বাংলাদেশে মুদ্রানীতি কী কাজ করে?

প্রায় ১৫ বছর ধরে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের জনগণ বা সংবাদমাধ্যম মুদ্রানীতির সঙ্গে পরিচিত হয়েছে। আমরা দেখেছি সংকোচনমূলক, সম্প্রসারণমূলক কিংবা সংস্থানমূলক মুদ্রানীতি। প্রায় প্রতিটি মুদ্রানীতিতেই প্রতিপাদ্য দর্শন ছিল মূল্যস্ফীতির করাল গ্রাস থেকে সাধারণ জনগণকে রক্ষা এবং প্রবৃদ্ধি, বিশেষ করে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মধ্যে ভারসাম্য আনা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ হলো প্রবৃদ্ধিকে সহজতর ও ত্বরান্বিত করা। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অস্ত্র হলো মুদ্রানীতি। মুদ্রানীতির দুটি বাহক হচ্ছে সুদ আর বিনিময় হার। দেশে দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান উদ্দেশ্য বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে উৎপাদনক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি তথা জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিংবা উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এতে অর্থনীতিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়, অর্থনীতির সক্ষমতা বাড়ে এবং অর্থনীতির পরিসরও বাড়ে। সর্বোপরি অর্থনীতি নিজেই গুরুত্বপূর্ণ খাত, যথা সেবা-উৎপাদন-কৃষির মধ্যে একটা ভারসাম্য তৈরি করতে পারে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, মুদ্রানীতি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনেক ভালো কাজ করেছে, যেখানে সুদের হারের উত্থান-পতনের মাধ্যমে বিনিয়োগকে, উৎপাদনশীলতাকে সহায়তা করেছে। উপরন্তু বাজারের নিজস্ব নির্যাতনপদ্ধতি থেকে গরিব মানুষ, শ্রমিককে রক্ষা করার ক্ষেত্রেও মুদ্রানীতি ফলপ্রসূ হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ষাট-সত্তরের দশকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) উন্নয়নশীল দেশগুলোয় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বা কাঠামোগত সংস্কার শুরু করল। তারা বলল, মুদ্রানীতির পাশাপাশি পরিপূরক রাজস্বনীতিও দরকার। অর্থাৎ সেখানে সরকার কীভাবে কর আহরণ করবে, কার ওপর বেশি কর ও কার ওপর কম কর ধার্য করবে, কাকে কর অবকাশ দিয়ে প্রণোদনা দেবে; সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে। সত্তর-আশির দশক থেকেই আমরা দেখছি পুরোপুরি মুদ্রানীতি দিয়ে পারা যায় না, উপযোগী রাজস্বনীতিরও প্রয়োজন রয়েছে।

আবার নব্বই দশকে দেখতে পেয়েছি, উচ্চ প্রবৃদ্ধির দেশে শুধু সুদের হার কমালেই বিনিয়োগ বাড়ছে না। বিনিয়োগ বাড়াতে অনেক সময় অর্থকে সহজলভ্য করতে হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সুদের হার কমানোর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সত্যিকার উদ্যোক্তারা সহজেই অর্থ পাচ্ছে কি না এবং সত্যিকারের উদ্যোক্তার কাছে অর্থটা পৌঁছেছে কি না, তা নিশ্চিত করা। আলোচ্য দশকে তাই বণ্টন চ্যানেল ব্যবস্থাপনা অনেক বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেখা গেল, কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতিকে আরও সম্প্রসারিত করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, মুদ্রানীতি প্রণয়ন, পর্যালোচনা, সুদ ও বিনিময় হারের নজরদারি শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ হতে পারে না। উন্নয়নকে প্রসারিত, অর্থায়নকে সহজলভ্য করতে হলে সরকার তথা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও দুটি বিষয় দেখতে হবে। এক. আর্থিক খাতের দক্ষতা-শৃঙ্খলা এবং দুই. আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা। কাজেই নব্বই দশক থেকে দেখা যাচ্ছে, নীতিনির্ধারকদের কাছে আলোচ্য দুটি কাজ উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নব্বই দশকে ব্রিটেনসহ অনেকগুলো দেশে দেখা গেছে, তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং নজরদারি সংস্থাগুলোকে আলাদা করে ফেলেছে। বাংলাদেশেও আলোচনা হয়েছে, বেশি বেশি মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কাজ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নজরদারিতে পিছিয়ে পড়ছে কি না। আমরা মনে করেছিলাম পিছিয়ে পড়ছে। কিন্তু সরকার তা মনে করছে না। আমরা হয়তো সরকারকে সেভাবে বোঝাতে পারিনি। এ জন্য সরকার ওই দিকে এগোয়নি। তৃতীয় যে বিষয়টি এসেছে তা হলো, সত্যিকারের উদ্যোক্তারা অর্থ পাচ্ছে কি না। নাকি যাদের প্রয়োজন নেই, তাদের কাছে অর্থ চলে যাচ্ছে। ইতিহাস বলে, যাদের প্রয়োজন নেই, তাদের কাছে অর্থ গেলে ফেরত কম আসে। ওই উদ্যোক্তাকে বা তার পরিবারকে তারা অনিয়মানুবর্তীশীল হতে শেখায়; দুষ্ট হতে শেখায়। ওই অর্থ চলে যায় দুর্বৃত্ত পুঁজির বিকাশের কাজে। প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, শিল্পকারখানার পরিবর্তে আলোচ্য অর্থ গাড়ি-বাড়ি–অট্টালিকা বানানো এমনকি বিদেশেও পাচার হয়ে যাচ্ছে।

ফলে সময়ের আবর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটা বিরাট কাজ হয়ে দাঁড়াল বেশি বেশি ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করার চেয়ে বেশি ঋণ যাতে সঠিক উদ্যোক্তার কাছে যায়, সেটা নিশ্চিত করা। দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো বৃত্তাবদ্ধ ধারণা থেকে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। রাজস্বনীতির সঙ্গে সংগতি রেখে মুদ্রানীতি প্রণয়ন, আর্থিক খাতের দক্ষতা বৃদ্ধি ও শৃঙ্খলা বিধান, ঋণ সহজলভ্য করা, আমানতকারীর জীবনকে আরও সহজতর করা, ব্যাংকগুলো যাতে নতুন নতুন সেবা, পণ্য বা প্রোডাক্ট তৈরি করে তাতে উৎসাহ জোগানো, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা আনা, ব্যাংকিং খাতে মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা দক্ষ করে তোলা। সর্বোপরি, সত্যিকার উদ্যোক্তা যাতে অর্থ পায় এবং দুষ্ট লোকেরা যাতে অর্থ নিয়ে দুষ্টামি না করতে পারে, তার ব্যবস্থা করা।

আমরা প্রায়ই শুনি, সময়ের পরম্পরায় আমাদের সক্ষমতার ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ছে। একজন উদ্যোক্তাকে একটি বেসরকারি ব্যাংক বিপুল অর্থ ঋণ দিয়ে সহায়তা করেছিল। উদ্যোক্তাটি অত্যন্ত ভালো। সম্প্রতি আলোচ্য উদ্যোক্তার সন্তান যুক্তরাষ্ট্রের নামি বিজনেস স্কুল থেকে পড়ে এসে তার প্রতিষ্ঠানে অর্থ ব্যবস্থাপনার কাজে যুক্ত হয়েছেন। ওই প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক রাজস্ব হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপকেরা দেখছিলেন, ওই সন্তান কী বলেন। সন্তানটি বলেছেন, ‘বিপদের দিনে পাশে থাকায় আমরা আপনাদের ব্যাংকের কাছে কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতেও আমরা আপনাদের সঙ্গে থাকতে চাই। এখন আমি একটা বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে চাই। বিপিডিবির সঙ্গে ১ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ যে বিক্রয়মূল্যে দেওয়ার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছি, সেটা করতে গেলে ৬ শতাংশের ওপর সুদ দিলে সেটা সহনীয় হবে না। আপনি আমাকে ৬ শতাংশ হারে ঋণ দেন। তা না হলে আমাকে সিঙ্গাপুরের ব্যাংকে চলে যেতে হবে, লন্ডনের ব্যাংকে চলে যেতে হবে।’ এই যে অর্থনীতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে, সেখানে স্কয়ারকে আরও বড় হতে হলে তাকে প্রতিযোগিতা করতে হবে রিলায়েন্সের সঙ্গে, বিরলার সঙ্গে। অথবা ট্রান্সকমকে প্রতিযোগিতা করতে হবে টাটার সঙ্গে। আজ সে ক্ষেত্রে আমাদের আর্থিক খাতের এগিয়ে যাওয়ার পথরেখা কী? সম্ভাবনাইবা কী? সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী করেছে? আজ আমাদের ডিবিএল ইথিওপিয়ায় গিয়ে ফ্যাক্টরি করছে, সামিট সিঙ্গাপুরে যে সামিট পাওয়ার করেছে, তার স্বপ্নের সঙ্গে কি কেন্দ্রীয় ব্যাংক আছে?

সন্দেহ নেই, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভালো কাজ করেছে। তারা গরিবের কথা ভোলেনি। কিন্তু আমরা তো ধীরে ধীরে সরে এসেছি নতুন ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায়। আমরা ক্রমেই ধাবমান হচ্ছি ‘চুইয়ে পড়া’ তত্ত্বের দিকে। আমরা অনেক বড় বা মহিরুহ কর্মযজ্ঞ সৃষ্টি করব, বিপুল বিনিয়োগ হবে, ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে, বিপুল লোক চাকরি পাবে এবং প্রচুর লোকের আর্থিক জীবনে পরিবর্তন আসবে। সে ক্ষেত্রে তো আমাদের অনেক কোম্পানিকে নিয়ে যেতে হবে পুঁজিবাজারে। আরও কোম্পানিকে নিয়ে যেতে হবে স্বল্প সুদে কীভাবে তারা বিদেশ থেকে অর্থ পেতে পারে। আরও প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে যেতে হবে কীভাবে ভারত কিংবা মালয়েশিয়ায় গিয়ে কোম্পানি খুলে ফেলতে পারে। কীভাবে ভিয়েতনামে গিয়ে ভিয়েতনামিদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে, কীভাবে মিয়ানমারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারে। আমাদের ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানুয়েল কি সে কথা বলে?

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা অবশ্যই ভালো করছেন। তাঁরা সারা দিন অনেক খেটে বিভিন্ন ফাইলনোট লিখছেন, লেনদেনের অনুমোদন দিচ্ছেন। তবে আজ যদি বিশ্ববিদ্যালয় পাস করা একটা ছেলে চিন্তা করে সে একটা স্টার্টআপ করবে মিয়ানমারে। বলে, মিয়ানমারে টেলিনর গেছে। টেলিনরকে সহায়তা করার জন্য মিয়ানমারে একটি সাপোর্ট ইন্ডাস্ট্রি করতে চাই, অ্যাপ ডেভেলপ করতে চাই। তার কোনো ট্র্যাক রেকর্ড নেই। সে কি মিয়ানমারে যেতে পারবে?

নাইজেরিয়া পিছিয়ে আছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। যদিও সেখানে প্রচুর গ্যাস আছে, জ্বালানি সম্পদ আছে। কিন্তু দেশটি কর্মযজ্ঞ সৃষ্টি করতে পারেনি। দক্ষতা সৃষ্টি করতে পারেনি। এ জন্য এত প্রাকৃতিক সম্পদ থাকা সত্ত্বেও নাইজেরিয়ায় অনেকটা সময় বিদ্যুৎ থাকে না। আজ যদি আমাদের সামিট গ্রুপ নাইজেরিয়ায় যেতে চায়, তার জন্য ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানুয়েলে কী আছে? আজ বুয়েটের তিনজন ছাত্র মনে করলেন আমরা বাইরে একটা কোম্পানি করব। পুঁজি নেওয়ার কোনো আইনি পথ আছে? এই যে বিষয়গুলো ঢেলে সাজানো; এগুলো কার কাজ? নিঃসন্দেহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। গভর্নর মহোদয় যদি বলেন, আমি তো আইনের পরিবর্তন বা আধুনিকীকরণ চেয়ে পরামর্শ পাঠিয়েছি আইন মন্ত্রণালয়ে, তাহলে কি সমাধান হয়ে যায়? সমাধান হয় না। এ কারণে আমরা দেখেছি, যত গর্জে তত বর্ষে না। খুব বেশি ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা পাচ্ছি না যাঁরা বলবেন, আমার পাশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আছে।

সময়ের পরম্পরায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকাও পরিবর্তিত হয়েছে। সাবেক গভর্নর মহোদয় আমাকে একবার বলেছিলেন, আমাদের মতো দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শুধু মুদ্রানীতি আর আর্থিক খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। সেখানে কৃষক, শ্রমিকের কথা ভাবতে হবে। সত্যি কথা হলো, গণচীন নিজেই উপলব্ধি করেছে কৃষি নয়, শিল্পই দেশটির উন্নয়নের প্রধান মাধ্যম; ভবিষ্যতের কান্ডারি। আমরা ব্যক্তি খাতের ভালো শিল্পকে এগিয়ে নিতে কী করেছি?

গভর্নররা অনেক সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের কথা বলেছেন। এটা নিঃসন্দেহে দরকার। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের একটা উন্নয়নশীল দেশে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অর্থ মন্ত্রণালয়ের হাতে হাত ধরে কাজ করতে হবে বৈকি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন মানেই স্বাধীনতা ঘোষণা নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা মানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কোথায় কোথায় প্রয়োজন, সেটা চিহ্নিত করা, সেটা নিয়ে বসা, সেটার পক্ষে জনমত সৃষ্টি করা এবং সেটা নিয়ে কাজ করা। অনেকেই বলেন, স্বাধীনতা অর্জন যতটা কঠিন, তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন তা রক্ষা করা। সুতরাং আমরা চাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকও স্বায়ত্তশাসনের অর্থ বুঝবে। স্বায়ত্তশাসনের অর্থ হলো, রাজনৈতিক বলয়ের বাইরে গিয়ে ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাকে ক্রমাগত সহায়তা করা, ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালীভাবে নজরদারি এবং ব্যাংকের অর্থ যেন সত্যিকার উদ্যোক্তা, কৃষকের জন্য সহজলভ্য হয়, সেটা নিশ্চিত করতে পারা এবং সামগ্রিকভাবে ব্যাংকিং খাত যেন উন্নত প্রযুক্তি ও সেবা প্রদানের মাধ্যমে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পারে, তার ব্যবস্থা করা। আমরা সে ধরনের স্বায়ত্তশাসন চাই যে ধরনের স্বায়ত্তশাসনে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত বা বাণিজ্যিক ব্যাংকের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্তাদের অপসারণের পাশাপাশি শর্ষের ভেতরে ভূত আছে কি না, সেটার ব্যাপারেও অবস্থান নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মুদ্রানীতির অবশ্যই প্রয়োজন আছে। আমি নিশ্চিত মুদ্রানীতি প্রণয়নের জন্য করোনাকালেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অনেক পরিশ্রম করেছেন। তাঁদের এটাই কাজ, তাঁরা তো আর অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করবেন না। তবে আজকের দিনে একটি মুদ্রানীতির চেয়েও বেশি প্রয়োজন ব্যাংকিং খাতে সুশাসন আর ন্যূনতম জবাবদিহি।

মামুন রশীদ: অর্থনীতি বিশ্লেষক