মতামত

বেলুচিস্তানে আটকে পড়ছে চীন

গত ২১ জানুয়ারি লাহোরের নিউ আনারকলি বাজারে বোমা বিষ্ফোরণে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়। বালুচ ন্যাশনালিস্ট আর্মি (বিএনএ) এই হামলা চালিয়েছে বলে সংগঠনটি দাবি করেছে।
ছবি: এএফপি

নারী চরিত্র ‘আনারকলি’র কাহিনি বাংলাদেশেও অনেকের কমবেশি জানা। লাহোরে যাঁর সমাধি। যিনি সম্রাট জাহাঙ্গীরের (আকবরপুত্র সেলিম) প্রেমিকা ছিলেন বলে কথিত আছে। অসফল সেই প্রেমের সাক্ষী হয়ে লাহোরে আজও দাঁড়িয়ে আছে আনারকলির স্মৃতিসৌধ। এই স্মৃতিসৌধের কাছেই দুই শতাব্দীর পুরোনো আনারকলি বাজার। এই বাজারের হাবিব ব্যাংকের শাখায় গেল সপ্তাহে বোমা ফাটিয়ে বালুচ ন্যাশনালিস্ট আর্মির (বিএনএ) গেরিলারা কেবল পাকিস্তানকে নয়, চমকে দিয়েছেন গণচীনকেও।

বালুচদের সশস্ত্র তৎপরতার নতুন তরঙ্গ

পাকিস্তান চার প্রদেশের দেশ হলেও পাঞ্জাব এখনো সব অর্থে চালকের আসনে আছে। বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীতে পাঞ্জাবের প্রভাব প্রশ্নাতীত। পাঞ্জাবকে অপেক্ষাকৃত সুরক্ষিত প্রদেশও মনে করা হয়। সেই প্রদেশের রাজধানীতে বালুচদের বোমাবাজি পাকিস্তানের জন্য চ্যালেঞ্জই বটে। যদিও এতে কেবল তিনজন মারা গেছে; তারপরও এই হামলা দেশে-বিদেশে মনোযোগ কেড়েছে।

লাহোরে হামলার মাধ্যমে বালুচরা দুটি নতুন বার্তা দিল। প্রথমত, আফগানিস্তানে ইসলামাবাদের প্রভাব বাড়ায় বেলুচিস্তান নিয়ে স্বস্তি আসার ধারণা ভুল। দ্বিতীয়ত, পাকিস্তানের যেকোনো জায়গায় বালুচ জাতীয়তাবাদীরা হামলা চালাতে সক্ষম। এই দুই বার্তায় পাকিস্তানের শাসকদের চেয়েও বেশি উদ্বিগ্ন গণচীন। বেলুচিস্তানে অর্থনৈতিক করিডর খুলে তারা বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে রেখেছে। আর বালুচ অসন্তোষের বড় নিশানা হয়ে হয়ে উঠেছে দুই দেশের সেই যৌথ করিডর।

আনারকলি বাজারের হামলার এক সপ্তাহের ভেতর বেলুচিস্তানের কেচ জেলায় পাহারাচৌকিতে হামলা চালিয়ে বিএনএ আরও ১০ সৈনিককে হত্যা করেছে। মনে হচ্ছে আফগানিস্তানের সশস্ত্র তৎপরতার ভরকেন্দ্র ক্রমে পাকিস্তানে ঢুকছে।

আলোচনায় ‘বালুচ ন্যাশনালিস্ট আর্মি’

বেলুচিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা বেশ পুরোনো। কিন্তু বিএনএ বা বালুচ ন্যাশনালিস্ট আর্মি সংগঠন হিসেবে নতুন। গত ১১ জানুয়ারি বালুচ রিপাবলিকান আর্মি (টিআর) এবং ইউনাইটেড বালুচ আর্মি (ইউবিএ) একত্র হয়ে এর জন্ম। গুলজার ইমাম নতুন এই বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

বিআরএ ও ইউবিএর বাইরেও বালুচদের আরও তিনটি সশস্ত্র সংগঠন রয়েছে বশির জেবের বালুচ লিবারেশন আর্মি, বখতিয়ার দমকির বালুচ রিপাবলিকান গার্ড এবং আল্লাহ নজরের বালুচ লিবারেশন ফ্রন্ট। এসব সংগঠনের ব্যানারে মূলত তিনটি বালুচ গোষ্ঠী পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে। এরা বুগতি, মেঙ্গল ও মারি গোত্রের তরুণ-তরুণী।

তবে পুরোনো সামন্তীয় গোত্র সরদার—যাদের অনেকে স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকছে ইউরোপে—তাদের থেকে চলতি সশস্ত্র আন্দোলানে নেতৃত্ব যাচ্ছে ক্রমে শিক্ষিত মধ্যবিত্তদের হাতে। গুলজার ইমাম নতুন এই প্রজন্মেরই প্রতিনিধি। যারা অনেকে পুরোনো সামন্তীয় গোত্র ব্যবস্থা আর পছন্দ করছে না। ইয়াহিয়া খান ও ভুট্টোর আমলের চেয়ে বালুচ সশস্ত্র তৎপরতার এই গুণগত পালাবদল পাকিস্তানের নিরাপত্তা কাঠামোর জন্য সুদূরপ্রসারী উদ্বেগের কারণ।

জাতিগত ক্ষোভের মূলে দারিদ্র্য

বালুচরা ইরান, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে ভাগ হয়ে পড়া প্রায় এক কোটি জনসংখ্যার জাতি। ৭৫ ভাগ পড়েছে তারা পাকিস্তানের সীমানার ভেতর বেলুচিস্তান ও সিন্ধুতে। বিভিন্ন ধরনের খনিতে কাজ, ব্যবসা ও পশু পালনের পাশাপাশি এখানকার নাগরিকদের বড় এক অংশ মাছ ধরে। এ রকম অনেকে এখন হাতে নিচ্ছে রাইফেল। অবিশ্বাস্য এই পালাবদলের মূলে জাতিগত বঞ্চনাবোধ।

পাঞ্জাবের চেয়ে বেলুচিস্তান ৫৫ হাজার বর্গমাইল বড় এবং সিন্ধুর চেয়ে বড় প্রায় ৮০ হাজার বর্গমাইল। কেবল আয়তনে নয়, নানান খনিজেও ধনী এই এলাকা। কিন্তু পাঞ্জাবি ও সিন্ধিদের চেয়ে উন্নয়নের সব হিসাবে পিছিয়ে। প্রায় ৫০ ভাগ নাগরিক এখানে দারিদ্র্যসীমার নিচে পড়ে আছে, বিশেষ করে গ্রামে। কোনো কোনো সংস্থার জরিপে এটা আরও বেশি। অথচ দেশটিতে জাতীয় পর্যায়ে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ২৫-৩০ ভাগের মতো।

যদিও পাকিস্তানে দারিদ্র্য তীব্র গতিতে কমছে, কিন্তু পাঞ্জাব ও সিন্ধুতে যেভাবে কমছে, বালুচদের সেভাবে নয়। বেলুচিস্তানের হারনাই, বারখান, ওয়াসুখ প্রভৃতি জেলা দেশের সবচেয়ে গরিব এলাকা। অথচ এই প্রদেশেই বাস্তবায়িত হচ্ছে বিশ্বখ্যাত চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর। এখানকার গ্যাসেই সমৃদ্ধ দেশের অন্য অংশ। এখানেই চীন গড়েছে গদার গভীর সমুদ্রবন্দর; সঙ্গে চমৎকার সব মহাসড়ক, রেলপথ। বেইজিং ও ইসলামাবাদের স্বপ্ন—গদার হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুবাই।

বালুচরা বলছে, এসব দৃষ্টিনন্দন ‘উন্নতি’র কোনো সুবিধা পাচ্ছে না তারা। অথচ তাদের জায়গা-জমিনে সব হচ্ছে। সাধারণ বালুচরা এই বাস্তবতায় প্রদেশের নীতিনির্ধারণে আরও অংশগ্রহণ চায়। বিএনএর মতো সংগঠনগুলো চায় স্বায়ত্তশাসন কিংবা আরও বেশি কিছু। এরা কেউ কেউ ভারত ভাগের পর পাকিস্তানে বেলুচিস্তানের অন্তর্ভুক্তিতে এখনো অসুখী, অথচ ধর্মীয় তরিকায় মূল পাকিস্তানের মতো তারাও সুন্নি মুসলমান।

নিজেদের জাতিগত আকাঙ্ক্ষা ও অসন্তোষের কথা বলতে গিয়ে বিভিন্ন সময় প্রচুর বালুচ তরুণ-তরুণী নিখোঁজ ও গুম হয়েছে। অনেক বালুচ রাজনীতিবিদ আশ্রয় নিয়েছে ইউরোপে। আকবর বুগতির মতো নামজাদা সরদারকে হত্যা করা হয় ২০০৬-এ। কিন্তু আঞ্চলিক অসন্তোষ তাতে কমেনি। এখনকার স্থানীয় সশস্ত্র আন্দোলনের ইন্ধনদাতাদের তালিকায় আছে আকবর বুগতির নাতি ব্রাহামদাগ বুগতির নামও।

চীনের ৬০ বিলিয়ন ডলার বিপদে

বালুচদের পুরোনো এবং মূল ক্ষোভ পাকিস্তানের নীতিনির্ধারকদের নিয়ে। কিন্তু ক্রমে সেই ক্ষোভে পুড়ছে পাকিস্তানে আসা চীনারা। স্থানীয় অর্থনৈতিক করিডরে চীনের কর্মীদের ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে থাকতে হচ্ছে কয়েক বছর ধরে। প্রায় ১৫ হাজার পাকিস্তানি নিরাপত্তাকর্মী সিপিইসির বিভিন্ন অংশ পাহারায় আছেন। এর বাইরে চীন কিছু প্রাইভেট সিকিউরিটি ফার্মকেও ভাড়ায় খাটাচ্ছে। কিন্তু তাতেও জীবনহানি হচ্ছে অনেক। ২০২১-এর জুলাইয়ে খাইবার পাখতুনখাওয়ায় দাসু বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১০ চীনা কর্মী মারা গেছেন বাসে লুকিয়ে রাখা বোমায়।

২০০৪ থেকে পাকিস্তানে চীনের নাগরিকদের ওপর হামলা চলছে এবং তা কেবল বেলুচিস্তানে সীমিত নেই আর। ২০১৮ সালের নভেম্বরে করাচির চীনা কনস্যুলেটেও দুর্ধর্ষ এক হামলা হলো। তার দুই বছর পর ২০২০-এর জুনে এখানকার শেয়ারবাজারের মূল দপ্তরে হামলা হয়, যাতে ৪০ ভাগ বিনিয়োগ চীনের। ২০২১-এর হামলার পর চীন ইঙ্গিত দিয়েছিল, তারা ইসলামাবাদের ওপর আর ভরসা করতে পারছে না। নিজেরাই বালুচদের সঙ্গে পর্দার আড়ালে বোঝাপড়ায় আসবে। কিন্তু গত ১১ জানুয়ারি বিএনএর গঠন এবং লাহোর ও কেচের হামলায় মনে হচ্ছে বালুচদের সঙ্গে সমঝোতায় বেইজিং বেশি এগোতে পারেনি।

পাকিস্তান বলছে বিদেশি ষড়যন্ত্রের কথা

পাকিস্তানে ‘সন্ত্রাস’ পুরোনো সমস্যা। টিটিপির (তেহরিক-ই-তালিবান) মতো সংগঠনগুলোর তৎপরতা সামাল দিয়ে দেশটির সশস্ত্র প্রশাসন ক্লান্ত। স্বাভাবিকভাবে বালুচ সশস্ত্র তৎপরতার নতুন তরঙ্গ তাদের বাড়তি উদ্বেগে ফেলেছে। পেশোয়ার, করাচি ও লাহোরের পর ইসলামাবাদে বোমা ফুটলে এই উদ্বেগ আরও বাড়বে। এই উদ্বেগ কেবল চীনের বিনিয়োগ নিয়ে নয়, বালুচ ও পশতুদের সঙ্গে পাঞ্জাবিদের আন্তজাতি সম্পর্কের অবনতি নিয়েও।

দুই বছর ধরে একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের বিভিন্ন তরিকার সশস্ত্র সংগঠনগুলো অজ্ঞাত ইন্ধনে সংঘবদ্ধ হচ্ছে। ২০২০-এর আগস্টে প্রায় ১১টি উপদল মিলে টিটিপি গড়ে ওঠে। টিটিপির সংঘবদ্ধতা পশতু এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিপদের কারণ হয়েছে। এখন বিএনএর গোড়াপত্তনে দেখা যাচ্ছে, বালুচ উপদলগুলোও ক্রমে কাছাকাছি আসছে। একই সঙ্গে তাদের আক্রমণের লক্ষ্যস্থলও পাল্টাচ্ছে। বালুচদের হামলা লাহোর পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়া প্রকৃতই অশুভ লক্ষণ।

এ মুহূর্তে প্রায় প্রতি মাসে পশতু টিটিপি এবং বালুচরা দেশের কোথাও না কোথাও হামলা চালাচ্ছে। পাকিস্তানের নীতিনির্ধারকেরা এত দিন বলে এসেছে, টিটিপি ও বালুচ সশস্ত্র তৎপরতার বড় কারণ আফগানিস্তানের অবন্ধুসুলভ সরকার। গত আগস্ট থেকে সে রকম বলার সুযোগ নেই।

এখন দেখা যাচ্ছে, আফগানিস্তানের ওপর পাকিস্তানের ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ থাকার পরও বেলুচিস্তানে যেকোনো দিন যেকোনো সময় সশস্ত্র হানা ঘটতে পারে। সাম্প্রতিক সন্ত্রাস তাই পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। একই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে চীনের মধ্যেও। চীন পাকিস্তানে এত বিপুল বিনিয়োগ করেছে যে এখানে চোরাগোপ্তা সন্ত্রাসী হামলার বিস্তৃতি তার জন্য বড় এক আন্তদেশীয় হুমকি।

আফগানিস্তানের দিকে অভিযোগ তোলা না গেলেও পাকিস্তানের নীতিনির্ধারকেরা সাম্প্রতিক রক্তপাতের জন্য বিভিন্ন দেশের দিকে ইঙ্গিত করছেন। তাঁদের সেই ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্বে’ আছে ভারতও। চীন-পাকিস্তান করিডর ভারতের বিরোধিতা থাকলেও বালুচ সশস্ত্র তৎপরতায় ভারত যে যুক্ত, সেটার পক্ষে বিশ্ব এখনো অকাট্য তথ্যপ্রমাণ পায়নি।

তালেবানদের কাছে বাড়তি সহযোগিতা চাইছে ইসলামাবাদ

পাকিস্তানের বহুকালের অভিযোগ ছিল, কান্দাহার ও হেলমান্দে লুকিয়ে থাকা বালুচ কমান্ডাররাই মূলত পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছেন। বালুচ সশস্ত্রতা নিয়ে কিছুদিন আগে পর্যন্ত আফগান গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের তর্ক-বিতর্ক লেগে থাকত। কাবুল তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে আসার পর এনডিএস নামে পরিচিত আফগান গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা সবাই উধাও হয়ে গেছেন। তালেবান নেতারাই এখন সর্বেসর্বা। কিন্তু টিটিপি ও বালুচ সশস্ত্র তৎপরতা দমাতে পাকিস্তান তালেবানদের থেকে প্রত্যাশিত সহায়তা পাচ্ছে না বলেই গুঞ্জন উঠেছে।

ইমরান খান যখন বিশ্বজুড়ে তালেবানদের জন্য সমর্থন জোগাড়ে ব্যস্ত, তখনই দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মইদ ইউসুফ বললেন, তাঁরা কাবুল থেকে ‘আশাবাদী হওয়ার মতো সহযোগিতা’ পাচ্ছেন না। তাঁর ভাষায়, ‘আফগানিস্তানের মাটি এখনো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে।’ এ রকম বক্তব্যের বড় সুবিধা হচ্ছে, নিজ দেশে জনগণের কাছে জবাবদিহি থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যায় তাতে। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপরকে দোষারোপ করে মুখ রক্ষা করা যাবে বলে মনে হয় না।

সি চিন পিং এখন কী করবেন

চীন এ মুহূর্তে পাকিস্তানের প্রধান ভরসা, বন্ধু ও অভিভাবক। ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকটের মুখে আইএমএফের কড়া প্রেসক্রিপশন থেকে ডলার দিয়ে দিয়ে পাকিস্তানের শাসকদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বাঁচিয়ে রাখছে চীন। অন্যদিকে ভারতের প্রাত্যহিক হুমকির মুখে সামরিকভাবেও দেশটিকে মদদ দিচ্ছে। কিন্তু বালুচদের উদীয়মান সশস্ত্র তৎপরতা চীনের জন্য অস্বস্তিকর।চীন-পাকিস্তান করিডর (সিপিইসি) হলো সি চিন পিংয়ের বৈশ্বিক ‘সিল্করুট’-এর সবচেয়ে সবল অংশ। ২০২০ সালের হিসাবে সিপিইসির বাজারদর প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলার।

এটিকে বাঁচাতে বালুচদের শান্ত করা ছাড়া চীনের সামনে বিকল্প নেই। কিন্তু ইসলামাবাদের শক্তিশালী পাঞ্জাবি লবি বালুচদের রাজনৈতিক ছাড় দিতে মানসিকভাবে তৈরি কি না, সেটা নিশ্চিত নয়। তার চেয়েও বড় প্রশ্ন, বালুচদের ‘আন্তর্জাতিক বন্ধু’রা এই অঞ্চলে কতটা অশান্তি চাইছে এবং সেটাকে কীভাবে মোকাবিলা করবে চীন? আদৌ পারবে কি না?

শাহজাদা সেলিম কিন্তু আকবরের আক্রোশ থেকে আনারকলিকে বাঁচাতে পারেননি। সেই ক্ষোভ তিনি মিটিয়েছিলেন সেলিম থেকে সম্রাট জাহাঙ্গীর হওয়ার পথে পিতার বন্ধু পণ্ডিত আবুল ফজলকে খুন করে। এ কালের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কী ঘটবে, আমরা জানি না।

আলতাফ পারভেজ: দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস বিষয়ে গবেষক