গত বছর বিলেতের দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকা কোভিডকালে ৬৬টি সবল অর্থনীতির ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান নবম।
১৯৭২ সালে সম্ভবত বাংলাদেশের কেউ ভাবতেই পারেনি ২০২১ সালে ৫০ বছরের বাংলাদেশ এই জায়গায় এসে পৌঁছাতে পারে। ৫০ বছরে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। ১৯৭২ সালে যেখানে জনগোষ্ঠীর প্রায় ৮২ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল, ২০১৯ সালে এসে সেই সংখ্যা ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। কোভিডকালে এই হার কিছু বাড়লেও অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে সেটিও আগের জায়গায় চলে যাচ্ছে বা যাবে বলে অনেকেই মনে করছেন।
তবে দারিদ্র্য কমলেও বাড়ছে বৈষম্য—আয়বৈষম্য, নারী-পুরুষে বৈষম্য, আঞ্চলিক বৈষম্য, এমনকি প্রযুক্তি ব্যবহারেও বৈষম্য। সম্প্রতি দুটি অনুষ্ঠানে কিছু জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ছাড়াও খোদ পরিকল্পনামন্ত্রী বৈষম্য বাড়ার কথা স্বীকার করে সমাধানের পথ খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা সামগ্রিক দৈন্য হ্রাসের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, সর্বজনীন শিক্ষা ও ছোট উদ্যোক্তাদের সমস্যা দূর করার উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন। করোনার প্রভাবে নতুন করে যেহেতু অনেক লোক দরিদ্র হয়েছে, তাই দরিদ্রদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করা প্রয়োজন।
সরকার উদ্যোগ নিয়েছে, বরাদ্দও বাড়িয়েছে, কিন্তু কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হওয়া ও তথ্যস্বল্পতায় ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে সহায়তা পৌঁছাচ্ছে না বলে অনেক অভিযোগ এসেছে। সবাই বলছেন, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে আয় ও সম্পদবৈষম্যের লাগাম টেনে ধরতে হবে।
পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে ব্যাংক আমানতের হিসাবে কোটিপতি ও অতিধনীদের সংখ্যা দ্রুতই বেড়ে চলেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল নিম্ন আয় ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাছে অনেকাংশেই পৌঁছাচ্ছে না বললে হয়তো ভুল হবে না, আর তাই বাড়ছে বৈষম্য। গড়পড়তা সম্পদ বাড়লেও অতিধনী আর অতিগরিবের ফারাক দুর্বিনীতভাবে বেড়ে চলেছে।
আমাদের অনেকের কাছেই পরিচিত অর্থনীতির ‘চুইয়ে পড়া তত্ত্ব’ বা ‘ট্রিকল ডাউন থিওরি’, যার মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি বা উন্নয়নের সুফল সবশেষে সাধারণ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছার কথা, তা আসলে বাংলাদেশসহ বিকাশমান দেশগুলোয় সেভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। প্রবৃদ্ধির সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বৈষম্য বিশ্লেষণের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক সময় মনে করা হয়, প্রবৃদ্ধির শুরুর দিকে তথা উন্নয়নের প্রাথমিক পর্যায়ে আয়বৈষম্য বাড়লেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর সুষম বণ্টন নিশ্চিত হবে। ফলে ধীরে ধীরে কমবে বৈষম্য। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অর্থনীতির এ তত্ত্ব বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রেই অচল, তাই প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি বৈষম্যের বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতার পরপর বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে থেকে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অধ্যাপক নুরুল ইসলামের মতো অর্থনীতিবিদ সম্প্রতি এই বৈষম্যকে একটি প্রধান রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
করোনার কারণে সামষ্টিক অর্থনীতি ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। মানুষের আয় কমেছে। দেশে আয়বৈষম্যও বেড়েছে। এখানে সমন্বয়ের উদ্যোগ জরুরি। অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান ঝুঁকিতে পড়েছে। যে কারণে পুষ্টি ও স্বাস্থ্য খাতে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষা খাতের চ্যালেঞ্জ বেড়েছে।
বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এ আয়বৈষম্যের পেছনে রয়েছে বহু কারণ। দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে মূলত উচ্চ প্রবৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ প্রবৃদ্ধিকেন্দ্রিক উন্নয়ন দর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে তার গুণগত মান কিংবা সম্পদ বণ্টনের ব্যবস্থার দিকে তুলনামূলকভাবে অনেক কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতিতে কাঠামোগত রূপান্তর হলেও তা কর্মসংস্থানমুখী উচ্চ উৎপাদনশীল শিল্পায়নের পরিবর্তে মূলত নিম্ন আয় ও অনানুষ্ঠানিক সেবা খাতেই ঘটেছে। আমাদের শিল্পায়ন মূলত হয়েছে স্বল্প মজুরির শ্রমিকনির্ভর পোশাকশিল্পকে কেন্দ্র করে। ফলে শিল্পায়নের ক্ষেত্রে বহুমুখীকরণ সেভাবে হয়ে ওঠেনি। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান তেমন বাড়ছে না। অনেকেই ইতিমধ্যে একে কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধি হিসেবে অভিহিত করেছেন। প্রতিবছর যে পরিমাণ তরুণ কর্মবাজারে প্রবেশ করেন, তাঁদের মধ্যে সংখ্যার বিচারে অনেকেই কাজ পাচ্ছেন না। এভাবে তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব ক্রমেই বেড়ে চলেছে এবং এটা একটা গুরুতর সংকটে রূপ নিচ্ছে।
করোনার কারণে সামষ্টিক অর্থনীতি ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। মানুষের আয় কমেছে। দেশে আয়বৈষম্যও বেড়েছে। এখানে সমন্বয়ের উদ্যোগ জরুরি। অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান ঝুঁকিতে পড়েছে। যে কারণে পুষ্টি ও স্বাস্থ্য খাতে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষা খাতের চ্যালেঞ্জ বেড়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, গণচীন, ভিয়েতনাম, কিউবা, ইসরায়েল এবং অধুনা ইন্দোনেশিয়া নানা রকম কার্যকর আয় পুনর্বণ্টন কার্যক্রম গ্রহণ ও সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বৈষম্যের মাপকাঠি হিসেবে গণ্য জিনি সহগ বৃদ্ধিকে শ্লথ করতে সক্ষম হয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক বিশ্বে জিনি সহগ কমানোর ব্যাপারে কিউবা ছাড়া অন্য কোনো উন্নয়নশীল দেশকে তেমন একটা সাফল্য অর্জন করতে দেখা যায়নি। এ দেশগুলোর মধ্যে কিউবা, গণচীন ও ভিয়েতনাম এখনো নিজেদের সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলে দাবি করে, বাকি দেশগুলো পুঁজিবাদী বা বাজার অর্থনীতির অনুসারী হয়েও শক্তিশালী বৈষম্য নিরসন নীতিমালা গ্রহণ করে বেশ কিছুটা সফলকাম হয়েছে।
উল্লিখিত বেশ কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশে সফল ভূমি ও কৃষি সংস্কার নীতিমালা বাস্তবায়ন হয়েছে। আমরা জানি, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানির মতো ইউরোপের কল্যাণ রাষ্ট্রগুলোর নীতি অনেক বেশি আয় পুনর্বণ্টনমূলক, যেখানে অন্তত প্রগতিশীল আয়কর ও সম্পত্তি করের মতো প্রত্যক্ষ করের মাধ্যমে জিডিপির ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ সরকারি রাজস্ব হিসেবে সংগ্রহ করে ওই রাজস্ব শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, পরিবেশ উন্নয়ন, নিম্নবিত্ত পরিবারের খাদ্যনিরাপত্তা, গণপরিবহন, বেকার ভাতা এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা হয়।
আয়বৈষম্য হ্রাসের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হতে পারে থাইল্যান্ড কিংবা মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়ার সরকার আশির দশকের শুরুতে প্রান্তিক মালে গোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করে। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে থাইল্যান্ডে আয়বৈষম্য যখন ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছিল, তখন তারা নীতি–কাঠামো সংস্কারের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং নিশ্চিত করা হয় যেন সত্যিকারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির কাছে সুবিধাগুলো পৌঁছায়। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তালিকা করে কর্মসূচির প্রতিটি ধাপে নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়।
অনেক বরেণ্য অর্থনীতিবিদই মনে করেন, আয়বৈষম্যের লাগাম টেনে ধরতে চাইলে ঢালাওভাবে টিসিবি বা প্রায় রুগ্ণ রাষ্ট্রায়ত্ত খাতকে সম্পৃক্ত না করে ‘বাজার ব্যর্থতা’ কেন হয়, তা ভালোভাবে বুঝে এ হেন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের ভূমিকাকে যৌক্তিকভাবে পুনর্বিন্যাস করতে হবে। বাজার ব্যর্থ হয় গরিবের মানসম্মত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তুলতে, ব্যর্থ হয় পরিবেশদূষণের মতো নেতিবাচক বাহ্যিকতাগুলো ঠেকাতে, ব্যর্থ হয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামো গড়ে তোলায়, ব্যর্থ হয় নানা রকম মনোপলি ও অলিগোপলির কারণে, ব্যর্থ হয় গণদ্রব্য বা ‘পাবলিক গুডস’ জোগান দিতে।
মূলকথা হলো রাষ্ট্রকে বৈষম্য নিরসনকারীর ভূমিকা নিতে হবে, যে রকম করা হয়েছে অনেকটা ভিয়েতনামে, গণচীনে কিংবা ইউরোপের রাষ্ট্রগুলোয়। সরকারকে রাজস্ব সংগ্রহ করতে হবে প্রধানত সমাজের উচ্চমধ্যবিত্তদের আয়কর ও সম্পত্তি কর থেকে। সরকারি ব্যয়ে প্রধান অগ্রাধিকার দিতে হবে বৈষম্যহীন ও মানসম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষায়, গরিবের জন্য ন্যূনতম ভালো মানের স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তোলায়, মানসম্পন্ন ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে, পরিবেশদূষণ নিয়ন্ত্রণে, গরিবের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে।
করোনায় অর্থনৈতিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার কারণে সাময়িক হলেও অনানুষ্ঠানিক খাতের অধিকাংশেরই আয় বা মুনাফা কমেছে, অনেকে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন, আবার অনেকে কাজ হারিয়েছেন। কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার সঙ্গে সঙ্গে এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ফলে অনেকের অবস্থার উন্নতি হলেও অনেক ক্ষেত্রেই হয়তো আয়ের পুনরুদ্ধার হয়নি। অন্যদিকে, আনুষ্ঠানিক খাতের সুনির্দিষ্ট আয়ের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কিন্তু বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি। আনুষ্ঠানিক খাতের কাজ তুলনামূলকভাবে উচ্চ আয়ের হওয়ায় করোনাকালেও আয়বৈষম্য বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছেন অনেকে।
আয়বৈষম্য হ্রাসের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রয়োজন দ্বিমুখী নীতি। একদিকে যেমন দরকার উচ্চবিত্ত শ্রেণির সম্পদ সংবর্ধনের লাগাম টানা, তেমনি প্রয়োজন নিম্ন আয়ের মানুষের অবস্থার পরিবর্তন কিংবা ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি। মনে রাখা প্রয়োজন দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য নেওয়া পদক্ষেপের পাশাপাশি বৈষম্য কমানোর পরিপ্রেক্ষিতে করনীতি সংস্কারের বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
অনেক দেশেই আয়বৈষম্য কমাতে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হয়তো প্রগ্রেসিভ করব্যবস্থা। সে ক্ষেত্রে সরাসরি কর, অর্থাৎ আয়করের আওতায় করযোগ্য সবাইকে আনতে হবে আর করনীতি হতে হবে বৈষম্য কমানোর লক্ষ্যে। এ ক্ষেত্রে কর খাত সম্প্রসারণ করে রাজস্ব বাড়ানোর বিকল্প নেই। তার জন্য আবার প্রয়োজন সরকারের আন্তরিক রাজনৈতিক সদিচ্ছা।
করব্যবস্থার সংস্কারের পাশাপাশি সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের অবস্থার উন্নয়নে প্রয়োজন বহুমুখী প্রয়াস। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দিতে হলে প্রয়োজন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি এবং শোভন কাজের ব্যবস্থা করা, যাতে সঠিক মজুরি ও সংশ্লিষ্ট সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষের অবস্থার পরিবর্তন এবং উন্নয়নের সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।
বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ব্যাপক সংস্কার। সে পরিপ্রেক্ষিতে হতদরিদ্রদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতা বৃদ্ধি এবং দরকার মাথাপিছু বরাদ্দে ব্যাপক পরিবর্তন আনার। সেই সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়ায় অভিনবত্বও আনা প্রয়োজন। শহরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জন্য নতুন নতুন কর্মসূচি ও অভিনব কায়দায় জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির দ্রুত বাস্তবায়ন প্রয়োজন। অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোয় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিও জোরদার করা জরুরি। অধিকতর হারে রুগ্ণ খাতগুলোয় অর্থের সংস্থানও করতে হবে।
পাশাপাশি জরুরি হচ্ছে বৈষম্য কমাতে টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন। বৈষম্য বিলোপ সম্ভব হলেই মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি বা প্রবৃদ্ধির সুফল প্রান্তজনের কাছে পৌঁছাবে। শুধু প্রবৃদ্ধি নয়, সঠিক জায়গায় দায়বদ্ধতা সৃষ্টি ও স্বচ্ছতা প্রতিপালনের মাধ্যমে উন্নয়নের সুফল অধিকজনের কাছে পৌঁছাতে পারলেই নিশ্চিত হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন। এখানে প্রবৃদ্ধির সঙ্গে উন্নয়নকে গুলিয়ে ফেলারও সুযোগ নেই।
মামুন রশীদ অর্থনীতি বিশ্লেষক