নিয়োগের ক্ষেত্রে পিএইচডির গুরুত্ব নেই, ইনক্রিমেন্টে কেন

কয়েক দিন আগে প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটি খবরে বলা হয়েছে, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডিধারী শিক্ষকদের বেতনের ইনক্রিমেন্ট স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। আর এর প্রতিবাদে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা প্রতিবাদ-সমাবেশে নেমেছেন। শিক্ষকদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডির জন্য ইনক্রিমেন্ট দেওয়ার মধ্যে দিয়ে অনেক মেধাবীকে শিক্ষকতায় আসতে আগ্রহী করেছে, কিন্তু ইউজিসির হঠকারিতায় ভবিষ্যতে শিক্ষকেরা পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার আগ্রহই হারিয়ে ফেলবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ণিল শিক্ষক দলের বিবৃতি গণমাধ্যমে দেখার সুযোগ হলেও ইউজিসির পরিপত্রটি তাদের ওয়েবসাইটে খুঁজে পাইনি। যেহেতু শিক্ষকেরা প্রতিবাদ করছেন, সেহেতু ধরে নিচ্ছি, ইউজিসির ওই পরিপত্র অভ্যন্তরীণভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এই উৎকণ্ঠাকে আমি উপেক্ষা করছি না, তবে শিক্ষকেরা পিএইচডির ইনক্রিমেন্ট না পাওয়ার জন্য যে ক্ষোভ ঝাড়ছেন, সেই ব্যথা বোঝার ক্ষমতা আমার রয়েছে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের যে হাল, সেটিকে দণ্ডায়ন করলে বোঝা যাবে, আমাদের সম্মানিত শিক্ষকেরা বেতনের জন্য যে প্রতিবাদ করেছেন, তা নিতান্ত স্বার্থান্বেষী বটে। ইউজিসির করা ইনক্রিমেন্ট স্থগিত নোটিশে তাঁরা পিএইচডির গুরুত্ব যেভাবে সাধারণ মানুষের কাছ ‍বোঝানোর চেষ্টা করছেন, তা আদৌও নিজেদের নিয়োগের সময় সেটির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না। কারণ, এই দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া আর কোনো দেশ না হোক, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে সহজ-সরলীকরণ নিয়োগ ব্যবস্থা। এখানে স্নাতকোত্তর পাসধারীরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান, আবার তাঁরাই পরবর্তী সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন-ভাতার সুযোগ-সুবিধা কাঁধে নিয়ে পিএইচডি করেন।

কারণ, নিয়োগের সময় পিএইচডির গুরুত্ব না থাকলেও নিয়োগের পর এই ডিগ্রির গুরুত্ব তাঁদের কাছে বেড়ে যায়। আর এর অন্যতম কারণ, এই ইনক্রিমেন্ট। আপনি বিশ্বাস করুন বা না করুন, আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার প্রবণতা মূলত এই বেতনের সুবিধা বাড়ার কারণে। তাঁরা দেশের ভেতরে ও বাইরে পিএইচডি ডিগ্রি নেন, তার মূল কারণ কিন্তু এই ইনক্রিমেন্ট। এটি না থাকলে ভবিষ্যতে যাঁরা পিএইচডি করার চিন্তা করছেন, তা তাঁরা করবেন না। কারণ, পিএইচডির গুরুত্ব তো বিশ্ববিদ্যালয় বোঝে না, ইউজিসি বোঝে না, এমনকি সরকারও বুঝে ওঠে না।

অথচ দেখেন, প্রতিবছর সরকার বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ চালু করে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে উৎসাহে দিচ্ছে। সরকারের খরচে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিউশন ফি থেকে শুরু করে যাবতীয় খরচের ব্যবস্থা করছে। এটি নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। কিন্তু পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে এসে যদি তাঁর মূল্যায়ন না পান, তাহলে আমি মনে করি, এসব পিএইচডির জন্য রাষ্ট্রের কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ওড়ানোর কোনো হেতু হয় না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা আজ যখন পিএইচডি থাকার ফলে প্রাপ্ত ইনক্রিমেন্টের জন্য প্রতিবাদ-সমাবেশ করছেন, তখন তাঁদের নিয়োগ ব্যবস্থায় পিএইচডিকে যে ‘তুচ্ছতাচ্ছিল্য’ করে নীতিমালা করা হয়েছে, তখন তাঁরা মুখে কুলুপ টেনেছেন। তাঁরা কখনোই শিক্ষক নিয়োগে সেই পিএইচডি ডিগ্রির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি।
ফলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গত বছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য অভিন্ন শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার প্রজ্ঞাপন ঝেড়ে দিয়েছে। এসব প্রতিবাদী শিক্ষকদের নাকের ডগায় ‘পিএইচডি ডিগ্রিকে অতিরিক্ত যোগ্যতা বলিয়া বিবেচিত হবে’ বলে ইউজিসি ঘোষণা দিয়েছে।

নিয়োগ ব্যবস্থায় যখন পিএইচডির গুরুত্বারোপ করতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রেগুলেটর ব্যর্থ হয়েছে, তখন ইনক্রিমেন্ট স্থগিতাদেশ নিয়ে পরিপত্র দোষের কিছু দেখছি না। কারণ, আমাদের এই রেগুলেটর এখনো মনে করেন, পিএইচডি ডিগ্রির বাধ্যবাধকতা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে থাকা সমীচীন নয়। বছর তিনেক আগে যখন এই অভিন্ন শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার খসড়া প্রকাশ করা হয়েছিল, সেই সময় থেকে আমরা এই নীতিমালা সংশোধনের বেশ কিছু প্রস্তাবনা পত্রপত্রিকার মাধ্যমে দিয়েছিলাম।

এই দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া আর কোনো দেশ না হোক, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে সহজ-সরলীকরণ নিয়োগ ব্যবস্থা। এখানে স্নাতকোত্তর পাসধারীরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান, আবার তাঁরাই পরবর্তী সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন-ভাতার সুযোগ-সুবিধা কাঁধে নিয়ে পিএইচডি করেন।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে ‘অভিন্ন শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা’ প্রয়োজনীয়তা ইউজিসি অনুধাবন করে ২০১৭ সালে ১৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের ১৪৮তম সভায় গৃহীত এই নীতিমালার খসড়া ইউজিসির ওয়েবসাইটে ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারিই প্রকাশিত হয়েছিল। আঠারো পৃষ্ঠার এই নীতিমালায় এইচএসসি ও এসএসসির ফলাফলকে টেনে আনা হয়েছে শিক্ষকদের যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে। আমাদের প্রতিবাদের মুখে চূড়ান্ত নীতিমালা থেকে এসএসসি ও এইচএসসির ওই যোগ্যতার চিহ্ন বাদ পড়লেও পিএইচডির গুরুত্বরোপের দাবিটি ইউজিসি জ্ঞাতসারে এড়িয়ে যায়।

২০২১ সালের ৫ এপ্রিল প্রকাশিত অভিন্ন শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় বিজ্ঞান, সামাজিক, বাণিজ্য, কলা কিংবা চিকিৎসা কোথাও প্রভাষক নিয়োগের পিএইচডিকে যোগ্যতা হিসেবে দেখানো হয়নি; বরং সেটিকে অবহেলা করে ‘বিশেষ দ্রষ্টব্য’তে রাখা হয়েছে। যে যোগ্যতাকে আপনাকে অতিরিক্ত যোগ্যতা বলে গণ্য করেছেন, সেই যোগ্যতাকে আপনার প্রতিবেশী দেশ ভারত শিক্ষক নিয়োগে প্রধান যোগ্যতা হিসেবে দেখছে। শুধু ভারত নয়, বিশ্বের সিংহভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের প্রাথমিক যোগ্যতার অন্যতম মাপকাঠি হলো এই পিএইচডি। এই ডিগ্রি ছাড়া আপনি কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কল্পনা করতে পারেন না। আপনি কোথায় কত জিপিএ বা সিজিপি পেয়েছেন, সেটি মুখ্য না হয়ে এই পিএইচডিধারীদের মধ্য থেকে কার কতটি ভালো ভালো গবেষণার প্রকাশনা আছে, সেগুলোকে যোগ্যতার অনুষঙ্গ হিসেবে ধরা হয়।

অথচ আপনারা পড়ে আছেন ‘শিক্ষকদের লিখিত’ পরীক্ষার নীতিমালার প্রণয়ন নিয়ে। আপনারা এখনো বৈশ্বিক আবহে নিজেদের শিক্ষার মানোন্নয়নে খাপ খাওয়াতে পারেন না। অথচ আপনারা একটি অভিন্ন শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা জারি করে বসে আছেন। একটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন না হলে সেই দেশের পুরো উন্নয়নের কোনো হেতু নেই। কারণ, আপনার সেই অবকাঠামোগত উন্নয়নে চিড় ধরাতে দুর্বল শিক্ষিত সমাজই যথেষ্ট।

আমি বলছি না, পিএইচডি ডিগ্রি থাকলে সবাই ভালো মানের শিক্ষক হন, একাডেমিশিয়ান হন। তবে এই কথা সত্য, যাঁরা পিএইচডি করেছেন, তাঁরা যে এক বৃহৎ অভিজ্ঞতা অর্জনের মধ্য দিয়ে যান, তাঁদের সেই যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাকে ক্লাসে পাঠে শিক্ষার্থীদের হৃদয়ঙ্গম করতে বস্তুত সহজ হয়। গবেষণার বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রতিফলন আমরা পেতে পারি।

যে ছেলে বা মেয়েটি সদ্য স্নাতকোত্তর শেষ করে আপনাদের একপাক্ষিক চিন্তার ফসলস্বরূপ তাঁদের সহকর্মী বানালেন, যে ছেলেটি তিন-চার বছর কঠোর পরিশ্রম করে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে আপনাদের কাছে মূল্যায়ন পেল না, তখন আপনাদের এসব ইনক্রিমেন্টের আন্দোলন বড়ই হাস্যকর হয়ে ওঠে। বড়ই বেমানান হয়। বড়ই নির্লিপ্ত ঘেরা আপনাদের কণ্ঠস্বর। তখন আমরা দূর থেকে সেই দুর্বলতার ভাঁজ দেখতে পাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই অভিন্ন শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালায় সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের বলা হচ্ছে, পিএইচডিধারীদের অবশ্যই প্রভাষক হিসেবে এক বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তার মানে আপনারা চান, পিএইচডি থাকুক বা না থাকুক আপনাকে প্রভাষক মানে স্নাতকোত্তর পাস করে শিক্ষার্থী পড়ানোর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।

অথচ দেখেন, আপনাদের এই পদে যোগ্যতার অন্যতম বাহক হওয়ার কথা ছিল, গবেষণায় অন্তত এক বছরের অভিজ্ঞতা। কয়েক বছরের গবেষণার অভিজ্ঞতা না লিখে আপনারা প্রভাষক বনে থাকতে বলছেন। যে ছেলে বা মেয়েটিকে প্রভাষক হিসেবে নিলেন, তার নিয়োগের যোগ্যতায় কখনোই বলা হলো না শিক্ষার্থী পড়ানোর অভিজ্ঞতা। একজন স্নাতকোত্তরধারীকে দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়াবেন আর পিএইচডিধারীরা সহকারী অধ্যাপক হলে তাঁরা ক্লাসে পড়াতে পারবেন না? এমন হাস্যকর যুক্তি আর কী হতে পারে?

ধরুন, কোনো এক ক্লাসের কোনো এক বন্ধু প্রভাষক হলো, অপর বন্ধুটি পিএইচডি করতে দেশের বাইরে গেল। তিন বা চার বছর পিএইচডি শেষ করে ওই বন্ধুটি যখন ওই বিভাগে শিক্ষক হতে গেল, তখন তাকে আপনারা নীতিমালার গ্যাঁড়াকলে প্রভাষক হিসেবে ঢোকাতে বাধ্য করালেন আর সেই প্রভাষক হওয়া বন্ধুটি ক্লাস পড়ানোর যোগ্যতায় সহকারী অধ্যাপক হয়ে গেল। এখন এই পিএইচডিধারী বন্ধুটির অপরাধ হলো, সে কেন গবেষণা করল? কেন সে প্রকাশনা করে দেশে ফিরল?

যোগ্যদের যোগ্যতার মূল্যায়ন করতে আপনি যখন ব্যর্থ হবেন, তখন কার্যত এই দেশ মেধাশূন্যতার দিকে ধাবিত হবে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ব্যবস্থার এই মর্মধ্বনি দেখার পর বিদেশে নানা সুযোগ-সুবিধা ঘেরা জীবন ফেলে ঠিক কোন পাগলে দেশে ফিরবে বলুন তো? আপনার বন্ধুটি যখন সহকারী অধ্যাপক হয়ে গিয়েছে, তখন আপনাকে সেই প্রভাষক পদে নিয়োগ পাবেন, এমন জায়গায় কেন যাবে বলুন তো? যে যোগ্যতার বলয়ে আপনি বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ানোর সুযোগ পাবেন, গবেষণার সুযোগ পাবেন, সেই যোগ্যতায় আপনি দেশে ফিরলে চাকরির জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরবেন, অবহেলা অবজ্ঞার শিকার হবেন, বয়স নিয়ে কটু কথা শুনবেন, এমন পরিস্থিতি মোকাবিলার রুচি বা শক্তি ঠিক কতজন পিএইচডিধারীর আছে?

এসব মেধা পাচারের উসকানিতে ঠিক কারা দায়ী থাকল? কেন আমাদের মেধাবীদের ফেরার পথ মসৃণ করা হয় না? কেন আমাদের মাতৃভূমি ফেলে বিদেশে থিতু হতে হয়?
জানি এসবের উত্তর সর্বজনীন। এসব বৈষম্য দেখে আপনি আসলে আসুন না আসলে দূরে থাকুন। ছাত্র পড়াতে আপনাদের পিএইচডিধারী, গবেষকদের প্রয়োজন নেই। স্নাতকোত্তর দিয়েই যুগের পর যুগ যখন পার করছেন, তখন সামনের দিনগুলো কেন পারবেন না? আফসোস, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সভ্যতার আলো ফেরাতে পারিনি। এখানে জ্ঞানচর্চার উর্বর ভূমির চেয়ে আমরা আত্মতৃপ্তির আর রংধনুর মতো দলাদলির নৃত্যশালার রূপায়ণ করে চলছি। শিক্ষার মান ফেরাতে যখন শিক্ষকেরা তৎপর হচ্ছে না, তখন বেতন-ভাতার টান পড়লে তৎপর হওয়া একধরনের হিপোক্রেসির শামিল।

আমাদের সম্মানিত শিক্ষকেরা সত্যি যদি পিএইচডির গুরুত্ব অনুধাবন করেন, তাহলে দয়া করে আপনাদের নিয়োগ ব্যবস্থায় আগে হাত দিন। এরপর গুরুত্ব দিন, গবেষণাপত্রের দিকে, আর সেই সংখ্যা ও মানের বিবেচনায় নিজেদের ইনক্রিমেন্ট বাড়ান। দেখবেন, দেশটায় মেধাবীদের পাচার যেমন বন্ধ হচ্ছে, তেমনি অভিজ্ঞ ও গবেষণাবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে পিএইচডিধারীরা আপনাদের সহকর্মী হতে আগ্রহী হবেন।

  • নাদিম মাহমুদ জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। ই-মেইল: nadim.ru@gmail.com