ঢাকা হাঁটছে, ঢাকা গলা ছেড়ে চিৎকার করছে। ইতিহাসের কী যে এক অবিশ্বাস্য দিন! গণ-অভ্যুত্থানের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুকে লিখেছিলাম, এই কয়েকটি শব্দ।
৫ আগস্ট ঢাকার রাস্তা সত্যি সত্যি ভেঙে পড়েছিল জনতার ভারে। আবালবৃদ্ধবনিতা—কে আসেনি ঐতিহাসিক মুহূর্তকে উদ্যাপন করতে? সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই কিশোর-তরুণ, মানে জেনজি বা জেনারেশন জেড। চব্বিশের জুলাই ও আগস্টের ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের প্রকৃত বীর। ছেলে আর মেয়েদের সংখ্যার অনুপাতও প্রায় সমান-সমান।
প্রায় সবার হাতেই লাঠি, সবার হাতে কিংবা পিঠে কিংবা কপালে লাল-সবুজের পতাকা। কেউ স্লোগান দিচ্ছেন, পালাইছে রে পালাইছে, স্বৈরাচার পালাইছে, হৈ হৈ রৈ রৈ স্বৈরাচার গেলি কই? কেউ গাইছেন, কেউ হাততালি দিয়ে লাফাচ্ছেন, কেউ কেউ দলবদ্ধ হয়ে নাচছেন, কেউ বজ্রমুষ্ঠি ছুড়ে দিচ্ছেন শূন্যে, কেউ দুহাত তুলে ভি চিহ্ন দেখাচ্ছেন, কেউ দুহাত তুলে মোনাজাত করছেন, এখানে–ওখানে সেলফি তুলছেন, কেউবা ব্যাটারিচালিত রিকশায় চেপে চলছেন।
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, দোকানদার, শ্রমিক, ব্যাংকার, সরকারি চাকরিজীবী, বাম-ডান-মধ্যপন্থী রাজনৈতিক দলের আন্দোলনকর্মী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গৃহিণী, ফুটপাতে জীবন পাড়ি দেওয়া পথশিশু, চাকমা, গারো, মারমা তরুণ-তরুণী সবাই মিলেছিল উত্তাল সেই জনস্রোতে। প্যান্ট, ট্রাউজার, থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট, টি–শার্ট, পাঞ্জাবি, স্কুল ড্রেস, শাড়ি, সালোয়ার–কামিজ, টি–শার্ট-জিনস, পিনোন-হাদি, বোরকা পরা নারী-পুরুষ সবাই মিলেছিলেন জনস্রোতে। আমরা যাকে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য বলি, আমরা যাকে অন্তর্ভুক্তিমূলকতা বলি, এর চেয়ে বড় দৃষ্টান্ত আর কী হতে পারে তার। একটা গণ-আন্দোলন, একটা অভ্যুত্থান একটা জনগোষ্ঠীকে এভাবেই বদলে দেয়। মানুষে মানুষে তৈরি করে সংহতি।
৫ আগস্ট বেলা পৌনে তিনটায় কারওয়ান বাজর থেকে শাহবাগের রাস্তায় জনস্রোতের টুকরো টুকরো ছবিগুলো ছিল এমনই। পথে নামতেই দেখি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ওপর দাঁড়িয়ে গায়ে পতাকা জড়ানো একজন রিকশাচালক আকাশের দিকে দুহাত তুলে স্বাধীনতা, স্বাধীনতা, স্বাধীনতা...বলে গলা ছেড়ে চিৎকার করছেন। ঠিক তখনই মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে ফেসবুক ওয়ালে ভেসে এল, দূর থেকে করা ভিডিও থেকে কাটা ছবি—শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, সামরিক বিমানে করে দেশ ছাড়ছেন। কী অদ্ভুত এক কাকতাল! ১৫ বছর আট মাসের দীর্ঘ কর্তৃত্ববাদী শাসন অবসান হওয়ার সেই খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ল এগিয়ে চলা জনতার মুখে মুখে।
ঢেউয়ের মতো চিৎকার উঠল, স্বাধীনতা, স্বাধীনতা। যেন বুকের ওপর চেপে থাকা পাহাড়ের মতো ভারী শ্বাস চেপে ধরা পাথরটা নিমেষেই সরে গেল। অথচ এক ঘণ্টা আগেও সবার মাঝেই দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, আশা-নিরাশার দোলাচল। সকাল থেকেই কারফিউ ভেঙে শহীদ মিনার, মহাখালী, উত্তরা, মিরপুর—মোড়ে মোড়ে একজন-দুজন করে জড়ো হতে থাকে ছাত্র-জনতা। বেলা যত গড়াচ্ছিল, মানুষের মাথাও তত বাড়ছিল। কোথাও কোথাও গুলি চালানোর খবরও আসছিল। কিন্তু দুপুর হতে না হতে ঢাকার সড়ক জনতার নিয়ন্ত্রণে। নতুন এক বাংলাদেশের জন্মক্ষণ উদ্যাপনে এমন উচ্ছ্বাসই তো প্রত্যাশিত।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নতুন একটা বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে সামনে নিয়ে এসেছে। সেটা অন্তুর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি। কিন্তু আমাদের পুরোনো যে রাজনীতি সেখানে ঘৃণা, বিদ্বেষ, প্রতিহিংসা হচ্ছে রাজনীতির মূল কেন্দ্র। রাজনীতির এই পুরোনো বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে নতুন রাজনীতি নির্মাণ না করা গেলে শুধু সংখ্যালঘু কেন, কোনো নাগরিকেরই নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না।
সন্ধ্যা থেকেই উদ্যাপনের আনন্দে কিছুটা ম্লান হতে থাকে। এখানে–সেখানে আগুনের ধোঁয়া কুণ্ডলী পাকিয়ে উড়ছে। মন কিছুটা বিষণ্ন লাগতে শুরু করি। নিজের ভেতরে যুক্তি দাঁড় করায়, জুলাইয়ের ১৫ থেকে শুরু করে ৫ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন যেভাবে সাধারণ মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, যেভাবে কয়েক শ ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে, যেভাবে শত শত মানুষকে আহত করে, যেভাবে ব্লক রেইড দিয়ে গণগ্রেপ্তার করে, তার প্রতিক্রিয়ায় কিছু বাড়াবাড়ি হওয়াটা তো স্বাভাবিক। শুধু তাই নয়, গত ১৫ বছরে বিরোধী দলের রাজনীতি যারা করেছে, ভিন্নমত যারা পোষণ করেছে কিন্তু নিজ দলের বড় একটা অংশকে যেভাবে দাবিয়ে রেখে ক্ষমতার ক্রনিতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে, সেই সব পুঞ্জীভূত ক্ষোভ থেকে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটা তো অস্বাভাবিক নয়।
রাতটা ছিল সত্যিই ভয়ানক। ফেসবুকে নানা জায়গায় লুটপাট আর ডাকাতির খবর ছড়াচ্ছিল। নানা জায়গা থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলারও খবর পাওয়া যাচ্ছিল। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষীদের ফোন আসছিল। সবার উৎকণ্ঠা, কী হচ্ছে? নিরাপদে আছি কি না?
এমন খবর জানা যাচ্ছিল, কারও বাড়িঘরে হামলা হয়েছে, কাউকে মারধর করা হয়েছে, কারও বাড়ির সামনে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে, কারও বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে, কারও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়েছে, কারও দোকানে আগুন দেওয়া হয়েছে, কোথাও মন্দির ভাঙা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি জানা যাচ্ছিল চাঁদাবাজির কথা।
সময় যত গড়াচ্ছিল, আক্রান্ত হওয়ার খবর তত বাড়ছিল। ভীতি-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ছিল। সেই সঙ্গে প্রশ্নটাও বড় হচ্ছিল— কেন এই হামলা?
জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলন থেকে গণ-আন্দোলন শেষে গণ-অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো মানুষে মানুষে সংহতি বোধ। ফলে এই হামলা ও নির্যাতনই একমাত্র চিত্র নয়। বিপরীত চিত্রটা হলো, ছাত্র-জনতা দল তৈরি করে বাড়িঘর ও উপাসনালয় পাহারা দিতে শুরু করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই পোস্ট দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাতে থাকে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সাধারণ মানুষ তাতে সাড়া দেন। মাদ্রাসার ছাত্ররাও অনেক জায়গায় পাহারা দেন। ফলে ধীরে ধীরে হামলার ঘটনা কমে আসতে থাকে।
৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ৮ আগস্ট সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগপর্যন্ত দেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না। পুলিশ না থাকায় আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। এ রকম একটা অরাজক অবস্থার সুযোগ নিয়েছে কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মী। আবার অনেকে পূর্বশত্রুতা কিংবা বিরোধ থেকেও পরিস্থিতিকে সুযোগ হিসাবে ব্যবহার করেছে।
এই হামলা সাম্প্রদায়িক, না রাজনৈতিক তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক চলছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কোনো নাগরিক কেন তার রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে হামলার শিকার কেন হবে? আবার হামলা কতটা হয়েছে কিংবা কতটা হয়নি, তা নিয়েও চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক। ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা অপতথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলা নিয়ে অপতথ্য ও ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে এ রকম ৫০টি অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে। এগুলোর ৭২ শতাংশ অ্যাকাউন্টধারীই ভারতে থাকে।
এর মধ্যেই ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের কয়েকটি জায়গায় তাদের ওপর হামলা-নিপীড়ন বন্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেই সংখ্যালঘুরা কেন লক্ষ্যবস্তু হবে?
আবার বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের একটা অংশ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর একাংশ আবার অস্বীকারের পথ বেছে নিয়েছে এবং ষড়যন্ত্রতত্ত্ব সামনে এনেছে। তাঁরা বলতে চেয়েছেন, পরাজিত শক্তি অন্য কোনো বিদেশি শক্তির সহায়তায় ষড়যন্ত্র করছে।
একদিকে অতিরঞ্জন আর অন্যদিকে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব—এই দুয়ের মাঝখান থেকেই দেশের সংবেদনশীল মানুষকে প্রকৃত সত্যটাকে খুঁজে বের করে আনতে হবে। ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত এ ভূখণ্ডে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর যেসব বড় সংগঠিত হামলা হয়েছে তার কারণ যেমন রাজনৈতিক, তার কারণ সাম্প্রদায়িকও। সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে আমাদের জনগোষ্ঠীর একটা অংশের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ আছে বলেই সেটাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হয়।
এসব হামলায় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা যেমন থাকে, আবার কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা থাকে। কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো হামলায় বিচার হয়েছে, এমন নজির কয়টা আছে? আওয়ামী লীগের আমলে (২০০৯-২০২৪) রামু, নাসিরনগর, কুমিল্লা, রংপুরসহ বেশ কয়েকটি বড় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু একটা ঘটনারও বিচার হয়নি। কে, কারা জড়িত, এসব ঘটনায় সেটাও বেরিয়ে আসেনি। এর আগে ২০০১ সালে নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পরও দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর অনেকগুলো সংগঠিত হামলার ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু সেই সব ঘটনারও বিচার হয়নি। এর অর্থ হচ্ছে ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দল, সরকার ও প্রশাসন সবার মাঝেই এই ধারণা রয়েছে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনার বিচার প্রয়োজন নেই।
বিচারহীনতার এই ধারার অবসান হওয়া প্রয়োজন। সেই সুযোগটা এখন সামনেও এসেছে।
কোনো কোনো সময় জাতির ইতিহাসে এমন সন্ধিক্ষণ আসে, যা একটা সমাজকে এক ধাক্কায় বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যায়। চব্বিশের জুলাই-আগস্ট বাংলাদেশের সামনে সেই সুযোগ এনে দিয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা সব সরকারের আমলে বিরতিহীন ঘটে আসছে, তার মূল দায় রাজনৈতিক দলগুলোর। আওয়ামী লীগ মনে করে, সংখ্যালঘুরা তাদের ভোটব্যাংক। ফলে তাদের নিয়ে যা কিছু, তাই করার অধিকার তাদের রয়েছে। বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য মূলধারার দল মনে করে, সংখ্যালঘুরা তাদের ভোট দেয় না। এই দলগুলোর মতাদর্শ ও নেতৃত্ব কাঠামোর মধ্যে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। কিন্তু ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রত্যেকটা মানুষেরই রাজনৈতিক সত্তা আছে। সেই সত্তা প্রকাশের সুযোগ তো থাকতে হবে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা সময় ছিল যেখানে ন্যাপ, জাসদ, কমিউনিস্ট পার্টির মতো দলগুলো একটা রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে ছিল। এসব দলে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, আদিবাসীদের অনেকে যুক্ত হতেন। কিন্তু নব্বইয়ের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাজে যেভাবে তীক্ষ্ণভাবে দুই ভাগে বিভক্ত হতে থাকে, তাতে এই ধারার রাজনীতি ক্রমেই দুর্বল হতে হতে এখন প্রায় অস্তিত্বহীন দলে পরিণত হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সামনে রাজনৈতিক দল বেছে নেওয়ার বিকল্প কমে গেছে। জাতিগত সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে অবস্থাটা আরও শোচনীয়। মূলধারার কোনো রাজনৈতিক দলেই তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করার কোনো ব্যবস্থা নেই।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নতুন একটা বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে সামনে নিয়ে এসেছে। সেটা অন্তুর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি। কিন্তু আমাদের পুরোনো যে রাজনীতি সেখানে ঘৃণা, বিদ্বেষ, প্রতিহিংসা হচ্ছে রাজনীতির মূল কেন্দ্র। রাজনীতির এই পুরোনো বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে নতুন রাজনীতি নির্মাণ না করা গেলে শুধু সংখ্যালঘু কেন, কোনো নাগরিকেরই নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না।
মনোজ দে প্রথম আলোর সম্পাদকীয় সহকারী