অভিমত

গুগল অনুবাদে ইংরেজি ভার্সন, ভুল তথ্যে পাঠ্যপুস্তক

নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হয়েছে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক। বিভাগ বিভাজন উঠে যাওয়ার পর নবম শ্রেণির জন্য নতুন বিজ্ঞান বইটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অনুসন্ধানী পাঠ’। জাতীয় শিক্ষাক্রমের এই পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বইয়ের অনেক বিষয় আংশিক বা হুবহু চুরি করা (নেওয়া) হয়েছে অনলাইন ব্লগ, ভারতীয় কোচিং সেন্টারের ওয়েবসাইটসহ অন্যান্য উৎস থেকে। বইটির ইংরেজি সংস্করণ (ভার্সন) তৈরিতে যে ‘গুগল ট্রান্সলেটর’ ব্যবহৃত হয়েছে, তা স্পষ্ট। বইটির নানা অসংগতি নিয়ে দুই পর্বের লেখার আজ প্রকাশিত হলো শেষ পর্ব।

নতুন শিক্ষাক্রমে নবম শ্রেণির বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকের বাংলা সংস্করণে (ভার্সনে) বিভিন্ন অধ্যায়ে যেসব প্লাজিয়ারিজম দেখতে পেয়েছি, তা নিয়ে আগের লেখায় আলোচনা করেছি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রায় প্রতিটি শ্রেণিতে বাংলার পাশাপাশি প্রতিটি বইয়ের ইংরেজি ভার্সনও চালু রেখেছে। ইংরেজি ভার্সনে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য এসব বই।

বাংলা ভার্সনে বইটি লেখার দায়িত্বে ছিলেন ১১ জন। ইংরেজি ভার্সনে সেই ১১ জনের পাশাপাশি ৬ জন অনুবাদকের নামও রয়েছে। এটা অনুমেয় যে তাঁদের কাজ ছিল বাংলা ভার্সনের আদলে পাঠ্যপুস্তকটি ইংরেজিতে অনুবাদ করা। কিন্তু বইটির বিভিন্ন অধ্যায়ের ইংরেজি অনুবাদ এসেছে স্পষ্টতই ‘গুগল ট্রান্সলেটর’-এর সহায়তায়।

প্রথম অধ্যায়ে গুগল ট্রান্সলেটরের ব্যবহার

বইটির শুরুতেই প্রথম অধ্যায়ের প্রথম অনুচ্ছেদটি ভাষান্তরে ‘মানবীয়’ ছাপ থাকলেও ১.১.১ অনুচ্ছেদ অনুবাদে হুবহু গুগলের সহায়তা নেওয়া হয়েছে। অনুবাদ করতে গুগল ট্রান্সলেটর ঠিক কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তা জানার জন্য পুরো বই ধরে ধরে দেখার প্রয়োজন নেই। বাংলা ভার্সনের বইটির ১.১.১ অনুচ্ছেদের কয়েকটি বাক্য হলো, ‘তোমরা যদি বাসে কিংবা ট্রেনে দাঁড়িয়ে থাক, এবং হঠাৎ বাস কিংবা ট্রেনটি চলতে শুরু করে, তখন তোমরা লক্ষ করে থাকবে যে তোমরা পিছন দিকে পড়ে যেতে চাও। বাস কিংবা ট্রেনের মেঝেতে স্পর্শ করে থাকা তোমার শরীরের নিচের অংশ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করলেও শরীরের উপরের অংশ তার আগের অবস্থানেই স্থির থাকতে চায়, সে জন্য তোমার শরীরের উপরের অংশ পেছন দিকে হেলে পড়ে এবং তুমি পড়ে যেতে উদ্যত হও।...’

এ অংশটুকু গুগল ট্রান্সলেটরে লিখলে এর অনুবাদ দেখানো হবে, ‘If you are standing in a bus or train, and suddenly the bus or train starts moving, you will notice that you want to fall backwards. Your lower body touching the floor of the bus or train starts to move forward, but your upper body wants to stay in its previous position, so your upper body leans back and you tend to fall....’ এটা ইংরেজি ভার্সনের বইটির সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে।

পাঠ্যপুস্তকে বানান ভুল হতে পারে, ছোটখাটো শব্দের এদিক-ওদিক হতে পারে। কিন্তু জ্ঞান-বুদ্ধি ব্যবহার করে একটি বিষয়ে স্বকীয় বাক্য লেখার যোগ্যতা যখন আমরা হারিয়ে ফেলছি, তখন ‘স্মার্ট’ বাংলাদেশের জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালাবে কে? গুগল ট্রান্সলেটর দিয়েই যদি পাঠ্যপুস্তক অনুবাদ করা হয়, তাহলে অনুবাদকেরা করেছেন কী?

রসায়ন ও জীববিদ্যার অংশেও গুগল ট্রান্সলেট

বাংলা ভার্সনে বইটির সপ্তম অধ্যায়ের শুরুতে (১১১ পৃষ্ঠায়) শুরুতে লেখা হয়েছে, ‘আমরা জানি এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত 118টি মৌলের ভিন্ন ভিন্ন পরমাণুগুলো যুক্ত হয়েই বিভিন্ন অণু গঠন করে।...’ এর গুগল ট্রান্সলেট হয়, ‘We know that different atoms of the 118 elements discovered so far combine to form different molecules....’ হুবহু এ বাক্য ইংরেজি ভার্সনের বইয়ে রয়েছে।

বাংলা ভার্সনে নবম অধ্যায়ের ‘জৈব অণু’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সজীব কোষ অসংখ্য অণু দিয়ে গঠিত। এই অণুগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র অণু এবং বৃহৎ অণু যেগুলোকে একত্রে জৈব অণু বলে পরিচিত। সাধারণত 25টির বেশি মৌলিক পদার্থ নিয়ে এসব জৈব অণু গঠিত এদের ভিতর ছয়টি মৌলিক পদার্থ জৈব অণুর সাধারণ উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।’ এই অনুচ্ছেদের গুগল ভাষান্তরটি ইংরেজি ভার্সনে ১৩৫ পৃষ্ঠার সঙ্গে অবিকল মিলে গেছে।

ভাষান্তরের জন্য ইন্টারনেট জগতে গুগলের ব্যবহার করা হয়ে এলেও চাইনিজ, স্প্যানিশ, জাপানিজ, জার্মানি, ফরাসি ভাষার ইংরেজি ব্যতীত অন্যান্য ভাষা থেকে ইংরেজিতে রূপান্তরে গুগলের যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তা এরই মধ্যে একাডেমিকভাবে স্বীকৃত। আর বাংলা থেকে ইংরেজিতে যে ‘হযবরল’ ভাষান্তর করা হয়, তা বাংলাভাষীদের সবাই জানে। ভুলভাল ব্যাকরণে ভাষান্তরের কারণে পিছিয়ে থাকা গুগল ট্রান্সলেটরের ব্যবহার পাঠ্যপুস্তকের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে করা যে একধরনের বালখিল্য, তা গত বছর থেকেই বলে আসছি। কিন্তু কে শোনে কার কথা, শিক্ষার্থীদের জন্য ভুলভাল ব্যাকরণে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক দায় সারছে, তার জন্য জবাবদিহি কে করবে?

 জৈব অণু, না প্রাণ-অণু?  

বইটিতে বিভিন্ন বিষয়ে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। নবম অধ্যায়ে যে ‘জৈব অণু’র কথা লেখা হয়েছে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। ইংরেজি biomolecule-কে এই বইয়ে জৈব অণু লেখা হয়েছে। এর বিশুদ্ধ বাংলা ‘প্রাণ-অণু’। আমরা যখন কলেজে পড়তাম, তখন জীববিদ্যা বইয়ে এই শব্দকে প্রাণ-অণু বা বায়ো–অণু নামেই অভিহিত করা হতো। কারণ, ‘bio’ শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘bios’ থেকে এসেছে, যার অর্থ জীবন বা প্রাণ। আর এ কারণে বায়োলজি মানে আমরা জীববিদ্যা বলছি, বায়োকেমিস্ট্রিকে প্রাণরসায়ন বলছি। জৈব শব্দটির আরেকটি ইংরেজি পরিভাষা হলো ‘Organic’। এ কারণে অর্গানিক কেমিস্ট্রিকে জৈবরসায়ন বলা হয়। আবার ইংরেজি বায়োটেকনোলজিকে আমরা বাংলায় জৈবপ্রযুক্তি বলছি। দীর্ঘদিন ধরে বাংলা ভাষায় বহুল ব্যবহৃত বায়োমলিকুল শব্দটি নিয়ে তাই নতুন করে এ বিভ্রান্তি তৈরি না করলেও হতো।

রাসায়নিক গঠন উপস্থাপনে ভুল

নবম অধ্যায়ের ৯.২ অনুচ্ছেদে (১৩৭ পৃষ্ঠা) ৯.৩ চিত্রে গ্লুকোজের ফিশার ও হাওয়ার্থ গাঠনিক উপস্থাপন করা হয়েছে। সাধারণত গ্লুকোজ ৬টি কার্বন, ১২টি হাইড্রোজেন ও ৬টি অক্সিজেন নিয়ে গঠিত হয়। তবে পাঠ্যপুস্তকে ৬টি কার্বন ঠিক থাকলেও ১০টি হাইড্রোজেন ও ৫টি অক্সিজেন রয়েছে। বইটির রচয়িতারা বাইজুস ডটকম থেকে কপি করতে গিয়ে গ্লুকোজের স্ট্রাকচার থেকে হাইড্রোজেন কিংবা হাইড্রোক্সিল গ্রুপকে উধাও করে দিয়েছেন; যদিও তাঁরা দুটি সলিড বন্ড ফাঁকা রেখেছেন। যাঁরা রসায়ন নিয়ে গবেষণা করেন, কেমড্র ব্যবহার করে তাঁরা ঠিকই এই সলিড বন্ডকে মিথাইল গ্রুপ হিসেবে চিহ্নিত করবেন। রসায়ন জানা লোকজন গ্লুকোজের এই গঠনকে কখনোই স্বীকৃতি দিতে পারেন না।

৯.৩.১ অনুচ্ছেদের ৯.৫ চিত্রে ডিএনএর বর্ণনায় গুয়ানিনের যে গাঠনিক বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, সেটা ভুল। পিউরিন বেজের এই মলিকিউলের ৩ নম্বর নাইট্রোজেনই নেই। চিত্রটিতে ডিএনএর যে স্ট্রাকচার দেওয়া হয়েছে, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। বরং চিত্রে যে বর্ণনাও এসেছে, তা-ও ভুল। সাধারণত ডিএনএ ৫’ ও ৩’ এবং ৩’ ও ৫’ থাকলেও সেখানে টেইল রঙের অ্যারো একই দিকে দেওয়া হয়েছে, যা একটি সাধারণ ভুল। বিজ্ঞান বইটির ১৪২ নম্বর পৃষ্ঠায় ৯.৭ চিত্রে অ্যামিনো অ্যাসিডের গঠন আঁকতে গিয়ে অ্যামিনো গ্রুপকেই লেখা হয়েছে ‘অ্যামিনো অ্যাসিড’।

তথ্যগত ভুল

বইটির ১৪০ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে, ডিএনএর রাসায়নিক গঠন আবিষ্কারের জন্য ওয়াটসন ও ক্রিক ১৯৬৩ সালের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এ তথ্য সঠিক নয়। ১৯৬২ সালে ডিএনএ রাসায়নিক গঠন আবিষ্কারের জন্য নোবেল পান জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক ও মরিস উইলকিনস। নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে স্পষ্ট এ কথাই লেখা আছে। এ রকম তথ্যগত ভুলের কারণে শিক্ষার্থীরা ভুল তথ্য জানবে।

চিত্রে মূল ব্যাখ্যাই নেই

ডিএনএ থেকে প্রোটিন সংশ্লেষণের যে চিত্র (৯.৮) উল্লেখ করা হয়েছে, তাতে সেটার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। একটি জটিল চিত্রে যে বর্ণনা এসেছে, তা আরও জটিল ও অপ্রাসঙ্গিক। ডিএনএ বেজ থাইমিন আরএনএতে গিয়ে ইউরাসিল রূপান্তরে প্রোটিন সংশ্লেষের কথা বলে অসম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে। ট্রান্সলেশন, ট্রান্সক্রিপশন যে এখানে মূল বিষয়, সেটির সংক্ষিপ্ত করে হলেও লেখা হয়নি। একটি জটিল চিত্র উপস্থাপন করে কেবল পাঠ্যপুস্তকের জায়গা দখল হয়েছে, এখান থেকে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে জানতে অক্ষম হবে সেই কথা অনুমেয়।

লিপিডের বর্ণনা করতে গিয়ে ১৪৪ পৃষ্ঠায় অপ্রাসঙ্গিকভাবে লিপিডের চিত্রের পরিবর্তে করোনাভাইরাসের চিত্র দেওয়া হয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা কখনোই জানবে না যে লিপিড গঠন কী, সেখানে হাইড্রোফোবিক, হাইড্রোফিলিক, ফসফোলিপিড কীভাবে থাকে, সেসব জানার সুযোগ না দিয়ে করোনাভাইরাসকে হাইলাইটস করে লিপিডকে দুর্বলভাবে কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেনের সমন্বয়ে গঠিত পদার্থকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে, যা অন্তত ১৪ থেকে ১৫ বছরের বিজ্ঞান–শিক্ষার্থীদের পাঠ্যমানের সঙ্গে যায় না।

ভুলভাল রাসায়নিক সংকেত

এ বইয়ের অনেক জায়গায় রাসায়নিক সংকেত লেখার যে নীতি, অর্থাৎ সুপারস্ক্রিপ্ট ও সাবস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করার কথা ভুলে গেছেন লেখকেরা। ১৫১ পৃষ্ঠায় ১০.৪ অনুচ্ছেদে কার্বন ডাই-অক্সাইড, পানি ও অক্সিজেনের সাবস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা হয়নি। এ রকম ভুল দেখা দিয়েছে পর্যায় সারণি অধ্যায়ের ১০৫ পৃষ্ঠায়। সোডিয়াম ও ক্লোরাইডের আয়নে নেই সুপারস্ক্রিপ্টের ব্যবহার। ওই অধ্যায়েরই ৬.৩ চিত্রে পর্যায় সারণিতে মৌলগুলোকে ঢেকে দিয়ে অধাতব ধর্ম ও ধাতব ধর্মে ক্রম দেখানোর জন্য ‘অ্যারো’ চিহ্ন দেখানো হয়েছে, শিক্ষার্থীদের কাছে তা দুর্বোধ্য মনে হতে পারে।

বইটির বেশির ভাগ চিত্রই ইন্টারনেট থেকে নামানো হয়েছে। পরে ইংরেজিতে ভাষান্তর করে ‘নিজেদের’ করে ফেলা হয়েছে। এতে স্বকীয়তার ছিটেফোঁটা দেখা যায়নি। আগের বছরগুলোর বইগুলোকে ছেঁটে বিজ্ঞান বইটিকে সংকুচিত করা হয়েছে। তাতে বিজ্ঞানশিক্ষার জানার ও প্রসারে একধরনের বাধা তৈরি হবে। তবে এই পাঠ্যপুস্তকে মানবশরীরতন্ত্রের বিষয়গুলো মানসম্মত বলা যায়।

এ কথা সত্য যে এই শিক্ষার্থীরা দশম শ্রেণির জন্য আলাদা বিজ্ঞান বই পাবে। সেখানে আরও কিছু বিষয় আসবে। তবে পদার্থ, রসায়ন ও জীববিদ্যাকে এক মলাটে আনতে গিয়ে বিজ্ঞানশিক্ষাকে কাটছাঁট করা হচ্ছে কি না, তা সময়ই বলে দেবে।

কেন এই প্রতিক্রিয়া

পাঠ্যপুস্তকে বানান ভুল হতে পারে, ছোটখাটো শব্দের এদিক-ওদিক হতে পারে। কিন্তু জ্ঞান-বুদ্ধি ব্যবহার করে একটি বিষয়ে স্বকীয় বাক্য লেখার যোগ্যতা যখন আমরা হারিয়ে ফেলছি, তখন ‘স্মার্ট’ বাংলাদেশের জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালাবে কে? গুগল ট্রান্সলেটর দিয়েই যদি পাঠ্যপুস্তক অনুবাদ করা হয়, তাহলে অনুবাদকেরা করেছেন কী?

বিজ্ঞান বইয়ে সাহিত্যচর্চার প্রতিফলন না থাকলেও চলে। কিন্তু নির্ভুল, মানসম্পন্ন ও শিক্ষার্থীদের বোধগম্য করে তা লেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দেশের ভেতর ও বাইরে অনেক মানুষ আছেন, যাঁদের পরামর্শ, মূল্যায়ন ও যথাযথ পর্যালোচনা নিয়ে এ ধরনের বই লেখা সম্ভব।

‘কপি পেস্ট’ করে আর যান্ত্রিক অনুবাদে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর ভুলে ভরা পাঠ্যপুস্তক তৈরি হবে, আমরা এটা চাই না। একাডেমিক (বিদ্যায়তনিক) সততার শিক্ষাটা শুরু হোক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাত ধরেই । আশা করি, কর্তৃপক্ষ শিগগিরই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।  

নাদিম মাহমুদ গবেষক, নিউরোসায়েন্স বিভাগ, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। 

ই-মেইল: nadim.ru@gmail.com