রোহিঙ্গা ইস্যু আঞ্চলিক নেতাদের জন্য পরীক্ষা

নারকীয় অত্যাচার থেকে প্রাণে বাঁচতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে বিভিন্ন দেশে
নারকীয় অত্যাচার থেকে প্রাণে বাঁচতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে বিভিন্ন দেশে

পাকা ও দূরদর্শী কূটনীতিক ছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার। সেটা তিনি প্রথমবার প্রমাণ করেন একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়। দ্বিতীয়বার প্রমাণের জন্য তাঁর একটি উপলক্ষের প্রয়োজন ছিল এবং সেই উপলক্ষ পেতে তাঁর কোনো বেগ পেতে হয়নি। জীবনের পড়ন্ত বেলায় তিনি খুঁজে বের করেন বিশ্বের এক বিশাল গণতন্ত্রবাদিনীকে, ২০১২ সালে তাঁর সম্মানে নিউইয়র্ক মহানগরীতে কিসিঞ্জার ও তাঁর সমগোত্রীয়রা এমন এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন, যা ব্রিটেনের রানি, ইরানের রেজা শাহ পাহলভি এবং জাপানের সম্রাট হিরোহিতো পর্যন্ত পাননি। গণতন্ত্রবাদিনীর উদ্দেশে সেদিন কিসিঞ্জার সাহেব যা বলেছিলেন, তা স্তুতি হিসেবে অপূর্ব: ‘সু চি এমন এক আদর্শ, যা সংঘাতকে পাল্টে দিয়ে সমাজকে রিকনসিলিয়েশন বা পুনরেকত্রকরণের দিকে নিয়ে যাওয়ার মহান কাজটি করতে পারে।’

নিউইয়র্কবাসীদের প্রবল করতালির মধ্যে তাঁর এই শ্রদ্ধার্ঘ্য গণতন্ত্রবাদিনী হাসিমুখে উপভোগ করেন। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই বহু জাতি বহু ধর্মের বহু ভাষাভাষী মানুষ বাস করে। তাদের মধ্যে স্বার্থের সংঘাত আছে। তা নিয়ে হানাহানি আছে, রক্তপাত পর্যন্ত হয়। সেই রকম একটি বিশ্বে যদি কোনো মহামানবী বা মহাগণতন্ত্রীর আবির্ভাব ঘটে, তাকে দুনিয়ার মানুষের সৌভাগ্যই বলতে হবে।

আমেরিকার তদবিরে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার করায়ত্ত করেন। পুরস্কারস্বরূপ সোনার মেডেল ও বিপুল অঙ্কের টাকা আনতে গিয়ে তিনি ২০১২ সালে যে ভাষণ দেন, তা শুধু একজন মহামানবীর মুখেই শোভা পায়। কী চমৎকার ভাষায় তিনি বলেছিলেন: ‘চূড়ান্তভাবে আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত বাস্তুচ্যুত, গৃহহীন ও আশাহীন মানুষমুক্ত একটি পৃথিবী নির্মাণ। তা হবে এমন এক পৃথিবী, যার প্রতিটি প্রান্ত হবে সত্যিকার এক আশ্রয়স্থল। সেখানে প্রতিটি মানুষ থাকবে স্বাধীন এবং তাতে থাকবে শান্তিতে বসবাসের পরিস্থিতি।’

তাঁর প্রতিটি কথা সেদিন নোবেল কমিটির কর্তারা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনে করতালি দেন। তাঁর দেশে কেউ আজ বাস্তুচ্যুত নয়, তাঁদের প্রদেশ আরাকানে কেউ আজ গৃহহীন নয়, আশাহীন নর-নারী তাঁর দেশে একজনও নেই। তাঁর দেশে আজ প্রত্যেকে স্বাধীন; যেমন ডেনমার্ক, সুইডেন, নরওয়ে বা ফিনল্যান্ডের মানুষ স্বাধীন। তাঁর দেশের মানুষ একেবারে রীতিমতো শান্তিতে বসবাসের পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। তিনি ফতোয়া দিয়েছিলেন, পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্ত হবে যেকোনো বাস্তুচ্যুত, গৃহহীন ও অসহায় মানুষের আশ্রয়স্থল। তাঁর প্রত্যাশামতো এখন তো দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশের উখিয়া, টেকনাফ ও শাহপরীর দ্বীপই তাঁর কল্পিত ভূখণ্ড।

সু চির কর্মকাণ্ডে আজ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সবাই লজ্জিত। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা ডেসমন্ড টুটু, তিনিও নোবেল বিজয়ী, তাঁর বয়স ৮৫, এক খোলা চিঠিতে সু চিকে লিখেছেন, ‘বার্ধক্য আমাকে গ্রাস করেছে, আমি এখন জরাগ্রস্ত, সবকিছু থেকে অবসর নিয়েছি। ঠিক করেছিলাম, সর্বজনীন বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে আর কিছু বলব না। কিন্তু আজ তোমার দেশের সংখ্যালঘু মুসলমানদের গভীর সংকটে সেই নীরবতা আমি ভাঙছি।’ সাবেক ওই আর্চবিশপ লিখেছেন, ‘হে আমার বোন, মিয়ানমারের রাজনৈতিক ক্ষমতার শিখরে পৌঁছানোই যদি তোমার নীরবতার কারণ হয়ে থাকে, তার জন্য সত্যিই বড় বেশি দাম দিতে হচ্ছে...আমরা প্রার্থনা করি, তুমি ন্যায়বিচারের পক্ষে মুখ খোলো, মানবতার পক্ষে কথা বলো, দেশের মানুষের ঐক্যের জন্য কথা বলো। আমরা প্রার্থনা করি, যাতে তুমি [এই নিপীড়ন বন্ধে] হস্তক্ষেপ করো।’ তারও আগে মহামান্য পোপ একই রকম প্রার্থনা করেছিলেন। তিব্বতের বৌদ্ধধর্মের নেতা দালাই লামাও সু চিকে বুদ্ধের অহিংসার আদর্শ অনুসরণের অনুরোধ জানিয়েছেন।

জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে, অল্প ব্যতিক্রম বাদে, মিয়ানমারের নেত্রীকে তিরস্কার ও ধিক্কার জানাচ্ছে এবং এই ধিক্কার তাঁরাই জানাচ্ছেন, একদিন যাঁরা সবাই ছিলেন তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। নব্বইয়ের দশকে এবং এই শতকের প্রথম দশকে আমার কলমও তাঁর গুণগান গেয়েছে। অক্সফোর্ডের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত একজন নেত্রী, যিনি তাঁর দেশে সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন গণতন্ত্রের জন্য, প্রশংসা ও সমর্থন তাঁর অবশ্যই প্রাপ্য। তবে হিটলারও নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় গিয়েছিলেন। ইহুদিরাও অনেকে তাঁকে ভোট দিয়ে থাকবেন।

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) নামক একটি সশস্ত্র সংগঠন গত মাসে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর চৌকিতে আক্রমণ চালায়। তাতে বহু হতাহত হয়। ওই ধরনের তৎপরতা অবশ্যই নিন্দনীয়। আরসার লোকদের আইনের আওতায় নিয়ে বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে পারত সরকার। আরসা কাদের সৃষ্টি, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। পৃথিবীর বহু দেশে উগ্রপন্থীদের উপদ্রব রয়েছে। ধর্মের নামেই হোক বা কমিউনিজমের নামেই হোক, যেকোনো অধিকার আদায়ের গণতান্ত্রিক উপায় শেষ হয়ে গেলেই মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নেয়, যদিও শান্তিপূর্ণ উপায়ই শ্রেষ্ঠ উপায়।

কয়েক দিন যাবৎ আমাদের দু-তিনটি গণমাধ্যম আরসার সন্ত্রাসী তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। প্রবল প্রগতিশীল কোনো কোনো বিশ্লেষক এমনভাবে কথা বলছেন, যেন রোহিঙ্গা যুবকেরা সে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সেখানেই রয়ে গেছে। তারা ঠেলে পাঠিয়ে দিয়েছে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের, যাতে বিশ্বজনমত সৃষ্টি হয় তাদের সপক্ষে। বাংলাদেশের পাঠক-শ্রোতারা অনেকে মনে করছেন, সশস্ত্র গ্রুপ বলতে মিয়ানমারে শুধু আরসা। তা ছাড়া সারা দেশ অতি শান্ত এবং রোহিঙ্গা ছাড়া আর সব মানুষ অতি সুখ-শান্তিতে বসবাস করছে।

জন্মের পর থেকে গণতন্ত্রের মুখ দেখেনি যে দেশ কোনো দিন, সেখানে বৈধ-অবৈধ রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সংখ্যা ৮৫টির কম নয়। জাতীয় পর্যায়ে বৃহত্তম দল সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। দ্বিতীয় বড় দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি), ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টি (এনইউপি), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফোর্স (এনডিএফ), বার্মা কমিউনিস্ট পার্টি প্রভৃতি। তা ছাড়া আঞ্চলিক ও বিভিন্ন জাতিসত্তারও সংগঠন রয়েছে। তার মধ্যে প্রধান অল মোন ডেমোক্রেসি পার্টি, চীন ন্যাশনাল পার্টি, কারেন ডেমোক্রেটিক পার্টি, রাখাইন ন্যাশনালিটিস ডেভেলপমেন্ট পার্টি, রাখাইন স্টেট ন্যাশনাল ফোর্স অব মিয়ানমার, শান ন্যাশনালিটিজ ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রভৃতি। কিন্তু যত দলই থাক, আদি ও অকৃত্রিম দল একটাই, তার নাম তাতমাদাউ (tatmadaw) সেনাবাহিনী। এর সদস্যসংখ্যা চার লাখ এবং তার সহযোগী বৌদ্ধ ভিক্ষুর সংখ্যা চার লাখ ও বৌদ্ধ সন্ন্যাসিনীর সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। সাকল্যে এই ৮ লাখ ৪০ হাজারই দেশের ভাগ্যবিধাতা। ক্ষমতা পাকা ও স্থায়ী করতে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন গণতন্ত্রবাদিনী সু চি।

মানুষের এমন কিছু অধিকার আছে, যা তার জন্মগত। তা থেকে তাকে বঞ্চিত করে এমন শক্তি কোনো রাষ্ট্র বা সরকারের নেই। মিয়ানমার পৃথিবীর এমন একটি রাষ্ট্র, যা তার দেশের অসংখ্য জনগোষ্ঠীর সেই অধিকার হরণ করছে ৭০ বছর যাবৎ। এর ফলে প্রকাশ্য রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সে দেশে বহু সশস্ত্র সংগঠনের জন্ম হয়েছে। সেগুলোর সঙ্গে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বহু দিন যাবৎ লড়াই চলছে।

চৈনিক-তিব্বতীয় কারেনিকভাষী কারেন জনগোষ্ঠী বার্মার বৃহত্তম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। তাদের রয়েছে কারেন ডেমোক্রেটিক পার্টি, ডেমোক্রেটিক কারেন বুড্ডিস্ট আর্মি, ডেমোক্রেটিক কারেন বেনোভলেস্ট আর্মি, কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি, কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন প্রভৃতি। তারা তাদের স্বাধিকারের জন্য সংগ্রাম করছে এবং নিপীড়িত হচ্ছে। কারেন বিদ্রোহীদের ওপরও সামরিক অভিযান চলছে বহু বছর যাবৎ। মিয়ানমার বাহিনী শুধু বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র প্রয়োগ করে না, নারী ধর্ষণের পূর্ণ অধিকার রয়েছে তাদের: উইম্যান ইন ইথনিক এরিয়াস কনটিনিউ ডু বি সাবজেকটেড ডু র‍্যাপ ইনক্লুডিং গ্যাং র‌্যাপ বাই দ্য বার্মিজ আর্মি। দিজ অ্যাটাকস আর কমিটেড উইথ কমপ্লিট ইম্পুনিটি। [উইমেনস লিগ অব বার্মার ‘রিপোর্ট অব সিস্টেমেটিক সেক্সচুয়াল ভায়োলেন্স ইন বার্মাস এথনিক এরিয়াস’।]

মৌলবাদী বৌদ্ধ ভিক্ষু উ উইরাথু এই শতকের শুরুতে ‘বৌদ্ধ ধর্ম ও বর্মন জাতি এবং তাদের ভাষাকে মুসলিম প্রভুত্ব (মুসলিম কনকুয়েস্ট)’ থেকে বাঁচাতে মুসলিম-অধ্যুষিত আরাকান প্রভৃতি এলাকায় দাঙ্গা বাধান। তখন টাইম ম্যাগাজিন প্রচ্ছদজুড়ে তাঁর ছবি দিয়ে ওই সংখ্যার শিরোনাম করেছিল: ‘দ্য ফেস অব বুড্ডিস্ট টেরর’।

কোনো দেশের বিদ্রোহী কোনো গ্রুপকে দমন করা এক কথা আর কোনো ধর্মাবলম্বী ও ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করতে সামরিক অভিযান পরিচালনা অন্য জিনিস। নারকীয় অত্যাচার থেকে প্রাণে বাঁচতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশে আগে ঢুকেছিল ৪ লাখের বেশি, গত দুই সপ্তাহে ঢুকেছে ৩ লাখ এবং শরণার্থী অনুপ্রবেশ অব্যাহত আছে। সরকারের অনেক কাজের আমরা সমালোচনা করি। কিন্তু লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যা করেছে, পৃথিবীতে এমন দৃষ্টান্ত বিরল। আমাদের ভূমি ও সম্পদ সীমিত।

এক মিডিয়া আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, এই পরিস্থিতিতে করণীয় কী? আমি বলেছিলাম, ব্যাপারটা উল্টা হলে মিয়ানমার যা করত, বাংলাদেশের তা-ই করণীয়, কিন্তু বাংলাদেশ বর্বর নয়। বর্মিরা যা করে, বাঙালিরা তা করতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পর্যন্ত সব সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে সৎপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ করে আসছে। সেই বন্ধুত্বের প্রতিদান বর্মিদের থেকে বাংলাদেশ পায়নি।

রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা ছাড়া এই সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। সেই প্রশ্নে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োজন। দুই সপ্তাহে হাজারখানেক রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে, যাকে বলা যায় পৃথিবীর নৃশংসতর গণহত্যাগুলোর একটি। জাতিসংঘের আসন্ন সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যু জোরালোভাবে উত্থাপিত হবে বলে ধারণা করি। তা ছাড়া মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত বর্মি নেতাদের বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে (আইসিসি) অবিলম্বে মামলা হওয়া উচিত। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে শরণার্থীদের ফেরত নিতে হবে। তা না হলে সমস্যার সমাধানে একাধিক বিকল্পের কথা চিন্তা করতে হবে বাংলাদেশকে। বর্মিদের এই জাতিগত নিশ্চিহ্নকরণ যদি মেনে নেওয়া হয়, তাহলে এই কুদৃষ্টান্ত অনেক দেশই অনুসরণ করতে পারে। বর্মি বর্বরতার কারণে এই অঞ্চলে অস্থিরতা দেখা দিলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশের ঘাড়ে সব বোঝা চাপিয়ে দিয়ে অঞ্চলের অন্যান্য দেশের নেতারা যদি নীরব থাকেন, তা হবে তাঁদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা। আঞ্চলিক নেতৃত্বের জন্য রোহিঙ্গা ইস্যু একটি পরীক্ষা। তাঁদের প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করবেন, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

সৈয়দ আবুল মকসুদ: লেখক ও গবেষক।