বাংলাদেশ কোনো কনভেনশনের স্বাক্ষরকারী না হয়েও রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্তের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছিল। কোনো প্রটোকলে স্বাক্ষর না করেও বছরের পর তাদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। তাহলে দেশীয় শরণার্থী আইন প্রণয়ন করে তাদের ‘শরণার্থী’ হিসেবে অভিহিত করতে আপত্তি কোথায়? এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন ইশরাত জাকিয়া সুলতানা
শিরোনামটি একটু বিচিত্র হলেও বিষয়টি বোঝা তত কঠিন কিছু নয়। ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশন কিংবা ১৯৬৭ সালের শরণার্থী প্রটোকলে স্বাক্ষরকারী না হয়েও বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য যা করেছে, মানবতার ইতিহাসে এমন উদারতার দৃষ্টান্ত আর কোনো দেশ স্থাপন করতে পারেনি।
পরিতাপের বিষয় হলো, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দিলেও এবং ‘প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান’ বয়ানে বছরের পর বছর পার করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে বাস করে না। কারণ, তাদের ‘শরণার্থী’র বদলে অভিনব এক পদ্ধতিতে অভিহিত করা হয়।
সেটি হলো ‘এফডিএমএন’—ফোর্সফুলি ডিসপ্লেসড মিয়ানমার ন্যাশনালস, যার বাংলা করলে দাঁড়ায় বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক (যদিও এই অনুবাদও সঠিক নয়)। আর এভাবেই জটিল হয়ে গেছে সব সমীকরণ।
বাংলাদেশ মানবিকতার সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত হয়েও রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা ও কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে ‘রাষ্ট্রহীন’ রোহিঙ্গাদের প্রতি অমানবিক আচরণের জন্য কেবল সমালোচনার পাত্রই হয়ে ওঠেনি, সেই রাষ্ট্রহীন জনগোষ্ঠী ও নিজের দেশকে রীতিমতো একটি ভয়াবহ অবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
এটি বোঝার জন্য পাঁচ মৌলিক অধিকারের একটি—শিক্ষা—নিয়ে কথা বলাই যথেষ্ট।
রোহিঙ্গারা যেহেতু সাময়িকভাবে এ দেশে থাকবে, সেহেতু তাদের লেখাপড়ার দরকার নেই—শুরুতে এমন ব্যবস্থা থাকলেও যখন দেখা গেল বাংলাদেশ তাদের ফেরত পাঠাতে ব্যর্থ হচ্ছে, তখন নামমাত্র প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ দেওয়া হলো ক্যাম্পের ভেতর। ক্রমান্বয়ে সে সুযোগ বিস্তৃত করা হলো। কিন্তু সীমাবদ্ধ থাকল ক্যাম্পের ভেতরেই।
ক্যাম্পের স্কুলগুলোয় বার্মিজ ভাষায় শিক্ষা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হলো তাদের জন্য, যারা মিয়ানমারে জন্মও নেয়নি, দেশটি চোখেও দেখেনি। আর ২০১৭ সালে যে শিশুপ্রজন্ম মিয়ানমার থেকে মা-বাবার সঙ্গে বাংলাদেশে এসেছিল, তারা বার্মিজ ভাষায় শিক্ষা গ্রহণে মোটেও আগ্রহী নয়।
কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশানুযায়ী বার্মিজ ভাষাতেই পড়তে হবে। এটা এ কারণে যে তাদের একদিন নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে এবং তখন এ ভাষার জ্ঞান কাজে লাগবে।
অবশ্য এর পেছনে আরও একটি যুক্তি দাঁড় করানোর চেষ্টা হয়েছে। তা হলো বার্মিজের বদলে বাংলা ভাষায় পাঠদানের ব্যবস্থা করলে মিয়ানমার এ কথা বলা সুযোগ পেয়ে যাবে যে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করে নিয়েছে এবং অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
যুক্তি হিসেবে শুনতে ভালো লাগলেও এগুলোর কোনোটিরই যে যৌক্তিকতা নেই, সময় তা প্রমাণ করেছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান একটা অংশ পরিচয় বদলিয়ে বাংলাদেশি জন্মসনদ জোগাড় করে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, এমনকি ঢাকায় লেখাপড়া করছে। যেহেতু তারা বুঝতে পেরেছে, স্বীয় পরিচয়ে পড়ালেখার সুযোগ তাদের দেওয়া হবে না, সেহেতু পরিচয় পাল্টিয়ে নিয়েছে।
দ্বিতীয়ত, বার্মিজ ভাষার পাঠক্রমকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করলেও মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের আগমন ঠেকানো যায়নি। ২০২৪ সালেও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। অবশ্য বাংলাদেশের ক্যাম্পে বাস করা রোহিঙ্গাদের মতে, প্রতিদিনই মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঘটছে।
রোহিঙ্গাদের রাষ্ট্রীয় পরিচয় না থাকার কারণে তারা বাংলাদেশে শরণার্থী হয়েও শরণার্থী নয়। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের সংজ্ঞা অনুযায়ী, বাংলাদেশে বাস করা রোহিঙ্গারা শরণার্থী। কিন্তু বাংলাদেশ তাদের শরণার্থী বলে না (কুতুপালং ও নয়াপাড়ার যথাক্রমে ১৫৩৮৯ ও ২১২২৫ নিবন্ধিত শরণার্থী ছাড়া), বলে ‘এফডিএমএন’।
শরণার্থীর জন্য শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বাধ্যবাধকতা (সেটি ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশন ও ১৯৬৭ সালের প্রটোকলে স্বাক্ষর না করলেও) সরকারের রয়েই যায় এবং সেটি আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর দয়াদাক্ষিণ্য নিয়ে বাংলাদেশ প্রদান করেও যাচ্ছে। কিন্তু সেই সেবা রোহিঙ্গাদের যেমন পূর্ণাঙ্গ মানবিক অধিকার নিয়ে বাঁচতে সাহায্য করছে না, তেমনি স্থানীয় বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে সাংঘর্ষিক সম্পর্ক তৈরি করছে।
২০২২ সালের ডিসেম্বরের শুরু থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন উদ্যোগের অংশ হিসেবে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদের উভয় দেশে বৈঠক করা, চীনের প্রতিনিধিদের মধ্যস্থতা করা, রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের মিয়ানমারের পরিস্থিতি দেখাতে নিয়ে যাওয়াসহ বেশ কিছু কাজ করা হয়েছিল।
দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এসব বৈঠক-কার্যক্রমের কোনোটিই প্রত্যাবাসনকে সফলতার দিকে নিয়ে যেতে পারেনি। অগত্যা রোহিঙ্গাদের জন্য মিয়ানমারের ভেতর নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, তৃতীয় দেশে পাঠানো ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
লক্ষণীয় হলো, নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এককভাবে বাংলাদেশের হাতে নয়। আর এ ব্যবস্থার খুব একটা সফল উদাহরণও বিশ্বজুড়ে নেই। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক স্টেফানো রেচিয়া ২০১৮ সালে গ্লোবাল রেসপনসিবিলিটি টু প্রটেক্ট জার্নালে দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় পরিস্থিতিতে নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা যে উভয়সংকট সৃষ্টি করতে পারে, তা নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন।
স্টেফানো রেচিয়ার নিবন্ধে জানা যায়, পৃথিবীতে এ পর্যন্ত চারটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার দৃষ্টান্ত রয়েছে। এগুলো হলো, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক কুর্দিশ জাতির জন্য ১৯৯১ সালে উত্তর ইরাকে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ঘোষণায় ১৯৯৩ সালে বসনিয়ায়, ফরাসি সহায়তায় ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডায় এবং ন্যাটোর সহায়তায় ১৯৯৯ সালে কসভোতে।
অসামরিক মানুষকে এ উদ্যোগগুলো স্বল্প মেয়াদে সুরক্ষা দিলেও দীর্ঘ মেয়াদে নানাবিধ সমস্যা শুরু হয়েছিল উল্লিখিত প্রতিটি নিরাপদ অঞ্চলে।
মিয়ানমারে এ–জাতীয় উদ্যোগ বাস্তবায়নে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, এমনকি ভারতেরও সম্মতি-সহায়তার দরকার হবে। বলা বাহুল্য, তখন মিয়ানমারের সামরিক সরকার ও আরাকান আর্মি উভয়েই এটি প্রতিহত করার জন্য এক হয়ে যাবে। আর যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও সংঘাতের বীজ বপন তথা অস্ত্র সরবরাহের নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হবে।
এতগুলো ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় থাকা সত্ত্বেও নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা বাংলাদেশকে বিবেচনায় রাখতে হবে। এখন আর কোনো ভালো বিকল্প নেই। কারণ, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বিগত শাসনামলে যে কালক্ষেপণ করা হয়েছে, এর থেকে ব্যক্তিগত ফায়দা নেওয়ার যে চেষ্টা করা হয়েছে, তার মূল্য তো বাংলাদেশকে দিতেই হবে।
প্রত্যাবাসন এখন শুধুই একটি কাগুজে শব্দ। অন্যদিকে পুনর্বাসন শম্বুকগতিতে চলবে এবং রোহিঙ্গা গ্রহণকারী দেশগুলোর ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে। আর নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা দীর্ঘমেয়াদি ও ঝুঁকিপূর্ণ প্রক্রিয়া। তবু তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেওয়া হয়, রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হবে, তাহলে যে প্রশ্ন আসে, নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত কি এভাবেই চলবে?
বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সঠিক সংখ্যা আজ পর্যন্ত কেউ জানে না। যে সংখ্যাগুলো প্রচলিত আছে, এগুলোর কোনোটিই বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। আমাদের ‘ডিজিটাল’ বাংলাদেশে ১৯৭৮ সাল থেকে উখিয়া ও টেকনাফে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মোট কত রোহিঙ্গা বাস করে, তা নিয়ে সরকারি কোনো ডেটাবেজে প্রকৃত সংখ্যার তথ্য নেই। কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থাও বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হয়নি।
ক্যাম্পের ভেতর থেকে যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছে, ক্যাম্পের বাইরে কাজ করছে, তাদের কথা জেনেও ক্যাম্প কর্তৃপক্ষকে না জানার ভান করতে হয়। কারণ, ক্যাম্পে ‘কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে কাজ করলেও তাদের মানবিকবোধ জাগ্রত থাকে প্রতিদিন চোখের সামনে রোহিঙ্গাদের অনিশ্চিত জীবন দেখতে দেখতে।
সেই সঙ্গে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ অঞ্চলে স্থানীয় জনসংখ্যা ৫ লাখ আর রোহিঙ্গা জনসংখ্যা ১০ লাখ (অনুমানভিত্তিক ন্যূনতম সংখ্যা) হওয়াটা সে অঞ্চলে কর্মসংস্থানের ওপর কী পরিমাণ নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, তা সহজেই অনুমেয়। যেখানে একজন স্থানীয় শ্রমিককে নির্দিষ্ট কাজের জন্য ১০০ টাকা দিতে হতো, সেখানে ৫০ টাকায় রোহিঙ্গা শ্রমিক পাওয়া গেলে শ্রমবাজারে মজুরির মান কোথায় যায় এবং এর পরিণতিতে কী কী ঘটতে পারে, তা ধারণা করার জন্য অর্থনীতিবিদ হওয়ার প্রয়োজন নেই।
নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা কিংবা তৃতীয় দেশে পাঠানোর উদ্যোগ চলমান থাকুক। কিন্তু সময়সাপেক্ষ এসব পদ্ধতি পূর্ণমাত্রায় বাস্তবায়ন না হওয়া অবধি বাংলাদেশে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের ‘শরণার্থী’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হতে পারে।
বাংলাদেশ কোনো কনভেনশনের স্বাক্ষরকারী না হয়েও রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্তের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছিল। কোনো প্রটোকলে স্বাক্ষর না করেও বছরের পর তাদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। তাহলে দেশীয় শরণার্থী আইন প্রণয়ন করে তাদের ‘শরণার্থী’ হিসেবে অভিহিত করতে আপত্তি কোথায়?
তা ছাড়া ৭০ বছরের পুরোনো ইউরোপীয় চেতনায় প্রণীত কনভেনশনে স্বাক্ষর করার প্রয়োজনও বাংলাদেশের নেই। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী রোহিঙ্গা সংকটের প্রকৃতি অনুযায়ী সংকট মোকাবিলার কৌশল প্রণয়ন করতে বাংলাদেশকে সক্ষম হতে হবে।
‘শরণার্থী’ পরিচয়ে বাংলাদেশের রোহিঙ্গারা স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পেলে মিথ্যা জন্মসনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতে হবে না। কর্মসংস্থানের সুযোগ পেলে স্থানীয় নিয়ম বা রীতি অনুযায়ী তার মজুরি নির্ধারিত হবে। এখনকার মতো লুকিয়ে কম মজুরিতে কাজ করতে হবে না। ‘শরণার্থী’ পরিচেয় খোলা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তার বেতন ঢুকবে।
কক্সবাজারের মতো সম্ভাবনাময় জায়গায় নারকেলজাত খাদ্য, শুঁটকি ইত্যাদি পণ্য তৈরি ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য কারখানা হতে পারে, যেখানে স্থানীয় শ্রমিকের সঙ্গে রোহিঙ্গা শ্রমিকও কাজ করবে। এসব পণ্য রপ্তানি আমাদের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
কিন্তু এ পথও ঝুঁকিমুক্ত নয়। মিয়ানমার তখন এটি প্রচার করার সুযোগ পাবে যে রোহিঙ্গারা বাঙালি, সে জন্যই বাংলাদেশ তাদের কাজ করার অনুমতি দিয়েছে। মিয়ানমারের অপপ্রচার সর্বকালীন।
এ অপপ্রচারের ভয়েই কক্সবাজারের অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও পরিবেশকে আরও বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়ার বোকামি এত দিন করা হয়েছে। এ অপপ্রচারের একমাত্র জবাব মিয়ানমারকে গণহত্যার আসামি হিসেবে আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠগড়ায় নিয়ে যাওয়া। এ বিষয়ে বাংলাদেশের মনোযোগ আছে তো?
আমরা অনেকটা সময় ইতিমধ্যে অপচয় করেছি। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলে আমরা দাতা সংস্থার ওপর আমাদের নির্ভরতা আরও বাড়িয়েছি। রোহিঙ্গা সংকট যদি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, দাতা সংস্থার ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে। এসইডব্লিউপি ফর্মুলায় তাদের স্ট্যাটাস অর্থাৎ ‘শরণার্থী’ পরিচয় দেওয়া, শিক্ষার সুযোগ দেওয়া, কাজের সুযোগ দেওয়া এবং সর্বোপরি এই তিন অধিকার নিশ্চিত করার জন্য পলিসি অর্থাৎ জাতীয় শরণার্থীনীতি প্রণয়নের বিষয়টি কী, তা বর্তমান সরকারকে ভাবতে হবে।
ড. ইশরাত জাকিয়া সুলতানা শিক্ষক, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।