প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ও তিনটি গোপন সাক্ষাৎকার

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নিজের কর্মজীবন নিয়ে বিচার ও প্রশাসন: ভেতর থেকে দেখা নামে একটি বই লিখেছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাঠক সমাবেশ থেকে এটি প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ১৯৮১ সালে শিক্ষানবিশ মুনসেফ (সহকারী জজ) পদে বিচার বিভাগে যোগ দিয়ে ২০১৭ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে অবসরে যান। ২০০৭ সালে যখন সেনা–সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়, তখন তিনি ছিলেন আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব। কিছুদিন পরে একই মন্ত্রণালয়ের সচিব হন। তিনি এ বইয়ে সেই সময়ের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন। তাঁর বই থেকে চুম্বক অংশগুলো নিয়ে তিন পর্বের লেখার আজ প্রকাশিত হচ্ছে দ্বিতীয় পর্ব

প্রধান বিচারপতির সন্ধানে


সেনা–সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়েই আগের প্রধান বিচারপতির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। ফলে আলোচনা শুরু হয়, কে হবেন নতুন প্রধান বিচারপতি।

সেই ঘটনা নিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল লিখেছেন, ‘বিচারপতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ২০০৭ সালের ১ মার্চ থেকে প্রধান বিচারপতির পদে দায়িত্বরত ছিলেন। সেনাশাসকদের সঙ্গে সম্ভবত তাঁর তেমন একটা সাংঘর্ষিক সম্পর্ক ছিল না। আবার শোনা যেত সেই সময়কার আধা সেনাশাসনাধীনে সরকারের অনেক কর্ম ও সিদ্ধান্তে তিনি ক্ষোভ ব্যক্ত করতেন।

প্রধান বিচারপতির পদের মেয়াদ ২০০৮ সালের ৩১ মে ফুরিয়ে যাবে। সেনা–সমর্থিত কথিত অসামরিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ আরও ৭/৮ মাস অবশিষ্ট ছিল। নতুন প্রধান বিচারপতি প্রয়োজন হবে। আপিল বিভাগের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ বিচারক ছিলেন বিচারপতি ব্যারিস্টার মোহাম্মাদ ফজলুল করিম। জানা যায় বিচার-আচারে তিনি অনমনীয় ও অনড় ছিলেন।

স্বাভাবিক নিয়মে তাঁরই প্রধান বিচারপতি হওয়ার কথা। কিন্তু সেনা কর্তৃপক্ষ চাইবেন একজন নমনীয় বিচারক যিনি সেনা কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতি সহনশীল হবেন। আধা সেনাশাসনের সেই সময়ে বড় বড় সকল নিয়োগে সেনা কর্তৃপক্ষের পরোক্ষ অনুমোদন বা সম্মতি প্রয়োজন হতো।’

যেভাবে নাম ঠিক হলো

প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রসঙ্গে কাজী হাবিবুল আউয়াল এ নিয়ে লিখেছেন, ‘সেনা কর্তৃপক্ষ প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ নিয়ে ভাবছিল। একদিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ টি এম আমিন এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ আকস্মিক আমার অফিসে এসে হাজির। স্যার, নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা লাগবে। শুনে বললাম, করবেন, অসুবিধা কি। স্যার, নেক্সট ম্যান তো বিচারপতি ফজলুল করিম। উনি তো কথাবার্তা শুনতে চান না। হেড কোয়ার্টার মাননীয় বিচারপতি এম এম রুহুল আমিনকে চাচ্ছেন।

এসব বলে ব্রি. জে. আমিন এম এম রুহুল আমিন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলেন। আমি তাঁর অনেকটা প্রশংসা করলাম। বললাম তবে আমি কখনো তাঁর সঙ্গে বা তাঁর অধীনে কাজ করিনি। যুগ্মসচিব আনোয়ারুল হককে (বর্তমানে প্রয়াত) ডেকে পরিচয় করিয়ে দিলাম। বললাম, বিচারপতি এম এম রুহুল আমিন সাহেবের অধীনে আনোয়ার দীর্ঘ সময় কাজ করেছে, সে আপনাদের সঠিক তথ্য দিতে পারবে। আনোয়ার শুনে এবং জেনে খুব খুশি হলেন যে, সামরিক কর্তৃপক্ষ বিচারপতি এম এম রুহুল আমিনকে প্রধান বিচারপতি করার চিন্তাভাবনা করছে। বিচারপতি রুহুল আমিন সম্পর্কে আনোয়ার সামরিক কর্মকর্তাদ্বয়কে উচ্চ ধারণা দিলেন। তাঁরা আশ্বস্ত এবং খুশি হলেন বলে মনে হয়েছিল।’

প্রসঙ্গত, সে সময় প্রধান বিচারপতি ছিলেন মো. রুহুল আমিন। আর নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে যাঁর নাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল তাঁরও নাম প্রায় একই, এম এম রুহুল আমিন।

যেভাবে একাধিক সাক্ষাৎ

দুই সামরিক কর্মকর্তা বিচারপতির সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চেয়েছিলেন। সহায়তা করেছিলেন তিনি। এমনকি একাধিক সাক্ষাৎকালে উপস্থিতও ছিলেন তিনি।

এ নিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল লিখেছেন, ‘আনোয়ারকে বললাম সহায়তা করতে। আনোয়ার তখনই সরাসরি মাননীয় বিচারপতিকে মোবাইলে পেলেন। সেনা কর্মকর্তাদের প্রত্যাশিত সাক্ষাতের বিষয়টি বললেন।

মাননীয় বিচারপতি উত্তরা মডেল টাউনে ৯ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত তাঁর বাসভবনে সেনা কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানালেন। নির্ধারিত দিন এবং সময়ে আমি এবং আনোয়ার বিচারপতি মহোদয়ের বাড়িতে গেলাম। ব্রি. এ টি এম আমিন এবং ব্রি. গোলাম মোহাম্মদ যথাসময়ে সৌজন্য স্বরূপ ফুল ও ফল নিয়ে এলেন। বিচারপতি মহোদয়ের সঙ্গে তাঁরা অনেকটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার অনুসরণে দীর্ঘ আলোচনা করলেন। বুঝতে চাইলেন, বিচারপতি মহোদয় চলমান সেনা–সমর্থিত প্রশাসনের সমর্থক নাকি বিরোধী। বিচারপতি মহোদয় কৌশলী সব উত্তর দিচ্ছিলেন। আমি উপস্থিত ছিলাম। আনোয়ার ছিল না। সেনা কর্মকর্তারা সন্তুষ্ট হয়ে বিদায় নিলেন।

‘সেটাই চূড়ান্ত সাক্ষাৎকার ছিল না। দু’দিন বাদেই ব্রি. এ টি এম আমিন ফোন করে বিচারপতি মহোদয়ের সাথে মেজর জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর একটা সাক্ষাৎকার আয়োজন করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেন। আমি সহকর্মী বন্ধু আনোয়ারের মাধ্যমে সেটার আয়োজন করলাম। নির্ধারিত দিন এবং সময়ে আমি এবং আনোয়ার বিচারপতি মহোদয়ের উত্তরার বাড়িতে গেলাম। জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী যথাসময়ে এলেন। কথাবার্তা হলো। অনেকটা সৌজন্যমূলক কথাবার্তা।

তবে জেনারেল মাসুদ ওয়ান–ইলেভেনের প্রেক্ষাপট বলছিলেন। সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততার সততা ও আন্তরিকতার কথাও বলছিলেন। আগের মতো আমি উপস্থিত ছিলাম। আনোয়ার বাড়ির ভেতরে অবস্থান করছিল। জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বিদায় নিলে আমরাও চলে এলাম।’

এবার আরও গোপন সাক্ষাৎ

সেনাবাহিনীর তিন কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ পর্বের মধ্য দিয়েও প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। আরও গুরুত্বপূর্ণ একটি সাক্ষাতেরও ব্যবস্থা করতে হয়েছিল।

এ নিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল লিখেছেন, ‘খানিকটা আশ্বস্ত ও নির্ভার বোধ করছিলাম। ভাবলাম সাক্ষাৎকার পর্ব শেষ হয়েছে। অত্যন্ত গোপন ও স্পর্শকাতর সাক্ষাৎকার। কিন্তু, না। শেষ হয়েও শেষ হলো না। আবারো উত্তর পাড়া থেকে ব্রি. জে. এ টি এম আমিন ফোন করলেন। স্যার, আরেকটু যে হেল্প করতে হবে। “নাম্বার ওয়ান” সরাসরি বিচারপতি মহোদয়ের সাথে কথা বলতে চান। ব্যবস্থা করতে হবে। “নাম্বার ওয়ান” কে হন তাৎক্ষণিক বুঝতে পারছিলাম না। মহামান্য রাষ্ট্রপতি হতে পারেন। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাও হতে পারেন। জিজ্ঞেস করলাম, নাম্বার ওয়ান কে। বললেন, সেনাপ্রধান। আরও বললেন, বিচারপতি মহোদয়কে সেনানিবাসে সেনাপ্রধানের বাসভবনে আসতে হবে। গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে। কালো গ্লাসে ঢাকা কালো পাজেরো করে নিয়ে আসা হবে। বড়ই বিব্রতকর প্রস্তাব। সহকর্মী বন্ধু আনোয়ারকে জানালাম। সেও বিব্রত। তারপরও বিচারপতি মহোদয়কে সবিস্তারে সব জানানো হলো। বিচারপতি মহোদয় বাসা পরিবর্তন করে তখন মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ের সংলগ্ন একটি লাল রাজসিক বাংলোতে বসবাস করছেন। আনোয়ার আমাকে জানালেন, বিচারপতি মহোদয় অত্যন্ত বিব্রত ও বিচলিত মনে সম্মত হয়েছেন। দিনক্ষণ নির্ধারিত হলো।

‘আমি ও আনোয়ার বিচারপতি মহোদয়ের বাংলো বাড়িতে সময়ের আগেই এসে উপস্থিত হলাম। পড়ন্ত অপরাহ্ণে দুটো পাজেরো জিপ নিয়ে ব্রি. এ টি এম আমিন, ব্রি. গোলাম মোহাম্মদ এবং অপরিচিত তৃতীয় একজন পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা হাজির হলেন। তাঁদের হালকা আপ্যায়ন করা হলো। সন্ধ্যায় মাগরিব নামাজ শেষ করে বিচারপতি রুহুল আমিন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কঠোর গোপনীয়তায় গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা করলেন। বিচারপতি মহোদয়কে দৃশ্যতই বিচলিত মনে হচ্ছিল। আমি আমার বাড়িতে চলে এলাম। আনোয়ার তার বাড়ির উদ্দেশ্যে প্রস্থান করল।’

অবশেষে নিয়োগ

প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। অথচ সে সময় রাষ্ট্রপতির কোনো ভূমিকা ছিল না। তারপরেও রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর নিতে হয়েছিল।

সেই ঘটনার বর্ণনাও দিয়েছেন হাবিবুল আউয়াল। তিনি লিখেছেন, ‘দু’হপ্তা বাদেই ব্রি. এ টি এম আমিন জানালেন বিচারপতি এম এম রুহুল আমিনকে প্রধান বিচারপতি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেনা সদর দপ্তর থেকে আমার উদ্দেশ্যে কাগজ পাঠানো হয়েছে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সেনাবাহিনীর একজন মেসেঞ্জার এসে গোপনীয় একটি কাগজ আমার হাতে দিলেন। কাগজে সেনা সদর দপ্তরের সিদ্ধান্তের কথা লেখা হয়েছে। কিন্তু কোনো সই-স্বাক্ষর ব্যতিরেকে। প্রধান বিচারপতির নিয়োগ বিষয়ে সিদ্ধান্ত সেনা সদর দপ্তর থেকে হওয়ার কথা নয়। তবে বাস্তবতা হলো সেনা–সমর্থিত ওয়ান–ইলেভেন সরকারের সময় সেভাবেই অনেক কাজ হতো। অবজ্ঞা বা উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ ছিল না। মাননীয় উপদেষ্টাকে জানালাম। সম্ভবত আগে থেকেই তিনি জানতেন। মর্মাহত হলেন। মেনে নিলেন। মেনে নেওয়া ছাড়া তাঁরও কোনো গত্যন্তর ছিল না।

সংবিধানের বিধান মতে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি সকল কর্ম করে থাকেন। তবে কেবল দুটি ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ দ্বারা বাধিত হবেন না। প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির নিয়োগ ব্যতিরেকে। প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগের ক্ষেত্রেও আবার রাষ্ট্রপতির করার কিছুই থাকে না। সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্যকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করতে তিনি এমনিতেই বাধ্য।

আমি প্রধান বিচারপতি নিয়োগের জন্য সারসংক্ষেপ তৈরি করে নথি প্রস্তুত করলাম। সেনাসদরের সিদ্ধান্ত মতে, সরাসরি বিচারপতি রুহুল আমিনের নাম প্রস্তাব করলাম না। সংবিধানের ৪৮(৩) এবং ৯৫(১) এর সাথে সংগতিপূর্ণ করার জন্য আপিল বিভাগের মাননীয় তিনজন বিচারকের নাম জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে উপস্থাপন করে প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগের প্রস্তাবনা পেশ করা হলো। আমি স্বাক্ষর করে মাননীয় উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টা এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে মার্ক করে নথি, গোপনীয় বিধায়, মাননীয় আইন উপদেষ্টাকে হাতে হাতে দিলাম।

‘পরদিন আইন উপদেষ্টা হাসান আরিফ নথি আমাকে হাতে দিয়ে বললেন মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট নথি নিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে আনতে। দেখলাম নথিতে উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টা স্বাক্ষর করেন নাই। মাননীয় উপদেষ্টার যুক্তি ছিল সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদের কারণে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ প্রদান করা যাবে না। আমার কাউন্টার যুক্তি ছিল রাষ্ট্রপতিকে এমন নমনীয়ভাবে পরামর্শ প্রদান করতে হবে যাতে তিনি স্বীয় স্বাধীন ইচ্ছা প্রয়োগ করতে পারেন। অবশ্যই তিনি বাধ্য থাকবেন না। নিজেও কাউকে পছন্দ করে নিয়োগ দিতে পারবেন। আমার প্রস্তুতকৃত সারসংক্ষেপে সেই স্পেস ছিল। রাষ্ট্রপতির কাছে কোনো প্রস্তাব না পাঠালে তাঁকে অন্ধকারে হাতড়াতে হবে। উপদেষ্টাকে অনুরোধ করলাম তাঁকে রাষ্ট্রপতির কাছে যেতে। সঙ্গে আমি থাকব। নথি আমি বহন করব। উপদেষ্টা সদয় হয়ে সম্মত হলেন। আমরা গেলাম। মহামান্য রাষ্ট্রপতি সারসংক্ষেপ দেখলেন।

‘আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, আউয়াল, তুমি বল এই তিনজনের মধ্যে কাকে নিয়োগ দেব। আমি বিচারপতি জনাব এম এম রুহুল আমিনের নাম দেখিয়ে পাশে অনুস্বাক্ষর করে সারসংক্ষেপ স্বাক্ষর করতে অনুরোধ করলাম। মহামান্য তাই করলেন। আমার বিশ্বাস সামরিক সচিবের মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে সেনাসদরের ইচ্ছার বিষয়টি আগেই অবহিত করা হয়েছিল। বিচারপতি এম এম রুহুল আমিন দেশের প্রধান বিচারপতি হলেন। ২০০৮ সালের ১ জুন থেকে ২০০৯ সালের ২২ ডিসেম্বর তারিখ পর্যন্ত তিনি প্রধান বিচারপতির পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি আজ প্রয়াত। সতীর্থ সহকর্মী আনোয়ারুল হকও প্রয়াত। মাঝে বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালীর সেই হতভাগ্য বৃদ্ধা ইন্দির ঠাকরুণের মতো আমি আজও বেঁচে আছি।’