ভারত সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের কয়েকজন নাগরিক
ভারত সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের কয়েকজন নাগরিক

মতামত

মিয়ানমার নিয়ে যে সংকটে পড়েছে ভারত

মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর যে সংঘর্ষ চলছে, বাংলাদেশ, ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর তার প্রভাব পড়েছে। ভারতের সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সেনা ও নাগরিকদের কারণে উদ্বিগ্ন ভারত সীমানাপ্রাচীর তোলার চিন্তাভাবনা করছে। এই নিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।

মিয়ানমার সীমান্তের অনতিদূরে ভারতের মিজোরামের লেংপুই বিমানবন্দরে সম্প্রতি একটি নাটকীয় ঘটনা ঘটে গেছে। রানওয়েতে একটি সাদা সামরিক পরিবহন বিমান অপেক্ষারত ছিল। বিমানটির গায়ে বর্মি হরফে কী কী সব লেখা ছিল।

বিমানবন্দর চত্বরে এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে ছিলেন মিয়ানমারের কয়েকজন সেনা। দেখা যাচ্ছিল, তাঁদের অনেকেই আহত। কেউ কেউ রোগী বহনকারী হালকা খাটে শুয়ে ছিলেন। কারও গায়ে ইউনিফর্ম ছিল। কারও গায়ে ছিল সাদা পোশাক। তাঁদের কারও কাছে অস্ত্রশস্ত্র ছিল না। তাঁরা ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত অবস্থায় মাটিতে শুয়ে-বসে ছিলেন। আসাম রাইফেলসের অস্ত্রধারী সেনারা তাঁদের পাহারা দিচ্ছিলেন। ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত ওই সেনারা মিয়ানমারের সশস্ত্র গ্রুপগুলোর তাড়া খেয়ে ভারতের সীমান্তে ঢুকে পড়েছিলেন।

রানওয়েতে দাঁড় করিয়ে রাখা মিয়ানমারের সামরিক বিমানটি বর্মি সেনাসদস্যদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ ছিল। পরের দিন পরিবহন বিমানটি সেনাসদস্যদের নিয়ে উড্ডয়ন করতে যাচ্ছিল। ছুটে চলার শুরুতেই আচমকা বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে একটি ঢালে গিয়ে পড়ল। সেই অসহায় সেনাদের জীবনে আরেকটি দুঃখজনক অধ্যায় যুক্ত হলো।

দুর্ঘটনা সামান্যই ছিল। তাতে কেউ নিহত হননি। তবে অনেকে আহত হন। বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেদিন দিনভর দিল্লির শীর্ষ কর্মকর্তারা এবং মিজোরাম সরকারের কর্মকর্তারা টেলিফোনে ব্যস্ত ছিলেন। ঘটনার আকস্মিকতায় মিজোরাম সরকার থতমত খেয়ে গিয়েছিল।

বিমানবন্দরটি সারা দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হলো। কারণ ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটিকে সারাই করতে হবে। গ্যাসোলিন ট্যাংক খালি করতে হবে। মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থী সেনাদের চিকিৎসা দিতে হবে। এই সব করে সারা দিন কাটল। পরের দিন ইয়াঙ্গুন থেকে পাঠানো দুটি সামরিক বিমানে করে সেনাদের দেশে ফেরত পাঠানো হলো।

প্রতিবেশী মিয়ানমারের চিন রাজ্য থেকে সেনাদের মিজোরামে পালিয়ে আসার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। চিন রাজ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই চিন ন্যাশনাল আর্মি (সিএনএ) এবং পিপলস ডিফেন্স ফোর্সসহ অন্য বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর সমন্বিত আক্রমণের মুখে জান্তা সরকারের সেনারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পালিয়ে আসছেন।

 ২০০১ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অং সান সু চি এবং তাঁর ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নির্বাচনে ভূমিধস জয়লাভ করার পর সেনাবাহিনী এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়। তখন থেকে এ পর্যন্ত বিদ্রোহী যোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে অন্তত ৫০০ সেনাসদস্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পালিয়ে এসেছেন। সেনাদের অভিযানের মুখে মিজোরামে অন্তত ৪৫ হাজার চিন জাতিগোষ্ঠীর শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন।

আজ ভারত সরকার মিয়ানমারের সীমান্ত লাগোয়া পূর্বাঞ্চলীয় ১৬৪০ কিলোমিটার এলাকার অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। মিজোরামের সীমান্ত এলাকা জোখাওথার ও মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকার মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা তিয়াও নদীর ওপর প্রতিষ্ঠিত সাদা-লাল রঙের সেতুর কাছে কিছুদিন আগেও মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং সরকারি কর্মকর্তারা দায়িত্বরত ছিলেন। কিন্তু এখন মিয়ানমারের ওই অঞ্চলের সর্বত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের পতাকা উড়ছে। মিজোরাম এবং জোখাওথারের সংযোগ সেতুর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর হাতে রয়েছে।

মিয়ানমারের চিন রাজ্য এবং সাগাইং রাজ্যের বেশির ভাগ এলাকা ভারতের মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচল প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত। আর এই পুরো অঞ্চল এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হাতে চলে গেছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ভাষায় ওই অঞ্চল এখন ‘স্বাধীন এলাকা’।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিএনএফ ইতিমধ্যে সেখানে স্বায়ত্তশাসিত ‘চিনল্যান্ড কাউন্সিল’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। দিল্লি এবং মণিপুরকে এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হতে বলে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল দিয়ে মাদক, অস্ত্র ও অন্য কোনো কিছু পাচার করতে দেওয়া হবে না। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়েও তারা হস্তক্ষেপ করবে না বলে তারা দিল্লিকে আশ্বস্ত করেছে।

মিজোরামের একজন বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন, এত দ্রুত সেনা চৌকিগুলোর পতন দেখে তাঁরা খুবই বিস্মিত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর এমন সামরিক অগ্রগতি সেনাবাহিনীর দুর্বলতাকেই সামনে নিয়ে আসছে। একই সঙ্গে বোঝা যাচ্ছে, এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর শক্তিকে খাটো করে দেখা হচ্ছিল।

তবে ওই নেতা মনে করেন, রাজধানী ইয়াঙ্গুনে সামরিক শাসনের পতনের সম্ভাবনা খুব কম। কারণ বিদ্রোহীদের হাতে যাওয়া এলাকাগুলো ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ এখনো কেন্দ্রীয় সেনাবাহিনীর হাতে যথেষ্টই আছে।

মিজোরামের অপর প্রান্তে পালাতোয়া শহরটি এখন আরেকটি জাতিগত সশস্ত্র গ্রুপ আরাকান আর্মির হাতে পড়েছে। শহরটি পুনরুদ্ধার করতে সেনাবাহিনী বিমানবাহিনী এবং গোলন্দাজ বাহিনীর সহায়তায় পাল্টা হামলা চালাচ্ছে।

এই পালাতোয়া শহরটি ভারতের উচ্চাভিলাষী ‘কালাদান মাল্টি মডেল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারত রাখাইন রাজ্যের সিত্তি বন্দরের সঙ্গে কলকাতার সংযোগ স্থাপন করতে চায়। এই পালাতোয়া শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা কালাদান নদীর ওপর নির্মিত সেতুর মাধ্যমে মিজোরামের সঙ্গে শহরটির সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করার কথা।

আরাকান আর্মি এই অঞ্চলে কৌশলগত বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আরও আঘাত হানতে চায়। তবে যেহেতু অঞ্চলটি চিন জাতিগোষ্ঠী অধ্যুষিত, সেহেতু চিন বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘাত লাগার আশঙ্কা রয়েছে।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি এই অঞ্চলে সীমানাপ্রাচীর দেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম (এফএমআর) বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। অমিত শাহের এই বক্তব্যকে সাম্প্রতিক ঘটনা এবং ভারতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষার প্রচেষ্টার আলোকে বিশ্লেষণ করা দরকার।

ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে অমিত শাহের এই ঘোষণার তীব্র সমালোচনা এসেছে। অনেকেই বলছেন, ব্রিটিশ সরকার ভাইয়ে ভাইয়ে বিভক্তি ও হানাহানি বাধিয়ে দেওয়ার জন্য সীমান্ত টেনেছিল। সেই সীমান্ত এখনো উন্মুক্ত থাকার কারণে উভয় পারের মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তাদের মধ্যে আত্মীয়তা রয়েছে। কিন্তু সেখানে সীমানাদেয়াল বা প্রাচীর তৈরি করলে সেই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ বন্ধন একেবারে ছিন্ন হয়ে যাবে।

এফএমআরের কারণে ১৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দুই দেশের বাসিন্দারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই অঞ্চলের এপারের পরিবারগুলোর সঙ্গে ওপারের পরিবারগুলোর যাতায়াত রয়েছে। উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ছোটখাটো ব্যবসা-বাণিজ্য হয়ে থাকে।

সরকার, এমনকি স্থানীয় সশস্ত্র গ্রুপগুলো স্বীকার করে, দুই পারের মধ্যে এই নির্বিঘ্ন যাতায়াতের সুযোগ নিয়ে অনেক সশস্ত্র গোষ্ঠী অপেক্ষাকৃত কম নজরদারিতে থাকা দুর্গম পথে অবৈধ অস্ত্র এবং মাদক চোরাচালান করে থাকে।

সীমান্তে বেড়া দেওয়ার সবচেয়ে জোরালো আহ্বান এসেছে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের কাছ থেকে। তাঁর রাজ্য বলা চলে সহিংসতায় জর্জরিত হয়ে আছে। সেখানে মূলত কুকি এবং মেইতেই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত চলছে। বীরেন সিং বলেছেন, তাঁর রাজ্যের কুকি যোদ্ধারা লোকজন এবং অস্ত্র সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাচ্ছে।

অবশ্য বিশ্লেষকেরা উল্লেখ করেছেন, মণিপুর ও নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপে মিয়ানমারের সীমান্তে সক্রিয় রয়েছে।

সীমানাপ্রাচীর বা বেড়া একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের বাস্তবতা বহন করে। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প। এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং এখানকার দুর্গম প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। এই ধরনের প্রাচীর গড়তে গেলে বহু পুরোনো পারিবারিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হবে। এটি স্থানীয় মানুষের মধ্যে তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি করবে এবং সরকারকে সেই জন–অসন্তোষ মোকাবিলা করতে হবে।

অন্যদিকে চীন তার দক্ষিণ সীমান্তে সক্রিয় রয়েছে। চীন তার সীমান্ত লাগোয়া মিয়ানমারের এলাকায় শক্তিধর বিদ্রোহী শান জাতিগোষ্ঠী এবং জান্তা সরকারকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করতে বাধ্য করেছে। চীনের এই মধ্যস্থতায় সামরিক শাসক বা বিদ্রোহী শান গোষ্ঠীর কেউই খুশি নয়। এর কারণ, তারা ভালো করেই জানে, চীনের মূল লক্ষ্য এখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা নয়। চীনের মূল লক্ষ্য, খনিসমৃদ্ধ এই এলাকায় তার বড় ধরনের বিনিয়োগ এবং অবকাঠামোগত স্বার্থের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

বিষয়টি ভারতের কাছেও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মিয়ানমারে ভারতেরও বড় ধরনের অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। ভারতের অনেক অর্থনৈতিক কার্যক্রম এমন সব জায়গায় পরিচালিত হচ্ছে, যে জায়গাগুলো এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার রাখাইন রাজ্যে অবস্থানরত সব ভারতীয় নাগরিককে ওই অঞ্চল ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় সরে আসার নির্দেশ দিয়েছে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থন দেওয়া থেকে এখনো পিছু হটেনি ভারত। তবে এখন মাঠের বাস্তব অবস্থা দিল্লিকে বিবেচনা করতে হবে। মিয়ানমারে লড়াইরত বিদ্রোহী গ্রুপগুলো (এদের মধ্যে কোনো কোনো গ্রুপ ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে) এখনই রাজধানী নেপিডো দখলে অগ্রসর হবে বলে মনে হয় না।

তবে বাস্তবতা হলো, ভারতের প্রতিবেশী সিন রাজ্যের একটি বিশাল অংশ বিদ্রোহীদের কবজায় রয়েছে। এটি ভারতের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের বিষয়।

একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এর অর্থ হলো, সেখানে অধিকতর টেকসই একটি বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত জান্তা সরকারের পতনের সম্ভাবনা কম। আর এই ধরনের একটি কার্যকর প্রক্রিয়া চালু না হওয়া পর্যন্ত চীন এবং ভারত উভয়ই তাদের বর্তমান নীতির পরিবর্তন আনবে না।

মিয়ানমারের ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেছেন, এই ধরনের একটি জটিল বিষয়ে হুট করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। তিনি বলেছেন, ‘সীমান্তের দুই পারের মানুষের আত্মীয়তা ও উপজাতীয় বন্ধন এমন যে সেই বন্ধন ও আত্মীয়তা আইন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এই আত্মীয়তাকে ছিন্ন করার মতো কোনো ব্যবস্থা নিলে তা ভারতে অবস্থানরত মিয়ানমারের উপজাতিদের আত্মীয়রা আমাদের শত্রুতে পরিণত হতে পারে।’

  • অনুবাদ: সারফুদ্দিন আহমেদ

  • সঞ্জয় হাজারিকা ভারতের উত্তর–পূর্ব অঞ্চলভিত্তিক লেখক ও কলামিস্ট