গত এপ্রিলে প্রকাশিত বিশ্বসমীক্ষায় জনসংখ্যার হিসাবে ভারতের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে চীন। তবে বড় কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী থাকায় উন্নয়নে এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই। তারা মনোযোগ দিচ্ছে নানা ক্ষেত্রে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলায়।
বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। একইভাবে একক দেশ হিসেবে এত দিন সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার শীর্ষে থাকা চীনকে গত এপ্রিলে ছাড়িয়ে গেছে এশিয়ার আরেক দেশ ভারত। দুই দেশে পৃথিবীর মোট ৩৫ শতাংশ মানুষ বসবাস করছে। পৃথিবীর এই বিশাল জনসংখ্যা নিয়ে চলছে আলোচনা। এটাকে যেমন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে, তেমনি আবার দেখা হচ্ছে সম্ভাবনা হিসেবেও।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) গত ১৫ এপ্রিল প্রকাশিত ‘বিশ্ব জনসংখ্যা পরিস্থিতি ২০২৩’-এর বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ৪৫ লাখ। এপ্রিলে ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ এবং চীনের ১৪২ কোটি ৫৭ লাখে দাঁড়িয়েছে।
চীন দ্বিতীয় অবস্থানে নেমে গেলেও তাদের জনসংখ্যা (১৪২ কোটি ৫৭ লাখ) পুরো ইউরোপ (৭৪ কোটি ৪০ লাখ) বা আমেরিকার দুই মহাদেশের (প্রায় ১০০ কোটি ৪০ লাখ), এমনকি পুরো আফ্রিকা মহাদেশের চেয়েও (প্রায় ১২৪ কোটি ৭০ লাখ) বেশি। চীন ও ভারতের জনসংখ্যা নিয়ে বিশ্ব গণমাধ্যমে নানা আলোচনা হচ্ছে, আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এর কী প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে।
জনসংখ্যার পরিবর্তনের বিষয়টি জনমিতিক প্রক্রিয়ায় (জন্ম, মৃত্যু ও স্থানান্তর) ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। তবে জনমিতিক পরিবর্তন মডেলে (ডেমোগ্রাফিক ট্রানজিশন মডেল) জন্ম ও মৃত্যুহার এই পরিবর্তনে মুখ্য ভূমিকা রাখে। অর্থাৎ জন্ম ও মৃত্যু হারের হ্রাস–বৃদ্ধির কারণে কোনো দেশের জনসংখ্যার আকার ও বৃদ্ধির হারে তারতম্য ঘটে। লক্ষণীয়, চীনের বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মোট প্রজনন হার (টিএফআর) ভারতের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম। এ কারণে ভারতের জনসংখ্যার আকার বাড়ছে। এ বছর তারা চীনকে অতিক্রম করেছে।
১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে চীনের মোট প্রজনন হার ছিল ৫ থেকে ৬। অর্থাৎ ১৫-৪৯ বছর বয়সী একজন বিবাহিত নারী সেখানে গড়ে ৫ থেকে ৬টি সন্তান প্রসব করতেন। এ কারণে চীনে জনসংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। অবস্থা দেখে চীন সরকার পরিবার-পরিকল্পনার কর্মসূচি নেয়। তাদের কৌশল ছিল নাগরিকদের দেরিতে বিয়ে ও দেরিতে সন্তান ধারণ, সন্তান গ্রহণের পর বিরতি নিয়ে পরের সন্তান নেওয়া এবং বিনা মূল্যে আধুনিক জন্মনিরোধক সরবরাহ। এই উদ্যোগের ফলে ১৯৭১ সালের ৫ দশমিক ২৭ প্রজনন হার ১৯৭৯ সালে এসে দাঁড়ায় ২ দশমিক ৬৬। ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতি বিবেচনায় রেখে চীন সরকার ১৯৮০ সালে এক সন্তান নীতি গ্রহণ করে। প্রজনন হার এতে আরও কম আসে।
চীনের প্রজনন হার ২০০০ সালে হয় ১ দশমিক ২২; ২০১০ সালে ১ দশমিক ১৮ এবং ২০২০ সালে ১ দশমিক ৩০, যা প্রতিস্থাপনযোগ্য প্রজনন হারের (২.১) চেয়ে বেশ কম। এ অবস্থায় ২০১৬ সালে তারা আবার দুই সন্তান নীতি এবং ২০২১ সালে তিন সন্তান নীতি গ্রহণ করে। বর্তমানে চীন সরকার প্রজনন হার বাড়ানোর লক্ষ্যে নানা কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে।
এক সন্তান নীতি চীনের উচ্চ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমাতে সফল হয়েছিল। চীন সরকার তখনকার বাস্তবতায় আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন তথা জীবনমান উন্নয়নে এক সন্তান নীতি নিলেও ক্ষেত্রবিশেষে ব্যতিক্রম ছিল।
এর পাশাপাশি চীনের আধুনিকায়নে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নগরায়ণ ও শিক্ষার হার বৃদ্ধি, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ও আকাঙ্ক্ষা, সন্তান লালন-পালনে উচ্চ ব্যয়, আগের তুলনায় অপেক্ষাকৃত দেরিতে বিয়ে ও দেরিতে সন্তান ধারণ, শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণের হার বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয় প্রজনন হার কমাতে ভূমিকা রাখে।
পৃথিবীর অন্য যেসব দেশে শিক্ষা, নগরায়ণ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অধিকতর জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার রয়েছে, সেখানে মোট প্রজনন হার কমে আসার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। ভারত, বাংলাদেশসহ বহু দেশের উদাহরণই এ ক্ষেত্রে দেওয়া যায়।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমানোর সমান্তরালে চীনের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে। চীন বিশ্বে এখন দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। প্রজনন হার কমলেও ইউএনএফপিএর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী চীনে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর হার এখন ৬৯ শতাংশ।
প্রথম জনমিতিক লভ্যাংশ অর্জনের সময়কাল এখনো শেষ হয়নি। মধ্যমেয়াদি প্রক্ষেপণ দৃশ্যপট অনুযায়ী আরও এক দশক, অর্থাৎ ২০৩৩ পর্যন্ত তাদের নির্ভরশীলতার হার অনুকূলে থাকবে। তাই এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সুশিক্ষা, সুস্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক নীতি এবং সুশাসন নিশ্চিত করার ওপর তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নির্ভর করছে। চীন এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগাতে পারলে এবং জনমিতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারলে তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটবে।
মনে রাখতে হবে, জনমিতিক লভ্যাংশ অর্জন শুধু সংখ্যার পরিমাণের ওপর নয়, গুণগত মানের ওপরও নির্ভর করে। জনসংখ্যার সার্বিক গুণগত দিক, বিশেষ করে শিক্ষা, মানবসম্পদ সৃষ্টি এবং প্রযুক্তিগত বিপ্লবের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে হয়। বর্তমান চীনে মানবপুঁজির সঞ্চয় বাড়ছে। একই সঙ্গে নতুন শ্রমবাজারে শ্রমিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা, মেধাভিত্তিক লভ্যাংশ ক্রমশ বাড়ছে। এটি প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়নের জন্য বেশ সহায়ক হতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের ২০২১ সালের উন্নয়ন সূচকের তথ্য বলছে, চীনে ৭৩ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ২০১০ সালে চীনে ২৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের ৬৫ দশমিক ৩ শতাংশ নিম্নমাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করেছে।
২২ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ কমপক্ষে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করেছে। চীন মানবসম্পদের বিকাশে, বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় বিনিয়োগ করছে। প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ও মেধা অনুসন্ধান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সবখানে বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিকাশ ঘটছে। আন্তর্জাতিক তালিকার শীর্ষে উঠে আসছে
চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
চীনে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি জনমিতিক ক্ষেত্রে জীবন আয়ুষ্কাল উন্নীত হয়েছে ৭৮ দশমিক ২ বছরে (সূত্র: ন্যাশনাল হেলথ কমিশন ২০২১)। ইউএনএফপিএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরুষ ও নারীর আয়ুষ্কাল যথাক্রমে চীনে ৭৬ ও ৮২; ভারতে ৭১ ও ৭৪ এবং বাংলাদেশে ৭২ ও ৭৬ বছর।
চীনের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি নতুন চ্যালেঞ্জও দেখা দিয়েছে। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি দ্রুত বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে।
ইউএনএফপিএর প্রতিবেদন বলছে, চীনে ৬০ বছর ও তার বেশি বয়সী জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ এবং ৬৫ বছর বয়সোর্ধ্ব ১৪ শতাংশ। অর্থাৎ চীনে এখন চলছে মধ্যবয়সীদের পর্যায়।
বয়স্ক জনগোষ্ঠী বৃদ্ধি ও প্রজনন হার কমে যাওয়ায় চীনকে এখন কৌশলী হতে হবে। দ্বিতীয় জনমিতিক লভ্যাংশ অর্জনের সুযোগের সদ্ব্যবহার এবং তা দীর্ঘায়িত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সঞ্চয় ও বিনিয়োগ এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক যত্নের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লে তা জনমিতিক লভ্যাংশ অর্জনে সহায়ক হয়। ভারত ও বাংলাদেশের তুলনায় চীনে বেশি নারী শ্রমবাজারে অংশ নিচ্ছেন। এ হার ৬২ শতাংশ। ভারত ও বাংলাদেশে তা যথাক্রমে ১৯ ও ৩৫ শতাংশ (সূত্র: বিশ্বব্যাংক)। লক্ষণীয় হলো, জনমিতিক লভ্যাংশ অর্জনে যুব বেকারত্ব বড় একটি বাধা। চীন, ভারত ও বাংলাদেশে উচ্চ যুব বেকারত্বের উপস্থিতি রয়েছে। চীনে এ হার ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ। ভারত ও বাংলাদেশে যথাক্রমে ২৮ দশমিক ৩ এবং ১২ দশমিক ৮ শতাংশ।
শ্রমিকের উৎপাদনশীলতায় স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অবদান নির্ণয়ে মানবপুঁজি বা হিউম্যান ক্যাপিটাল সূচক অনুযায়ী ২০১৭-২০২০ সালে চীনের মান ছিল উচ্চ (০.৭), ভারত ও বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। মানবপুঁজির জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে প্রত্যাশিত বিনিয়োগ দরকার।
বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, ২০২১ সালে শিক্ষায় চীন তার মোট জিডিপির ৪ দশমিক ১ শতাংশ ব্যয় করেছে। ২০১৯ সালে স্বাস্থ্যে ব্যয় করেছে মোট জিডিপির ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ভারতে ও বাংলাদেশে এ হার যথাক্রমে ৩ দশমিক ০১ শতাংশ ও ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
আধুনিক চীন উন্নয়নের এক রোল মডেল। গরিবি হটাতে বিশাল জনসংখ্যার এই দেশটির রয়েছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। চীনে দ্রুত নগরায়ণও হচ্ছে। ২০২০ সালের জনশুমারিতে দেখা গেছে, চীনের প্রায় ৬৪ শতাংশ মানুষ নগরবাসী।
নিম্ন প্রজনন হার থেকে প্রজনন হার বাড়াতে কাঠামোগত পরিবর্তনে চীন কী উদ্যোগ নেয়, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বয়স্ক জনগোষ্ঠীর ক্রমিক সংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে চীন কী কার্যকর ভূমিকা নেয়, তা–ও বেশ গুরুত্বের দাবি রাখে।
২০২২ সালে জাতিসংঘের প্রাক্কলিত হিসাবে জনসংখ্যার মধ্যমেয়াদি দৃশ্যপট প্রক্ষেপণে চীন ইতিমধ্যেই শিখরে পৌঁছেছে কি না, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতান্তর রয়েছে। এ কথাও ঠিক, একসময় না একসময় চীনের এ জনসংখ্যা কমতে থাকবে, যা পৃথিবীর অনেক দেশের দেখা গেছে। তাই ভারত চীনকে ছাড়িয়ে যাওয়ায় তাদের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। জনসংখ্যার গুণগত উন্নয়নই চীনের শক্তি।
চীনের দরকার জনসংখ্যাকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে পপুলেশন ডিনামিকসের অনুধাবন এবং সে অনুযায়ী চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে কর্ম-উদ্যোগ গ্রহণই আসল কথা। তাদের প্রয়োজন, মানুষের গুণগত উন্নয়নের অধিকার ও পছন্দকে নিশ্চিত করা।
১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বরে মিসরের কায়রোতে অনুষ্ঠিত জনসংখ্যা ও উন্নয়নবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে (আইসিপিডি) এটিই ছিল মূল উপজীব্য। তখন থেকেই জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ে পুরোনো প্যারাডাইম পাল্টে যায়, জনসংখ্যার পরিমাণগত দিকের চেয়ে গুণগত দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে প্রজননস্বাস্থ্য ও অধিকার, লিঙ্গসমতা, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবার পরিকল্পনার মতো বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
জনসংখ্যা ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে আইসিপিডি ছিল একটি মাইলফলক। চীনসহ ১৭৯টি দেশ সেখানে জনসংখ্যা ও উন্নয়নসংক্রান্ত কর্মসূচি চূড়ান্ত করে। জনসংখ্যা ও উন্নয়নভাবনায় বর্তমান বিশ্বে সবার জন্য সহনশীল ভবিষ্যৎ, সুযোগের সদ্ব্যবহার এবং অধিকার ও পছন্দ নিশ্চিত করাই রাষ্ট্রগুলোর মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে সবাই মত দেয়।
জনসংখ্যা বাড়ানো বা কমানোর চেয়ে সুযোগ গ্রহণে সবার সমান প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা এবং সুযোগকে কাজে লাগানোর বাধা দূর করাই হয়ে ওঠে মূল উপজীব্য। প্রান্তিক বা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, যেমন নারী, যুব, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও স্থানান্তরিত জনগোষ্ঠীর দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়। জনমিতিক সহনশীলতা নিশ্চিত করতে সবার মানবাধিকার, ব্যক্তির প্রজননস্বাস্থ্য অধিকার ও পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম অধ্যাপক, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ই-মেইল: mainul@du.ac.bd