দুই বছর ধরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার দুটি প্রধান উৎস হলো রপ্তানি ও রেমিট্যান্স।
যদিও আমরা রপ্তানি বৃদ্ধিতে সব সময়ই মনোযোগী ছিলাম, কিন্তু আমরা রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে অনেকাংশে উপেক্ষা করেছি।
গত অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো। যদি আমরা প্রায় ৫০ শতাংশ মূল্য সংযোজন বিবেচনা করি, নিট বৈদেশিক মুদ্রার আয় প্রায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অন্যদিকে চলমান প্রেক্ষাপট বিচার করলে এ বছর রেমিট্যান্স ২৭ থেকে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে হতে পারে।
যদিও আমরা ‘ক্যারট অ্যান্ড স্টিক’ ম্যানেজমেন্ট থিওরি অনুযায়ী যে বিষয়টাতে অধিক মনোনিবেশ করা দরকার, সেটা করি না। যখন রেমিট্যান্স আসে, আমাদের ফোকাস মুখ্য জায়গাটা থেকে সরে গিয়ে গৌণ দিকে বেশি থাকে। আমরা হুন্ডির মতো অনানুষ্ঠানিক রেমিট্যান্স চ্যানেলগুলোকে ব্যাপকভাবে আঁকড়ে ধরেছি, যখন অফিশিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে প্রেরিত রেমিট্যান্সে শুধু ৬ শতাংশ প্রণোদনা প্রদান করছি, যা কাম্য নয়।
আনুষ্ঠানিক উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের ব্যাংক এবং লাইসেন্সপ্রাপ্ত রেমিট্যান্স হাউসের দ্বারস্থ হতে হয়। একজন অদক্ষ শ্রমিকের কথা চিন্তা করুন, যিনি দুবাইতে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছেন। হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে ক্লান্ত মানুষটি বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে এক্সচেঞ্জ হাউসের জটিল ও আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় না গিয়ে একটি হুন্ডি অপারেটরকে শুধু একটি ফোন কল করে বিনিময় হারে সম্মত হন এবং দেশে পরিবার–পরিজনের কাছে টাকা পাঠান। তিনি এটি করেন আনুষ্ঠানিক চ্যানেলগুলোকে সম্পূর্ণভাবে বাইপাস করে।
মাসলোর চাহিদা তত্ত্ব অনুযায়ী, শারীরিক ও নিরাপত্তা চাহিদার পর মানুষ সামাজিক, আত্মমর্যাদা ও পরিপূর্ণতার চাহিদার দিকে ধাবিত হয়।
দুর্ভাগ্যবশত, আমরা প্রবাসীদের জন্য এই উচ্চতর চাহিদাগুলো যথাযথভাবে পূরণ করার মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারিনি। এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সঙ্গে প্রায়শই খারাপ আচরণ করা হয়। বিমানবন্দর কিংবা বিদেশি দূতাবাস, কোথাও তাঁদের প্রাপ্য সম্মানটুকু আমরা নিশ্চিত করতে পারিনি। দেশের অর্থনীতির মূল স্তম্ভ হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা একপ্রকার উপেক্ষিত।
সম্প্রতি আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টিকে সময়োপযোগীভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনি বলেছেন, রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ভিআইপি হিসেবে গণ্য করা উচিত। এ ক্ষেত্রে আমি একটি দ্বৈত কৌশল প্রস্তাব করতে চাই, যা স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে তাঁদের আত্মমর্যাদা, সম্মান এবং একাত্মতার অনুভূতিকে সমুন্নত রাখতে পারে।
১. একটি ‘ওয়েজ ওনার্স এলিট ক্লাব’ প্রবর্তন করা
স্বল্প মেয়াদে সরকারের উচিত একটি ‘ওয়েজ ওনার্স এলিট ক্লাব’ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে প্রবাসীদের বিগত বছরে পাঠানো রেমিট্যান্সের ভিত্তিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে তালিকাভুক্ত করা হবে। সদস্যপদটির স্তরগুলো হবে প্ল্যাটিনাম, গোল্ড, সিলভার ও ব্রোঞ্জ। প্রতিটি স্তরের আলাদা সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা থাকবে।
২. ভিআইপি বিমানবন্দর পরিষেবা
এলিট ক্লাবের সদস্যদের জন্য আলাদা ইমিগ্রেশন এবং চেক-ইন কাউন্টার স্থাপন করা হবে। আগমন ও প্রস্থানের সময় কার্ডধারীদের সরকারি খরচে বিমানবন্দরে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হবে। যাঁর যাঁর ক্যাটাগরি অনুযায়ী সেবা দেওয়া হবে, যেমন প্রাইভেট কার কিংবা বাস দিয়ে এয়ারপোর্ট পিকআপ, ড্রপের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
৩. এক্সক্লুসিভ লাউঞ্জ
দেশে আসা–যাওয়ার সময় প্লাটিনাম, গোল্ড ও সিলভার কার্ডহোল্ডারদের ডেডিকেটেড এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে অ্যাকসেস থাকবে। অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ লাউঞ্জগুলোতে তাঁরা সার্ভিস পাবেন।
৪. স্বীকৃতি ও পুরস্কার
কার্ডধারীদের জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানে সম্মান জানানো হবে এবং তাঁদের অবদানের জন্য ক্রেস্ট প্রদান করা হবে। প্লাটিনাম ও গোল্ড কার্ডধারীরা বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে গণ্য করা হবেন, বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে এবং তাঁদের পরিশ্রম ও অবদান সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত হবে।
৫. বিনা মূল্যে ভ্রমণসুবিধা
প্লাটিনাম ও গোল্ড কার্ডধারীরা তাঁদের রেমিট্যান্সের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশে বিনা মূল্যে রাউন্ড-ট্রিপ টিকিট পাবেন। এ ক্ষেত্রে নিজ নিজ ক্যাটাগরি অনুযায়ী টিকিটের ধরন বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি ক্লাস হতে পারে।
৬. প্রবাসীদের জন্য রেমিট্যান্স অ্যাপ তৈরি করা যায়৷ অ্যাপটির লক্ষ্য হবে রেমিট্যান্স প্রক্রিয়াকে সহজতর করা, যাতে তাঁরা নিজ দেশে নিরাপদ, দ্রুত এবং সহজে টাকা পাঠাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যায়—
• পেমেন্ট গেটওয়ে ইন্টিগ্রেশন: অ্যাপটিকে অবশ্যই দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন ব্যাংক ও রেমিট্যান্স হাউসগুলোর সঙ্গে লিংকড থাকতে হবে, যাতে প্রবাসীরা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল ওয়ালেট বা রেমিট্যান্স হাউসগুলোর মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারেন৷
• মুদ্রার বিনিময় হার (এক্সচেঞ্জ রেট) এবং ট্রান্সফার ফির স্বচ্ছতা: প্রবাসীদের জন্য সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে লেনদেনের আগে রিয়েল-টাইম কারেন্সি কনভারশন রেট এবং যেকোনো প্রযোজ্য ফি প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
• লেনদেনের নিরাপত্তা বিধান: বায়োমেট্রিক লগইন, ডাবল-ফ্যাক্টর সিকিউরিটি (২এফএ), অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) এবং আপনার গ্রাহককে জানুন (কেওয়াইসি) প্রবিধানগুলোর মতো লেনদেনে শক্তিশালী আর্থিক নিরাপত্তা সুরক্ষার ব্যবস্থাগুলো নিশ্চিত করতে হবে৷
• ট্রানজেকশন ট্র্যাকিং: পুশ নোটিফিকেশন, এসএমএস এবং ই-মেইলের মাধ্যমে আপডেটসহ রিয়েল-টাইম লেনদেন ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা থাকলে প্রবাসীরা লেনদেনে নিরাপত্তার ব্যাপারে সন্তুষ্ট থাকবেন।
• ভাষাগত সুবিধা: প্রবাসীদের সুবিধার্থে একাধিক ভাষা ব্যবহারের সুযোগ থাকলে অ্যাপটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
• গ্রাহক সহায়তা: ২৪/৭ লাইভ চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং দ্রুততার সঙ্গে গ্রাহক সমস্যার সমাধান করা গেলে অ্যাপ ব্যবহারকারীদের আস্থা বাড়বে।
কেমন হবে এই রেমিট্যান্স মডেল
এই রেমিট্যান্স মডেলের মূল চাবিকাঠি হবে যোগাযোগ সক্ষমতা। এর বাস্তবায়নে একটি সুচিন্তিত প্রচারণাকৌশল অনুসরণ করা উচিত:
• বিভিন্ন দূতাবাসের সহযোগিতায় রোডশো: দূতাবাসগুলোকে প্রবাসীদের মধ্যে এই অ্যাপের সুফল প্রচারে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। অ্যাপের সুবিধা এবং কার্যকারিতা প্রদর্শনের জন্য রোডশো এবং সেমিনার আয়োজন করা যেতে পারে।
• মিডিয়া প্রচারাভিযান: একাধিক প্ল্যাটফর্মজুড়ে একটি ব্যাপক মিডিয়া প্রচারাভিযান চালাতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে:
প্রিন্ট মিডিয়া: প্রবাসীদের অবগতির জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র এবং ম্যাগাজিনে পূর্ণপৃষ্ঠার বিজ্ঞাপন প্রচার।
ইলেকট্রনিক মিডিয়া: টিভি ও রেডিওর মতো বহুল দর্শকসমৃদ্ধ গণমাধ্যমে প্রচার।
সোশ্যাল মিডিয়া: প্রবাসীদের ওপর ফোকাস করে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স, লিংকডইনের মতো প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন প্রচার।
• প্রভাবশালী এবং প্রশংসাপত্র: দেশের বিশিষ্টজন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, স্বনামধন্য প্রবাসীদের দিয়ে অ্যাপের ব্যাপারে তাঁদের ইতিবাচক অভিজ্ঞতা শেয়ার।
• ই–মেইল প্রচারাভিযান: নিয়োগকর্তা ও দূতাবাসের সহযোগিতায় প্রবাসীদের ই–মেইলের মাধ্যমে অবহিতকরণ।
গ্রাহক সন্তুষ্টি এবং প্রতিক্রিয়া প্রক্রিয়া
ক্রমাগত উন্নতি নিশ্চিত করতে এবং প্রদত্ত পরিষেবাগুলোর কার্যকারিতা সম্পর্কে অবহিত করতে একটি গ্রাহক মতামত এবং মূল্যায়নব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।
• নেট প্রমোটার স্কোর (এনপিএস) বাস্তবায়ন:
অভিবাসন পরিষেবা: অ্যাপের মাধ্যমে প্রদত্ত অভিবাসন-সম্পর্কিত পরিষেবাগুলোর সঙ্গে ব্যবহারকারীদের সন্তুষ্টির মাত্রা পরিমাপ করুন (যেমন ভিসা ট্র্যাকিং, রেসিডেন্সি পারমিট নবায়ন)।
মিট অ্যান্ড গ্রিট পরিষেবা: রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন করুন, যাঁরা বিমানবন্দর বা অন্যান্য অফিশিয়াল ভেন্যুতে মিট অ্যান্ড গ্রিট পরিষেবা ব্যবহার করেন, যা অ্যাপে একত্র করা যেতে পারে।
দূতাবাসগুলোর কার্যকারিতা: প্রবাসীদের সঙ্গে দূতাবাসের কর্মীদের আচরণ এবং পরিষেবাগুলোর কার্যকারিতা যাচাইকল্পে এই অ্যাপ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি দূতাবাসগুলোর সেবার মানোন্নয়নে সহায়ক হবে।
• ইন-অ্যাপ সার্ভে ইন্টিগ্রেশন: সংক্ষিপ্ত ও সহজ কিছু সার্ভের ব্যবস্থা রাখতে হবে, যার মাধ্যমে প্রবাসীরা সেবার মান নিয়ে তাঁদের মতামত ব্যক্ত করতে সক্ষম হবেন।
• কন্টিনিউয়াস মনিটরিং: অ্যাপ এবং এর পরিষেবাগুলোর মানোন্নয়ন ও কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিতভাবে এনপিএস স্কোর এবং গ্রাহক প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা করুন।
এই উন্নতিগুলো প্রবাসীদের সেবা প্রাপ্তির অভিজ্ঞতাকে সুখকর করবে এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি বাড়াবে।
প্রবাসীদের আত্মসম্মান সমুন্নত রেখে রেমিট্যান্সকে উৎসাহিত করা—
দীর্ঘ মেয়াদে আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে রেমিট্যান্স উপার্জনকারীদের আর্থিকভাবে প্রণোদনা দেওয়ার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে তাঁদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি দেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ।
১. বার্ষিক কার্ড নবায়ন এবং আপগ্রেড:
এলিট ক্লাব কার্ডগুলো বার্ষিক নবায়ন, সদস্যপদ হালনাগাদ, পূর্ববর্তী বছরে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ এবং ধারাবাহিকতার ওপর ভিত্তি করে পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। প্রতিটি বিভাগে সেরা পারফরমারদের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যেতে পারে, যেমন ফ্রি রিটার্ন টিকিট বা উচ্চ স্তরের ভ্রমণ বিকল্প।
২. স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষাগত সুবিধা:
ভ্রমণসুবিধা ছাড়াও কার্ডধারীরা একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত তাঁদের পরিবারের জন্য জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। তাঁদের সন্তানদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা এবং স্কুলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৩. মর্যাদা ও সম্মান:
দূতাবাস ও বিমানবন্দরগুলোকে মজুরি উপার্জনকারীদের সঙ্গে ডিল করার জন্য একটি গ্রাহকসেবা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। দূতাবাসের কর্মীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা যেতে পারে, যাতে প্রবাসীদের সঙ্গে সম্মান ও পেশাদারির সঙ্গে আচরণ করা হয়।
৪. একটি ব্যাপক সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী:
মজুরি উপার্জনকারীরা, বিশেষ করে যাঁরা উচ্চ স্তরে রয়েছেন, তাঁরা পেনশন স্কিম, তাঁদের সন্তানদের জন্য শিক্ষামূলক বৃত্তি এবং সরকারের পক্ষ থেকে আবাসন ঋণসহ একটি সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ে তাঁরা অ্যাকসেস পাবেন। এটি নিরাপত্তার অনুভূতি তৈরি করবে, আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠাতে তাঁদের উৎসাহিত করবে এবং জাতির প্রতি আনুগত্য তৈরি করবে।
প্রবাসীদের নিজ নিজ পরিবারের আর্থিক চাহিদা পূরণ, স্বীয় আত্মসম্মান এবং দেশমাতৃকার জন্য তাঁদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদান করা এখন সময়ের দাবি। রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে যে তার নাগরিকদের মধ্যে যাঁরা দেশের বাইরে অবস্থান করছেন, তাঁরা দেশের ওপর সন্তুষ্ট আছেন এবং পরিবার–পরিজন নিয়ে নিরাপদ বোধ করছেন। এটি নিশ্চিত করা গেলে আনুষ্ঠানিক পথে রেমিট্যান্স প্রবাহে একটি উল্লেখযোগ্য উন্নতি আসবে এবং দেশপ্রেমিক রেমিট্যান্স যোদ্ধারা আরও আন্তরিকতার সঙ্গে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে অনুপ্রাণিত হবেন।
মাসুদ খান চেয়ারম্যান, ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার