শিক্ষার্থীদের শারীরিক ক্ষতি আমরা দেখতে পারছি। কিন্তু এর মানসিক ক্ষতির প্রভাব হতে পারে সুদূরপ্রসারী। আমাদের দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি বুঝতে পারছে, কয়েকটি সপ্তাহ ধরে যে ট্রমার ভেতর দিয়ে তরুণ শিক্ষার্থীরা গেছেন, তা থেকে তাঁদের দীর্ঘমেয়াদি মানসিক সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আছে। এ রকম অবস্থায় শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের করণীয় কী, তা নিয়ে লিখেছেন মুশাররাত শর্মি হোসেন, ইশরাত জাকিয়া সুলতানা, রায়হানা শারমিন, লামিয়া ইফতেখার, নুর নেওয়াজ খান, বুলবুল সিদ্দিকী ও নোভা আহমেদ
‘তোমাদের ব্রেইন ওয়াশ হইছে তো, কাউন্সেলিং দরকার।’
অত্যন্ত ‘গুরুত্বপূর্ণ’ এ কথাটি যাঁর মুখনিঃসৃত, তিনি রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশের পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তি। এক নির্দোষ তরুণকে প্রায় টেনে টেনে মাঝেমধ্যে চড়–থাপ্পড় দিয়ে ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পেছনে দেখা যাচ্ছিল আদালতের ছবি। তরুণের আকুল আবেদন, তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার মিনতি, কোনো কিছুই পুলিশি পোশাক পরিধানকারীকে টলাতে পারছিল না। গত ৩১ জুলাই ইউটিউবে আপলোড করা একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্যই দেখা যায়।
২ আগস্ট দুপুরের পর রাজধানীর উত্তরায় জোরপূর্বক বাসায় ঢুকে যাঁকেই শিক্ষার্থী মনে হয়, তাঁকেই মারধর করা হয়েছে, বের করে নেওয়া হয়েছে ঘর থেকে। সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র হয়রানির অগণিত জানা-অজানা ঘটনাপ্রবাহের মাত্র দু–একটি উদাহরণ হলো এগুলো।
কেবল ‘ছাত্র’ হওয়ার কারণে এত বিপুলসংখ্যক কিশোর-তরুণকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার রেকর্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০২৪–এর আগে কখনো সৃষ্টি হয়নি। শিক্ষক হিসেবে এত বেশি অসহায়ত্বও সম্ভবত কোনো কালে শিক্ষকেরা বোধ করেননি।
প্রথমে খবরাখবর দেওয়া-নেওয়ার মাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হলো। এটা অনেকটা পরভৃৎসম চতুর আচরণের সঙ্গে মিলে যায়। কাক নিজে চোখ বন্ধ করে ভাবতে থাকে, জগতের কেউ এখন তাকে দেখছে না। আমরা দেখতে পেলাম প্রযুক্তি সরিয়ে শিক্ষার্থীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হলো।
আসলে সমস্যাটি আগের চেয়ে বেশি হলো। দূরের আর কাছের মানুষের খোঁজখবর নেওয়া যাচ্ছে না, টাকা আদান–প্রদান করা সীমিত হয়ে গেছে। বাইরে কারফিউ, বের হলে ধরপাকড়ের ভয়, ভেতর থেকে শুধু গোলাগুলির শব্দ। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও মানসিক চাপে দমবন্ধ করা অনুভূতি তৈরি হলো।
কিন্তু এসব করে কী অর্জিত হলো? ছাত্রছাত্রীদের সামনে কী দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো? নদীর গতিপথ রোধ করার জন্য বাঁধ দেওয়া হলে সে আপনা থেকে তার বিকল্প পথ খুঁজে নেয়; যেমনভাবে এই ছাত্রছাত্রীরা তাদের মত প্রকাশ করেছে গ্রাফিতি, বিদ্রূপাত্মক মিমস আর গানের মাধ্যমে।
শেষ পর্যন্ত তারুণ্যের বিজয় অর্জিত হলো। শিক্ষার্থীরা কারফিউ ভেঙে রাস্তায় এলেন। সারা দেশের মানুষের সমর্থন আর মমতায় সিক্ত হয়ে তাঁরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য সংঘবদ্ধ হলেন এবং ঠিকই তাঁরা বিজয়ী হলেন। ৫ আগস্ট দেশের এবং বিশ্বের ইতিহাসে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ আবারও প্রমাণ করল তারুণ্যের শক্তির।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বছরগুলো একজন শিক্ষার্থীর জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গঠনমূলক সময়। এটি রাষ্ট্র না বুঝলেও অনেক শিক্ষক হয়তো বোঝেন। এ সময়ের অভিজ্ঞতা একজন শিক্ষার্থীর সারা জীবনের চিন্তাভাবনার ওপর গভীর প্রভাব রাখে।
অথচ বাংলাদেশে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আমরা জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত অন্য রকম এক অভিজ্ঞতা নিতে দেখলাম। এটা তাঁদের পরবর্তী জীবনে রাষ্ট্র, রাজনীতি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আইনি ও নাগরিক অধিকার সম্পর্কে প্রচণ্ড নেতিবাচক ও ভয়ংকর সব ধারণা পাবার সুযোগ করে দিল।
এই ভীতিকর পরিস্থিতিতে শিক্ষক হিসেবে ছাত্রের পাশে দাঁড়ানোর আকুতি নিয়ে ছটফট করেছেন অনেক শিক্ষক। তাঁরা ব্যক্তিগতভাবে এবং প্রতিষ্ঠানিকভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেনও। কারণ, শিক্ষকতা পেশা হলেও ছাত্রের সাফল্য-ব্যর্থতা, কষ্ট-আনন্দ সবকিছুর অংশীদার তাঁরা। শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবক বটে।
শিক্ষার্থীদের বিনা দোষে প্রিজন ভ্যানে ঢোকানোর দৃশ্য শিক্ষকের অসহায়ত্ব বাড়িয়েছে। শুধু মুঠোফোনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছবি–ভিডিও থাকার কারণে একজন শিক্ষার্থীকে আসামি হিসেবে চিহ্নিত করা ও আটক করার ঘটনা শিক্ষককে এ প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে যে দেশ সম্পর্কে, রাষ্ট্র সম্পর্কে আমরা এত দিন কি ওদের ভুল শিখিয়েছি?
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ক্ষতি আমরা দেখতে পারছি। কিন্তু এর মানসিক ক্ষতির প্রভাব হতে পারে সুদূরপ্রসারী। আমাদের দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি বুঝতে পারছে, কয়েকটি সপ্তাহ ধরে যে ট্রমার ভেতর দিয়ে তরুণ শিক্ষার্থীরা গেছেন, তা থেকে তাঁদের দীর্ঘমেয়াদি মানসিক সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আছে। এটিকে বলা হয় পিটিএসডি (পোস্ট–ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার)।
এ ক্ষেত্রে ব্যক্তির ট্রমাটিক ঘটনাটি বারবার মনে পড়ে বা এটা নিয়ে ঘন ঘন দুঃস্বপ্ন দেখে। ফ্ল্যাশব্যাক হয় (পুরোনো ঘটনা মনে পড়ে), যে স্থানে ঘটনাটি ঘটেছিল সে স্থান, এমনকি যা কিছু এই ঘটনাটি মনে করিয়ে দেয় সেগুলো ব্যক্তি এড়িয়ে চলে। কাজে মনোযোগ দিতে পারে না, ঘুমাতে পারে না, আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করা তার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
আরও আশঙ্কাজনক যে বিষয়টি তা হলো নির্বিচার আঘাত, গুলি, কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট আর নির্যাতনের ফলাফল হিসাবে শারীরিক জখম ও অঙ্গহানির মতো ঘটনা ঘটেছে। অনেক ছাত্রছাত্রীর হাত–পা, আঙুল কেটে ফেলতে হয়েছে। সংখ্যা এখনো অজানা, তবে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেটের আঘাতে বহু শিক্ষার্থীর চোখ নষ্ট হওয়া, আংশিক দৃষ্টি হারানো কিংবা সারা জীবনের জন্য দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এমন বহু ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কতজন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ঘটেছে, সেগুলোর রেকর্ড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে কি?
এ ছাড়া তাঁদের মধ্যে অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন বিষণ্নতা (ডিপ্রেশন), উদ্বেগ, মানসিক চাপ, শোকগ্রস্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। আমাদের আশঙ্কা, তাঁদের পক্ষে শিগগির স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা কঠিন হয়ে পড়বে এবং সামগ্রিকভাবে তাঁদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের এই দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কি আদৌ কোনো প্রস্তুতি নিয়েছে? আহত, নিহত, গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যার তথ্য সংরক্ষণের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ডেটাবেজ তৈরি হয়েছে কি? তাঁদের অভিভাবকদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কি? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর এখনো আমাদের জানা নেই।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের (যা পরে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনে রূপ নিয়েছে) অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই সরকারি চাকরিতে যান না, তাঁরাও এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যে বিভাজন, তা ভুলে গিয়ে সংহতি প্রকাশ করেছেন পুরো আন্দোলনে। আর রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে তাঁদের সঙ্গে শিক্ষকদের সংহতি-সহায়তা-অনুপ্রেরণা-সমর্থন প্রমাণ করেছে সংঘবদ্ধ শক্তির কাছে সব অন্যায় মাথা নত করতে বাধ্য।
এ রকম অবস্থায় এই তরুণদের মধ্যে জন্মানো ক্ষোভ–হতাশা এবং পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতি তাঁদের অনাস্থার প্রতিকার খুঁজতে হবে। এখন যদি শিক্ষার্থীদের কথা না শোনা হয়, তবে সেটি আবারও চিৎকারে পরিণত হবে। মনে রাখতে হবে, শিক্ষার্থীরা সব সময় আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। কেননা তাঁরাই আগামী দিনের বাংলাদেশের চালিকাশক্তি।
অস্থির আর অনিশ্চিত সময় শেষ হয়েছে। শিক্ষকেরা আবার ক্লাসরুমে তাঁদের শিক্ষার্থীদের দেখার অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু ক্লাসরুমে যে শিক্ষার্থীরা ফিরে আসবেন, তাঁরা আর আগের শিক্ষার্থী নন। তাঁরা হবেন অনেক পরিণত, প্রতিবাদী, প্রত্যয়ী ও সাহসী; কিন্তু ভেতরে ভেতরে প্রচণ্ড ক্ষোভ আর কষ্টকর সব স্মৃতি চেপে রাখা এক তরুণ–তরুণী।
শিক্ষকদের এখন শিক্ষার্থীদের সামনে দাঁড়ানোর জন্য নতুন করে প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন তৈরি হয়েছে। এই ক্রান্তিকাল শেষে আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য কোন পথটি দেখিয়ে দেব? সামনের দিনগুলোতে কীভাবে ছাত্র-শিক্ষকের যোগাযোগ বাড়াতে পারি, মানসিক সহায়তা বাড়াতে পারি, সেসব নিয়ে চিন্তা করতে হবে এখনই।
এই আন্দোলন থেকে প্রাপ্ত আরও একটি শিক্ষা হলো, আমাদের প্রযুক্তিনির্ভরতা ছাড়াও মানবিক যোগাযোগের ক্ষেত্রটি সংগঠিত করতে হবে, যেন মতামত প্রকাশের বিকল্প থাকে। প্রযুক্তি যেন আমাদের দমিয়ে রাখার হাতিয়ার না হয়ে ওঠে। যখন ভুল তথ্য ও গুজব ছড়ানোর আশঙ্কা আছে, সেখানে যেন বস্তুনিষ্ঠ ও সত্য অনুসন্ধান করা সম্ভব হয়ে ওঠে।
কোনোভাবেই অন্যায়ের সঙ্গে যেন আপস না করি। আমরা যেন বলার চেয়ে শোনার প্রতি বেশি মনোযোগ দিতে পারি। একজন ছাত্রও যেন বিষণ্নতা-হতাশার পাকে নিমজ্জিত না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
দেশের বাইরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ থেকে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের কাছে ই–মেইলে, ব্যক্তিগত বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে, সেই শিক্ষার্থীরা তাঁদের দেশ নিয়ে কী ভাবছেন, কোনোভাবে তাঁরা বিষণ্ন বোধ করেছে কি না, নিজের শরীর, মন, ও পড়ালেখার ক্ষতি হতে পারে, এমন কিছুর মধ্য দিয়ে তাঁরা গিয়েছিলেন কি না, কোনো মানসিক সহায়তা প্রয়োজন কি না ইত্যাদি।
যে ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে যে শিক্ষার্থীদের অবস্থান, তাঁদের মানসিক অবস্থার খবর রাখা কিন্তু আমাদেরই দায়িত্ব। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা শিক্ষকেরা মনে করিয়ে দিচ্ছি যে আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু দরকারি উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন এখন। এর মধ্যে রয়েছে, নিজের শরীর ও মনের প্রতি যত্নশীল হতে উদ্বুদ্ধ করা, জীবনের লক্ষ্য থেকে তাঁরা যেন সরে না আসেন সে জন্য ব্যায়াম, মেডিটেশন, সামাজিক বা স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা। এতে তাঁরা প্রশান্ত ও প্রফুল্ল থাকেন এবং তাঁর জীবনটা যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তা বিশ্বাস করতে পারেন।
বর্তমানে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের অনুভূতির প্রতি সম্মান ও সহানুভূতি প্রদর্শন করি। ভবিষ্যতেও আমরা তাঁদের কষ্টগুলো, তাঁদের চিন্তা ও প্রচেষ্টাগুলোকে স্বীকৃতি দেব। আমাদের জন্য যদি সেটা কঠিন হয়, তবু তা আমাদের করতে হবে। আমাদের চেষ্টা করতেই হবে।
সবশেষে শিক্ষার্থীদের বলতে চাই, তাঁদের পাশেই আমরা ছিলাম, আছি, থাকব। কারণ আমরা দেখেছি, আমাদের শিক্ষার্থীদের অকুতোভয় চেহারা। যে মা-বাবার বুক খালি হয়ে গেছে, তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমাদের নেই। কিন্তু যে তরুণ রাষ্ট্রীয় সহিংসতাকে রুখে দিয়েছে, তাঁর পাশে দাঁড়ানোও যে আমাদের জন্য গর্বের।
মুশাররাত শর্মি হোসেন, ইশরাত জাকিয়া সুলতানা, রায়হানা শারমিন, লামিয়া ইফতেখার, নুর নেওয়াজ খান, বুলবুল সিদ্দিকী ও নোভা আহমেদ শিক্ষক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।