‘বহে মাঘমাসে শীতের বাতাস, স্বচ্ছসলিলা বরুণা।/...স্নানে চলেছেন শতসখীসনে, কাশীর মহিষী করুণা।/...স্নান সমাপন করিয়া যখন/ কূলে উঠে নারী সকলে/ মহিষী কহিলা, “উহু! শীতে মরি,/...জ্বেলে দে আগুন ওলো সহচরী––শীত নিবারিব অনলে।”’
বিদগ্ধ পাঠক, এর পরের কয়েকটি পঙ্ক্তি আমাদের মানসপটে ভেসে উঠছে, অতঃপর—
‘পথে লয়ে তারে (রাজমহিষীকে) কহিলেন রাজা,/ “মাগিবে দুয়ারে দুয়ারে––/ এক প্রহরের লীলায় তোমার/ যে কটি কুটির হল ছারখার/ যত দিনে পার সে–ক’টি আবার/ গড়ি দিতে হবে তোমারে।”’
বিশ্বকবির অন্যান্য সৃষ্টির ন্যায় এই কবিতাতেও শুধু মনোরঞ্জনের জন্য অথবা ভাবালুতায় নিমগ্ন হওয়ার মতো কতিপয় কবিতার পঙ্ক্তি না থেকে আরও কিছু গভীর বাণী আমাদের সামনে প্রাঞ্জল হয়ে উঠেছে। এই পঙ্ক্তিগুলো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত অত্যন্ত উঁচুতলার ক্ষমতাধর কর্তৃপক্ষ বা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বল্গাহীন আচরণ এবং এর পরিণতিতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরছে। কিন্তু এই স্বেচ্ছাচারী আচরণ একদিকে যেমন জনবান্ধব হওয়ার পরিচায়ক নয়, তেমনি সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের জন্য তা শ্লাঘার বিষয়ও নয়; বরং পীড়াদায়ক। রাষ্ট্র যদি কল্যাণরাষ্ট্র হয় এবং শাসক যদি প্রকৃতই জনদরদি হন, তাহলে এমন পরিস্থিতি তো অবশ্যই গ্রহণযোগ্য নয়। এর দায়ভার থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ স্বয়ং ‘রাজাকেই’ ন্যায়দণ্ড হাতে তুলে নিতে হয়েছে। কিন্তু আধুনিক বহুমাত্রিক রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান এ কাজ এভাবে সম্পন্ন করবেন যৌক্তিক কারণেই, এটা প্রত্যাশা করা যথার্থ হবে না।
আমরা শুনেছি, খলিফা হজরত ওমর (রা.) প্রজাদের দুঃখ-দুর্দশা সম্পর্কে সম্যক অবহিত হওয়ার জন্য ছদ্মবেশে রাতের অন্ধকারে ঘুরে বেড়িয়েছেন। কোথাও কোনো অন্যায়, অবিচার, বৈষম্য, দারিদ্র্য চোখে পড়লে বা জানতে পারলে অনতিবিলম্বে তার প্রতিকারের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন। জানা যায় যে কয়েক শতাব্দী পূর্বে চীন ও পূর্ব এশিয়ার কোনো কোনো দেশে প্রজাহিতৈষী রাজাদের সময়ে জনসাধারণের অবস্থা সম্পর্কে সরেজমিন তথ্য সংগ্রহের জন্য নিয়মিত রাজকর্মচারী নন, এমন ব্যক্তিদের কাজে লাগানো হতো। রোমান সাম্রাজ্যের গৌরবময় যুগে রাজকীয় আনুকূল্যেই সমাজের নিচুতলার মানুষের স্বার্থ রক্ষার জন্য ‘প্লেবিয়ান অ্যাসেম্বলি’ এবং ‘ত্রিবিউন’ নিযুক্ত বা নির্বাচিত করা হতো। জানা যায়, তাঁরা রাজ্যের নিয়মিত প্রশাসনযন্ত্রের আওতামুক্ত থেকে তাঁদের কাজ করতেন। এমনকি রাজানুকূল্যের ছত্রচ্ছায়ায় বিভিন্ন শক্তিশালী কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারমূলক বা বিধিবহির্ভূত সিদ্ধান্ত বা গৃহীত ব্যবস্থা স্থগিতকরণ বা পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতাও তাঁদের ছিল। তাঁরাই আধুনিক কালের ‘ন্যায়পাল’–এর পূর্বসূরি।
আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনপ্রশাসনকে অধিকতর কার্যকর ও দায়িত্বশীল হিসেবে গড়ে তোলা; রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়বদ্ধতা সুনিশ্চিত করা এবং কল্যাণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে সুসংহত রূপদানের জন্য ‘ন্যায়পাল’–এর ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এ পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় শতাধিক দেশে ‘ন্যায়পাল’ (বিভিন্ন নামে) পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সংবিধান ও আইন দ্বারা ‘ন্যায়পাল’ পদের দায়িত্ব-কর্তব্যের পরিধি, যোগ্যতা প্রভৃতি বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে।
২.
এ ছাড়া ‘অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড অম্বুডসম্যান অ্যাসোসিয়েশন’, ‘ভেনিস কমিশন’ প্রভৃতি আন্তরাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান প্রণীত নীতিমালা বা সুপারিশমালায়ও অনেক বিষয় বর্ণিত হয়েছে। ‘ন্যায়পাল’ পদবাচ্যটি এখন বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে জনপ্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি সুপরিচিত শব্দ। সাধারণভাবে ‘ন্যায়পাল’ বলতে রাষ্ট্র কর্তৃক নিযুক্ত প্রজাতন্ত্রের এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে বোঝানো হয়ে থাকে, যিনি পাবলিক বা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষের বিষয়ে প্রজাতন্ত্রের যেকোনো নাগরিক বা সংস্থা কর্তৃক উত্থাপিত বা আনীত অভিযোগ আমলে নিয়ে থাকেন। অতঃপর সেসব অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা তথ্য প্রমাণাদি পর্যালোচনাপূর্বক সেসবের নিরসন, সংশোধন বা প্রতিকারের জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন এবং রিপোর্ট প্রকাশ করেন। ক্ষেত্রভেদে ন্যায়পাল স্বয়ং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেও উদ্যোগী হতে পারেন। ‘ন্যায়পাল’ সব ধরনের প্রভাবমুক্ত থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তাঁর কাজ সম্পন্ন করবেন। ‘ন্যায়পাল’–এর কর্মপদ্ধতির সর্বজনীনতা ও স্বচ্ছতা থাকায় এবং তিনি বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বা সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পর্কমুক্ত ও প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করেন বিধায় ফরিয়াদি-অভিযুক্তসহ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরের সব মহলের কাছেই তাঁর কাজের বা মতামতের গুরুত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা সমধিক।
বয়স্ক ভাতা সহসাধারণ মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষাবলয়ের আওতা ক্রমে সম্প্রসারিত হচ্ছে। এসব বহুমুখী ও বিশাল কর্মকাণ্ডের ফলে আপামর জনসাধারণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করে দেশকে একটি প্রকৃত জনকল্যাণমূলক ও উন্নত দেশে রূপান্তরের বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদের সঞ্চার হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দেশে সাংবিধানিক ‘ন্যায়পাল’–এর পদ সৃষ্টির পরিবেশ বর্তমানে বিরাজমান, এ কথা বলা যেতেই পারে।
বিশ্বব্যাপী এটা এখন প্রতিষ্ঠিত বাস্তব যে গণতন্ত্র ও ন্যায়পালের পারস্পরিক সম্পর্ক প্রায় অবিভাজ্য। আধুনিক কালে ন্যায়পাল পদ্ধতি প্রবর্তনের সূতিকাগার হিসেবে সুইডেন ও নরওয়ের উদ্যোগ সর্বজনস্বীকৃত। অন্য স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোও তাদের প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে বর্তমান ‘ন্যায়পাল’–এর পদ সৃষ্টি করে। সব কল্যাণমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রই তাদের নাগরিকের সব ধরনের অধিকার রক্ষায় ও প্রকৃত স্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধানে সততই তৎপর। ‘ন্যায়পাল’ সরকারগুলোর এই ঐকান্তিক প্রয়াসে প্রকৃত সহায়কের ভূমিকা পালন করে এবং তাদের হাতকে শক্তিশালী করে থাকে। তবে এটা গুরুত্বপূর্ণ যে ‘ন্যায়পাল’ পদ বা প্রতিষ্ঠানকে যথাযথ কার্যকর রূপ প্রদান করতে হলে কতকগুলো বিষয়ে আমাদের একমত হওয়ার আবশ্যকতা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে:
ক) ন্যায়পালের কর্মপরিধি ও ক্ষমতা সুনির্দিষ্টরূপে বর্ণিত থাকতে হবে এবং তাঁকে তাঁর দায়িত্ব পালনে স্বাধীন থাকতে দিতে হবে।
খ) ন্যায়পালের নিরপেক্ষতা, কার্যপদ্ধতির স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতাও নিশ্চিত করতে হবে।
গ) ন্যায়পালের দেশের জনপ্রশাসন এবং সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের কর্মধারা সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা তাঁর দায়িত্ব পালনে সহায়ক হতে পারে।
ঘ) ন্যায়পালকে অনিবার্য কারণে অপসারণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য পদ্ধতির অনুরূপ পদ্ধতি অনুসরণ করে অথবা পার্লামেন্টের মাধ্যমে বিধি প্রণয়নপূর্বক তা করা যেতে পারে।
রাষ্ট্রের পরিসীমার মধ্যে জনস্বার্থে দায়িত্ব সম্পাদনকারী বিভিন্ন রাষ্ট্রীয়, সরকারি কিংবা বৃহৎ বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ত্রুটি, বিচ্যুতি, কর্তৃত্বের অপপ্রয়োগ বা সীমালঙ্ঘন প্রভৃতি চিহ্নিত করে সেসবের সংশোধন, পরিমার্জন, আবশ্যক ক্ষেত্রে তা রহিতকরণ ইত্যাদির মাধ্যমে জনস্বার্থ সংরক্ষণ ন্যায়পালের প্রকৃত দায়িত্ব হিসেবে পরিগণিত হবে। এসব কর্মের দ্বারা ন্যায়পাল রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সুশাসন নিশ্চিত করার কাজে জনপ্রশাসনকে অধিকতর ফলপ্রসূ করে রাষ্ট্রকে যথার্থই কল্যাণমূলক করে তোলার ক্ষেত্রে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের জন্য সহায়ক হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে। রাষ্ট্রে ন্যায়পালের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণেই ন্যায়পালের নিয়োগপদ্ধতিও সে মতো হওয়াই আবশ্যক। পার্লামেন্টের মাধ্যমে একটি উপযুক্ত কমিটি এরূপ নিয়োগের জন্য সুপারিশ প্রদান করতে পারে এবং রাষ্ট্রপ্রধান কর্তৃক এই নিয়োগ কার্যকর করা যেতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোনো কোনো দেশে আবার প্রতিষ্ঠান বা বিষয়ভিত্তিক ন্যায়পাল পদ্ধতিও চলমান। যেমন শিল্পপ্রতিষ্ঠান–বিষয়ক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকিং–বিষয়ক, রাজস্ব ও করবিষয়ক ইত্যাদি। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে এ ধরনের বিষয়ভিত্তিক ন্যায়পাল যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে বলে প্রতীয়মান হয় না। এ ছাড়া সে ক্ষেত্রে বহুসংখ্যক ‘ন্যায়পাল’–এর পদ সৃষ্টির আবশ্যকতা দেখা দেবে। বরং প্রকৃত ‘সাংবিধানিক ন্যায়পাল’ নিয়োগই শ্রেয় হবে বলে বিবেচনা করি।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অব্যবহিত পরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে গণপরিষদ কর্তৃক প্রণীত ১৯৭২ সালের সংবিধানের ৭৭ ধারায় ‘ন্যায়পাল’ পদ সৃষ্টির বিষয়টিকে সমধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের আর্টিকেল ৭৭ (১), (২) ও (৩) ধারায় ‘ন্যায়পাল’ পদ সৃষ্টি, ন্যায়পালের কর্মের ধারা, কর্মপরিধি ও করণীয় বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের বিষয়েও বলা হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবরণের পর দীর্ঘকাল গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশের পথ ব্যাহত হওয়ায় সংবিধান মোতাবেক দেশে ন্যায়পাল পদটির সৃষ্টি হয়নি। ১৯৮০ সালে দেশে ‘ন্যায়পাল আইন’ নামে একটি আইন প্রণীত হলেও তা যথেষ্ট ত্রুটিপূর্ণ ছিল। পরে ২০০৫ সালে দেশে ‘ট্যাক্স অম্বুডসম্যান’–এর একটি পদ সৃষ্টি করা হলেও প্রচেষ্টাটি ফলপ্রসূ প্রমাণিত হয়নি।
বর্তমানে দেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোসহ জনপ্রশাসনকে গতিশীল করার জন্য সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। একদিকে যেমন মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রভৃতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে; তেমনি দুর্নীতি দমন কমিশনকে পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী করা হয়েছে।
পাবলিক সার্ভিস কমিশন এবং নির্বাচন কমিশনকেও পূর্বের তুলনায় অনেক সংগঠিত করা হয়েছে। বিভিন্ন সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকেও পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর করা হয়েছে। বিচারকার্য ত্বরান্বিত করার জন্য দ্রুত বিচার আদালত, বিভিন্ন ট্রাইব্যুনাল, প্রশাসনিক আপিল আদালত প্রভৃতিও কার্যকর করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাঠপর্যায়ে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংখ্যাও অনেক বৃদ্ধি করা হয়েছে। খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি মানুষের অন্যান্য মৌলিক চাহিদা শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান দেশের সবার জন্য নিশ্চিত করার অত্যন্ত মহতী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বয়স্ক ভাতা সহসাধারণ মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষাবলয়ের আওতা ক্রমে সম্প্রসারিত হচ্ছে। এসব বহুমুখী ও বিশাল কর্মকাণ্ডের ফলে আপামর জনসাধারণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করে দেশকে একটি প্রকৃত জনকল্যাণমূলক ও উন্নত দেশে রূপান্তরের বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদের সঞ্চার হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দেশে সাংবিধানিক ‘ন্যায়পাল’–এর পদ সৃষ্টির পরিবেশ বর্তমানে বিরাজমান, এ কথা বলা যেতেই পারে।
ইকরাম আহমেদ বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান