পশ্চিমবঙ্গসহ তিন রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পরাজয়ের পরে একটি সর্বভারতীয় বিরোধী জোট তৈরির কাজ যে পুরোদমে শুরু হয়েছে, তা পরিষ্কার। মে মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ১২টি দলের ১২ জন নেতা–নেত্রী যৌথভাবে চিঠি লিখেছেন। তাঁরা বলেছেন, কোভিড মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকারের কী করণীয়। এই চিঠিই শুধু নয়, একটি যৌথ বিবৃতিও তাঁরা প্রকাশ করেছেন। এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ। ২৩ মের বিবৃতিতে তাঁরা কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন। আন্দোলনকে সমর্থন জানানোর মাধ্যমে এভাবেই ১২টি দলের প্রধানেরা ভবিষ্যতে জোট গঠনের লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপটি নিয়েছেন। তাঁদের অঙ্গীকার সামনে এসেছে এমন একটা সময়ে, যখন বিজেপির প্রধান মুখ নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা ক্রমেই কমছে।
‘মর্নিং কন্সাল্ট’ নামে আমেরিকার একটি রাজনৈতিক খবর বিশ্লেষণকারী সংস্থা পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের জনপ্রিয়তা বিচার করে প্রতি সপ্তাহে প্রতিবেদন বের করে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ১৭ মে নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা ছিল ৬৩ শতাংশ। সংস্থাটি যে সময় থেকে নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা মাপছে (২০১৯-এর আগস্ট) সেই সময় থেকে এটা মোদির সর্বনিম্ন জনপ্রিয়তা, জানিয়েছে ‘মর্নিং কন্সাল্ট’।
২০১৬ সালে বিমুদ্রাকরণ ও তার জেরে পাঁচ বছর পরও ব্যবসা-বাণিজ্যের বেহাল অবস্থা, নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের জেরে দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে কৃষকদের সঙ্গে কথাবার্তা না বলে বিতর্কিত আইন পাস করানো এবং দুই দফায় কোভিডের ধাক্কায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু মোদির জনপ্রিয়তা কমিয়েছে। বিজেপির নেতারাও স্বীকার করছেন, এই রকম অবস্থা ২০১৪ সালের পরে হয়নি। এটা বুঝেই বিরোধীরা যে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা শুরু করেছেন, তা মে মাসের চিঠি ও বিবৃতি থেকে স্পষ্ট।
এই বিরোধীরা কারা?
চিঠি ও বিবৃতিতে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নাম রয়েছে গোড়াতেই। তারপর যথাক্রমে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কর্ণাটকের এইচ ডি দেবগৌড়ও ও মহারাষ্ট্রের প্রবীণ নেতা ও ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) প্রধান শরদ পাওয়ারের নাম। এরপরই শুরু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকা, যার গোড়াতেই রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। তারপর রয়েছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, তামিলনাড়ুর এম কে স্তালিন ও ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেনের নাম। এরপর রয়েছেন দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী-জম্মু-কাশ্মীরের ফারুক আবদুল্লাহ ও উত্তর প্রদেশের অখিলেশ যাদব। স্বাক্ষরকারীর তালিকা শেষ হচ্ছে বিহারের বিরোধী নেতা ও লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব, দুই কমিউনিস্ট পার্টি, সিপিআইএম ও সিপিআইএর দুই সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ও ডি রাজাকে দিয়ে। মোটামুটিভাবে গোটা ভারতের বিজেপিবিরোধী নেতা–নেত্রীদের নাম রয়েছে তালিকায়।
এমন কয়েকজনের নাম নেই, যাঁরা কোন দিকে আছেন, তা নিয়ে ভারতে সব সময়ই একটা বিভ্রান্তি থাকে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ওডিশা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, অন্ধ্রপ্রদেশের বিরোধী নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু ও ওই রাজ্যেরই মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। রেড্ডি কংগ্রেসের বিরোধী, আবার তিনি সম্পূর্ণভাবে বিজেপিকে সমর্থনও করেন না। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও, উত্তর প্রদেশের দলিত সম্প্রদায়ের নেত্রী বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতী ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নামও তালিকায় নেই। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের দল অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-মুসলিমিনের নামও অনুপস্থিত।
জোটের নেতা কে?
নেতৃত্বের প্রশ্ন আপাতত নেই। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, একটি নির্দিষ্ট মুখকে সামনে নিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা বাড়বে। এই বিষয়ে দুটি মত রয়েছে। এক পক্ষ মনে করে, কোনো প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে সামনে না রেখে ধর্মনিরপেক্ষ জোটের সবাইকে নিয়ে এগোনো উচিত। অন্যমত হলো, মোদির মতো শক্তিশালী ভাবমূর্তির নেতার সঙ্গে পাল্লা দিতে নির্দিষ্ট মুখকে সামনে নিয়ে আসা দরকার। সর্বসম্মতিক্রমে সম্ভবত দুজন এই জোটের নেতা হতে পারেন। একজন হলেন সোনিয়া গান্ধী, অপরজন শারদ পাওয়ার। কিন্তু সমস্যা দুজনকে নিয়েই।
সোনিয়া গান্ধীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা কানাঘুষো রয়েছে। তাঁর দলও স্পষ্ট করে বলেনি, কী কারণে তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হয়। দ্বিতীয়ত, সোনিয়া জোটের নেত্রী হিসেবে সামনে এলেই বিজেপি তাঁর বংশ পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। এসব সত্ত্বেও নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর সোনিয়া গান্ধী বেশ খানিকটা সক্রিয় হয়েছেন। তাঁর নাম বিবৃতির গোড়ায় রয়েছে এবং নানা বিষয় নিয়ে তিনি নিয়মিত মন্তব্য করছেন।
শারদ পাওয়ারের বিরোধী রাজনীতিতে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তিনি সবার সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন এবং তাঁর দল এনসিপি প্রায় দুবছর মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সরকার চালাচ্ছে। শিল্পপতিদের ঘনিষ্ঠ নেতা বলেও তাঁকে মনে করা হয়। কিন্তু তাঁরও বয়স হয়েছে এবং তিনি কয়েক বছর আগে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এঁদের দুজনকে বাদ দিলে সামনে আসে দুজনের নাম। কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাহুল-মমতার সম্ভাবনা
দুজনেরই নির্দিষ্ট শক্তি ও দুর্বলতা রয়েছে। প্রথমে রাহুলের কথা বলা যাক। তাঁর শক্তি হলো তাঁর দল, ভারতের জাতীয় কংগ্রেস দেশের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে অন্তত ১৫টিতে নানা ভূমিকা পালন করছে। তিনটি রাজ্যে কংগ্রেস এককভাবে সরকার চালাচ্ছে, তিনটি রাজ্যে তারা প্রধান দলের শরিক হিসেবে কাজ করছে এবং গোটা দশেক রাজ্যে কংগ্রেস এখনো প্রধান বিরোধী শক্তি। গত দুটি লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ফল দেখে বোঝা যাবে না যে তারা রাজ্যস্তরে এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী। ফলে কংগ্রেসকে ছাড়া জাতীয় স্তরে কোনো বিরোধী রাজনৈতিক জোট গড়া সম্ভব নয়। এটাই রাহুল গান্ধীর শক্তির জায়গা।
তাঁর দুর্বলতা হলো তিনি নিজে সামনে থেকে কংগ্রেসকে কোনো বড় রাজ্য বা জাতীয় স্তরে জেতাননি। রাজ্যস্তরে কংগ্রেস জিতেছে মূলত আঞ্চলিকভাবে শক্তিশালী নেতা, যেমন পাঞ্জাবে অমরিন্দর সিং বা রাজস্থানে অশোক গেহলতের জন্য। ২০১৯ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস হেরেছে রাহুল গান্ধীর সভাপতিত্বে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রী, যিনি তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, বাম ও দক্ষিণপন্থী শক্তিকে পরাজিত করেছেন, কোনো পারিবারিক সাহায্য ছাড়া নিজের চেষ্টায় উঠে এসেছেন এবং প্রায় ৫০ বছর রাজনীতি করছেন, তাঁর পক্ষে রাহুল গান্ধীকে নেতা হিসেবে মেনে নেওয়া কঠিন। বিশেষত ’২১–এ নির্বাচনে জেতার পরে। বিজেপি তার গোটা রাষ্ট্রযন্ত্র, প্রযুক্তি, পর্যাপ্ত অর্থ ব্যয় করেও মমতাকে হারাতে পারেনি। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শক্তি। হয়তো এই কারণেই নির্বাচনে জেতার অনেক আগে গত মার্চ মাসে মমতা বলেছিলেন, ‘আমরা তোমাদের (বিজেপিকে) পরিবর্তন করব দিল্লিতে, বাংলা জিতলেই দিল্লিতে ঝাঁপাব। বিজেপিকে হারাব, একেবারে দিল্লি ছাড়া করব।’ মমতা যে নিজেকে এই সম্ভাব্য জাতীয় জোটের প্রধান হিসেবে দেখবেন তা বলা বাহুল্য।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্যা রাহুল গান্ধীর ঠিক উল্টো। কংগ্রেসের এখনো অনেক রাজ্যে সংগঠন আছে, ভালো আঞ্চলিক নেতাও আছেন, কিন্তু শক্তিশালী কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তিশালী নেত্রী রয়েছেন, কিন্তু অন্য রাজ্যে তেমন কোনো সংগঠন বা আসন নেই।
জাতীয় নেতা হিসেবে উঠে আসতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়োজন কংগ্রেসের মতো দলের সমর্থন। প্রশ্ন হলো, এটা কংগ্রেস কেন করবে। নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপিবিরোধী সর্বভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষ নেতা বা নেত্রীর জায়গা এখনো খালি রয়েছে, কংগ্রেস মনে করে আগামী দিনে সেই শূন্যস্থান পূর্ণ করবে রাহুল গান্ধীই। তবে যেচে কেন রাহুলের একজন প্রতিপক্ষ কংগ্রেস তৈরি করবে, এই প্রশ্নের এই মুহূর্তে একটাই উত্তর।
ভারতের সব বিরোধী দলই মনে করছে বিজেপিকে সরাতে না পারলে, তারা সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে যাবে। বিজেপি আর পাঁচটা দলের মতো ভিন্নমত বা আদর্শকে সহ্য করতে পারে না। উদাহরণ, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে হারার দুই সপ্তাহের মধ্যে পুরোনো দুর্নীতির মামলায় মন্ত্রিসভার দুজন শীর্ষ মন্ত্রীসহ চারজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টা বিরোধী দলগুলোর জন্য চিন্তার। এ ছাড়া তারা বুঝেছে, বিজেপির শরিক দল হিসেবে রাজ্যে বা কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকলেই যে বিজেপি সেই বন্ধু দলকে কাজকর্ম করতে দেবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। যে কারণে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স-এর (এনডিএ) ১৯ জন শরিক এনডিএ ছেড়ে দিয়েছে। শরিকদের কেউ কেউ এখন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সে রয়েছে, যেমন শিবসেনা।
ধীরে ধীরে এটাও স্পষ্ট হবে যে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে, অন্য গুরুত্বপূর্ণ নেতারা, যেমন শারদ পাওয়ার, স্তালিন, উদ্ধব ঠাকরে, অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব এঁরা কংগ্রেসকে ছেড়ে মমতার দিকে ঝুঁকছেন কি না।
বিজেপির প্রতি ভারতের আঞ্চলিক দলের বিশ্বাসহীনতা বিজেপির একটা বড় সমস্যা। এখনো বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার চালাচ্ছে, কিন্তু ভবিষ্যতে রাজ্যে বা কেন্দ্রে যদি তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তবে তাদের পক্ষে সহজে নতুন শরিক পাওয়া সম্ভব না–ও হতে পারে। বিজেপির ভয়ে বিরোধীরা অন্তর্দ্বন্দ্ব পাশে সরিয়ে এখন এক জোট হওয়ার চেষ্টা করছেন। এই জায়গা থেকেই হয়তো মমতা ও রাহুল পরস্পরকে মেনে নেবেন, আশা বিজেপি-বিরোধী দলের নেতা–কর্মীদের।
বিরোধীদের বড় সুবিধা
দেখা যাচ্ছে, ’২১–এ কংগ্রেস যেসব রাজ্যে ক্ষমতাশালী, সেখানে বড় কোনো বিজেপিবিরোধী স্থানীয় দল শক্তিশালী নয়। যেমন গুজরাট, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা প্রভৃতি। আবার অনেক রাজ্যে কংগ্রেসের পাশাপাশি বিজেপিবিরোধী দল থাকলেও কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের একটা জোট ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে রয়েছে। যেমন মহারাষ্ট্র, বিহার, ঝাড়খন্ড বা তামিলনাড়ু। আবার যেখানে আঞ্চলিক দল শক্তিশালী, সেখানে কংগ্রেসের অবস্থা বেশ খারাপ, যেমন পশ্চিমবঙ্গে। যেখানে যে শক্তিশালী সেখানে সে প্রার্থী দেবে, ২০১৯ সালের এই ফর্মুলার ভিত্তিতে ২০২১–এ আসন সমঝোতা করা খুব দুরূহ কাজ নয়। সমস্যা হলো, ভারতের জাতীয় নির্বাচন ২০২৪–এ। সে সময়ে অবস্থা কোথায় দাঁড়াবে, সেটাই প্রশ্ন।
আরও একটা বিষয় রয়েছে। উত্তর প্রদেশ ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য, সেখানে ৪০০টি বিধানসভা আসন রয়েছে, রয়েছে ৮০টি লোকসভা আসন। আর ১০ মাসের মধ্যেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। ভারতে নির্বাচনে জিততে গেলে উত্তর প্রদেশে জেতা জরুরি। উত্তর প্রদেশে কংগ্রেস সমাজবাদী পার্টির আসন সমঝোতা হবে, এটা যদি ধরে নেওয়া হয় তাহলেও প্রশ্ন হলো, এখানে বিজেপিকে জোট পরাস্ত করতে পারবে কি না। এই নির্বাচনের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।
নরেন্দ্র মোদি অবশ্য এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তাঁর প্রধান সেনাপতি অমিত শাহ অসংখ্য নির্বাচনে জিতেছেন। বিজেপির হাতে রয়েছে অর্থ, পরিকাঠামো, প্রশাসন ও জোরালো হিন্দুত্ববাদী আদর্শ, যার বিরাট অনুগামী রয়েছেন। এ ছাড়া মোদি-শাহের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা অপরিসীম। এই অবস্থায় বিরোধী দলগুলো একটা সুযোগ পেয়েছে। সেটা তারা কাজে লাগাতে পারল কি না, সেটা আগামী মার্চ-এপ্রিলে উত্তর প্রদেশ ও পাঞ্জাবের নির্বাচনে পরিষ্কার হবে। গুজরাটের নির্বাচন রয়েছে তারপর। উত্তর প্রদেশে হারার পর বিজেপি যদি গুজরাটেও হারে, তবে ধরে নিতে হবে তারা পিছু হটছে। যদি উল্টোটা হয়, তবে ধর্মনিরপেক্ষ জোটকে যে ২০২৯ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।
শুভজিৎ বাগচী প্রথম আলোর কলকাতা সংবাদদাতা