মাত্রাতিরিক্ত জনঘনত্ব, পৃথিবীর অন্যতম শীর্ষ বায়ুদূষণ, পানি-পলিথিন-কেমিক্যাল দূষণ, দূষণে বিপন্ন জলাশয়, খোলা জায়গায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নিকৃষ্ট সুয়ারেজ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা এবং সর্বোপরি যানজট এবং শব্দদূষণের মতো ভয়াবহ ও বিপর্যয়কর সমস্যা থেকে ঢাকাকে বাঁচানোর উপায় কি একেবারেই নেই? মর্মন্তুদ সব অগ্নিকাণ্ড, বড় বড় কেমিক্যাল দুর্ঘটনা কি মহানগরীর ললাট লিখন?
বাংলাদেশের সরকার ও প্রশাসন এই বিষয়টাকে গভীর ও আন্তরিকভাবে কখনো ভেবেছে কি না, এই প্রশ্ন ওঠানোর বিস্তর অবকাশ রয়েছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দুটি প্রধান কার্যালয়ের ঠিক মাঝে অবস্থিত বঙ্গবাজারে প্রলয়ংকরী অগ্নিকাণ্ডের সুউচ্চ লেলিহান শিখা প্রশ্নটাকে সমানে এনেছে।
কয়েকটি রুটে মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হলেও যানজটের রাজধানীতে দূষণমুক্ত জ্বালানি ব্যবহারের অর্থাৎ সবুজ বিদ্যুৎ-চালিত পরিবহনে রূপান্তরের সমন্বিত পরিকল্পনা নেই। তরল গ্যাস এলএনজি কিংবা সিএনজি-সংকটে পরিবহন খাত পুনরায় ডিজেলে পেট্রল অকটেনে ঝুঁকছে বলে বায়ুদূষণ বাড়ছে। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম একদিকে অপর্যাপ্ত অন্যদিকে তা অনেকটাই অভিজাত এলাকাকেন্দ্রিক। বলা চলে ‘ভালো’ এলাকার ময়লা ‘খারাপ’ এলাকায়, অর্থাৎ নদী ও খালে পাঠানোর মডেল বাস্তবায়িত হয়েছে।
ঢাকায় ধূলির সমস্যার সমাধান হয়নি। ঢাকার বায়ু ও পানিদূষণকে বিপর্যস্ত করেছে বাসাবাড়ি, ব্যবসা, অফিস ও শিল্প উৎস থেকেই শ্রেণিকৃত না করে সব ময়লা একসঙ্গে খোলা জায়গায় ফেলার ও প্রসেস করার নিম্নমানের উন্মুক্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। ঢাকায় সৃষ্ট সুয়ারেজ, শিল্প ও কেমিক্যাল ও মেডিকেল বর্জ্য শোধনের বাধ্যবাধকতা রেখে, যেকোনো মূল্যে শিল্প বর্জ্য নদী জলাশয়ে ফেলার সর্বনাশা কার্যক্রম বন্ধে দৃঢ় রাজনৈতিক পদক্ষেপ দরকার।
ঢাকাকে বাঁচাতে হলে অগ্নিনিরাপত্তা, বিদ্যুৎ ও গ্যাসলাইনের সরবরাহ নিরাপত্তা, কেমিক্যাল ও শিল্পনিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার। আবাসন শিল্প-ব্যবসা ও শিল্পের অঞ্চল শ্রেণিকৃত নয় বলে ঢাকা মিশ্র মডেলে গড়ে উঠেছে। রাসায়নিক গুদামের পাশেই চলছে তৈরি পোশাকের কারখানা, বাজার ব্যবসা ও আবাসনের সবকিছু থেকে মুক্তি পেতে দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা, ফায়ার কোডের বাস্তবায়ন, ফায়ার ড্রিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার জন্য সাময়িক পুনর্বাসন। দরকার বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসের সরবরাহ ব্যবস্থার নিরাপদ সমন্বিত মডেল।
পাশাপাশি ঢাকার জন্য দরকার পর্যাপ্ত খোলা এলাকা, পার্ক পুকুর এবং জলাশয়, যাতে ভূমিতে পানি ফিল্ট্রেশান বাড়তে পারে। অন্যথায় এই নগরী স্বল্প ও মধ্য মাত্রার ভূমিকম্পেই বিপর্যয়ে পড়তে পারে। ঘুষ ও দুর্নীতিবান্ধব নকশায় ইমারত নির্মাণের মডেল, পরিবেশ বিপর্যয়ের জঞ্জালে যেকোনো ভূমিকম্প মর্মন্তুদ পরিস্থিতি তৈরি করবে। পরিবেশগত বিষয়াদি বাদ দিলেও শুধু ভূমিকম্প কিংবা অগ্নিকাণ্ড ব্যবস্থাপনা সহজ করতে, মানুষকে নিরাপদে সরাতে, সরঞ্জাম বসাতে, হাসপাতাল কিংবা ক্যাম্প তৈরির জন্য হলেও ঢাকায় এলাকাভিত্তিক পার্ক ও খেলার মাঠ রাখা দরকার। শুধু ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের কাজের সহযোগিতার জন্য হলেও এলাকাভিত্তিক খোলা জায়গা, খাল-পুকুরসহ জলাশয় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন দরকার।
দেশের বাণিজ্যিক ও শিল্প ভবনে, বাজারে কিংবা অফিস-আদালতে যেসব অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নেওয়া হয়, তার প্রায় সবই পরোক্ষ (প্যাসিভ), সেখানে দুর্ঘটনা ঘটা সাপেক্ষে দায়িত্বরতকে পদক্ষেপ নিতে হয়। এসব প্রতিক্রিয়াশীল ব্যবস্থা স্মোক ডিটেক্টর, ফায়ার ডিটেক্টর, অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার ও অগ্নিনির্বাপক হোস পাইপকেন্দ্রিক। ডিটেক্টরগুলো অগ্নি সতর্কতা তৈরি করে, তারপরও প্রশিক্ষিত ব্যক্তিকে গিয়ে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার ও অগ্নিনির্বাপক হোসপাইপ ব্যবহার করে আগুন নেভাতে হয়।
মূল বিষয়টা হচ্ছে, বড় দুর্ঘটনার প্রাণঘাতী আগুন, ধোঁয়া ও অতি উচ্চ তাপে প্রশিক্ষিত ব্যক্তির পক্ষেও ভবনের অভ্যন্তরে থেকে এসব পরোক্ষ অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিচালনা অসম্ভব। মাঝারি ও বৃহৎ পরিসরের বাণিজ্যিক ও শিল্প ভবনে দরকার প্রত্যক্ষ ও স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনিরোধক ব্যবস্থা (অ্যাকটিভ পানি ও অগ্নি প্রতিরোধী গ্যাস স্পার্ক্লিং সিস্টেম), যা নিজে থেকেই ছোট কিংবা মাঝারি পরিসরের আগুন শনাক্ত করে পরিমাণমতো পানি কিংবা গ্যাস নিজেই স্প্রে করে তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে। বর্তমানে ফায়ার বল জনপ্রিয় হচ্ছে, এসব বল আগুনে বিস্ফোরিত হয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। বাস্তবায়ন কিছুটা ব্যয়বহুল বলে বাংলাদেশের স্বল্পব্যয়ী শিল্প উৎপাদন মডেলের কর্মী-অবান্ধব কাজের পরিবেশে, শপিং মলে, অফিসে বা ব্যবসাকেন্দ্রে এসব নিরাপদ কারিগরি সমাধান একেবারেই গুরুত্ব পাচ্ছে না।
আনুমানিক ৫০ কোটি টাকার ফায়ার সেফটি খরচের জন্য আজ প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার আর্থিক এবং অপরাপর পরিবেশগত ক্ষতি হলো। লজ্জার ব্যাপার যে বড় আকারের ফায়ার ফাইটিংয়ের (পরোক্ষ) জন্য ঢাকা ওয়াসা ফায়ার হাইড্র্যান্ট বসায়নি। নগরীর রাস্তায় নির্দিষ্ট দূরত্বে অগ্নিকাণ্ডে ব্যবহারের পানির উৎস হিসেবে ফায়ার হাইড্র্যান্ট নেই। বঙ্গবাজারের ঠিক কাছেই ছিল ওসমানী উদ্যানের লেক, কিন্তু সচিবালয়ের বহুতল পার্কিং করতে উদ্যানটি হত্যা করা হয়েছে।
এই এলাকায় ছিল সেগুনবাগিচা খাল, নারিন্দা খাল, ধোলাইখাল, গোপীবাগ খাল, দেবদোলাইখাল ও সূত্রাপুর খাল, উন্নয়নে পড়ে যেগুলো ভরাট হয়েছে, আগুন নেভানোর পানি নেই। আগুন লাগার কয়েক ঘণ্টা পরে হেলিকপ্টারের ঝুলন্ত বালতিতে হাতিরঝিলের মতো বহুদূর থেকে অপর্যাপ্ত পানি আনার ‘মশা মারতে কামান দাগানো’র অদক্ষতায় আগুন নেভে না, ক্ষতিও কমে না। বরং খড়কুটো শেষ হয়ে সব জ্বলে ছারখার হলে বলা হয় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এসব লোকদেখানো ব্যবস্থাপনা ঢাকার মানুষ ও সম্পদকে বাঁচাবে না।
বাংলাদেশের উন্নয়ন মডেলে ব্যক্তির নিজ জন্মস্থানে বেড়ে ওঠা, শিক্ষা নেওয়া, কর্ম করার, শ্রম বিনিয়োগ করার, উৎপাদন ও ভোগ করার, সেবা পাওয়ার ও বিনোদন করার সুযোগ তৈরি হয়নি। তাঁকে ঢাকা যেতে হয় সবকিছুর জন্য। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে দ্রুতগামী ট্রেন, মেট্রো কিংবা গণপরিবহনে চড়ে ‘কর্মের রাজধানী ঢাকায়’ গিয়ে দিন শেষে নিজ নিজ আবাসস্থলে ফিরে আসার উপযোগী পরিবহন, সড়ক ও রেল নেটওয়ার্ক তৈরি এখনো উন্নয়ন দর্শনে স্থান পায়নি।
জনসংখ্যা বিস্ফোরণ এবং কর্মের জন্য ঢাকায় পরিযায়ী শ্রমিক আগমনের মাত্রাতিরিক্ত চাপ, ঢাকায় কেন্দ্রীভূত অদক্ষ প্রশাসন, কেন্দ্রীভূত সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বহুলাংশে দায়ী। ডিজিটাল যুগেও রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, তদবির-নিয়োগ-বদলি-পদায়ন, চাকরি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সরকারি প্রতিষ্ঠানের সব কাজই ঢাকাকেন্দ্রিক।
কার্যকর স্থানীয় শাসন এবং ডিজিটাল প্রশাসনের মাধ্যমে ক্ষমতা ও শাসনব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণে রাজনৈতিক সততা নেই বলে ঢাকার বাইরে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-সেবা-চাকরি-নিরাপত্তা ইত্যাদির বিকেন্দ্রীকরণে গুরুত্ব নেই বলে নগরায়ণের, কর্মের, শিক্ষার, স্বাস্থ্যের, নিরাপত্তার অর্থাৎ জীবনের সব ঘটনা ও প্রয়োজনের একমুখী স্রোত ঢাকাকেন্দ্রিক।
ঢাকামুখী মানুষের স্রোত না থামিয়ে এবং বিকেন্দ্রীকরণ না করে ড্যাপের এলাকাভিত্তিক জনঘনত্ব লিমিট বা ‘ফ্লোর রেশিও’ বাস্তবায়ন হলে নগর-পরিকল্পনার কিছু সমস্যার সাময়িক সমাধান হবে, তবে তাতে নগর বিস্তৃত হয়ে বিদ্যমান সমস্যাগুলোকে ঢাকার আশপাশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেবে। ড্যাপে এলাকাভিত্তিক খেলার মাঠ, পার্ক, পুকুর, লেকের স্থান নির্ধারিত নেই। যেহেতু ঢাকার আশপাশের অধিকাংশ এলাকাই জলাশয়, কৌশলগত নদী অববাহিকা, তাই আমাদের আপাত সমাধানে না গিয়ে স্থায়ী সমাধান নিয়ে ভাবা উচিত।
সারা দেশে কৃষি শিল্প প্রশাসন আবাসনের জমি ডিমার্কেশন করা, নদী-খাল-বিল-পুকুর, বনজঙ্গল, পার্কসহ পরিবেশগত অঞ্চলের সীমানা নির্ধারণ করে সুরক্ষিত ঘোষণা করা, দেশের সব শহরের সীমা নির্ধারণ করা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি পুনঃ সচল করা এবং তারপর জনঘনত্বকেন্দ্রিক শিল্প, কৃষি, ব্যবসা, প্রশাসন, পরিবহন ইত্যাদি অপরাপর উৎপাদন ও উন্নয়ন মডেল তৈরি করা দরকার, যেটাকে আমরা ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট বলতে পারি।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এসেও ঢাকার বাইরের শহরে চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশালের মতো বিভাগে মেট্রো, বিআরটি বা ট্রামকেন্দ্রিক আধুনিক গণপরিবহন পরিকল্পনা করে, উন্নত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতালসহ ব্যবসা, শিল্প ও কর্মের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার রূপরেখা অনুপস্থিত।
বিভাগীয় শহরে ব্যাংক, বিমা, মুঠোফোন কোম্পানি, করপোরেট অফিস, রপ্তানিমুখী শিল্পের কারখানা, সরকারি-বেসরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়, সেনা-নৌ-বিমান-আনসার-পুলিশসহ সচিবালয় ও মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রধান অফিসগুলো ঢাকার বাইরে নিয়ে আঞ্চলিক কর্ম তৈরির পরিকল্পনা নেই। ডিজিটাল প্রশাসনের যুগে একটা শহরে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস করার যুক্তিটা ঠিক কোথায়!
ঢাকার একটি বড় সমস্যা তার পরিবহন সংযোগ। যেকোনো মেগাসিটিতে যানজট থেকে মুক্তি পেতে হলে শহরের প্রবেশ ও বাইরের ট্রাফিককে শহরের মূল ট্রাফিক থেকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা নিতে হয়। মেগাসিটির প্রবেশমুখগুলোকে, নৌ ও বিমানবন্দরকে গণপরিবহন দিয়ে পরস্পর সংযুক্ত করতে হয়। ঢাকার নিজস্ব ট্রাফিক, বিমানবন্দর, নৌবন্দর ও ঢাকা বাইপাস ট্রাফিকগুলোকে শ্রেণিকরণ করে সড়ক ও গণপরিবহন রুট নকশার বিষয়কে অতীব গুরুত্ব দেওয়া দরকার।
মেট্রোরেল ও বিআরটির দুটি রুট পরিকল্পনায় আমরা ঢাকার বিমানবন্দরের সংযোগ দেখতে পেলেও ঢাকার অন্য প্রধান প্রধান ১০টি প্রবেশ ও বাহির পথ এবং নদীবন্দরের আন্তসংযোগ দেখতে পাই না। সার্কুলার রোড, বিকল্প সড়ক, যাত্রী ও পণ্যবাহী রুট নেই বলে এখনো আন্তজেলা বাস ও ট্রাক ঢাকার ভেতর দিয়েই চলাচল করে।
অগ্নিকাণ্ড জলাবদ্ধতা বন্যা দূষণ কিংবা ভূমিকম্প থেকে ঢাকাকে বাঁচাতে হলে ঢাকার জলাশয়কে বাঁচাতে হবে। ঢাকার পুকুর ও খালগুলোকে উদ্ধার করতে হবে। খালগুলোর মাধ্যমে (অথবা ভূগর্ভস্থ ক্যানেল নেটওয়ার্ক) সব কটি লেককে পরস্পর আন্তসংযুক্ত করতে হবে। এমনকি মশকনিধনের পাখি হাঁস পালতে হলেও এসব লেকের পানি পরিষ্কার রাখতে হবে এবং উন্মুক্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বন্ধ করতে হবে।
দরকার সরকারের রাজনৈতিক সততা, যেখানে মোটা অর্থের বিনিময়ে নগর ব্যবস্থাপনার দূরদর্শিতাকে কার্পেটের তলায় লুকানো হবে না, পরিবেশ প্রশ্নে ঢাকায় উন্নয়ন দর্শনের ভঙ্গুরতাকে সহ্য করা হবে না। ঢাকাকে বাঁচানো কঠিন, তবে উপায় এখনো আছে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব টেকসই উন্নয়নবিষয়ক লেখক। গ্রন্থকার: চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও বাংলাদেশ; বাংলাদেশ: অর্থনীতির ৫০ বছর; অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবিত কথামালা; বাংলাদেশের পানি, পরিবেশ ও বর্জ্য। faiz.taiyeb@gmail.com