের এসব পণ্যের জিআই স্বীকৃতি থাকবে, তাদের মাধ্যমে তাদের নামে বাড়তি ট্যাক্স দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে এসব পণ্য বিক্রি করতে হবে। কিন্তু যখন কোনো একটি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পায়, তখন সেটিকে বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডিং করা সহজ হয়। ফলে দেশে ও বিদেশে সেসব পণ্যের আলাদা কদর বাড়ে।

এ ছাড়া সনদপ্রাপ্তি পর ওই অঞ্চল বাণিজ্যিকভাবে পণ্যটি একাধারে উৎপাদন করার অধিকার পায় এবং আইনি সুরক্ষা পায়। ফলে অন্য কোনো দেশ/প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তি ওই সব পণ্যের মালিকানা/মেধাস্বত্ব/স্বত্বাধিকার দাবি করতে পারে না। সুতরাং এখনই সময় এই সব পণ্যের জিআই স্বীকৃতির উদ্যোগ নেওয়ার।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) সিনিয়র ট্রেনিং অফিসার ড. মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, বর্তমানে দেশে ২০ লাখের বেশি গবাদিপশুর খামার রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে দুগ্ধ উৎপাদনকারী গরু ২৪৮ দশমিক ৫৬ লাখ, মহিষ ১৫ দশমিক ১৬ লাখ, ভেড়া ৩৮ দশমিক ২৭ লাখ এবং ছাগল ছিল ২৬৯ দশমিক ৪৫ লাখ। এই বিপুলসংখ্যক পশু থেকে গত অর্থবছরে মোট দুধ উৎপাদিত হয়েছে ১৪০ দশমিক ৬৮ লাখ মেট্রিক টন। উৎপাদিত দুধের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ দুধ চলে যাচ্ছে দেশে অপ্রচলিত বা অপ্রাতিষ্ঠানিক বাজারে এবং দই, রসগোল্লা, সন্দেশের মতো বিভিন্ন মিষ্টিজাতীয় পণ্যে রূপান্তরিত হয়ে সারা দেশে বিক্রি হচ্ছে। দেশব্যাপী স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা দুধের এই বৃহৎ বাজার সব সময়ই করোনা, বন্যা, হরতালের মতো বিভিন্ন দুর্যোগে বড্ড নাজুক অবস্থায় থাকে।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দরকার দুগ্ধজাতীয় পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং গুণগতমান বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের বাইরে রপ্তানি বাড়ানো। সে ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের প্রয়োজন হবে জিআই, বিএসটিআইয়ের মতো বিভিন্ন স্বীকৃতি। সে ক্ষেত্রে সময় এখন সরকারি-বেসরকারিভাবে এসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপের।

  • মজনু সরকার ম্যানেজার (প্রোগ্রাম), পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)

ই-মেইল: moznublri@gmail.com