ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার প্রতিবাদে ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার প্রতিবাদে ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ

মতামত

ন্যাটোর ছাতায় কিংবা ভ্লাদিমির পুতিনের কবলে

এই কলাম লেখার প্রায় শেষ পর্যায়ে জানা গেল, ইউক্রেনে সর্বব্যাপী আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া। নিজেদের দেশকে একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আর রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে নিরাপদ দেখতে চাওয়ার মাশুল দিচ্ছে ইউক্রেনের জনগণ।

ইউক্রেনবাসী সামনে দুইটি পথ খোলা ছিল—শর্ত পূরণ এবং যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আর ন্যাটোর ছাতার নিচে যেতে পারা অথবা ভ্লাদিমির পুতিনের কবলে পড়া। আমি ‘রাশিয়ার কবলে’ না বলে ‘পুতিনের কবলে’ সচেতনভাবেই বলছি, কারণ রাশিয়ায় আধুনিক রাষ্ট্র বলে কিছু নেই। সেখানকার ভ্লাদিমির পুতিন ফরাসি সম্রাট চতুর্দশ লুইর নামে প্রচলিত বক্তব্যটি বলতে পারেন একেবারেই নির্দ্বিধায়—‘আমিই রাষ্ট্র’।

ইউক্রেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে যোগদান নিয়ে সংকট

ইউক্রেন সংকটের ক্ষেত্রে দেশটি কোনোভাবেই ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না—রাশিয়ার দিক থেকে এই নিশ্চয়তা লিখিতভাবে চাওয়া নিয়ে অনেক আলাপ হয়েছে। কিন্তু আমাদের আলোচনার বাইরে থেকে যাচ্ছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেটি হলো, ইউক্রেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার ইচ্ছা। এটা নিয়েই প্রাথমিকভাবে আসলে সংকটের শুরু হয়েছিল।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে যোগদানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল ইউক্রেন। দেশটির পূর্ণাঙ্গ সদস্য হওয়ার পথে অতি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ—ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে সংযুক্তকরণ চুক্তি (দ্য অ্যাসোসিয়েশন অ্যাগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষর করার সিদ্ধান্ত ছিল ২০১৩ সালে। এই চুক্তির অধীনে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে যোগদানকারী রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং আইনি কাঠামো ইউরোপের মানের সমপর্যায়ের করে গড়ে তুলতে হয়। কিন্তু ইউক্রেনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ভিক্তর ইয়ানুকোভিচ এই সংযুক্তকরণ চুক্তিটি স্বাক্ষর করেননি।

ইয়ানুকোভিচের এই সিদ্ধান্তের পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে যোগদানের পক্ষে ইউক্রেনের হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এই আন্দোলন ইউরো ময়দান নামে বিখ্যাত। আন্দোলনের স্বতঃস্ফূর্ততা এবং তীব্রতার তোড়ে টিকে থাকতে পারেননি ইয়ানুকোভিচ। পদত্যাগে বাধ্য হন তিনি এবং পালিয়ে যান তাঁকে মদদ দেওয়া রাশিয়ায়। ইয়ানুকোভিচ কার আদেশে ইউক্রেনকে ইইউতে যেতে দেননি, সেটা বোধ করি বলে দেওয়ার দরকার নেই।

ইউক্রেনের কোন দিকে যাওয়ার কথা?

কোনো দেশের মানুষ যদি নিজেদের ভবিষ্যৎ ঠিক করার ক্ষমতা রাখে, কোনো দেশের ক্ষমতায় যদি সেই দেশের জনগণের কল্যাণ করতে চাওয়া মানুষ থাকে, তাহলে সেই দেশের সেদিকেই যাওয়ার কথা যেখানে তার কল্যাণ হবে।
আমরা এবার দুই গ্রুপের রাষ্ট্রের মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে তুলনা দেখব। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ার পর তিনটি বাল্টিক রাষ্ট্র লিথুয়ানিয়া, এস্তোনিয়া ও লাটভিয়া এখন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) এবং একই সঙ্গে ন্যাটোরও সদস্য।

এদের সঙ্গে আমি তুলনা করব রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক জোট ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নে (ইএইইউ) যুক্ত থাকা দেশগুলোকে, যেগুলোও সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। রাশিয়া ছাড়া বাকি সদস্যদেশগুলো হচ্ছে আর্মেনিয়া, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান। এসব দেশ আবার রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক জোট কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনেরও (সিএসটিও) সদস্য। একটি দেশ, তাজিকিস্তানকে আমি এদের সঙ্গে যুক্ত করতে চাই। দেশটি ইএইইউর সদস্য না হলেও সিএসটিওর সদস্য।

মাথাপিছু আয় এবং মানব উন্নয়ন সূচক (এইচডিআই)

দীর্ঘকাল ধরে সারা পৃথিবীতে গড় মাথাপিছু আয় উন্নয়নের পরিমাপের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে ব্যবহৃত হয় না। এর কারণ, এটি যেহেতু বৈষম্যকে নির্দেশ করে না, তাই এটি সত্যিকার অর্থে বলতে পারে না, রাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আসলে কেমন আছে। তবু যেহেতু আমাদের মাথাপিছু আয় নিয়ে অনেক কথা হয়, তাই আমি আলোচনায় সেটি রাখছি। তার সঙ্গে রাখছি জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপির প্রবর্তিত মানব উন্নয়ন সূচক (হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স-এইচডিআই)।

পাকিস্তানের বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ মাহবুবুল আলম প্রবর্তিত এই সূচকে থাকে দেশের গড় মাথাপিছু আয়, গড় আয়ু আর শিক্ষাজীবনের গড় ব্যাপ্তিকাল/দৈর্ঘ্য। এতে নিশ্চিতভাবে পরিস্থিতি শুধু মাথাপিছু আয়ের সঙ্গে তুলনা করার চেয়ে অনেকটা ভালোভাবে তুলনা করা যায়।

দেখে যাক এই ক্ষেত্রে ইইউ-ন্যাটো সদস্যদেশগুলোর পরিস্থিতি। দেশগুলোর নামের পাশে প্রথমে মাথাপিছু আয় আর তারপর মানব উন্নয়ন সূচকে বৈশ্বিক অবস্থান দেওয়া হলো। লিথুয়ানিয়া—২৪,২০৯ ডলার ৩৪তম; এস্তোনিয়া—২৯,৭৩৫ ডলার, ২৯তম; লাটভিয়া—২১,৪৮৯ ডলার, ৩৭তম।

এবার রাশিয়ার অর্থনৈতিক, সামরিক জোট ইএইইউ-সিএসটিওর সদস্যদেশগুলোর পরিস্থিতি দেখা যাক। আর্মেনিয়া—৪,৫৯৫ ডলার, ৮১তম; বেলারুশ—৬,১৩৩ ডলার, ৫৩তম; কাজাখস্তান—৯,৬৮৬ ডলার, ৫১তম; কিরগিজস্তান—১,৩০৯ ডলার, ১২০তম; তাজিকিস্তান—৮০৭ ডলার, ১২৫তম।

দুর্নীতি, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, আইনের শাসন-বিচার

এখানে আমি তিনটি সংস্থার কাজকে বিবেচনায় নিয়েছি। দুর্নীতির সূচক প্রকাশকারী ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালকে আমরা খুব ভালোভাবে চিনি। এই সংস্থার পরিবেশিত দুর্নীতির ধারণা সূচক নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিমণ্ডলে খুব আলোচনা হয়। সাম্প্রতিক কালে আন্তর্জাতিক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের (আরএসএফ) মুক্ত গণমাধ্যম সূচক আমাদের দেশে আলোচনার বিষয় হয়েছে। আর আইনের শাসন এবং বিচারব্যবস্থার পরিস্থিতি বোঝানোর জন্য বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা ‘ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট’ আমাদের দেশে খুব পরিচিত না হলেও এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেয় আমাদের।

এবার দেখা যাক, এসব সংস্থার সূচকে আমাদের আলোচিত দেশগুলোর কী অবস্থা। এ ক্ষেত্রে আমরা দেশগুলোর বৈশ্বিক অবস্থান পরপর তিনটি সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করব। এখানে সংখ্যার মান যত কম, সেটা তত ভালো পরিস্থিতি নির্দেশ করে। সূচকগুলোর ক্ষেত্রে ক্রম হবে এ রকম—দুর্নীতি ধারণা সূচক, মুক্ত গণমাধ্যম সূচক, আইনের শাসন-ন্যায়বিচার সূচক।

ইইউ–ন্যাটো দেশগুলোর মধ্যে লিথুয়ানিয়ার সূচক—৩৪, ২৮, ১৮; এস্তোনিয়া—১৩, ১৫, ১১; লাটভিয়া—৩৬, ২২, ২৪। আর রাশিয়ার জোট ইএইইউ-সিএসটিওর ক্ষেত্রে আর্মেনিয়ার অবস্থান—৫৮, ৬৩, পাওয়া যায়নি; বেলারুশ—৮২, ১৫৮, ৯৭; কাজাখস্তান—১০২, ১৫৫, ৬৬; কিরগিজস্তান—১৪৪, ৭৯, ৯৯; তাজিকিস্তান—১৫০, ১৬২, পাওয়া যায়নি।

মানবাধিকার পরিস্থিতি

মানবাধিকারের মান নিয়ে পৃথিবীর দেশগুলোর মধ্যে তুলনামূলক সূচক তৈরি করে না কোনো প্রতিষ্ঠান। মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আমাদের দেশে পরিচিত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বৈশ্বিকভাবেও স্বীকৃত অতি গুরুত্বপূর্ণ দুটি সংস্থা।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রতিটি দেশের মানবাধিকার নিয়ে একটি বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করে। এ ছাড়া সারা বছরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সেখানে থাকে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দেশের বাৎসরিক পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট না করলেও সারা বছরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে করা রিপোর্ট সেখানে থাকে। যে কেউ আলোচিত দেশগুলোর মানবাধিকারের রেকর্ড সেখানে গিয়ে পড়লে তাঁর কাছে খুব স্পষ্ট হয়ে যাবে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোর সঙ্গে মানবাধিকারের ক্ষেত্রেও অকল্পনীয় পার্থক্য রয়েছে ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের দেশগুলোর।

নির্বাচনের মান, গণতন্ত্রের অবস্থা

খুব সামান্য কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে নির্বাচনের মানের সঙ্গে গণতন্ত্রের মানের সমানুপাতিক সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমান পৃথিবীর কিছু দেশে খুব অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের শাসক নির্বাচিত হলেও নির্বাচিত শাসকদের হাতে রাষ্ট্রের গণতন্ত্রের মান খারাপের দিকে গেছে—এমন প্রমাণ আমাদের হাতেই আছে। কিন্তু এটাকে সাময়িক স্খলন বলাই যায়, কারণ নির্বাচনের মাধ্যমেই এই পরিস্থিতি আবার পাল্টে যাওয়ার উদাহরণও আছে অনেক। এই ব্যতিক্রম বাদ দিলে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের সঙ্গে একটা দেশের গণতন্ত্রের মানের সরাসরি সম্পর্ক আছে।

দেখা যাক আমাদের আলোচিত দেশগুলোর কী অবস্থা এ ক্ষেত্রে। গণতন্ত্রের মান নিয়ে অনেক বৈশ্বিক সংস্থা কাজ করে। এ ক্ষেত্রে ফ্রিডম হাউস, বেরটেলসম্যান স্টিফসটুং, ভি-ডেমের মতো ভালো প্রতিষ্ঠান থাকলেও আমি নিচ্ছি বিখ্যাত পত্রিকা ইকোনমিস্ট–এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) সূচক। এর কারণ, এটি আমাদের দেশে খুব পরিচিত। গণতন্ত্রের ভিত্তিতে দেশগুলোকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়—পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, হাইব্রিড রেজিম, স্বৈরতন্ত্র।
আর নির্বাচনের মানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকটোরাল ইনটিগ্রিটি প্রজেক্ট। এখানে গণতন্ত্রের বিবেচনায় সরকারের ধরন এবং ব্র্যাকেটে বৈশ্বিক অবস্থান দেওয়া আছে। আর নির্বাচনের মানের ক্ষেত্রে ১০০০–তে প্রাপ্ত স্কোর দেওয়া হলো।

ইইউ-ন্যাটো দেশগুলোর মধ্যে লিথুনিয়া—ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র (৪০), ইলেকটোরাল ইনটিগ্রিটি প্রজেক্ট–৭৮; এস্তোনিয়া—ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র (২৭), ইলেকটোরাল ইনটিগ্রিটি প্রজেক্ট-৭৯; লাটভিয়া—ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র (৩৮), ইলেকটোরাল ইনটিগ্রিটি প্রজেক্ট-৭৩।
রাশিয়ার জোট ইএইইউ-সিএসটিওর দেশগুলোর অবস্থান এ রকম: আর্মেনিয়া—হাইব্রিড রেজিম (৮৯), ইলেকটোরাল ইনটিগ্রিটি প্রজেক্ট-৫৫; বেলারুশ—স্বৈরতান্ত্রিক (১৪৬), ইলেকটোরাল ইনটিগ্রিটি প্রজেক্ট-৪০; কাজাখস্তান—স্বৈরতান্ত্রিক (১২৮), ইলেকটোরাল ইনটিগ্রিটি প্রজেক্ট-৪৫; কিরগিজস্তান—স্বৈরতান্ত্রিক (১১৫), ইলেকটোরাল ইনটিগ্রিটি প্রজেক্ট-৫৩; তাজিকিস্তান—স্বৈরতান্ত্রিক (১৫৭), ইলেকটোরাল ইনটিগ্রিটি প্রজেক্ট-৩৫।

এই কলামের কলেবরের মধ্যে সম্ভব নয় বলে দেখানো সম্ভব হয়নি, যেসব সূচক নিয়ে এখানে আলোচনা করা হলো, সেগুলোর আগের বছরগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে স্পষ্টভাবে দেখা যাবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম বাদে সেগুলো ক্রমাগত ভালোর দিকে গেছে। অনুমিতভাবেই আর ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের (ইএইইউ) দেশগুলোর ক্ষেত্রে সূচকগুলো ক্রমাগত খারাপের দিকেই গেছে।

আমরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছি, রাষ্ট্রগুলোর জনগণ নানা দিকে যতই বঞ্চনার শিকার হোক না কেন, যতই খারাপ থাকুক না কেন, সেসব দেশের রাষ্ট্রক্ষমতাকে কবজা করা একটা গোষ্ঠী অকল্পনীয় পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছে। দেশের প্রায় সব নাগরিকের দুর্দশার বিনিময়ে সেসব গোষ্ঠী স্বর্গীয় জীবনযাপন করে পৃথিবীতেই। ইউক্রেনের মতো ইউরোপীয় দেশের ক্ষেত্রে কার সঙ্গে থাকলে একটা রাষ্ট্র জনগণের জন্য কল্যাণকর রাষ্ট্র হয়ে ওঠে আর কার কবলে পড়লে নাগরিকদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, সেটা খুব স্পষ্ট।

নতুন প্রশ্ন অবশ্য তৈরি হচ্ছে। পশ্চিমাদের সঙ্গে থাকতে গিয়ে ইউক্রেনকে যে মাশুল দিতে হচ্ছে, তাতে যদি চূড়ান্ত বিচারে পুতিন জিতে যান, সেটা ন্যাটোর সদস্য হওয়া সত্ত্বেও আমাদের আলোচিত ৩ বাল্টিক রাষ্ট্র—লিথুনিয়া, এস্তোনিয়া এবং লাটভিয়ার ওপরে চড়াও হতে প্রলুব্ধ করবেই তাঁকে।

ডা. জাহেদ উর রহমান ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষক