আর্থিক খাত

হিসাবে গরমিল তো প্রতিষ্ঠানের সর্বনাশ

অ্যাকাউন্টিং পেশা ও চর্চার মূল উদ্দেশ্য সমুন্নত রাখার প্রধান পূর্বশর্ত হচ্ছে এ বিষয়ের স্বচ্ছতা এবং নিযুক্ত পেশাজীবীদের সততা ও বিশ্বস্ততা। এ দুটি উপাদান ব্যক্তিগত মূল্যবোধের বিষয় হলেও জবাবদিহির প্রশ্ন একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেকোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা শিল্পে বিনিয়োগ, অর্থায়ন এবং অন্যান্য আর্থিক সিদ্ধান্তের জন্য নির্ভর করতে হয় প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে অ্যাকাউন্ট্যান্টদের মতামত ও রিপোর্টের ওপর। প্রচলিত নিয়ম-রীতি অনুযায়ী এই রিপোর্টের বহু আনুষ্ঠানিক ব্যবহার আছে, কোম্পানি আইনেও আছে সুস্পষ্ট বিধান। সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরও তঁাদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্তের জন্য নির্ভর করতে হয় অ্যাকাউন্ট্যান্টদের রিপোর্টের ওপর। 

কিন্তু বিশ্বব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য পরিচালনায় হিসাব ও নিরীক্ষা পেশায় নিযুক্ত পেশাজীবীদের যোগ্যতা ও বিশ্বস্ততা নিয়ে সব সময়ই অল্পবিস্তর কিছু প্রশ্ন ছিল। কিন্তু আমেরিকায় এনরন করপোরেশন, ওয়ার্ল্ডকমসহ আরও বিশাল কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গোঁজামিল দেওয়া হিসাবের ধাক্কা সামলাতে না পেরে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ার পর এই প্রশ্ন আচমকা সামনে চলে এসেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের পতনের পর দেখা যাচ্ছে যে অ্যাকাউন্ট্যান্ট, অডিটর এবং প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বায়বীয় সব হিসাবপত্র তৈরি করা হচ্ছিল সাধারণ বিনিয়োগকারী ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য।
দেখা গেছে, কোনো কোম্পানির হিসাবপত্র ঠিক রাখার জন্য যে অ্যাকাউন্টিং সততা প্রয়োজন, এসব কোম্পানির ক্ষেত্রে সেটা রক্ষা করা হয়নি। গোঁজামিল দিয়ে বছরের পর বছর যেসব হিসাবপত্র তৈরি হয়েছিল, তার আগাগোড়াই ছিল অসততায় ভরা। এগুলোর পরিচালনা পদ্ধতিতে ছিল মারাত্মক কিছু গলদ। তাই সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা এসব গোঁজামিল ধরতে পারেননি। কারণ, প্রথমত সেটা ধরতে পারা তঁাদের পক্ষে সম্ভব নয়; দ্বিতীয়ত তঁারা তঁাদের বিনিয়োগ থেকে লাভ উঠিয়ে আনতে পারলে কোম্পানির হিসাবপত্র নিয়ে ঘঁাটাঘঁাটি করতে চান না। কিন্তু বিশ্ববিখ্যাত অ্যাকাউন্টিং ফার্মগুলোও কেন এই গোঁজামিল ধরতে পারেনি, সেই প্রশ্ন থেকেই অ্যাকাউন্টিং সততার প্রশ্নটি উঠে আসে।
নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝিতে যখন বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে উন্মাতাল অবস্থা চলছে, তখন বহু সদ্য গঠিত কোম্পানি প্রকল্পের কাজে হাত দেওয়ার আগেই বাজারে শেয়ার ছেড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। এসব কাগুজে কোম্পানির কাগজপত্র, ব্যালেন্সশিট, অনুমিত আয়ের পূর্বাভাস-এসব ভালোভাবে পরীক্ষা করলে দেখা যাবে যে এসব কোম্পানির অডিট ফার্ম এবং নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাসমূহের গাফিলতি ও যোগসাজশের কারণে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হয়েছিলেন।
এনরনের মতো বিশাল কোম্পানি ধরাশায়ী হওয়ার পর সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। কারণ, এসব কোম্পানি যখন অবিশ্বাস্য অঙ্কের লাভ দেখিয়ে বাজার মাত করছিল, তখন তথ্য ও সত্য প্রকাশে সাংবাদিকদের ভূমিকা কতখানি সঠিকভাবে পালিত হয়েছে-এ প্রশ্ন উঠেছিল বিভিন্ন মহল থেকে। তবে এসব কোম্পানি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছিল, আর সেসব তথ্য সত্যায়িত করছিলেন অ্যাকাউন্ট্যান্টরা। অতএব, নিরীক্ষার কাজে নিয়োজিত পেশাজীবীরা তঁাদের পেশাগত সততার প্রতি যখন সুবিচার করছিলেন না, তখন সাংবাদিকদের পক্ষে কতখানি সম্ভব ছিল সযত্নে তৈরি এসব আর্থিক প্রতিবেদনের ভেতর থেকে সত্য উদ্‌ঘাটন করা?
সাংবাদিকদের পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছিল ব্যাংকারদের ভূমিকা নিয়েও। এর জন্য মূলত দায়ী করা হয়েছে ব্যাংকগুলোর মধ্যকার অসম প্রতিযোগিতাকে। কিছু ব্যাংক শুধু গ্রাহক আকর্ষণের জন্য তাদের বহু গোঁজামিল উপেক্ষা করে আর্থিক সুবিধা বরাদ্দ করে থাকে। এনরনের বেলায় দেখা গেছে, তাদের ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসা কবজা করার জন্য জেপি মর্গান চেজ ব্যাংক ও সিটিকর্প তাদের ঋণদান নীতিমালা উপেক্ষা করে অনেক উদারভাবে এনরনের ক্রেডিট রেটিং করেছিল।
আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যকার অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার রাশ টেনে ধরার জন্যও অডিট ফার্মগুলোর বিরাট ভূমিকা রয়েছে। তারা যদি তাদের কর্তব্য পালন না করে, তাহলে সাব প্রাইমের মতো না হলেও আমাদের আর্থিক খাতেও বিপর্যয় নামতে পারে। বাংলাদেশে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত ব্যাংকের উপস্থিতি এ-জাতীয় অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
আমেরিকায় যা ঘটেছে, তার পেছনে তেল ও গ্যাস লবির অশুভ প্রভাবও উপেক্ষা করার মতো নয়। এই প্রভাবশালী গোষ্ঠীর চাপ সহ্য করার মতো শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো খোদ আমেরিকায়ও ছিল প্রয়োজনের তুলনায় দুর্বল। অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিত্জ যখন কাউন্সিল অব ইকোনমিক অ্যাডভাইজারসের সদস্য ছিলেন, তখন ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড বোর্ড (এফএএসবি) বিভিন্ন কোম্পানির নির্বাহীদের স্টক অপশন নীতিমালায় পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করে। কারণ, স্টক অপশনের সুযোগ নিয়ে কোম্পানির নির্বাহীরা বোনাস হিসেবে পাওয়া শেয়ারের দাম বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন অসাধু পন্থা অবলম্বন করেন। এভাবে কৃত্রিমভাবে বেড়ে যাওয়া শেয়ারের দাম তুঙ্গে পৌঁছালে নির্বাহীরা তঁাদের শেয়ার বিক্রি করে দেন। স্টক অপশন নীতিমালা পরিবর্তনের জন্য এফএএসবি প্রস্তাব দিলে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিল তাতে সমর্থন করে। কিন্তু তেল ও গ্যাস লবি, ওয়াল স্ট্রিট এবং সিলিকন ভ্যালি একজোট হয়ে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। ফলে মার্কিন সরকার এই প্রস্তাব কার্যকর করা থেকে বিরত থাকে। সৌভাগ্যের বিষয়, বাংলাদেশে স্টক অপশনের বিধান নেই, থাকলে হয়তো পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত।
অ্যাকাউন্টিং পেশায় নিয়োজিত পেশাজীবীদের সততা, বিশ্বস্ততা ও যোগ্যতার প্রশ্নে বিষয়টার মধ্যকার নিহিত দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করা জরুরি। দেখা গেছে, এই পেশায় যোগ্য লোক আকর্ষণ করা কঠিন। হিসাববিজ্ঞানকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করার মতো মেধাবী লোকজন খুব কম পাওয়া যায়। উন্নত বিশ্বে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং, কনসালটিং-এসব পেশাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। অ্যাকাউন্টিং সম্পর্কে অনেকের ধারণা, এটা হচ্ছে অন্যের কৃতকর্মের শব ব্যবচ্ছেদ করা, কিংবা পরের ফলানো ফসল মেপে বা গোনা-গুনতি করে দেওয়ার মতো।
বিশ্বব্যাংকের ২০১৫ সালের ‘বাংলাদেশ: রিপোর্ট অন দ্য অবজার্ভেন্স অব স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড কোডস-অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড অডিটিং’ প্রকাশনায় বলা হয়েছে যে এই পেশার প্রতি মেধাবী ছাত্রদের অনীহার কারণে যোগ্য জনবলের সমাবেশ এখানে ঘটেনি। রিপোর্টটির যথার্থতা উপলব্ধি করা যায় যখন দেখা যায় ১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত আইসিএবি ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর নাম নিবন্ধন করালেও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ডিগ্রি পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৮৩৮ জন। এর মধ্যে ২০০০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ভর্তি হয়েছিলেন ১৯ হাজার শিক্ষার্থী, তঁাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ হাজার ১৩৬ জন। তবে বর্তমানে ব্যবসায় প্রশাসন ও ফাইন্যান্স বিষয়ে তরুণদের আগ্রহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেধাবী শিক্ষার্থীরা হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছেন, সে অনুপাতে উত্তীর্ণ হওয়া চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সংখ্যা বাড়েনি।
যোগ্য হিসাব ও নিরীক্ষাকর্মীর অপ্রতুলতা ছাড়াও আরেকটি কঠিন সমস্যা বাংলাদেশে বিদ্যমান, সেটি হচ্ছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব। ১৯৯৪ সালে সংশোধিত কোম্পানি আইনে সব কোম্পানির হিসাব বিবরণী প্রস্তুতের ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা থাকলেও সেটা প্রায় ক্ষেত্রেই পালিত হয় না অথবা পালিত হলেও কোম্পানির সঠিক তথ্য ও হিসাব তাতে সন্নিবেশিত হয় না। তবে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ২০১২ সালের এক নির্দেশনায় কোম্পানি আইন, ১৯৯৪-এর ১৮৪ ধারায় প্রণীত বার্ষিক প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কোম্পানি আইনে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ হচ্ছে কোম্পানির কর্মকাণ্ড তদারকির জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ। অথচ এই প্রতিষ্ঠান দেশে অ্যাকাউন্টিংয়ের মানোন্নয়ন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি করার জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেনি। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এ বিষয়ে বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিলেও সর্বস্তরে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে-এ কথা বলার সময় আসেনি এখনো।
এসব প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ও যোগ্যতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন আইন সংশোধন ও বাস্তবায়নের জন্য সৃষ্টি করতে হবে স্বাধীন অ্যাকাউন্টিং কর্তৃপক্ষ। অ্যাকাউন্টিং পেশায় মেধাবী ছাত্রদের আকর্ষণ করার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট, আইসিএবি, আইসিএমএবি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানকে আরও জোরদার ভূমিকা পালন করতে হবে। হিসাব ও নিরীক্ষাব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক মান রক্ষা না করলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো তাদের ঋণ ও সাহায্যের সঙ্গে এ-বিষয়ক শর্ত জুড়ে দিতে পারে, যা প্রাপ্ত অর্থের ব্যবহারকে আরও সংকুচিত করে ফেলবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আমাদের দেশের অ্যাকাউন্টিংয়ের মান ও চর্চা সম্পর্কে মন্তব্যসহ নির্দিষ্ট কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আইসিএবির পাঠ্যক্রম, প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন সত্ত্বেও গত পঁাচ বছরে এই পেশায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়েনি। দেখা গেছে, অন্যান্য বৃত্তির ক্ষেত্রে তুলনামূলক বেশি সুযোগ-সুবিধা, অ্যাকাউন্টিং পেশায় প্রতিশ্রুতিশীল প্রার্থীদের আকর্ষণ করার জন্য প্রয়োজনীয় কৌশলের অনুপস্থিতিই এ পেশায় যোগ্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ার মূল কারণ। বিগত পঁাচ বছরে আইসিএমএবির শিক্ষার্থীর সংখ্যা গড়ে ৭ শতাংশ কমে গেছে। কোম্পানির আর্থিক হিসাব তৈরিতে বিশ্বাসযোগ্য ও যথাযথ মানসম্পন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাও বাংলাদেশে অপর্যাপ্ত। বর্তমান কাঠামোতে হিসাব ও নিরীক্ষা পেশায় প্রচুর অদক্ষ লোক থাকার কারণে পুরো পেশাটির বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নের সম্মুখীন। এমনকি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আর্থিক হিসাব বিবরণী প্রস্তুতের বিষয়টা তদারক করার মতো শক্তিশালী ও দায়বদ্ধ কোনো প্রতিষ্ঠানও বাংলাদেশে নেই। আইনের দুর্বল প্রয়োগের কারণে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণ বাণিজ্য স্নাতক কিংবা আধা দক্ষ অ্যাকাউন্ট্যান্টদের নিয়ে কাজ চালাতে চায়।
এসব দুর্বলতা থেকে উত্তরণের জন্য প্রতিবেদনটিতে প্রশিক্ষিত অ্যাকাউন্ট্যান্টের সংখ্যা এবং পেশাদার অ্যাকাউন্ট্যান্টদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য দ্বিতীয় স্তরে সার্টিফায়েড অ্যাকাউন্টিং টেকনিশিয়ান কিংবা ডিপ্লোমা ইন প্রফেশনাল অ্যাকাউন্টিং-এ-জাতীয় সনদের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ-জাতীয় সনদ আংশিক উত্তীর্ণ হওয়া এবং প্রশিক্ষিত শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক হবে। সনদবিহীন বৃত্তিমূলক অ্যাকাউন্ট্যান্টদের পেশাদারির আওতায় আনতে পারলে অধিক হারে মেধাবী জনশক্তি এই পেশার প্রতি আকর্ষিত হবে।
ফারুক মঈনউদ্দীন: লেখক ও ব্যাংকার৷
fmainuddin@hotmail.com